
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস গত শুক্রবারের আগে ইসরায়েলি বন্দি আরবেল ইয়েহুদ ও আরো দুইজনকে মুক্তি দেওয়ার কথা জানিয়েছে। এর পর ইসরায়েলও ঘোষণা করেছে, হমাস যদি ওই তিন জিম্মিকে মুক্তি দেয় তাহলে সোমবার থেকে গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে বসবাসকারী ফিলিস্তিনি নাগরিকদের বাড়ি ফিরতে দেওয়া হবে।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানায়। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) এই বিবৃতির বরাত দিয়ে এই সংবাদ জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামাস আরবেল ইয়েহুদসহ তিন জিম্মিকে মুক্ত করলে ইসরায়েলও তার বিপরীতে সোমবার সকালে গাজা অঞ্চলের উত্তরাংশে বিতাড়িত ফিলিস্তিনিদের ফিরে যাওয়ার সুযোগ দেবে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু রবিবার নিশ্চিত করেছেন, হামাসের নিকট বন্দি ইসরায়েলি নাগরিক আরবেল ইয়েহুদ, সেনা সদস্য আগাম বারগার ও আরো এক বন্দি মুক্তি দেবে।
তিনি সামাজিক মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে বলেছেন, ‘সোমবার সকাল থেকে গাজা উত্তরে বিতাড়িত ফিলিস্তিনিরা বাড়ি ফিরতে পারবে।’
‘প্রধানমন্ত্রী আবারও বলেন, ইসরায়েল এই চুক্তির কোনও লঙ্ঘন সহ্য করবে না। আমরা সব বন্দি, জীবিত ও মৃত ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ চালিয়ে যাব,’ নেতানিয়াহুর দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে এটি বলা হয়েছে।
কাতারের ঘোষণার পর হামাস সোমবার সকালে জানিয়েছে, তারা মধ্যস্থতাকারীদের কাছে ইসরায়েলি বন্দীদের মুক্তির তালিকা সরবরাহ করেছে।
এই পদক্ষেপটি মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায় সংঘটিত গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ, যার মাধ্যমে প্রায় ছয় লাখ ৫০ হাজার ফিলিস্তিনি গাজার কেন্দ্রীয় ও দক্ষিণাঞ্চল থেকে উত্তরাঞ্চলে ফিরে যেতে পারবে।
এদিকে গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি আক্রমণে গাজা অঞ্চলের অধিকাংশই ধ্বংস হয়ে গেছে এবং প্রায় ৪৭ হাজার ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে।
গত অক্টোবরের হামলায় হামাস প্রায় ২৫০ জন ইসরায়েলি নাগরিককে বন্দি করে এবং সেই আক্রমণে প্রায় এক হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়। সূত্র: রয়টার্স
তাওফিক/