
যুদ্ধবিরতিতে সম্মতির পর প্রথম ধাপে ৭৩৭ জন বন্দি ফিলিস্তিনের কাছে হস্তান্তরের ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। একই দিনে ৩৩ জন ইসরায়েলিকে মুক্তি দেবে ফিলিস্তিনভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন হামাস।
আগামীকাল রবিবার (১৯ জানুয়ারি) এই চুক্তি বাস্তবায়িত হবে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা দ্য গার্ডিয়ান।
যুদ্ধবিরতির অধীনে উত্তর গাজাবাসীরা ঘরে ফেরার অনুমতি পাচ্ছেন। তবে ইসরায়েলের মুহুর্মুহু আক্রমণের কারণে অঞ্চলটির বেশিরভাগ স্থাপনাই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক অনুদান দিয়ে কিছু অস্থায়ী বসতি তৈরি করা হবে বলে জানা গেছে।
যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের পর নির্মাণকাজ শুরু হবে। এই প্রক্রিয়ায় প্রায় ১০ হাজার মানুষের আবাসন নিশ্চিত করা হবে।
গাজায় ত্রাণ সংস্থাগুলোর উপস্থিতিতে বাধা না দেওয়ার বিষয়েও সম্মত হয়েছে তেল আবিব। প্রতিদিন অন্তত ৬০০ ট্রাক খাদ্য সহায়তার অনুমতি দিয়েছে নেতানিয়াহু প্রশাসন।
এ ছাড়া রাস্তাঘাট, স্কুল ও হাসপাতালের সংস্কার কাজও রবিবার থেকেই শুরু হবে বলে জানিয়েছে গার্ডিয়ান।
যুদ্ধবিরতিতে ইসরায়েলের ভূমিকায় মিশ্রিত অভিব্যক্ত লক্ষ্য করা যায়। গাজার বাসিন্দারা যুদ্ধবিরতির ঘোষণায় উল্লাস করলেও ইসরায়েলের ভিন্নমতাদর্শীদের মিছিল দেখা গেছে দেশটির রাজপথে। যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ায় উগ্র ডানপন্থিরা নেতানিয়াহুর সমালোচনা করছেন।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) প্রায় দেড় হাজার মানুষের একটি মিছিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। নেতানিয়াহু হামাসের কাছে ‘আত্মসমর্পণ’ করেছে বলে অভিযোগ তাদের।
অন্যদিকে হামাসের কাছে ইসরায়েলিদের স্বজনরা- এ খবরে স্বস্তি অনুভব করছেন।
এ পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন নিয়ে শঙ্কিত বিশ্লেষকরা। অভ্যন্তরীণ চাপে নেতানিয়াহু এই চুক্তি লঙ্ঘন করেন কি না তা সময়ই বলে দেবে। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
নাইমুর/