ঢাকা ২ ফাল্গুন ১৪৩১, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১

মেক্সিকো উপসাগরের নাম পরিবর্তন করলেন ট্রাম্প

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩৬ পিএম
আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩৬ পিএম
মেক্সিকো উপসাগরের নাম পরিবর্তন করলেন ট্রাম্প
মেক্সিকো উপসাগেরর নাম পরিবর্তনের নির্বাহী আদেশে সই করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

ক্ষমতা গ্রহণের পরদিনই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে মেক্সিকো উপসাগরের নাম পরিবর্তন করে ‘আমেরিকা উপসাগর’ রাখা হয়েছে। উপসাগেরর ছবি, ম্যাপ ও ডাটাবেজও প্রকাশ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) এই পরিবর্তনের ঘোষণা দেন মার্কিন কোস্টগার্ডের ভারপ্রাপ্ত কমান্ড্যান্ট অ্যাডমিরাল কেভিন লান্ডে।

ট্রাম্প প্রশাসন জানায়, নতুন নামের সঙ্গে উপসাগরীয় সীমান্তে অবৈধ অভিবাসন, মাদক পাচার ও শত্রুতাপূর্ণ কার্যক্রম রোধে নতুন নিরাপত্তা অপারেশন চালু হবে।

এর আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার অভিষেকের আগেই এই পরিবর্তনের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন। গত সোমবার (২০ জানুয়ারি) ট্রাম্প তার অভিষেক ভাষণেও মেক্সিকো উপসাগরের কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘আমেরিকা উপসাগর নামটি জাতীয় গৌরবের প্রতীক এবং এ নামটি আরও আকর্ষণীয় শোনায়।’

ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সকল ফেডারেল সংস্থাকেও এখন থেকে ‘গালফ অব আমেরিকা’ বা আমেরিকান উপসাগর নামটি ব্যবহার করতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব সেন্ট্রাল ফ্লোরিডার রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক অবরি জিয়েট বলেন, এটা খুবই নজিরবিহীন বিষয় যে একজন প্রেসিডেন্ট তার ইচ্ছেমতো সকল ফেডারেল এজেন্সির জন্য কোনো কিছুর নাম পরিবর্তন করতে পারেন। তিনি আরও বলেন, এধরনের নাম পরিবর্তনের ক্ষমতা নেই তার (প্রেসিডেন্টের), সেটা মেক্সিকো কিংবা বিশ্বের যে প্রান্তেই হোক।

গালফ অব মেক্সিকো। ছবি: সংগৃহীত

এদিকে এ উপসাগেরর নাম পরিবর্তন করায় ট্রাম্পের তীব্র সমালোচনা করেছে মেক্সিকো। মেক্সিকোর প্রধানমন্ত্রী ক্লাউজিয়া শিনবাম মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেসকে বলেন, আমরা একে মেক্সিকো উপসাগরই বলব। সারা বিশ্বের মানুষও একে মেক্সিকো উপসাগর বলবে।

কেন নাম পরিবর্তন

ট্রাম্প বলেন, নাম পরিবর্তনের পেছনে উপসাগরটির কৌশলগত গুরুত্ব অন্যতম। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার উপকূলবর্তী সাগরে মৎস্য সম্পদ আহরণ, বিলিয়ন ডলারের ট্যুরিজম, জ্বালানি তেল উৎপাদনসহ যুক্তরাষ্ট্রের সামগ্রিক অর্থনীতি ও দেশের গৌরব জড়িত এ উপসাগরের সঙ্গে।

ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ফ্লোরিডার গ্লোবাল স্টাডিজের অধ্যাপক রব মেলেন জানান, এ উপসাগরে গুরুত্বপূর্ণ তেল ও গ্যাসের মজুত রয়েছে যা দেশের শিল্প কারখানার জন্য বড় যোগান হবে। তিনি আরও জানান, এখানে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ জীবাশ্ম জ্বালানির ১৫ শতাংশ মজুত রয়েছে।

ক্ষমতাগ্রহণের আগে ট্রাম্প কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। ডেনমার্ক থেকে গ্রীনল্যান্ড দখল করার হুমকি দিয়েছেন। পানামার কাছ থেকে পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার কথা তিনি বার বার বলছেন। তার ফেরিফাইড এক্স অ্যাকাউন্টে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মানচিত্রের ছবি একত্রে করে যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা জুড়ে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মানচিত্র হিসেবে প্রকাশ করেছেন। তিনি তার নির্বাচনি প্রচারে বার বার ‘মেইক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ স্লোগান দিয়েছেন। তাহলে গ্রীনল্যান্ড, কানাডা, মেক্সিকো, পানামা খাল দখল করেই কি তিনি বৃহত্তর গ্রেট আমেরিকার স্বপ্ন দেখেন? সূত্র: ফক্স১৩, পিপল ডট কম

মাহফুজ/এমএ/

চেরনোবিল পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রে রাশিয়ার ড্রোন হামলা!

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:০০ পিএম
আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:০২ পিএম
চেরনোবিল পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রে রাশিয়ার ড্রোন হামলা!
চেরনোবিল পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রে ড্রোন হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত সুরক্ষা কাঠামো। ছবি: এপি

ইউক্রেনের চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সুরক্ষা কাঠামোতে একটি ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রের সুরক্ষা কাঠামোতে গর্ত তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া সেখানে আগুনও ধরে যায়। এ জন্য ইউক্রেন রাশিয়াকে দায়ী করলেও তা অস্বীকার করেছে ক্রেমলিন।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় রাতে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে এক প্রতিবেদনে  অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) জানায়।
এই হামলার ঘটনায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি থেকে বিকিরণের মাত্রা বাড়েনি বলে নিশ্চিত করেছে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (আইইএই) ও কিয়েভ। আইইএই জানায়, ড্রোনটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের বাইরের অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত করলেও ভিতরের পারমাণবিক কনটেইনার শেলে আঘাত হানতে পারেনি।

সংস্থাটি জানায়, চেরনোবিলে অবস্থানরত প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা একটি বিস্ফোরণের শব্দ পেয়ে সেখানে গেলে ড্রোনটি দেখতে পান। তবে এই ঘটনায় কারা দায়ী তা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি সংস্থাটি।

ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে ফের বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল।

প্রসঙ্গত চেরনোবিলে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ বেসামরিক পারমাণবিক বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটেছিল। ১৯৮৬ সালে এই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চারটি চুল্লির একটি বিস্ফোরিত হয়। এতে চুল্লিটির দীর্ঘমেয়াদি তেজস্ক্রিয়তা নিয়ন্ত্রণে সুরক্ষা প্রাচীর দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। ভয়াবহ সেই দুর্ঘটনায় ৩০ জন প্রাণ হারান এবং উত্তর গোলার্ধের বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে।

চেরনোবিলে যেকোনো সময়ে ড্রোন কিংবা অন্য যুদ্ধাস্ত্র আঘাত হানার শঙ্কা করা হচ্ছিল। এর পেছনে অন্যতম কারণ, ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধে বেশ কয়েকবার ইউরোপের সর্ববৃহৎ জাপোরিজঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে আঘাত হেনেছে ড্রোন।

এমন সময় এই ঘটনা ঘটল, যখন ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ ছাড়া ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে জড়ো হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র, ইউক্রেন ও ইউরোপের নেতারা।

অন্যদিকে, রাশিয়ার সেনাবাহিনীর হামলায় পিছু হটতে বাধ্য হচ্ছেন ইউক্রেনের সেনারা। ইউরোপের সামরিক সাহায্য পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে দেশটি।

চেরনোবিলে হামলা নিয়ে এক বিবৃতিতে জেলেনস্কি বলেন, ‘পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ধ্বংস হওয়া ইউনিটের সুরক্ষা প্রাচীরে রাশিয়ার ড্রোন আঘাত হানে। এতে সেখানে আগুন ধরে যায়। পরে আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়।’ তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক ধারণা অনুযায়ী, সুরক্ষা প্রাচীরের উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঝুকিপূর্ণ এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে যেন নতুন করে দুর্ঘটনা না ঘটে, সেকারণে ২০১৬ সালে বাইরে সুরক্ষা প্রাচীর তৈরি করা হয়েছিল।’

সামাজিকমাধ্যমে ইউক্রেনের জরুরি বিভাগের পোস্ট করা একটি ছবিতে প্রাচীরের গায়ে একটি বড় গর্ত দেখা যায়।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে এই হামলার বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরবেন বলেও জানিয়েছেন।

জেলেনস্কি বলেন, ‘কোনো ধরনের পরিণতির কথা না ভেবে আজকের দিনে এ ধরনের স্থাপনায় হামলা চালানো, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র দখল করে নেওয়া এবং যুদ্ধ শুরু করার কাজটি একমাত্র রাশিয়াই করতে পারে।’

এই হামলা প্রমাণ করে রাশিয়া আলোচনার জন্য প্রস্তুত নয় অভিযোগ করে যুদ্ধ বন্ধের যেকোনো আলোচনার আগে তিনি তার দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত চান বলে জানান জেলেনস্কি।

তবে কিয়েভের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘কোনো ধরনের পারমাণবিক অবকাঠামোতে বা শক্তিকেন্দ্রে হামলার প্রশ্নই উঠে না। আমাদের সেনারা এমন কোনো কাজ করেনি।’

পেসকভ বলেন, রাশিয়াকে দোষারোপ করতে এবং যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্প-পুতিনের আলোচনাকে ভেস্তে দিতেই এই হামলার ‘মিথ্যা নাটক’ সাজিয়েছে কিয়েভ।

এই ড্রোন হামলা ও এতে রাশিয়াকে অভিযুক্ত করার নিন্দা জানিয়েছেন রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা। তিনি এটিকে ইউক্রেনের একটি ‘বেপরোয়া’ পদক্ষেপ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

তিনি জানান, ‘যে সুরক্ষা প্রাচীরে হামলার অভিযোগ ইউক্রেন করছে, সেটি নির্মাণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে রাশিয়াও অংশীদার ছিল।’

এর আগে, দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধের তৎপরতা শুরু করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে এ বিষয়ে ফোনালাপ করেন। ক্রেমলিন ও কিয়েভ থেকেও ফোনালাপের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

ইউএনবি/তাওফিক/ 

লাওসে বিস্ফোরণে চীনা নাগরিকসহ নিহত ৪

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:২৮ পিএম
লাওসে বিস্ফোরণে চীনা নাগরিকসহ নিহত ৪
লাওসে বিস্ফোরণে চীনা নাগরিকসহ চারজন নিহত। ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ লাওসের উত্তরাঞ্চলে একটি দোকানে বিস্ফোরণে চীনা নাগরিকসহ চারজন নিহত এবং তিনজন আহত হয়েছেন। লাওসে বেইজিংয়ের কনস্যুলেট জেনারেল এ তথ্য জানিয়েছে।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ব্যাংকক থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।

লুয়াং প্রাবাংয়ের চীনা কনস্যুলেট এক বিবৃতিতে জানায়, শুক্রবার ওডোমক্সে প্রদেশের একটি চীনা দোকানে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

কনস্যুলেট এবং স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, বিস্ফোরণের কারণ জানার জন্য তদন্ত চলছে। 

লাওসের জাতীয় রেডিও জানিয়েছে, নাসাও গ্রামের দোকানে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণে তিনজন আহত হয়েছেন।

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া জানায়, বিস্ফোরণের ফলে আশপাশের বাড়িগুলোর যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে।

কনস্যুলেট আরও জানায়, লাওসে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ফ্যাং হং আহতদের চিকিৎসা এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহায়তা করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। সূত্র: এএফপি

বাসস/তাওফিক/

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত সম্মেলন শুরু ১৭ ফেব্রুয়ারি

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:০৭ পিএম
আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৩১ পিএম
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত সম্মেলন শুরু ১৭ ফেব্রুয়ারি
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত সম্মেলন শুরু হচ্ছে সোমবার । ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিবি-বিএসএফ) দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগামী সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে বিএসএফ সদর দপ্তরে ৫৫তম মহাপরিচালক পর্যায়ের এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। 

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায়।

এই সম্মেলন হবে গত বছরের আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দুদেশের সীমান্ত বাহিনীর মধ্যে প্রথম উচ্চপর্যায়ের বৈঠক। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্মেলনে বিজিবির প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী আর বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্বে থাকবেন মহাপরিচালক দলজিৎ সিং চৌধুরী।

বিএসএফ এক বিবৃতিতে জানায়, সীমান্ত সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা সমাধান এবং দুই বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় জোরদার করাই আলোচনার মূল লক্ষ্য।

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চার হাজার ৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে, যা পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, মেঘালয়, আসাম ও মিজোরাম এই পাঁচটি রাজ্যের সঙ্গে সংযুক্ত।

গত বছর শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার সীমান্তে বেড়া নির্মাণ ও বিএসএফের কার্যক্রম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। পরে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ আশ্বস্ত করে জানায়, সীমান্ত নিরাপত্তা ও অবকাঠামো উন্নয়নে প্রটোকল অনুসরণ করা হচ্ছে।

এই সম্মেলনে সীমান্তহত্যা, চোরাচালান রোধ, বেড়া নির্মাণসহ নিরাপত্তা সহযোগিতার বিভিন্ন ইস্যু বিশেষ গুরুত্ব পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সূত্র: এনডিটিভি

তাওফিক/ 

মহাকাশ থেকে ফিরছেন সুনীতা-উইলমোর

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৩৯ পিএম
আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:১৫ পিএম
মহাকাশ থেকে ফিরছেন সুনীতা-উইলমোর
সুনীতা উইলিয়ামস-বাচ উইলমোর। ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ আট মাস ধরে মহাকাশে আটকেপড়া নাসার মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস এবং তার ক্রু সঙ্গী বাচ উইলমোর আগামী মার্চ মাসে পৃথিবীতে ফিরছেন বলে জানা গেছে। যারা দীর্ঘমেয়াদে মহাকাশ মিশনের অংশ হিসেবে মহাকাশে যাত্রা করেছিলেন।  

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস) থেকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে সুনীতা উইলিয়ামস এবং তার ক্রু সঙ্গী বাচ উইলমোর পৃথিবীতে ফেরার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আগামী ১২ মার্চ ক্রু-১০ মিশন ড্রাগন স্পেসক্রাফটে পৃথিবী থেকে মহাকাশ স্টেশনের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবে এবং এক সপ্তাহ পর ১৯ মার্চ সেটিতে করে সুনীতা এবং উইলমোর পৃথিবীতে আসবেন। 

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।  

ক্রু-১০ মিশনে নাসার মহাকাশচারী অ্যান ম্যাকক্লেইন ও নিকোল আয়ার্স, জাপানের মহাকাশ সংস্থা জাক্সার মহাকাশচারী তাকুয়া ওনিশি এবং রাশিয়ান মহাকাশচারী কিরিল পেস্কভসহ চারজন সদস্য মহাকাশ স্টেশনে ছয় মাসের জন্য পৌঁছাবেন। 

মিশনটি পৌঁছানোর পর সুনীতা উইলিয়ামস ও বাচ উইলমোর তাদেরকে দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন। এতে সপ্তাহখানেক সময় লাগবে। এ সময় নতুন একজন মহাকাশ স্টেশন কমান্ডার দায়িত্ব নেবেন। বর্তমানে সুনীতা উইলিয়ামস আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দায়িত্ব হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষে উইলিয়ামস ও উইলমোর সেই ড্রাগন স্পেসক্রাফটটিতে উঠবেন, যা ক্রু-১০ মিশনকে নিয়ে মহাকাশে গিয়েছিল এবং তা ১৯ মার্চ পৃথিবীতে ফিরে আসবে।

গত বছরের ৫ জুন সুনীতা উইলিয়ামস ও বাচ উইলমোর বোয়িং স্টারলাইনারের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছান, তবে স্পেসক্রাফটের প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে তারা সেখানে আটকা পড়েন।

এ পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ককে মহাকাশে আটকেপড়া দুই মহাকাশচারীকে উদ্ধার করার জন্য অনুরোধ করেন। তিনি তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে লেখেন, ‘আমি এখনই ইলন মাস্ক এবং স্পেসএক্সকে অনুরোধ করেছি মহাকাশে আটকে থাকা দুই সাহসী মহাকাশচারীকে উদ্ধার করো।’ সূত্র: এনডিটিভি 

তাওফিক/ 

মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের হিসাব ভুল: এরদোয়ান

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৫২ এএম
আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:১৩ পিএম
মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের হিসাব ভুল: এরদোয়ান
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে ‘ভুল হিসাব’ করছে এবং তাদের নীতির ফলে শুধু সংঘাতই বাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।  

মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও পাকিস্তান সফর শেষে দেশে ফেরার পথে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) আরব নিউজ এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করে। 

এরদোয়ান উল্লেখ করেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে যুক্তরাষ্ট্র আমাদের অঞ্চল নিয়ে ভুল হিসাব করছে। তাদের এমন কোনো বিষয়ে জড়িত হওয়া উচিত নয়, যা এই অঞ্চলের ইতিহাস এবং মূল্যবোধকে উপেক্ষা করে।’

তিনি আরও জানান, তিনি আশা করেন ট্রাম্প তার নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী শান্তির জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেবেন, সংঘাত না বাড়িয়ে।

এ ছাড়া, ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী গাজায় শান্তির কোনো লক্ষণ দেখছেন না বলে মন্তব্য করেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। মুসলিম বিশ্বের এখনো সম্মিলিত পদক্ষেপ গ্রহণে অক্ষমতা সম্পর্কে হতাশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

এদিকে, ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড দখল করতে ট্রাম্পের পরিকল্পনা তুরস্ক প্রত্যাখ্যান করেছে এবং গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণকে গণহত্যা হিসেবে অভিহিত করেছে। আঙ্কারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছে। সূত্র: আরব নিউজ 

তাওফিক/