ঢাকা ২ ফাল্গুন ১৪৩১, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১

ট্রাম্প ও শি’র ফোনালাপ: সম্পর্ক উন্নয়নের ইঙ্গিত

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:০৮ পিএম
আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:০৯ পিএম
ট্রাম্প ও শি’র ফোনালাপ: সম্পর্ক উন্নয়নের ইঙ্গিত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ছবি: সংগৃহীত

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং শুক্রবার নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। এ সময় তাদের বক্তব্যে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের ইঙ্গিত লক্ষ্য করা গেছে।   

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বেইজিং থেকে চীনা রাষ্ট্রীয় মিডিয়া সিসিটিভির বরাত দিয়ে এএফপি এ খবর জানিয়েছে।

সিসিটিভি জানিয়েছে, ‘১৭ জানুয়ারির সন্ধ্যায় এ ফোনলাপ হয়েছে।’

এ সময় শি জিনপিং ট্রাম্পকে বলেছেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের ‘ভালো সূচন’ আশা করেন।

সিসিটিভির বরাত দিয়ে এএফপি বলেছে, শি বলেছেন,  ‘আমরা দুজনেই পারস্পরিক কার্যক্রমের ওপর অত্যন্ত গুরুত্ব আরোপ করি এবং আশা করি নতুন মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে চীনের সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটবে।’

এদিকে ওয়াশিংটন থেকে এএফপি জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের প্রাক্কালে ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার ফোনালাপের কথা উল্লেখ করে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, তিনি এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এক জোরদার সম্পর্ক গড়ে তুলবেন।

ট্রাম্প তার সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্মে বলেছেন, ‘এই ফোনালাপটি চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য খুবই ভালো ছিল।’

তিনি বলেন, ‘এটি আমার প্রত্যাশা যে আমরা একসঙ্গে অনেক সমস্যা সমাধান করব এবং তা অবিলম্বে শুরু হবে। আমরা বাণিজ্য ভারসাম্য, ফেন্টানাইল, টিকটক এবং আরও অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট শি এবং আমি পৃথিবীকে আরও শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ করতে যা কিছু সম্ভব, তা করব!’

বাসস/তাওফিক 

বিশ্বব্যাপী দূতাবাসের কর্মী কমানোর সিদ্ধান্ত ট্রাম্প প্রশাসনের

প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:১৯ পিএম
আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:২৬ পিএম
বিশ্বব্যাপী দূতাবাসের কর্মী কমানোর সিদ্ধান্ত ট্রাম্প প্রশাসনের
ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্র তাদের দূতাবাসের কর্মী কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই বিষয়টি নিয়ে দূতাবাসগুলোকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে। 

রয়েটার্সের তথ্যমতে, দূতাবাসে স্থানীয়ভাবে নিয়োগ পাওয়া ১০ শতাংশ কর্মীদের ছাটাইয়ের প্রস্তাব করেছে কিছু কিছু দূতাবাস। এই ১০ শতাংশসহ একটি নামের তালিকা যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টে পাঠানো হয়েছে। এরপর সেখান থেকে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব আমেরিকান ডিপ্লোমেসির তথ্যমতে, বিশ্বজুড়ে  যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসগুলোতে কূটনীতিকদের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের কর্মী থাকে এবং এই কর্মীদের বেশিরভাই স্বাগতিক দেশ থেকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র তাদের স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও শ্রম বিভাগ থেকে ৬০ জনের মতো চুক্তিভিত্তিক কর্মীকে ছাঁটাই করেছে। এবার দূতাবাসগুলোতেও এমন ছাঁটাই হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।  সূত্র: রয়েটার্স

সুমন/

পাকিস্তানে বোমা বিস্ফোরণে নিহত ১০

প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৫৫ পিএম
পাকিস্তানে বোমা বিস্ফোরণে নিহত ১০
হারনাই দক্ষিণ-পশ্চিম পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের রাজধানী কোয়েটা থেকে ১৬০ কিলোমিটার (১০৪ মাইল) দূরে অবস্থিত একটি জেলা।

পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিম হারনাই জেলায় একটি ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) থেকে করা বোমা হামলায় শ্রমিক বহনকারী একটি গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানের একাধিক সরকারি কর্মকর্তার বরাতে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপি পাকিস্তানের কোয়েটা থেকে এ খবর জানায়।

এএফপিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা শাহজাদ জাহরি।

একই জেলার আরেক সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তা সেলিম তারিন এএফপিকে বলেন, ‘শ্রমিকরা কাজের জায়গা থেকে বাজারে কেনাকাটার জন্য যাচ্ছিলেন, ঠিক তখনই তাদের গাড়িটি আক্রমণের শিকার হয়’। তিনি আরও বলেন, ‘এটি ছিল একটি আইইডি বিস্ফোরণ। আমরা হামলার তদন্ত করছি।’

হারনাই দক্ষিণ-পশ্চিম পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের রাজধানী কোয়েটা থেকে ১৬০ কিলোমিটার (১০৪ মাইল) দূরে অবস্থিত একটি জেলা। 

কোনও গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে, বেলুচ লিবারেশন আর্মি প্রায়শই অন্যান্য প্রদেশের নিরাপত্তা বাহিনী বা পাকিস্তানিদের, বিশেষ করে বেলুচিস্তানের পাঞ্জাবিদের বিরুদ্ধে মারাত্মক হামলার দাবি করে। 

সূত্র: বাসস

সিফাত/

মোদি-ট্রাম্পের বিশাল চুক্তি, জ্বালানি কিনবে দিল্লি

প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:২০ পিএম
আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:৫৮ পিএম
মোদি-ট্রাম্পের বিশাল চুক্তি, জ্বালানি কিনবে দিল্লি
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচিত বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বিশাল জ্বালানি ও সামরিক বাণিজ্যচুক্তি নিশ্চিত করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত আলোচনায় চলমান মার্কিন বাণিজ্যযুদ্ধে ভারতের সুবিধা আদায় করে নিয়েছেন মোদি। ভারতে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে বিদ্যমান শুল্ক প্রত্যাহার করায় দিল্লিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ট্রাম্প।

দুই দিনের ওয়াশিংটন সফরে ট্রাম্পের সঙ্গে ‘মেগা পার্টনারশিপে’ সম্মত হয়েছেন মোদি। যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিপুল পরিমাণ অপরিশোধিত তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানির মাধ্যমে দেশটিকে ‘বিশ্বের সর্ববৃহৎ তেল রপ্তানিকারক’ দেশ হতে সাহায্য করতে চায় ভারত।

হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের উদ্দেশে মোদি বলেন, ‘এই চুক্তি দুই দেশের জন্যই সুফল বয়ে আনবে।’

এ সময় দুদেশের নেতা একে অপরের ভূয়সী প্রশংসা করলেও মার্কিন পণ্য আমদানিতে ভারতের আরোপিত শুল্ককে ‘গুরুতর সমস্যা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন ট্রাম্প।

ট্রাম্প জানান, ভারতে মার্কিন কৃষিপণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ৩৯ শতাংশ শুল্ক গুনতে হয়। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় কৃষিপণ্য আমদানিতে মাত্র ৫ শতাংশ শুল্ক ধার্য করা হয়েছে।

এ ছাড়া ভারতীয় মোটরসাইকেলে ২ দশমিক ৪ শতাংশ শুল্কের বিপরীতে মার্কিন মোটরসাইকেলে ভারত ১০০ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছে। এই ‘অন্যায্য শুল্ক বণ্টনে’ ক্ষুব্ধ ছিলেন ট্রাম্প।

উত্তরে ভারতে মার্কিন পণ্যের ওপর আরোপিত শুল্ক কমানোর ইঙ্গিত দেন মোদি। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদেরও ফেরত নেওয়ার ক্ষেত্রে আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।

বৈঠকে প্রতিরক্ষা খাতে দুদেশের সহাবস্থানের বিষয়েও সম্মত হয়েছেন তারা। যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ভারত বিপুল পরিমাণ অস্ত্রের পাশাপাশি আধুনিক যুদ্ধবিমান এফ-৩৫ কিনবে বলে নিশ্চিত করেছেন ট্রাম্প। সূত্র: বিবিসি

নাইমুর/

ভারতকে অস্ত্র-যুদ্ধবিমান দেবে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:১৪ পিএম
ভারতকে অস্ত্র-যুদ্ধবিমান দেবে যুক্তরাষ্ট্র
হোয়াইট হাউসে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প ও মোদি। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের কাছে বিপুল পরিমান অস্ত্র বেচার পাশাপাশি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান এফ-৩৫ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) হোয়াইট হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বৈঠকে ভারতের সঙ্গে বর্ধিত সামরিক বাণিজ্যের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানান ট্রাম্প।

বৈঠক শেষে মোদির সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, ‘ভারতে সঙ্গে আরও কয়েক বিলিয়ন ডলার অস্ত্রের বাণিজ্যচুক্তি করা হবে। দ্রুতই দিল্লিকে এফ-৩৫ ফাইটার জেট দেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনায় আছে।’

এই চুক্তি কবে নাগাদ বাস্তবায়িত হবে এ বিষয়ে ট্রাম্প কিছু খোলাসা করে না বললেও ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রির বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, যুদ্ধবিমান কেনার আনুষ্ঠানিকতা ভারতের তরফ থেকে এখনো শুরু হয়নি।

তিনি বলেন, ‘বিষয়টি এখনো শুধু প্রস্তাবের পর্যায়ে রয়েছে।’

এদিকে এফ-৩৫ বিমানের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান লকহেড মার্টিন জানিয়েছে, বিমান কেনা-বেচার ক্ষেত্রে সরাসরি দুই দেশের সরকারের আনুষ্ঠানিক চুক্তিপত্র থাকা আবশ্যক।

ভারত বিশ্বের সবচেয়ে বড় অস্ত্র আমদানীকারক দেশ। ২০০৮ সালের পর থেকে শুধু যুক্তরাষ্ট্র থেকেই ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অস্ত্র কিনেছে দিল্লি।

অস্ত্র কেনার ক্ষেত্রে ভারত সাধারণত রাশিয়ার দ্বারস্থ হলেও ইউক্রেনের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে নিজের দেশকে নিয়ে ব্যস্ত মস্কো। এতদসত্ত্বেও, ভারতে রাশিয়ার এসইউ-৫৭ যুদ্ধ বিমান তৈরির অনুমতি প্রস্তাব করেছে দেশটি।

নাইমুর/

ভারতের মণিপুরে রাষ্ট্রপতির শাসন জারি

প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৪৫ এএম
ভারতের মণিপুরে রাষ্ট্রপতির শাসন জারি
ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

ভারতের সংঘাত-বিক্ষুব্ধ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্য মণিপুরে শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার রাষ্ট্রপতির শাসন জারি করেছে। 

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার এই পদক্ষেপ নিল।

প্রায় ২১ মাসের জাতিগত সংঘাতে মণিপুরে ২৫০ জনের বেশি মানুষ মারা যান। শত শত বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়। স্থানচ্যুত হন হাজার হাজার মানুষ।

এই পরিস্থিতিতে গত রবিবার সহিংসতাপ্রবণ রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং পদত্যাগ করেন। পরের দিন সোমবার রাজ্যের বিধানসভায় সম্ভাব্য অনাস্থা প্রস্তাবের মুখোমুখি হওয়ার আগেই বিজেপির এই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়ান। বিজেপির বিধায়করাই অনাস্থা প্রস্তাবটি উত্থাপন করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছিল।

হিন্দুস্থান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, গতকাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করতে দিল্লিতে তলব করা হয়েছিল বীরেন সিংকে। মন্ত্রীর বাসভবনে দুই নেতার মধ্যে ১৫ মিনিটের একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে বীরেনের সঙ্গে বিজেপি এবং নাগা পিপলস ফ্রন্টের (এনপিএফ) ১৪ জন বিধায়ক ছিলেন। বৈঠক থেকে বেরিয়ে বীরেন সিং সাংবাদিকদের জানান, তিনি মণিপুরে ফিরে পদত্যাগ করবেন। বিকেলে মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলে ফেরার পর রাজ্যপালের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন বীরেন সিং। সে সময় তার সঙ্গে মণিপুরে বিজেপির দায়িত্বে থাকা ওড়িশার নেতা সম্বিত পাত্র এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি এ শারদা দেবী ছিলেন।

পদত্যাগপত্রে বীরেন সিং লিখেছেন, তিনি প্রত্যেক মণিপুরির স্বার্থ রক্ষার জন্য সময়মতো পদক্ষেপ নিয়েছেন। উন্নয়নমূলক কাজ ও বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ।

গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি বিজ্ঞপ্তিতে মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির কথা জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর বলেছেন, ‘আমি মণিপুরের রাজ্যপালের থেকে রিপোর্ট পেয়েছি। ওই রিপোর্ট দেখে এবং অন্য তথ্যগুলোর ভিত্তিতে আমার মনে হয়েছে, সংবিধান অনুসারে সেখানে সরকার চালানো সম্ভব হচ্ছে না।’

ভারতের স্বাধীনতা-পরবর্তী ইতিহাসে বীরেন সিংয়ের সময়কালকে মণিপুরের অন্যতম রক্তক্ষয়ী সময় হিসেবে চিহ্নিত করতে শুরু করেছে ভারতের সাংবাদিক ও ইতিহাসবিদদের একাংশ। বিশ্লেষকরা বলছেন, বীরেন সিংহের পদত্যাগ মণিপুরের চলমান সংকটের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে।