
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী থেকে ট্রান্সজেন্ডার ও অভিবাসীদেরকে ধারাবহিকভাবে সরিয়ে দিতে আদেশ জারি করেছেন ট্রাম্প। পাশাপাশি করোনার সময়ে টিকা নিতে অস্বীকৃতি জানানোয় চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়া ৮ হাজার সেনাকে পুনরায় চাকরিতে ফিরিয়ে নিতে আদেশ দিয়েছেন তিনি।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) পেন্টাগনকে দেওয়া নির্বাহী আদেশে এসব জানান ডোনাল্ড ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রে ডাইভার্সিটি প্রোগ্রামের আওতায় সামরিক বাহিনীতে চাকরির সুযোগ পাওয়া টান্সজেন্ডার ও অভিবাসীদেরকে নিয়োগ বাতিলসহ নতুন করে না নেওয়া এবং চাকরিতে নারী-পুরুষের সমতা নীতি থেকে বেরিয়ে এসে সামরিক বাহিনীতে নারীদের অংশগ্রহণ কমিয়ে আনতে পেন্টাগনকে কয়েকটি আদেশ দিয়েছেন ট্রাম্প ও তার ডিফেন্স সেক্রেটারি পিট হেজেথ।
তারা অভিযোগ করে বলেন, নারী ও ট্রান্সজেন্ডারদের নিয়োগের ফলে সামরিক বাহিনীর গুণগত মান কমে গেছে এবং বিশ্বে যেকোনো যুদ্ধে তাদের তাৎক্ষণিক যুদ্ধ করার সক্ষমতা কমে গেছে। তাদের মতে সামরিক বাহিনী হবে পুরুষ কেন্দ্রিক। তাই তারা সামরিক বাহিনী থেকে উল্লিখিত শ্রেণির সেনাদের সরিয়ে দিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
আদেশে ট্রাম্প পেন্টাগনকে ৬০ দিনের সময় দেন ট্রান্সজেন্ডার ও অভিবাসীদের ব্যাপারে নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে।
আদেশে আরও বলা হয়, ‘প্রথাগত লিঙ্গ পরিচয় থেকে সরে গিয়ে মিথ্যা লিঙ্গ (ট্রান্সজেন্ডার) পরিচয় যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘমেয়াদী প্রতিরক্ষা নীতি ও বিভিন্ন আভিযানিক দক্ষতার স্ট্যান্ডার্ডের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।’
গত সপ্তাহে ট্রাম্প মিলিটারি বাদেও যুক্তরাষ্ট্রের সকল ফেডারেল সার্ভিস থেকে সমতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতি বাদ করতে আদেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি ট্রাম্প তার একাধিক ভাষণে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে নারী ও পুরুষ ছাড়া অন্য কোনো জেন্ডারের পরিচয় স্বীকৃতি পাবে না। যদিও এব্যাপারে এখনই কোনো নির্বাহী আদেশ দেওয়া হয়নি। তবে ট্রাম্প বিশ্বাস করেন ট্রান্সজেন্ডার হলো বিকৃত মানসিকতা এবং এগুলো পরিবার প্রথাকে ধ্বংস করে দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রের সকল সার্ভিসে ট্রান্সজেন্ডার ও নারীদের অংশগ্রহণে ডেমোক্রেটরা গুরুত্ব দিয়ে থাকে। পাশাপাশি অভিবাসী নীতির ক্ষেত্রেও রিপাবলিকানদের থেকে বেশি উদার ডেমোক্রেটরা। সূত্র: দ্যা নিউইয়র্ক টাইম
মাহফুজ/এমএ/