ঢাকা ২৫ মাঘ ১৪৩১, শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৫ মাঘ ১৪৩১

গাজায় যুদ্ধবিরতিতে নেতানিয়াহুর কি খুব ক্ষতি হলো?

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৫৩ এএম
গাজায় যুদ্ধবিরতিতে নেতানিয়াহুর কি খুব ক্ষতি হলো?
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ছবি: সংগৃহীত

হামাসের সঙ্গে সশস্ত্র যুদ্ধের প্রায় ১৫ মাস পর যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল। মাঝের এই ১৫ মাসে প্রাণ হারিয়েছেন ৪৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। ঘরছাড়া হয়েছেন লাখ লাখ মানুষ। গাজার দিকে তাকালে বোঝার উপায় নেই এই অঞ্চলে এক সময় সভ্য মানুষের বসতি ছিল। 

মুহুর্মুহু আক্রমণ, বিমান হামলা, ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত থামাতে অবশেষে সম্মত হয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এই ঘটনাকে নেতানিয়াহুর পরাজয় হিসেবেই প্রচার করছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো। তবে আদৌ কী তার খুব ক্ষতি হলো অস্ত্র সরিয়ে রাখায়? এ নিয়েই আলাপ চলছে বিশ্লেষকমহলে।

হামাস ও আন্তর্জাতিক আহ্বানে সাড়া না দিয়ে যুদ্ধ চালিয়ে গেছেন নেতানিয়াহু। তবে ১৫ মাস পর অবশেষে আগামী রবিবার (১৯ জানুয়ারি) যুদ্ধবিরতি কায়েম করতে রাজি হয়ছেন ইসরায়েলের ক্যাবিনেট সদস্যরা।

এই চুক্তির অধীনে দুই পক্ষ বন্দিবিনিময় করবে। গাজা অঞ্চল থেকে ইসরায়েল সেনা প্রত্যাহার করে নেবে কয়েক ধাপে।

তবে এই সিদ্ধান্তের কারণে নেতানিয়াহুর ওপর নারাজ তেল আবিব প্রশাসন। দেশটির উগ্র ডানপন্থি নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গাভির সরাসরি এই সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করেছেন।

এর আগেও কয়েকবার ইসরায়েলের সংসদে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব উঠেছিল। তবে কঠোরভাবে তা দমন করেছেন গাভির। শেষমেষ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে হওয়ায় পদত্যাগের হুমকি দিয়েছেন তিনি।

নেতানিয়াহুর বিপাক শুধু এটুকু নয়। দেশটির অর্থমন্ত্রী বিজালেল স্মট্রিচ ও তার জায়োনবাদী ধর্মীয় দলের সমর্থকদের দাবি, প্রথম ধাপে বন্দিবিনিময় করার পরই আবার যুদ্ধ শুরু করতে হবে। অন্যথায় বিজালেলও পদত্যাগ করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

তবে বিপত্তিসত্ত্বেও নেতানিয়াহুর ট্রাম্প কার্ড-যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থন। এমনিতে ট্রাম্পও ইসরায়েলের উগ্র ডানপন্থি মনোভাবকে কিছুটা সমর্থন করেন। তবে আগামী সোমবার (২০ জানুয়ারি) প্রেসিডেন্ট পদে অভিষেকের আগেই ইসরায়েল-হামাস দ্বন্দ্বের অবসান চেয়েছিলেন তিনি।

ঠিক এখানেই নেতানিয়াহুর মোক্ষম চাল আছে বলে মত ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের কর্মকর্তা মাইরেভ জন্সজেইনের। এখন জরুরীভিত্তিতে ট্রাম্পের আবদার মেনে ভবিষ্যতে গাজার ওয়েস্ট ব্যাংকে আরও নিয়ন্ত্রণ পাওয়ার আশা করছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সম্প্রতি দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত নেতানিয়াহু বেন গাভির ও স্মট্রিচের মতো উগ্র ডানপন্থি নেতার সমর্থনে নিজের অবস্থান টিকিয়ে রেখেছেন। এ পরিস্থিতিতে জোটের সমর্থন হারালে নেতানিয়াহু বিপাকে পড়তেন- যদি যুদ্ধবিরতির পক্ষে থাকা বিরোধী দলের নেতারা তার পাশে না দাঁড়াতেন।

জনআকাঙ্ক্ষাও নেতানিয়াহুর পক্ষেই। এ প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ওরি গোল্ডবার্গ বলেন, ‘১৫ মাস আমাদের বলা হয়েছে জয় নিকটে। কিন্তু জয়ের পরিবর্তে আমরা শুধু রক্তপাতই দেখেছি। আমরা ক্লান্ত। আর যুদ্ধ চাই না।’

এদিকে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে দেশের অভ্যন্তরে নেতানিয়াহু রাজনৈতিক সমর্থন ঠিকই পেয়েছেন, কিন্ত আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ব্যাপক সমালোচনার শিকার হয়েছেন।

যুদ্ধ এভাবে চলতে থাকলে ইসরায়েলের সার্বভৌমত্বেও আঘাত আসতে পারে বলে ধারণা করছেন দেশের বেশ কয়েকজন গবেষক।
ড. গাই শালেভ এ বিষয়ে বলেন, ‘যেভাবে ফিলিস্তিনি প্রাণকে অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে , তা খুবই দুঃখজনক।’

এ পর্যায়ে নেতানিয়াহুর খুব একটা ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করছেন না বিশেষজ্ঞরা। প্রশাসনের রোষানলে দগ্ধ হলেও তা নিতান্তই সাময়িক। ভবিষ্যতে নিজের আধিপত্য কায়েমের পথ তিনি ঠিকই তৈরি করে রেখেছেন। সূত্র: আল-জাজিরা

নাইমুর/

ইউএসএইড ইস্যুতে ধাক্কা খেল ট্রাম্প প্রশাসন

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৩৩ পিএম
ইউএসএইড ইস্যুতে ধাক্কা খেল ট্রাম্প প্রশাসন
ছবি : সংগৃহীত

মার্কিন ত্রাণ সংস্থা ইউএসএইডের কর্মীদের জোরপূর্বক ছুটিতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এই পদক্ষেপ সাময়িকভাবে আটকে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের এক আদালত।

শুক্রবার (৭ অক্টোবর) ট্রাম্পের নিয়োজিত ডিস্ট্রিক্ট জজ কার্ল নিকোলসের আদালত এই রায় পাঠ করেন।

এর আগে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে শ্রম ইউনিয়ন ও বিদেশে শ্রমসেবা প্রদানকারী একটি প্রতিষ্ঠান।

আদলতের রায় আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দুই সহস্রাধিক ইউএসএইড কর্মীর স্বার্থ নিশ্চিত করেছে।

আদলতের শুনানিতে বিচারক নিকলস্‌ জানান, প্রশাসনের নির্দেশ বাস্তবায়ন করা হলে ‘অপূরণযোগ্য ক্ষতি হবে’।

তবে কর্মীদের জোরপূর্বক ছুটিতে পাঠানোর নির্বাহী আদেশ আটকে দিলেও ইউএসএইড কার্যালয় খুলে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরুর পক্ষে রায় দিতে রাজি হননি তিনি।

এদিকে নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল ট্রাম্প প্রশাসন। আদালতে মার্কিন জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তা প্রশাসনের সমর্থনে বলেন, ‘ইউএসএইড চরম দুর্নীতি ও জালিয়াতিতে জর্জরিত।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথসোশালে ট্রাম্পের বলছেন একই কথা। প্ল্যাটফর্মটির এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘ইউএসএইড দুর্নীতির অতল গহ্‌বরে হারিয়ে যাচ্ছে। এটাকে দ্রুত বন্ধ করা উচিত।’ তবে নিজের দাবির স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ দাঁড় করাতে পারেননি তিনি।

গত ২০ জানুয়ারি ক্ষমতাগ্রহণের পর থেকে বিশ্বব্যাপী মার্কিন ত্রাণ কার্যক্রম আটকে দিয়েছেন ট্রাম্প। বন্ধ হয়ে আছে ইউএসএইডের কাজও। এতে বিপাকে পড়েছেন ফিলিস্তিনের গাজাবাসী ও বাংলাদেশে অবস্থানপরত রোহিঙ্গা শরণার্থীরা।

ওয়াশিংটনের এই তাৎক্ষনিক সিদ্ধান্তে বাস্তবায়নে কাজ করছেন ট্রাম্পের ঘনিষ্ট মিত্র ধনকুবের ইলন মাস্ক।

এদিকে গেল বছর ইউএসএইড প্রায় ৭২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমাণ ত্রাণ সরবরাহ করেছে সংকটাপন্ন জনগোষ্ঠীর মাঝে। সূত্র: রয়টার্স

নাইমুর/

মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আইসিসির স্বাধীনতাকে হুমকির মুখে ফেলছে: ইইউ

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০৫ পিএম
মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আইসিসির স্বাধীনতাকে হুমকির মুখে ফেলছে: ইইউ
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) স্বাধীনতাকে হুমকির মুখে ফেলছে এবং এতে বিশ্বব্যাপী বিচার ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে সতর্ক করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলস থেকে এএফপি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায়।

গত বৃহস্পতিবার ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন। যাতে বলা হয়, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার মাধ্যমে দ্য হেগের আদালত তার ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে।

ইউরোপীয় কাউন্সিলের সভাপতি আন্তোনিও কোস্টা এক্সে লিখেছেন, ‘আইসিসির ওপর নিষেধাজ্ঞা আদালতের স্বাধীনতাকে হুমকির মুখে ফেলছে এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ বিচার ব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।’

ইউরোপীয় কমিশন পৃথকভাবে ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ‘দুঃখ’ প্রকাশ করেছে এবং আইসিসির ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ বিচার ব্যবস্থা এবং দায়মুক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা’ তুলে ধরেছে।

কমিশনের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘এই নির্বাহী আদেশ চলমান তদন্ত এবং কার্যক্রমের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে ইউক্রেনের ক্ষেত্রে এটি বিশ্বব্যাপী দায়বদ্ধতা নিশ্চতে বছরের পর বছর ধরে চালানো প্রচেষ্টাকে প্রভাবিত করতে পারে।’

কমিশনের মুখপাত্র আরও বলেন, ‘ইইউ নির্বাহী আদেশের প্রভাব পর্যবেক্ষণ করবে এবং সম্ভবত আরও পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য মূল্যায়ন করবে।’

ট্রাম্পের আদেশে বলা হয়েছে, আইসিসি ‘অবৈধ ও ভিত্তিহীন কার্যক্রমে’ লিপ্ত হয়েছে। এটি আফগানিস্তানে মার্কিন সশস্ত্র বাহিনী এবং গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধের তদন্তের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্র দেশ ইসরায়েলকে লক্ষ্যবস্তু করেছে।

এই আদেশে আইসিসির কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সম্পত্তি জমা রাখা এবং ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, পাশাপাশি যারা আদালতের তদন্তে সহায়তা করেছে তাদেরও একই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা ব্যক্তিদের নাম এখনো প্রকাশ করা হয়নি। তবে ট্রাম্পের পূর্ববর্তী নিষেধাজ্ঞাগুলো আদালতের প্রসিকিউটরের বিরুদ্ধে ছিল।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল কেউই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) সদস্য নয়।

ইউরোপীয় কাউন্সিলের সভাপতি কোস্টা বৃহস্পতিবার আইসিসির সভাপতি বিচারপতি টমোকো আকানে সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং তাকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পূর্ণ সমর্থন দেওয়ার আশ্বাস দেন।

কোস্টা সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘আইসিসি বিশ্বের কিছু নৃশংস অপরাধের শিকারদের জন্য বিচার নিশ্চিত করতে একটি অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে।’

তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা আদালতের কাজের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য।’

একজন ইইউ কর্মকর্ত জানিয়েছেন, সাক্ষাৎকালে কোস্টা ও আকানে ইইউর পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানের প্রতি সমর্থন জোরদার করার সম্ভাব্য উপায় নিয়ে আলোচনা করেন। সূত্র: এএফপি

বাসস/তাওফিক/

‘মাস্ক’ ভাইরাসে আক্রান্ত বিশ্ব

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৪৬ এএম
আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৩৬ পিএম
‘মাস্ক’ ভাইরাসে আক্রান্ত বিশ্ব

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সের মালিক, প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান টেসলার সিইও, মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্পেস এক্সের সিইও, বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি- অনেক পরিচয় আছে মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের। তবে সাম্প্রতিক আলোচনায় মাস্কের বিষয়টি তার কর্মক্ষেত্রের চেয়ে বড় পরিসরে গিয়ে ঠেকেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মাস্ক সম্প্রতি মার্কিন প্রশাসনে ‘বিশেষ সরকারি কর্মকর্তার’ দায়িত্ব পেয়েছেন। ক্ষমতার অর্ধমাসেই সমালোচনা কুড়িয়েছেন অনেক। অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ক্ষমতাপ্রাপ্ত মাস্ক দেশটির সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন কমানোর পাশাপাশি মার্কিন ত্রাণ সংস্থা ইউএসএইড বন্ধের পেছনে মূল হোতা। বেশকিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্তের জেরে তিনি এখন ওয়াশিংটন পাড়ার হট টপিক।

তবে ইলন মাস্কের বিরূপ প্রভাব শুধু ওয়াশিংটন প্রশাসনেই আটকে থাকছে, নাকি তার অনভিপ্রেত নীতিমালা প্রণয়ন ক্ষতি করছে বিশ্বেরও। এ বিষয়ে বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আল-জাজিরা।
 
মার্কিন উগ্র ডানপন্থি রাজনীতির বিস্তারে ইলন মাস্কের প্রচেষ্টা লক্ষণীয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সরাসরি সমর্থনের পর ক্ষমতা পেয়ে এখন ইউরোপেও নিজের প্রভাব ছড়ানোর চেষ্টা করছেন তিনি।

তার এই চেষ্টার সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী যুক্তরাজ্য। দেশটির রাজনীতিতে উগ্র ডানপন্থি নেতা টমি রবিনসন ও নাইজেল ফারাজের মতো উগ্র ডানপন্থি নেতাদের উত্থান নিশ্চিত করতে উঠেপড়ে লেগেছেন তিনি। গেল জানুয়ারিতে এক্সের এক টুইটে রবিনসনের ডকুমেন্টারি ‘সাইলেনসড্’-এর লিংক শেয়ার করে টমি রবিনসনের মুক্তি দাবি করেন মাস্ক।

জানা গেছে, এই ডকুমেন্টারি তৈরিতে সহায়তা করেছে মার্কিন ডানপন্থি রেডিও হোস্ট অ্যালেক্স জোনসের প্রতিষ্ঠান ইনফোওয়ার্স।

বিতর্কিত এই ডকুমেন্টারিতে রবিনসন দাবি করেন, সিরীয় শরণার্থী জামাল হিজাজিকে অসম্মান করার দায়ে প্রায় ১ লাখ পাউন্ড জরিমানা গুনতে হয় তাকে। তবে এই দাবি মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় ভুল তথ্য ছড়ানোর দায়ে রবিনসনকে ১৮ মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত।

এতদসত্ত্বেও, রবিনসনকে সমর্থন করে অভিবাসনবিরোধী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন মাস্ক।

এ ছাড়া যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টারমারের বিরুদ্ধে মাস্ক কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। স্টারমার ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিসের প্রধান থাকাকালীন বিভিন্ন অভিযোগ টেনে ব্রিটিশ রাজা চার্লস তৃতীয়কে বিদ্যমান পার্লামেন্ট ভাঙার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টারমারের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাচ্ছেন মাস্ক। ছবি: সংগৃহীত

এদিকে জার্মানিতে মাস্কের প্রভাবও চিন্তার ভাঁজ এনেছে বিশ্লেষকদের কপালে। দেশটির উগ্র ডানপন্থি দল অল্টারনেটিভ ফর ডয়েচল্যান্ডের (এএফডি) সমর্থনে ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছেন এই ধনকুবের। গেল বছর ডিসেম্বরে জার্মানির জনপ্রিয় রাজনীতিবিষয়ক ম্যাগাজিন ওয়েল্ট আম সোন্ট্যাগকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এএফডিকে জার্মানির ‘শেষ আশার আলো’ আখ্যায়িত করার মাধ্যমে অভিবাসনবিরোধী অবস্থান স্পষ্ট করেছেন তিনি।

গেল জানুয়ারিতে এএফডির প্রধান অ্যালিস ওয়েইডলের সঙ্গে একটি ভার্চুয়াল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন মাস্ক। এই আলোচনায় ফ্যাসিস্ট জার্মান নেতা অ্যাডলফ্ হিটলারের প্রতি অ্যালিসের সুপ্ত সমর্থনের বিষয়টিও উঠে আসে। পৃথিবীর ইতিহাসে ভয়ংকরতম গণহত্যার মূলহোতা হিটলারকে তিনি ‘একজন সমাজতান্ত্রিক ও কমিউনিস্ট’ হিসেবে দেখেন।

জানুয়ারির শেষ দিকে এফএফডির র‌্যালিতে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করে তাকে দলটির সমর্থকদের জার্মানির জন্য যুদ্ধ করার পরামর্শ দিতে দেখা যায়।

এ ছাড়া ইতালি, আর্জেন্টিনা ও এল সালভাডোরের উগ্র ডানপন্থি রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে জোট বেঁধেছেন ইলন মাস্ক। তার প্রভাবের তীব্রতা সবচেয়ে স্পষ্ট পোল্যান্ডে। দেশটিতে পরিচালিত সাম্প্রতিক জরিপে উঠে এসেছে,  ৪৫ শতাংশ মানুষ মাস্কের মদদপুষ্ট প্রার্থীর সমর্থক।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বিশ্ব রাজনীতিতে আভিজাত্যবাদের বিরূপ প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। সব ক্ষমতা দখল করে রেখছেন ধনকুবেররা। জনমানুষের ভাতের পাত থেকে শুরু করে হোয়াটসঅ্যাপের কনভার্সেশন পর্যন্ত সবকিছুই দখলে নিচ্ছেন মাস্কেরা। উল্টেপাল্টে দেখছেন আমাদের দুটো শব্দে তাদের ক্ষমতায় ভাগ বসাচ্ছে কি না। এভাবে ইলন মাস্কের প্রভাব ওয়াশিংটন থেকে আটলান্টিক পেরিয়ে ইউরোপ হয়ে দক্ষিণ এশিয়ার জমিনে কবে শেকড় গাড়বে -সাধারণের এ খবর টের পাওয়ার পর ফিরে তাকিয়ে বোধহয় আর ফেরার ঘরই থাকবে না। সূত্র: আল-জাজিরা।

নাইমুর/

ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পাচ্ছে ১৮৩ ফিলিস্তিনি বন্দি

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৩১ এএম
ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পাচ্ছে ১৮৩ ফিলিস্তিনি বন্দি
ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংসস্তুপে পরিণত গাজা উপত্যকা। ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলের কারাগারে আটক ১৮৩ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হবে। এই বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে হামাস তিনজন ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেবে। এটি হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময় চুক্তির আওতায় তাদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। 
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় তাদের মুক্তি দেওয়া হবে বলে জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স। 

হামাসের মিডিয়া দপ্তর জানায়, মুক্তি পাওয়া বন্দিদের মধ্যে ১৮ জন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত, ৫৪ জন দীর্ঘমেয়াদী সাজা ভোগ করছেন এবং ১১১ জন গাজায় যুদ্ধের সময় আটক হয়েছিল।

এদিকে হামাসের পক্ষ থেকে ইসরায়েলি তিন বন্দির নাম প্রকাশ করা হয়েছে। তারা হলেন এলি শারাবি, ওহাদ বেন আমি এবং ওর লেভি এবং এরা সবাই বেসামরিক ব্যক্তি। যারা ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণের সময় আটক হয়েছিলেন।

হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে এটি চতুর্থ বন্দিবিনিময়। এর আগে ১৩ ইসরায়েলি বন্দি ও ৫৮৩ ফিলিস্তিনি মুক্তি পেয়েছিলেন। যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে হামাস ৩৩ ইসরায়েলি বন্দি মুক্তি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে এবং বিনিময়ে ইসরায়েল শতাধিক ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি দেবে।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবের কারণে চুক্তির ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে, যা অনেকেই জাতীয় নির্মূলের শামিল বলে মন্তব্য করেছেন। সূত্র: রয়টার্স

তাওফিক/ 

দিল্লিতে নিরুঙ্কুশ জয় বিজেপির

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৪৮ এএম
আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:১৮ পিএম
দিল্লিতে নিরুঙ্কুশ জয় বিজেপির
দিল্লিতে নিরুঙ্কুশ জয় বিজেপির। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে আম আদমি পার্টিকে (এএপি) হারিয়ে নিরুঙ্কুশ জয়লাভ করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। এই নির্বাচনে ৭০ আসনের মধ্যে বিজেপি ৪১টি, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আম-আদমি পার্টি ২৮টি এবং কংগ্রেস একটি আসন পেয়েছে।  

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।  

এই নির্বাচনে জয়ের ফলে দীর্ঘ ২৭ বছর পর রাজধানীর মসনদে বসতে যাচ্ছে টানা তিন দফায় ক্ষমতায় থাকা বিজেপি। আর এতে কপাল পুড়ল ২০১৩ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টির। 

এর আগে গত বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় ভোট গণনা। সূত্র: এনডিটিভি

তাওফিক/