ঢাকা ২৫ মাঘ ১৪৩১, শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৫ মাঘ ১৪৩১

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় গড়ে প্রতিদিন ৩৫ শিশু নিহত!

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০১ পিএম
আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৪২ পিএম
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় গড়ে প্রতিদিন ৩৫ শিশু নিহত!
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় গত ১৪ মাসে গড়ে প্রতিদিন ৩৫ শিশু নিহত হয়েছেন। ছবি: সংগৃহীত

গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তি ‘অতীব জরুরি এবং অনেক দিন ধরে প্রত্যাশিত।’ কারণ গত ১৪ মাসে প্রতিদিন গড়ে ৩৫ শিশু নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের মুখপাত্র। 

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) ইউনিসেফের মুখপাত্র জেমস এল্ডার জেনেভায় এক জাতিসংঘ ব্রিফিংয়ে দ্য ল্যানসেট পত্রিকায় প্রকাশিত একটি সমীক্ষা রিপোর্টের বরাত দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। 

তিনি জানান, ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের রিপোর্টের তুলনায় মৃতের সংখ্যা বেশি বলে জানিয়েছে দ্য ল্যানসেট সমীক্ষা রিপোর্ট। 

ফিলিস্তিন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১৫ হাজারেরও বেশি শিশু নিহত হয়েছেন।

এল্ডার বলেন, ‘প্রতিদিন গড়ে ৩৫ শিশু মারা যাচ্ছেন গত ১৪ মাসে।’ 

তিনি আরও বলেন, ২০২৫ সালে গাজায় গড়ে ১০ শিশু প্রতিদিন মারা যাচ্ছে।

‘এই মুহূর্তে (যুদ্ধবিরতি চুক্তি) অতীব জরুরি এবং অনেক দিন ধরে প্রত্যাশিত ছিল এবং এটি অনেক আগেই হওয়া উচিত ছিল’, তিনি বলেন। 

এল্ডার বলেন, এখন যা প্রয়োজন তা হলো যুদ্ধবিরতির তিনটি পর্যায় একসঙ্গে বাস্তবায়ন করা।

কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি গত বুধবার জানিয়েছেন, মধ্যস্থতাকারীরা গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সফল হয়েছে এবং এটি রবিবার থেকে কার্যকর হবে।

এদিকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ মানুষকে নিহত করেছে এবং প্রায় ২৫০ জনকে অপহৃত করেছিল। এর পরই ইসরায়েল গাজায় হামলা চালিয়ে ৪৬ হাজারেরও বেশি মানুষকে নিহত করেছে।

প্রথম পর্যায়ে ছয় সপ্তাহের জন্য যুদ্ধবিরতি হবে। ইসরায়েলি বাহিনী গাজার জনবহুল এলাকাগুলো থেকে পিছু হটবে এবং হামাসের কাছ থেকে প্রায় ৯৮ জন অবশিষ্ট বন্দির মধ্যে ৩৩ জন মুক্তি পাবে।

দ্বিতীয় পর্যায়ে বাকি বন্দিরাও মুক্তি পাবে এবং ইসরায়েলি বাহিনী গাজা থেকে পুরোপুরি পিছু হটবে।

শেষ পর্যায়ে মৃত বন্দিদের দেহ তাদের পরিবারের কাছে ফেরত দেওয়া হবে এবং গাজার পুনর্গঠনের জন্য একটি বৃহৎ পরিকল্পনা শুরু হবে। সূত্র:

আনাদুলু নিউজ অ্যাজেন্সি

তাওফিক/ 

ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পাচ্ছে ১৮৩ ফিলিস্তিনি বন্দি

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৩১ এএম
ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পাচ্ছে ১৮৩ ফিলিস্তিনি বন্দি
ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংসস্তুপে পরিণত গাজা উপত্যকা। ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলের কারাগারে আটক ১৮৩ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হবে। এই বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে হামাস তিনজন ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেবে। এটি হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময় চুক্তির আওতায় তাদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। 
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় তাদের মুক্তি দেওয়া হবে বলে জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স। 

হামাসের মিডিয়া দপ্তর জানায়, মুক্তি পাওয়া বন্দিদের মধ্যে ১৮ জন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত, ৫৪ জন দীর্ঘমেয়াদী সাজা ভোগ করছেন এবং ১১১ জন গাজায় যুদ্ধের সময় আটক হয়েছিল।

এদিকে হামাসের পক্ষ থেকে ইসরায়েলি তিন বন্দির নাম প্রকাশ করা হয়েছে। তারা হলেন এলি শারাবি, ওহাদ বেন আমি এবং ওর লেভি এবং এরা সবাই বেসামরিক ব্যক্তি। যারা ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণের সময় আটক হয়েছিলেন।

হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে এটি চতুর্থ বন্দিবিনিময়। এর আগে ১৩ ইসরায়েলি বন্দি ও ৫৮৩ ফিলিস্তিনি মুক্তি পেয়েছিলেন। যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে হামাস ৩৩ ইসরায়েলি বন্দি মুক্তি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে এবং বিনিময়ে ইসরায়েল শতাধিক ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি দেবে।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবের কারণে চুক্তির ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে, যা অনেকেই জাতীয় নির্মূলের শামিল বলে মন্তব্য করেছেন। সূত্র: রয়টার্স

তাওফিক/ 

দিল্লিতে নিরুঙ্কুশ জয় বিজেপির

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৪৮ এএম
আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:০৫ এএম
দিল্লিতে নিরুঙ্কুশ জয় বিজেপির
দিল্লিতে নিরুঙ্কুশ জয় বিজেপির। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে আম আদমি পার্টিকে (এএপি) হারিয়ে নিরুঙ্কুশ জয় লাভ করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। এই নির্বাচনে ৭০ আসনের মধ্যে বিজেপি ৪১টি, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আম-আদমি পার্টি ২৮টি এবং কংগ্রেস একটি আসন পেয়েছে।  

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।  

এই নির্বচনে জয়ের ফলে দীর্ঘ ২৮ বছর পর রাজধানীর মসনদে বসতে যাচ্ছে টানা তিন দফায় ক্ষমতায় থাকা বিজেপি। আর এতে কপাল পুড়লো ২০১৩ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টির। 

এর আগে গত বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় ভোটগণনা। সূত্র: এনডিটিভি

তাওফিক/  

আলাস্কায় নিখোঁজ বিমানের সন্ধান

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৩৪ এএম
আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৩৫ এএম
আলাস্কায় নিখোঁজ বিমানের সন্ধান
আলাস্কার বরফ থেকে উদ্ধার হয়েছে নিখোঁজ যাত্রীবাহী বিমান। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রে আলাস্কা অঙ্গরাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলে নিখোঁজ একটি যাত্রীবাহী ছোট বিমানের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিমানের ১০ আরোহীর সবাই প্রাণ হারিয়েছেন।
 
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় বিকেলে খবরটি নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড।

আলাস্কার নোম এলাকা থেকে প্রায় ৫৪ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে বিমানটি পাওয়া গেছে। অঙ্গরাজ্যের উনালাক্লিত শহর থেকে নোম শহরের উদ্দেশে যাত্রা করছিল বিমানটি। এ সময় নর্টন সাউন্ড এলাকায় এসে নিচের দিকে পড়তে শুরু করে উড়োজাহাজটি।

হেলিকপ্টারের মাধ্যমে পুরো অঞ্চল তল্লাশি চালিয়ে বিমানটি উদ্ধার করে ইউএস কোস্টগার্ড।

এ প্রসঙ্গে লেফটেন্যান্ট কমান্ডার বেনজামিন কোবল বলেন, ‘কোনো অজানা কারণে অল্প সময়েই বিমানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাটিতে পড়তে শুরু করেছিল।’

কি ধরনের জটিলতার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে- এমন প্রশ্নের জবাবে বেনজামিন বলেন, ‘এখনো কিছুই ধারণা করা যাচ্ছে না।’

বিমানটি উনালাক্লিত থেকে স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটার দিকে রওনা দেয়। ঘণ্টাখানেক পর থেকে বিমানটির সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা সম্ভব হচ্ছিল না।

বিমানে ৯ জন যাত্রী ও পাইলট ছিলেন বলে জানায় ইউএস কোস্টগার্ড।
 
এর আগে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া, হালকা বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হয়। আলাস্কার বিমান কর্তৃপক্ষ গত বৃস্পতিবার রাতে উদ্ধার অভিযানে একটি হেলিকপ্টার পাঠালেও আবহাওয়ার কারণে দৃষ্টিসীমা কম হওয়ায় ফিরে আসতে বাধ্য হয়।

যুক্তরাষ্ট্রে আট দিনের মাথায় তৃতীয় বিমান দুর্ঘটনা ঘটল। এর আগে রাজধানী ওয়াশিংটনে একটি যাত্রীবাহী বিমানের সঙ্গে সামরিক হেলিকপটারের সংঘর্ষে ৬৭ জন মারা যান। দ্বিতীয় ঘটনায় ফিলাডেলফিয়ায় দুর্ঘটনার শিকার হয় একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স।

এদিকে আলাস্কার বিমান দুর্ঘটনায় ভুক্তভোগীদেরে নাম জানায়নি স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

নাইমুর/

নিরাপত্তার বিনিময়ে ট্রাম্পকে খনিজসম্পদ দিতে প্রস্তুত জেলেনস্কি

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫৬ এএম
আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫৯ এএম
নিরাপত্তার বিনিময়ে ট্রাম্পকে খনিজসম্পদ দিতে প্রস্তুত জেলেনস্কি
ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে মার্কিন সামরিক সহায়তার বিনিময়ে দেশের দুর্লভ খনিজসম্পদ দিতে রাজি হয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে এই প্রস্তাব দেন জেলেনস্কি।

ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ চুক্তিতে সম্মত তিনি। যুক্তরাষ্ট্রকে দেওয়া খনিগুলোতে টাইটেনিয়াম ও ইউরেনিয়ামসহ কয়েকধরণের মূল্যবান সম্পদ রয়েছে।

রয়টার্সকে জেলেনস্কি বলেন, ‘সামরিক সহায়তার বিনিময়ের আর্থিক চুক্তি চাইছেন ট্রাম্প। তবে তাই হোক। আমরা রাজি।’, চলমান যুদ্ধে রাশিয়াকে মোকাবিলা কর‌তে যেকোনো মূল্যে নিরাপত্তা দরকার জানিয়ে বলেন জেলেনস্কি।

এ সময় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জানান, ইউরোপের সবচেয়ে বেশি টাইটেনিয়ামের মজুদ ইউক্রেনেই রয়েছে। বিমান ও মহাকাশযান তৈরির পাশাপাশি পারমাণবিক খাতে এই ধাতুর কার্যকারিতা অনেক।

তবে ইউক্রেনের প্রায় অর্ধেক খনিসম্বলিত এলাকা রাশিয়ার দখলে জানিয়ে জেলেনস্কির মন্তব্য, এসব খনি মার্কিন শত্রুপক্ষ ইরান ও উত্তর কোরিয়ার অধীনে এলে যুক্তরাষ্ট্রেরই ক্ষতি। 

তবে ইউক্রেনের খনিজসম্পদ যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের ‘হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে না’ জানিয়ে জেলেনস্কি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছে। এই পরিস্থতিতে দুই দেশেরই যখন লাভের সুযোগ এসেছে তখন ওয়াশিংটনই প্রাধান্য পাবে।’ 

এ ছাড়া মার্কিন তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস সংরক্ষণে ইউক্রেনের ভূগর্ভস্থ মজুদাগার ব্যবহারের বিষয়েও আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এই চুক্তিতে ট্রাম্প প্রশাসন আগ্রহী বলে জানান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।

জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে ট্রাম্পের বিশেষ দূত রাশিয়া ও ইউক্রেন প্রশাসনের সঙ্গে জার্মানির মিউনিখ শহরে সাক্ষাৎ করবেন।
তবে রাশিয়ার আগেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান জেলেনস্কি।

এদিকে রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে নতুন করে প্রায় আড়াই কিলোমিটার অঞ্চল দখলে নিয়েছে ইউক্রেন। তবে উত্তর কোরিয়ার সামরিক মদদপুষ্ট রুশ সেনাবাহিনীরাও লড়ছেন সমানে সমানে। সূত্র: রয়টার্স।

নাইমুর/

ডিআর কঙ্গোতে প্রাণ হারিয়েছেন তিন হাজার মানুষ: জাতিসংঘ

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:১১ এএম
ডিআর কঙ্গোতে প্রাণ হারিয়েছেন তিন হাজার মানুষ: জাতিসংঘ
জাতিসংঘ জানিয়েছে ডিআর কঙ্গোতে প্রাণ হারিয়েছেন তিন হাজার মানুষ। ছবি: সংগৃহীত

ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলের গোমা শহরে বিদ্রোহীদের হাতে অন্তত তিন হাজার মানুষ মারা গেছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। শহরটির নিয়ন্ত্রণ বিদ্রোহীদের কাছে যাওয়ার পর ওই ঘটনা ঘটেছে। কঙ্গোলিজ সামরিক বাহিনীর সঙ্গে তীব্র লড়াইয়ের পর শহরটির দখল নেন তারা। 

ডিআর কঙ্গোর জাতিসংঘ মিশনের উপ-প্রধান ভিভিয়ান ভ্যান ডে পেরে গত বুধবার বলেন, এখন পর্যন্ত গোমার সড়ক থেকে দুই হাজার লাশ সংগ্রহ করা হয়েছে। এ ছাড়া গোমার হাসপাতালগুলোতে ৯০০ লাশ পড়ে আছে। 

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ধারণা করছি এই সংখ্যা বাড়বে। গোমা শহরে ২০ লাখ মানুষের বসবাস। এখনো বেশ কিছু স্থানে লাশ পড়ে আছে। গত মঙ্গলবার থেকে বিদ্রোহী গোষ্ঠী যুদ্ধবিরতি দেওয়ার পর ওই লাশ সংগ্রহ করা হচ্ছে।’

তবে যুদ্ধবিরতিতে লড়াই একেবারে থামেনি। গত মঙ্গলবার ডিআর কঙ্গোর সরকার যুদ্ধবিরতিকে ‘অসত্য যোগাযোগ’ হিসেবে অভিহিত করে। ওই দিনই দেশটির দক্ষিণ কিভু প্রদেশ থেকে তীব্র লড়াইয়ের খবর আসে। 

ডিআর কঙ্গোতে ১০ কোটিরও বেশি মানুষের বসবাস। কয়েক দশক ধরে দেশটি নানা ধরনের সহিংসতা দেখে আসছে। জমি দখল, খনিজ নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি বিষয়ে দেশটিতে সংঘাত বিশ্বের অন্যতম বড় মানবিক বিপর্যয় তৈরি করেছে।

কঙ্গো, যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের অভিযোগ, পার্শ্ববর্তী রোয়ান্ডা বিদ্রোহী গোষ্ঠী এম২৩-কে সমর্থন দিচ্ছে। ওই দলটি মূলত জাতিগত তুতসি গোষ্ঠী গড়ে তুলেছিল বলে জানা যায়। তারা কঙ্গোর সামরিক বাহিনী থেকে এক দশকেরও বেশি সময় আগে বের হয়ে এসেছিল।

রোয়ান্ডার সরকার অবশ্য বরাবরই বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে সহযোগিতার ওই দাবি প্রত্যাখ্যান করে এসেছে। রোয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট পল কাগামে গত সোমবার সিএনএনকে বলেন, ‘তিনি জানেন না যে রোয়ান্ডার সামরিক বাহিনী কঙ্গোতে আছে কি না, তবে তার দেশ নিজেকে সুরক্ষিত করতে যা যা করার করবে।’ 

২০২২ সাল থেকে বিদ্রোহী এম২৩ তুতসিসহ অন্য সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীর স্বার্থরক্ষার দোহাই দিয়ে কঙ্গোর সরকারের বিরুদ্ধে মাঠে নামে। তারা উত্তর কিভু প্রদেশের বড় একটি অংশ দখল করে নেয়। ওই অঞ্চলের সঙ্গে রোয়ান্ডা ও উগান্ডার সীমান্ত রয়েছে।
অঞ্চলটিতে প্রচুর দুর্লভ খনিজ রয়েছে। ফোন ও কম্পিউটার তৈরির জন্য কোল্টান নামের ওই খনিজের চাহিদা রয়েছে। সূত্র: বিবিসি