
যুক্তরাজ্য ও জার্মানির রাজনৈতিক অঙ্গনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন ইলন মাস্ক। বিষয়টি ভালোভাবে নিচ্ছেন না দেশ দুটির বেশির ভাগ নাগরিকই। এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।
দুই দেশের বেশির ভাগ মানুষই মনে করেন, ইলন মাস্কের তাদের দেশের রাজনীতিকে প্রভাবিত করার প্রচেষ্টা অগ্রহণযোগ্য এবং তারা মনে করেন, ইলন তাদের দেশ বা তাদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা সম্পর্কে বেশি কিছু জানেন না।
সম্প্রতি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টারমার ও জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজকে আক্রমণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে কথা বলেছেন ইলন মাস্ক। তার পরপরই এ জরিপটি করেছে ইউগভ। জরিপে জার্মানি ও যুক্তরাজ্য– প্রতিটি দেশেই ২ হাজার ২০০-এর বেশি মানুষ অংশ নিয়েছেন। দুই দেশেরই ৫৪ শতাংশ মানুষ মনে করছেন, মাস্কের সঙ্গে তাদের সরকারের ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলা ঠিক হবে না। প্রায় ৫০ শতাংশ মনে করছেন, তাকে এড়িয়ে যাওয়া ভালো হবে।
জরিপে অংশ নেওয়া মাত্র ১৩ শতাংশ জানিয়েছেন যে তাদের রাজনীতিতে মাস্কের হস্তক্ষেপ গ্রহণযোগ্য। তবে যুক্তরাজ্যে ৬৯ শতাংশ ও জার্মানিতে ৭৩ শতাংশ এর বিপক্ষে রায় দিয়েছেন। অনেকে এটিও মনে করছেন যে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতেও মাস্কের নাক গলানো উচিত নয়।
যুক্তরাজ্য ও জার্মানির ব্যাপারে মাস্ক কতটা ভালো জানেন– সে প্রশ্নও করা হয়েছিল জরিপে, উত্তরে ৬৩ শতাংশ রায় দিয়েছেন যে তিনি তেমন কিছুই জানেন না। প্রায় সমসংখ্যক মানুষ মনে করেন, তিনি রাজনীতি ও ইউরোপ সম্পর্কে অজ্ঞ।
জার্মানিতে নির্বাচনের আগে এক টুইট করে দেশটির নাগরিকদের ক্ষেপিয়ে দেন মাস্ক। ওই টুইটে তিনি বলেন, জার্মানিকে কট্টর ডানপন্থিরাই বাঁচাতে পারে। পরে এক কলামও লেখেন তিনি। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান