ঢাকা ২৫ আষাঢ় ১৪৩২, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫
English

ক্যাপিটল হিলে হামলাকারীদের ক্ষমা করলেন ট্রাম্প

প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:১৮ এএম
আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:০১ পিএম
ক্যাপিটল হিলে হামলাকারীদের ক্ষমা করলেন ট্রাম্প
ক্যাপিটাল হিলে হামলাকারীকে কারামুক্ত করতে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর। ছবি: রয়টার্স

মার্কিন কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটল হিলে হামলাকারী ১ হাজার ৫০০ জনকে ক্ষমা করে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পরপরই ট্রাম্প হামলাকারীদের কারামুক্ত করতে এক নির্বাহী আদেশে সই করেছেন তিনি। 

সোমবার (২০ জানুয়ারি) তিনি একটি নির্বাহী আদেশে সই করেন। যার মাধ্যমে এসব হামলাকারীকে কারামুক্ত করা হয়।

এ হামলাকারীরা ট্রাম্পের সমর্থক ছিলেন এবং ২০২০ সালের নির্বাচনের ফলাফল পরিবর্তন করতে, বিশেষ করে ট্রাম্পের পরাজয় এড়াতে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে হামলা চালিয়েছিল। প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার আগেই ট্রাম্প তাদের ক্ষমা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এবং দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নেওয়ার পর সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করলেন।

এদিকে ট্রাম্প জানিয়েছেন, ‘আজ রাতেই তারা মুক্তভাবে চলাফেরা করতে পারবেন।’ এর পাশাপাশি তিনি ৬ জন আসামির সাজাও কমানোর কথা ঘোষণা করেছেন।

মামলার প্রধান আইনজীবী ড্যারেক স্ট্রম জানিয়েছেন, বন্দিরা স্থানীয় সময় সোমবার রাতেই ওয়াশিংটনের কারাগার থেকে মুক্তি পাবে।

২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে হামলার ঘটনায় ট্রাম্পের উগ্র সমর্থকরা আইনপ্রণেতাদের বৈঠকে বাধা দেয় এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সসহ অনেককে পালাতে বাধ্য করে। ওই ঘটনায় বহু মানুষকে পরে কারাগারে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে, ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেন ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারির ঘটনার চার বছর পূর্তিতে মন্তব্য করে বলেন, ‘এই ঘটনা ভুলে যাওয়া বা পুনর্লিখিত হওয়া উচিত নয়।’ সূত্র: রয়টার্স

তাওফিক/ 

পুতিনকে ট্রাম্পের সমালোচনার পর ইউক্রেনে জোরালো রুশ হামলা

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৫:৫২ পিএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৫:৫৭ পিএম
পুতিনকে ট্রাম্পের সমালোচনার পর ইউক্রেনে জোরালো রুশ হামলা
কিয়েভ অঞ্চলে বিস্ফোরণের পর আগুন নেভাচ্ছেন দমকল কর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়ার সর্ববৃহৎ আকাশ হামলায় নাস্তানাবুদ ইউক্রেন। প্রেসিডেন্ট ভলোদেমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাতভর চলা হামলায় একাধিক ধাপে রাশিয়া ৭২৮টি ড্রোন ও ১৩টি ক্রুজ ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইউক্রেনজুড়ে বিভিন্ন শহরে। এ হামলা সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বড় আকাশ হামলা।

এই হামলার কড়া নিন্দা করে জেলেনস্কি বলেন, ঠিক এমন এক সময়ে এই হামলা হলো যখন শান্তি প্রতিষ্ঠা ও যুদ্ধবিরতির জন্য ব্যাপক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু একমাত্র রাশিয়াই প্রতিটি শান্তি প্রচেষ্টাকে প্রত্যাখ্যান করে চলেছে।

এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনকে নতুন করে অস্ত্র সহায়তা পাঠানোর ঘোষণা দেন - যা গত সপ্তাহে স্থগিত হয়ে গিয়েছিল বলে মার্কিন গণমাধ্যমে দাবি করা হয়। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ট্রাম্প নিজে এই স্থগিতাদেশ সম্পর্কে জানতেন না।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রকাশ্যে ক্ষোভ ঝাড়েন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ওপর। সাংবাদিকদের সঙ্গে ট্রাম্প বলেন, ‘আলোচনায় পুতিন আমাদের দিকে অনেক বাজে কথা ছুড়ে দেয়। সে সব সময় আমাদের সঙ্গে ভদ্রভাবে কথা বলে, কিন্তু আসলে কিছুই করে না।’

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এ বিষয়ে বলেন, ‘আমরা বিষয়টি বেশ ঠান্ডা মাথায় নিচ্ছি। ট্রাম্প সাধারণত একটু রুক্ষ ভাষায় কথা বলেন।’

দুই নেতার মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ থাকলেও এখন পর্যন্ত তা ইউক্রেন সংঘাতে কোনো যুদ্ধবিরতিতে রূপ নেয়নি-যা একসময় ট্রাম্প বলেছিলেন তিনি একদিনেই বাস্তবায়ন করতে পারবেন।

গত সপ্তাহে পুতিনের সঙ্গে এক ফোনালাপের পর ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘আমি খুব হতাশ। সে (পুতিন) এখনো থামতে চায় না, কেবল মানুষ হত্যা করেই যাচ্ছে। এটা কোনো ভালো বিষয় না।’

ট্রাম্প প্রশাসনের ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েও বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। মার্কিন গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এই সিদ্ধান্তে সম্মতি দিয়েছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এবং প্রতিরক্ষা নীতির আন্ডার-সেক্রেটারি এলব্রিজ কলবি।

মঙ্গলবার সাংবাদিকরা ট্রাম্পের কাছ থেকে জানতে চান, ‘এই সিদ্ধান্ত কে নিয়েছিলেন? পাশে বসা হেগসেথের দিকে তাকিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি জানি না। আপনি আমাকে বলুন।’

পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার ফলে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ১০টি প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করতে পারে বলে জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম Axios। ইউক্রেন এই আন্তঃবাহিনী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ব্যবহার করে রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিহত করার চেষ্টা করছে।

যদিও পূর্ব ইউক্রেন ও রাজধানী কিয়েভ নিয়মিত হামলার মুখে পড়ে, রাশিয়ার আঘাত থেকে দেশটির কোনো অংশই রেহাই পায়নি।

মঙ্গলবার রাতের ভয়াবহ হামলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লুটস্ক শহর, যেটি পোল্যান্ড সীমান্ত থেকে মাত্র ৯০ কিলোমিটার দূরে এবং সামরিক ও মানবিক সহায়তা পরিবহনের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র।

এছাড়া পশ্চিমাঞ্চলের লভিভ ও রিভনে শহরেও বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।

চলতি বছর শুরুর দিকে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দুই দফা যুদ্ধবিরতির আলোচনা হলেও এরপর আর কোনো বৈঠকের তারিখ নির্ধারিত হয়নি। কিয়েভ কিংবা মস্কো-কোনো পক্ষই বর্তমানে কূটনীতিকে আশাব্যঞ্জক পথ মনে করছে না।

এর মধ্যেই ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রাশিয়ার গ্রীষ্মকালীন সামরিক অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

পেসকভ বুধবার (৯ জুলাই) বলেন, ‘আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। প্রতিদিনই ইউক্রেনকে নতুন বাস্তবতা মেনে নিতে হচ্ছে।’ সূত্র: বিবিসি

মাহফুজ/

 

দুধ খেতে না চাওয়ায় নবজাতকে ফুটন্ত পানিতে ডুবিয়ে মারলেন মা!

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৩:৫০ পিএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৩:৫৬ পিএম
দুধ খেতে না চাওয়ায় নবজাতকে ফুটন্ত পানিতে ডুবিয়ে মারলেন মা!
প্রতীকী ছবি

ভারতের বেঙ্গালুরুতে দুধ খেতে না চাওয়ায় হেমন্ত কুমার নামে এক মাস ৮ দিন বয়সী ছেলেকে ফুটন্ত পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করেছেন রাধা নামে এক মা (২৭)। এ ঘটনায় অভিযুক্ত রাধাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গত সোমবার (৭ জুলাই) বিশ্বেশ্বরপুরে রাধা নামে ওই নারী তার বাবার বাড়িতে এ ভয়াবহ কাণ্ড ঘটান

পুলিশ জানায়, রাধা পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনে (প্রসবোত্তর অবসাদ) ভুগছিলেন। সময়ের আগেই ভুমিস্ট হওয়ায় দূর্বল ছিল শিশুটি। প্রায়ই দুধ খেতে চাইত না। মাঝেমধ্যেই অস্বাভাবিকভাবে কান্নাকাটি করত সে। এর ফলে অভিযুক্ত রাধা বিশ্বাস করতে শুরু করেন যে শিশুটি স্বাভাবিক নয়। সেই হতাশা থেকেই তিনি চুলা জ্বালিয়ে, রান্নার পাত্রে পানি ফুটিয়ে শিশুটিকে তাতে শুইয়ে দেন।

জানা গেছে, দুবছর আগে পবন নামে এক অটোচালক তরুণের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন রাধা। মাসখানেক আগে ছেলে সন্তানের জন্ম দেন তিনি। তার সাংসারিক জীবনে প্রচণ্ড অশান্তি ছিল। রাধার স্বামী মদ্যপ ও বেকার। সন্তান জন্মের পর স্বামী তার সঙ্গে থাকতেন না।

মেহেদী/ 

ভারতের জাগুয়ার যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত, পাইলট নিহত

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৩:১৯ পিএম
ভারতের জাগুয়ার যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত, পাইলট নিহত

ভারতের রাজস্থানে একটি জাগুয়ার যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে বিমানের পাইলট নিহত হয়েছেন।

বুধবার (৯ জুলাই) চুরু জেলার ভানুদা গ্রামের কাছে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।

বিমানটি সুরতগড় বিমানঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করেছিল।

বিমান ভেঙে পড়তেই এলাকার বাসিন্দারা সেখানে জড়ো হন। ঘটনার একটি ভিডিও সামনে এসেছে। এতে দুর্ঘটনাস্থল থেকে কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।

খবর পেয়ে পুলিশ ও প্রশাসন ঘটনাস্থলে গেছেন। 

গ্রামবাসীরা জানান, বিকট শব্দের পর বিমানটি ভেঙে পড়ে। তারপরেই বিমানে আগুন লেগে যায়। গ্রামবাসীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছিলেন। ধ্বংসস্তূপের কাছ থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই মরদেহটি পাইলটের।

ঠিক কী কারণে বিমানটি ভেঙে পড়ল সে সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি।

এর আগে গত এপ্রিলে গুজরাটের জামনগরের কাছে বিমান বাহিনীর একটি জাগুয়ার যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছিল। এতে পাইলট সিদ্ধার্থ যাদব সহকারী পাইলটের জীবন বাঁচাতে গিয়ে নিহত হন।

প্রশিক্ষণ অভিযানের সময় যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে রাত সকাল সাড়ে ৯টায় একটি খোলা মাঠে যুদ্ধবিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছিল।

সিদ্ধার্থের বাবা সুশীল যাদব ছেলের প্রতি তার গর্বের কথা জানিয়ে এনডিটিভিকে বলেন, ‘আমি খুব গর্বিত... সে অন্য একজনকে বাঁচাতে গিয়ে তার জীবন হারিয়েছে। কিন্তু এটা দুঃখেরও বিষয় কারণ সে আমার একমাত্র ছেলে ছিল।’

অমিয়/

ব্রিকসভুক্ত দেশগুলোর ওপর ১০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক ধার্য

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০১:৩৫ পিএম
ব্রিকসভুক্ত দেশগুলোর ওপর ১০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক ধার্য
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

ব্রিকসভুক্ত দেশগুলোকে ১০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক দিতে হবে বলে জানিয়ে দিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করেন, ব্রিকস যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষতি করতে এবং ডলারের দাম কমানোর জন্য গঠন করা হয়েছে।

ট্রাম্প বলেন, ‘ব্রিকস গঠন করা হয় আমাদের ক্ষতি করার জন্য, আমাদের ডলারের দাম কমানোর করার জন্য...। ডলার যাতে আর স্ট্যান্ডার্ড না থাকে, তার জন্য। ওরা যদি নিজেদের খেলাটা খেলতে চায়, আমিও ওদের খেলাটা খেলতে পারি। সুতরাং ব্রিকসে যেই আছে তাদেরই ১০ শতাংশ চার্জ (শুল্ক) দিতে হবে।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘যে দেশগুলো ডলারকে চ্যালেঞ্জ করতে চায়, তাদের চড়া মূল্য দিতে হবে।’

তার কথায়, ‘আমি মনে করি না যে তাদের (ব্রিকস দেশগুলি) মধ্যে কেউ সেই মূল্য দিতে ইচ্ছুক।’

ব্রিকস অনেকাংশে ভেঙে গেছে উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম ব্রিকস আছে। আমি এক বছর আগে বলেছিলাম, এটি মূলত ভেঙে গেছে, তবে তাদের মধ্যে কয়েকটি দেশ এখনও ঝুলছে। ব্রিকস গুরুতর হুমকি নয়, তবে তারা ডলার ধ্বংসের চেষ্টা করছে।’

প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে কটাক্ষ করে ট্রাম্প বলেন, ডলারের বৈশ্বিক অবস্থান রক্ষার জন্য আমেরিকার একজন স্মার্ট নেতা দরকার।

ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা যদি ডলারের বিশ্বমান হারাই, সেটা হবে যুদ্ধে হেরে যাওয়ার মতো, বড় ধরনের বিশ্বযুদ্ধে হারের মতো। আমরা আর সেই মহান দেশ থাকব না। কিন্তু ডলারই রাজা। আমরা এভাবেই চলব।’ সূত্র: রয়টার্স

পেজেশকিয়ানকে হত্যা করতে চেয়েছিল ইসরায়েল

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ১২:৪৮ পিএম
পেজেশকিয়ানকে হত্যা করতে চেয়েছিল ইসরায়েল
মাসুদ পেজেশকিয়ান

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান জানিয়েছেন যে ইসরায়েল তাকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছিল। তিনি বৈঠক করছিলেন এমন অঞ্চলে বোমাবর্ষণ করেছিল দেশটি।

মার্কিন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব টাকার কার্লসনকে পেজেশকিয়ান বলেন, ‘হ্যাঁ, তারা চেষ্টা চালিয়েছিল। তারা সে অনুসারে কাজও করেছিল, কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে।’ কার্লসন পেজেশকিয়ানকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ইসরায়েল কখনো তাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল কি না। সেটির উত্তরেই পেজেশকিয়ান এ মন্তব্য করেন।

কার্লসন দোভাষীর সহায়তায় পেজেশকিয়ানের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এবং সাক্ষাৎকারটি গত সোমবার প্রকাশ করা হয়েছে।

ইরান ও ইসরায়েলের সংঘাতের পর এবারই প্রথম ইরানি প্রেসিডেন্ট পশ্চিমা কোনো গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বকে সাক্ষাৎকার দিলেন। 

পেজেশকিয়ান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আমার প্রাণ নেওয়ার চেষ্টা করেনি। ইসরায়েল করেছে। আমি বৈঠকে ছিলাম… তারা ওই এলাকায় হামলা চালিয়েছে, যেখানে আমরা বৈঠক করছিলাম।’

তবে ইসরায়েল গত মাসের সংঘাতের সময় ওই চেষ্টা চালিয়েছে কি না, তা তিনি স্পষ্ট করেননি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এরই মধ্যে জানিয়েছেন, ইসরায়েল ইরানের ৮৬ বছর বয়সী সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে হত্যা করতে চেয়েছিল। কিন্তু তিনি তা আটকে দিয়েছেন। খামেনি এখনো প্রকাশ্যে আসেননি। তাকে গোপন ও নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ইরানের কর্মকর্তারা। এর মধ্যে শুধু একদিন তেহরানে এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেন খামেনি। এতে স্বস্তি ফিরে এসেছে খামেনির সমর্থকদের মধ্যে। 
 
পেজেশকিয়ান গত গ্রীষ্মে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। তাকে হত্যায় ইসরায়েল সফল হলে, গোটা বিষয়টি অন্যদিকে মোড় নিতে পারত। সেক্ষেত্রে ইরানের রাজনৈতিক কাঠামোতেও বড় ধরনের আঘাত আসত।

১২ দিনের ওই সংঘাত চলাকালে ট্রাম্প ইরানের শাসকগোষ্ঠী পরিবর্তনের পক্ষে কথা বলেছেন। তবে তিনি এতে ততটা সক্রিয়ভাবে জড়াননি। বর্তমানে ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের সঙ্গে স্থায়ী চুক্তিতে যাওয়ার চেষ্টা করছে বলেও খবর এসেছে গণমাধ্যমে। তবে ইরানকে ঠিক কী ধরনের প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে তা এখনো অস্পষ্ট। ইরান এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, তারা নিজেদের পারমাণবিক কর্মসূচির লাগাম টানবে না।

 সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান