
গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তি ‘অতীব জরুরি এবং অনেক দিন ধরে প্রত্যাশিত।’ কারণ গত ১৪ মাসে প্রতিদিন গড়ে ৩৫ শিশু নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের মুখপাত্র।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) ইউনিসেফের মুখপাত্র জেমস এল্ডার জেনেভায় এক জাতিসংঘ ব্রিফিংয়ে দ্য ল্যানসেট পত্রিকায় প্রকাশিত একটি সমীক্ষা রিপোর্টের বরাত দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের রিপোর্টের তুলনায় মৃতের সংখ্যা বেশি বলে জানিয়েছে দ্য ল্যানসেট সমীক্ষা রিপোর্ট।
ফিলিস্তিন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১৫ হাজারেরও বেশি শিশু নিহত হয়েছেন।
এল্ডার বলেন, ‘প্রতিদিন গড়ে ৩৫ শিশু মারা যাচ্ছেন গত ১৪ মাসে।’
তিনি আরও বলেন, ২০২৫ সালে গাজায় গড়ে ১০ শিশু প্রতিদিন মারা যাচ্ছে।
‘এই মুহূর্তে (যুদ্ধবিরতি চুক্তি) অতীব জরুরি এবং অনেক দিন ধরে প্রত্যাশিত ছিল এবং এটি অনেক আগেই হওয়া উচিত ছিল’, তিনি বলেন।
এল্ডার বলেন, এখন যা প্রয়োজন তা হলো যুদ্ধবিরতির তিনটি পর্যায় একসঙ্গে বাস্তবায়ন করা।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি গত বুধবার জানিয়েছেন, মধ্যস্থতাকারীরা গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সফল হয়েছে এবং এটি রবিবার থেকে কার্যকর হবে।
এদিকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ মানুষকে নিহত করেছে এবং প্রায় ২৫০ জনকে অপহৃত করেছিল। এর পরই ইসরায়েল গাজায় হামলা চালিয়ে ৪৬ হাজারেরও বেশি মানুষকে নিহত করেছে।
প্রথম পর্যায়ে ছয় সপ্তাহের জন্য যুদ্ধবিরতি হবে। ইসরায়েলি বাহিনী গাজার জনবহুল এলাকাগুলো থেকে পিছু হটবে এবং হামাসের কাছ থেকে প্রায় ৯৮ জন অবশিষ্ট বন্দির মধ্যে ৩৩ জন মুক্তি পাবে।
দ্বিতীয় পর্যায়ে বাকি বন্দিরাও মুক্তি পাবে এবং ইসরায়েলি বাহিনী গাজা থেকে পুরোপুরি পিছু হটবে।
শেষ পর্যায়ে মৃত বন্দিদের দেহ তাদের পরিবারের কাছে ফেরত দেওয়া হবে এবং গাজার পুনর্গঠনের জন্য একটি বৃহৎ পরিকল্পনা শুরু হবে। সূত্র:
তাওফিক/