ঢাকা ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

মাস্কের নাক গলানো উচিত নয়: জরিপ

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৫৭ এএম
আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৫৯ এএম
মাস্কের নাক গলানো উচিত নয়: জরিপ
ইলন মাস্ক। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাজ্য ও জার্মানির রাজনৈতিক অঙ্গনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন ইলন মাস্ক। বিষয়টি ভালোভাবে নিচ্ছেন না দেশ দুটির বেশির ভাগ নাগরিকই। এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।

দুই দেশের বেশির ভাগ মানুষই মনে করেন, ইলন মাস্কের তাদের দেশের রাজনীতিকে প্রভাবিত করার প্রচেষ্টা অগ্রহণযোগ্য এবং তারা মনে করেন, ইলন তাদের দেশ বা তাদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা সম্পর্কে বেশি কিছু জানেন না।

সম্প্রতি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টারমার ও জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজকে আক্রমণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে কথা বলেছেন ইলন মাস্ক। তার পরপরই এ জরিপটি করেছে ইউগভ। জরিপে জার্মানি ও যুক্তরাজ্য– প্রতিটি দেশেই ২ হাজার ২০০-এর বেশি মানুষ অংশ নিয়েছেন। দুই দেশেরই ৫৪ শতাংশ মানুষ মনে করছেন, মাস্কের সঙ্গে তাদের সরকারের ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলা ঠিক হবে না। প্রায় ৫০ শতাংশ মনে করছেন, তাকে এড়িয়ে যাওয়া ভালো হবে।

জরিপে অংশ নেওয়া মাত্র ১৩ শতাংশ জানিয়েছেন যে তাদের রাজনীতিতে মাস্কের হস্তক্ষেপ গ্রহণযোগ্য। তবে যুক্তরাজ্যে ৬৯ শতাংশ ও জার্মানিতে ৭৩ শতাংশ এর বিপক্ষে রায় দিয়েছেন। অনেকে এটিও মনে করছেন যে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতেও মাস্কের নাক গলানো উচিত নয়।

যুক্তরাজ্য ও জার্মানির ব্যাপারে মাস্ক কতটা ভালো জানেন– সে প্রশ্নও করা হয়েছিল জরিপে, উত্তরে ৬৩ শতাংশ রায় দিয়েছেন যে তিনি তেমন কিছুই জানেন না। প্রায় সমসংখ্যক মানুষ মনে করেন, তিনি রাজনীতি ও ইউরোপ সম্পর্কে অজ্ঞ।

জার্মানিতে নির্বাচনের আগে এক টুইট করে দেশটির নাগরিকদের ক্ষেপিয়ে দেন মাস্ক। ওই টুইটে তিনি বলেন, জার্মানিকে কট্টর ডানপন্থিরাই বাঁচাতে পারে। পরে এক কলামও লেখেন তিনি।  সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

দেশজুড়ে গুপ্তচর সন্দেহে গ্রেপ্তারি, কিসের এত ভয় ভারতের?

প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৫, ০৮:১৭ পিএম
আপডেট: ০৫ জুন ২০২৫, ০৮:২২ পিএম
দেশজুড়ে গুপ্তচর সন্দেহে গ্রেপ্তারি, কিসের এত ভয় ভারতের?
প্রতীকী ছবি

বিভিন্ন দেশে গুপ্তচরবৃত্তি নতুন ঘটনা নয়। তবে অপারেশান সিঁদুরের পর থেকেই রীতিমতো অস্বাভাবিক হারে গুপ্তচর সন্দেহে গ্রেপ্তার হচ্ছেন বেশ কিছু ভারতীয় নাগরিক। সেই লম্বা নামের তালিকায় রয়েছেন, হরিয়ানার ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রা, সিআরপিএফ জওয়ান মোতি রাম জাট, রাজস্থানের সরকারি কর্মী শকুর খান-সহ একাধিক সন্দেহভাজন। তাদেরকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির বিভিন্ন থানার পুলিশ এবং গোয়েন্দা বিভাগ। 

তবে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি, সিআরপিএফ জওয়ান মোতি রাম জাটের গ্রেপ্তারের ঘটনাটিকে সুরক্ষা বাহিনীর কর্তৃপক্ষকে বেশি চিন্তায় ফেলেছে।

বুধবার (০৪) মোহালি থেকে গ্রেপ্তার হন আরেক ইউটিউবার জসবীর সিং। পাঞ্জাব পুলিশ জানায়, জ্যোতি মালহোত্রার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল জসবীরের।

সোমবার (০২) কলকাতার বেশ কিছু জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে এনআইএ। এর পর মহম্মদ মাসুদ আলম নামে এক ট্র্যাভেল এজেন্টকে জেরা করেন এনআইএ কর্মকরতারা। তাকে সন্দেহভাজন টাকা লেনদেনের  বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। দিল্লি থেকে গ্রেপ্তার সিআরপিএফ জওয়ান মোতি রাম জাটের সূত্র ধরেই এই তল্লাশি চালানো হয়।

এছাড়া মঙ্গলবার (০৩)পাঞ্জাব এবং রাজস্থান থেকে গ্রেপ্তার হন আরো দুই ব্যক্তি। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা গোয়েন্দা বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘গুপ্তচরেরা সব দেশেই থাকেন। তবে রাজনৈতিক বা সামরিক শান্তি বিঘ্নিত হলে তাদের গতিবিধি বাড়ে। 

তবে ভারতের ক্ষেত্রে প্রতিবেশী দেশের গুপ্তচরের ধরপাকড় নতুন নয়। সাধারণত অর্থ, ধর্মীয় মত বা রাজনৈতিক মতাদর্শের প্রভাব ইত্যাদির টোপে সাধারণ মানুষ এই কাজে জড়িয়ে দেন। সব সময় গোপন তথ্য পাচার নয়, সাধারণ দৈনন্দিন তথ্য সরবরাহ যুদ্ধ পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।’

তার মতে, ‘কারো কাছে তথ্য থাকলে এবং কোথায় বা কার সেই তথ্য প্রয়োজন তা জানা থাকলেই, সে বিপজ্জনক।’
সুরক্ষা বাহিনীতে গুপ্তচর!

সিআরপিএফ জওয়ান মোতি রাম জাটের গ্রেপ্তারের ঘটনায়, গোয়েন্দা বিভাগের এক কর্মকর্তা ডিডাব্লিউকে জানান, ‘চর যেই হোক না কেন, তাদের হ্যান্ডলাররা সাধারণ মানুষ হন। ফোর্সের কেউ হন না। সামরিক বাহিনীর অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা বিভাগ শক্তিশালী। এখন প্রায় সব তথ্য ইন্টারনেটের মাধ্যমে পাওয়া যায়। তবে যে কোনো অপারেশনের আগে অঞ্চল প্রস্তুত করার জন্য গুপ্তচরদের কাজে লাগানো হয়। তাই যে কোনো সুরক্ষা বাহিনীর কেউ মোল বা অন্য দেশের চর হলে তা বিপদের।’

সাধারণত সুরক্ষা বাহিনীর তথ্যের গোপনীয়তার বিভিন্ন স্তর আছে। সামরিক বাহিনীর সংখ্যা কত হবে বা পারমাণবিক ওয়ারহেডসের ঠিকানা কী হবে, তা গোপন বা ক্লাসিফায়েড তথ্য। এ ধরনের তথ্য সম্পূর্ণ গোপনীয়তার মোড়কে মুড়ে ফেলা হয়। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতার রাজনৈতিক মহলের এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা অবশ্য বলেন,‘গুপ্তচর হওয়ার জন্য সামরিক বাহিনী বা পুলিশ বাহিনীতে থাকার প্রয়োজন হয় না। হ্যাঁ, কেউ যদি গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকে তা হলে তথ্যের উপর তার নিয়ন্ত্রণ বেশি থাকবে। কিন্তু সাধারণ মানুষকে দিয়েও যথেষ্ট তথ্য পাচার করা সম্ভব।’ 

সুলতানা দিনা/

পার্লামেন্ট ভাঙার আশঙ্কা, জলে কুমির ডাঙায় বাঘ পরিস্থিতিতে নেতানিয়াহু

প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৫, ০৫:৪৭ পিএম
আপডেট: ০৫ জুন ২০২৫, ০৫:৫৫ পিএম
পার্লামেন্ট ভাঙার আশঙ্কা, জলে কুমির ডাঙায় বাঘ পরিস্থিতিতে নেতানিয়াহু
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ছবি: সংগৃহীত

নিজের জোট ও বিরোধীদের চাপে মারাত্মক বেকায়দায় পড়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এবার জোট ছাড়ার হুমকি দিয়ে তার গদি আরও নড়বড়ে করে দিলো কট্টর রক্ষণশীল দল ইউনাইটেড তোরাহ জুডাইজম (ইউটিজে)। এছাড়া তৈরি হয়েছে পার্লামেন্ট ভাঙার আশঙ্কা।

গাজায় যুদ্ধ পরিচালনা নিয়ে দেশে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দীর্ঘদিন ধরেই যথেষ্ট বেকায়দা অবস্থায় আছেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

এমতাবস্থায় বুধবার (৪ জুন)  ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, নেতানিয়াহুর জোট সরকারের শরিক ইউটিজে হুমকি দিয়েছে, ধর্মীয় শিক্ষায় ব্যস্ত কট্টর রক্ষণশীল পুরুষদের বাধ্যতামূলক সেনাবাহিনীতে যোগদানের বিধি সংশোধন না করলে তারা জোট ছেড়ে নেতানিয়াহুকে দুর্বল করেই ক্ষান্ত হবে না, বরং আগামী সপ্তাহে বিরোধীদলের প্রস্তাবে সমর্থন জানিয়ে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার চেষ্টাও করবে।

কঠোর ধর্ম চর্চারত পুরুষদের সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক যোগদান নিয়ে জোটের মধ্যে কয়েকদিন ধরেই চরম মতবিরোধ চলছে। এরমধ্যে গাজায় নেতানিয়াহুর যুদ্ধ পরিচালনা নিয়ে বিভিন্ন কারণে নাখোশ থাকায় আগামী সপ্তাহে সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট উত্থাপন করবে প্রধান বিরোধী দল ইয়েশ আতিদ।

বিরোধীদলের নেতা এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ বলেন, ‘এই নেসেট (ইসরায়েলি পার্লামেন্টের নাম নেসেট) শেষ। তাদের সামনে আর কোনও পথ খোলা নেই।’

পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার জন্য ১২০ সদস্যের আইনবিভাগের ৬১ জনের সমর্থন প্রয়োজন।

সাম্প্রতিক এক জনমত জরিপে দেখা গেছে, দেশের মানুষের কাছে নেতানিয়াহুর জনপ্রিয়তা খুব একটা সুবিধাজনক অবস্থানে নেই। গাজায় যুদ্ধ এবং জিম্মিদের রক্ষায় নেতানিয়াহু সরকারের পন্থায় ক্ষুব্ধ রয়েছেন অনেক ইসরায়েলি। এ অবস্থায় ভোট হলে নেতানিয়াহুর ক্ষমতা হারানোর যথেষ্ট আশঙ্কা রয়েছে।

ইউটিজের নেতা ইতঝাক গোল্ডনোপফের এক মুখপাত্র রয়টার্সকে জানান, তাদের দাবি মেনে না নিলে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার পক্ষে বিরোধীদের সমর্থন দেবে ইউটিজে।

অবশ্য,পরিস্থিতি খুব একটা সরলীকরণও করা যাচ্ছে না। বিধি সংশোধন না করলে যেমন কট্টরপন্থিদের সমর্থন হারানোর ঝুঁকি আছে, তেমনি অন্যদিকে, ইউটিজের দাবি মেনে নিলে ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলো আবার নেতানিয়াহুর ওপর ক্ষুব্ধ হতে পারে। 

অর্থাৎ, পুরো জলে কুমির ডাঙায় বাঘ পরিস্থিতিতে পড়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী।

দেশটিতে সবচেয়ে বেশি সময় ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন নেতানিয়াহু। দীর্ঘদিন ধরেই একের পর এক সংকট কোনও রকম উতরে গিয়ে টিকে আছেন তিনি। 

আগামী সপ্তাহের ভোটের আগে সমঝোতার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে নেতানিয়াহু আর তার মিত্রদের হাতে আছে খুব অল্প কিছু সময়।
ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, ‘জোট শরিকদের মধ্যে সমঝোতা চলছে।’

পার্লামেন্টে নেতানিয়াহুর কট্টরপন্থী ও ধর্মনিরপেক্ষ ডানপন্থি জোটের আট আসনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। ইউটিজের দখলে আছে সাতটি এবং আরেক কট্টর দল শাসের আছে ১১টি আসন।

এদিকে,পুরো সংকট নিয়ে নেতানিয়াহুর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি শব্দও জানানো হয়নি।

সুলতানা দিনা/

জার্মান শহরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বোমা আতঙ্ক: ২০ হাজার বাসিন্দা স্থানান্তর

প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৫, ০৫:০০ পিএম
আপডেট: ০৫ জুন ২০২৫, ০৫:৫৬ পিএম
জার্মান শহরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বোমা আতঙ্ক: ২০ হাজার বাসিন্দা স্থানান্তর
ছবি: সংগৃহীত

জার্মানির কোলন শহরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার ১০ থেকে ২০ টন ওজনের তিনটি অবিস্ফোরিত বোমা নিষ্ক্রিয় করতে শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে প্রায় ২০ হাজার ৫০০ বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

শহরের কর্মকর্তারা জানান, প্রথমত, তাদের বোমাগুলো নিষ্ক্রিয় করার পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে আরেকটি বিকল্প হতে পারে নিরাপদে বিস্ফোরণ ঘটানো।

তবে সেটি অনেক বড় একটি অভিযান হবে। বিস্ফোরণের ক্ষয়ক্ষতি সীমিত করার জন্য এই এলাকায় বালি এবং পানি আনতে হবে। কর্তৃপক্ষ এটিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় অভিযান বলে উল্লেখ করেছে।

কর্তৃপক্ষ আশা করছে, সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী হলে, বোমা নিষ্ক্রিয়করণ বিশেষজ্ঞরা সময়মতো বোমা নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম হবেন যাতে বুধবার রাতের মধ্যে মানুষ তাদের ঘরে ফিরে যেতে পারে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কোলন হচ্ছে প্রথম জার্মান শহর যেটি রয়্যাল এয়ার ফোর্সের ,০০০ বোমারু বিমানের আক্রমণের সম্মুখীন হয়েছিল। ১৯৪২ সালের ৩০শে মে এক রাতে শহরটিতে প্রায় ,৪০০ টন বোমা ফেলা হয়েছিল। তবে আজ যে বোমাগুলো নিষ্ক্রিয় করা হচ্ছে সেগুলো কোন অঞ্চলের তা স্পষ্ট নয়।

সোমবার (০২ জুন) ডয়ৎস এলাকার একটি জাহাজ নির্মাণকেন্দ্রে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এই বোমাগুলো শনাক্ত  করা হয়। বোমাগুলোর এখনও বিপজ্জনক হতে পারে বলে জানায় জার্মানির বোমা নিষ্ক্রিয়কারী সংস্থা।

বুধবার (০৪ জুন)  এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানায় মার্কিন সংবাদ সংস্থা দ্য বস্টন গ্লোব।

বুধবার (০৪ জুন) নিষ্ক্রিয়করণ কাজ শুরুর আগে হাজার মিটার ব্যাসার্ধের একটি এলাকা পুরোপুরি সিল করে দেওয়া হয়। ওই এলাকার আবাসিক ভবন থেকে শুরু করে দোকান, হোটেল, সরকারি ভবন, নয়টি স্কুল এবং ৫৮টি হোটেলসহ একটি বড় হাসপাতাল এবং মেসে/ডয়ৎস ট্রেন স্টেশন খালি করে ফেলা হয়।

কর্তৃপক্ষ জানায়, যদি কেউ নিজ থেকে না বের হয়, তাহলে তাকে পুলিশ জোরপূর্বক সরিয়ে নেবে। প্রয়োজনে মোটা অঙ্কের জরিমানাও করা হবে।

সকালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে লোকজনকে সতর্ক করে দেওয়া হয়। এসময় শহরের ব্যস্ত রাস্তাগুলো ফাঁকা হয়ে যায়। ফিলহারমোনি কনসার্ট হল বিভিন্ন জাদুঘরসহ সব সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দিনের বেলায় কার্যক্রম বন্ধ রাখে। এডুয়ারডাস হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে থাকা রোগীদের অ্যাম্বুলেন্সে করে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়।

এদিকে যেসব মানুষ সময়ে থাকার জায়গা পাচ্ছেন না তাদের জন্য দুটি জরুরি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বলা হয়েছে, শান্ত থাকুন, আইডি কার্ড, প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং পোষা প্রাণী সঙ্গে নিয়ে বের হন।

যদিও কোলন বন বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলবে, তবে ট্রেন সড়ক যোগাযোগে বিপর্যয়ের কারণে সেখানে পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে।

তবে এই অভিযানের কারণে অনেক মানুষের ব্যক্তিগত পরিকল্পনাও ভেস্তে গেছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, শহরের ঐতিহাসিক টাউন হল ভবনে বুধবার ১৫টি বিয়ের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। সেগুলো শহরের অন্য একটি জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সূত্র: দ্য বস্টন গ্লোব

সুলতানা দিনা/

গাজায় মৃত্যু ও অনাহার, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ভেটো যুক্তরাষ্ট্রের

প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৫, ১১:১৬ এএম
আপডেট: ০৫ জুন ২০২৫, ১১:৪০ এএম
গাজায় মৃত্যু ও অনাহার, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ভেটো যুক্তরাষ্ট্রের
ছবি: সংগৃহীত

গাজায় তাৎক্ষণিক, নিঃশর্ত এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের (ইউএনএসসি) একটি প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। 

যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বুধবার (৪ জুন) কাউন্সিলের অন্য ১৪ সদস্য পক্ষে ভোট দেয়। যুক্তরাষ্ট্রই একমাত্র দেশ যারা এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ভোট দেয়।

এদিকে ত্রাণ অবরোধের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ইসরায়েলি হামলায় প্রায় ১০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

প্রস্তাবে গাজায় আটক ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তিরও আহ্বান জানানো হয়েছিল। কিন্তু ওয়াশিংটন বলেছে, এটি ‘অসম্ভব প্রস্তাব’ যুদ্ধবিরতির দাবি সরাসরি বন্দিদের মুক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।

ভোটগ্রহণ শুরুর আগে বক্তব্যে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ডোরোথি শেয়া তার দেশের এই প্রস্তাবের বিরোধিতার বিষয়টি অত্যন্ত স্পষ্ট করে দেন। তিনি বলেন, এটি ‘আশ্চর্যের কিছু নয়’ যে যুক্তরাষ্ট্র এমন অবস্থান নিয়েছে। প্রস্তাবটি ১৫ সদস্যবিশিষ্ট পরিষদের ১০টি দেশ উপস্থাপন করেছিল।

তার বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ইসরায়েলের পক্ষে প্রতিরক্ষা ও হামাসবিরোধী অবস্থান জোরালোভাবে তুলে ধরেন।

তিনি পরিষদকে জানান, এই সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র খুব স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছে। ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে হামাসকে পরাজিত করা এবং এটি নিশ্চিত করা যে, তারা আর কখনও ইসরায়েলকে হুমকি দেওয়ার মতো অবস্থানে থাকবে না।

চীনের রাষ্ট্রদূত ফু কং বলেন, ইসরায়েলের কার্যকলাপ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের ‘সব ধরনের সীমা অতিক্রম করেছে’ এবং জাতিসংঘের প্রস্তাবনাগুলিকে গুরুতরভাবে লঙ্ঘন করেছে।

তিনি আরও বলেন, ‘তবুও, একটি দেশের পক্ষপাতদুষ্ট আশ্রয়ে এই লঙ্ঘনগুলো বন্ধ হয়নি বা এর জন্য কাউকে দায়ী করা হয়নি।’

এখানে রাষ্ট্রদূত ফু কং পরোক্ষভাবে যুক্তরাষ্ট্রের কথা উল্লেখ করছেন, যারা ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন দিয়ে আসছে এবং জাতিসংঘে বারবার প্রস্তাবে ভেটো দিয়ে আসছে।

যুদ্ধবিরতির আহ্বান সত্ত্বেও, ইসরায়েল বারবার কোনো শর্ত ছাড়াই বা স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের দৃঢ় অবস্থান হলো, হামাস ক্ষমতায় থাকতে পারবে না, গাজায়ও নয়।

ইসরায়েল গাজায় তাদের সামরিক অভিযান আরও বিস্তৃত করেছে, যার ফলে আরও হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নিহত ও আহত হয়েছে এবং অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ওপর নির্মম অবরোধ অব্যাহত রেখেছে। সেখানে দুর্ভিক্ষ দেখা দেওয়ায় তারা শুধু সামান্য ও কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে।

গাজা স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মকর্তাদের বরাতে জানা গেছে, বুধবার অন্তত ৯৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৪৪০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ভোটের আগে, জাতিসংঘের সাহায্য-প্রধান টম ফ্লেচার আবারও জাতিসংঘ এবং সাহায্য গোষ্ঠীগুলোকে গাজার মানুষকে সহায়তা করার অনুমতি দেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন।

অমিয়/

গাজায় গত ২৪ ঘণ্টায় নিহত ১০০, আহত ৪৪০

প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৫, ০১:০৫ এএম
গাজায় গত ২৪ ঘণ্টায় নিহত ১০০, আহত ৪৪০
ইসরায়েলি হামলায় নিহত স্বজনদের মৃতদেহ নিয়ে গাজার আস শিফা হাসপাতাল প্রাঙ্গণে কান্না করছেন মৃতদের স্বজনরা। ছবি: সংগৃহীত

গাজায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১০০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৪৪০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সেখানকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। খবর আল জাজিরার।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, আগের ইসরায়েলি হামলায় আরও দুইজনের মরদেহ ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

চলতি বছরের ১৮ মার্চে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের পর থেকে ইসরায়েল ৪ হাজার ৩৩৫ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে এবং আহত করেছে ১৩ হাজার ৩০০ জনকে।

এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজার ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের সতর্ক করে দিয়েছে, যেন তারা যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত বিতর্কিত মানবিক সংস্থা গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রগুলোর আশেপাশের সড়কের কাছে না যায়। এসব ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র একদিনের জন্য বন্ধ থাকবে।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ গাজায় যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তার সুযোগ সৃষ্টির আহ্বানে একটি প্রস্তাবের ওপর ভোট দিতে যাচ্ছে। তবে এই প্রস্তাবটিতে যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলের চালানো হামলায় গাজায় নিহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪ হাজার ৬০৭ জনে। আহত হয়েছেন এক লাখ ২৫ হাজার ৩৪১ জন। সূত্র: আল জাজিরা