ঢাকা ৫ চৈত্র ১৪৩১, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
English

পাকিস্তানে সাইবার অপরাধ আইনের সংশোধন, গণমাধ্যম কর্মীদের উদ্বেগ

প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:২৮ পিএম
আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:২৮ পিএম
পাকিস্তানে সাইবার অপরাধ আইনের সংশোধন, গণমাধ্যম কর্মীদের উদ্বেগ
পাকিস্তান ফেডেরাল ইউনিয়ন অব জার্নালিস্টসের সদস্যরা লাহোরে সাইবার অপরাধ আইনের সংশোধনীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন। ছবি: ভয়েস অব আমেরিকা

পাকিস্তান সরকার ডিজিটাল অপরাধ আইনে- ২০২৫ (পেকা) নতুন সংশোধনী আনার উদ্যোগ নিয়েছে। মূলত ভুয়া খবরের বিস্তার প্রতিরোধে এই আইন সংশোধন করছে সরকার। তবে এই সংশোধনীগুলোর বিরুদ্ধে দেশটির গণমাধ্যম এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলো কঠোর প্রতিবাদ জানিয়েছে।

তারা বলেছে, এটি সাংবাদিকদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ করতে পারে এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের আইনি ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই সংবাদ প্রকাশ করেছে ভয়েস অব আমেরিকা।

নতুন সংশোধনীগুলোর মধ্যে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর জন্য তিন বছরের কারাদণ্ড এবং সাত হাজার ডলার পর্যন্ত জরিমানা ধার্য করা হয়েছে। এ ছাড়া, অনলাইনে কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণের জন্য চারটি নতুন সরকারি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যা সাইবার অপরাধের বিরুদ্ধে কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটি গত সোমবার সংশোধনীর অনুমোদন দিয়েছে এবং এটি এখন পাকিস্তানের সিনেটের অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করছে। গত বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে এই বিলটি পাস হয় কিন্তু বিরোধী দলের সদস্য এবং সাংবাদিকরা এটির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে কক্ষ ত্যাগ করেন।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সেক্রেটারি নায়ার আলী জানিয়েছেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টতা এটি পরিষ্কারভাবে দেখাচ্ছে, সরকার বিষয়টিকে জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যু হিসেবে উপস্থাপন করছে।’

এদিকে, পেকা আইনের মূল উদ্দেশ্য ছিল সাইবার অপরাধ এবং অনলাইন সহিংসতা প্রতিরোধ করা। তবে ২০১৭ সালে আইনে বেশকিছু পরিবর্তন আসার পর থেকেই সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এই আইন ব্যবহার হতে শুরু করেছে।

গণমাধ্যম অধিকার সংগঠনগুলো বলছে, এই আইনের কারণে অনেক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে তদন্ত হয়েছে এবং তাদের কাজের ওপর সরকারের চাপ বেড়েছে।

সাংবাদিকরা বলছেন, একদিকে যেমন গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে, অন্যদিকে সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেক প্রতিবেদন এবং আলোচনা ছড়িয়ে পড়ছে, যা সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে।

সংশোধিত পেকা আইনে ‘ভুয়া খবর’ এবং ‘ক্ষতিকারক তথ্য’ সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে, যার মাধ্যমে আদালত, সেনাবাহিনী, সংসদ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা যাবে না। এর ফলে বিশেষ করে বিরোধী মতামত প্রকাশকারীরা আইনি ঝুঁকিতে পড়তে পারেন।

এ বিষয়ে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আজমা বুখারি এই উদ্বেগকে ‘অযৌক্তিক’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।

এই আইনটি কার্যকর হলে, সমাজে বিশৃঙ্খলা বা অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে- এমন তথ্য ছড়ানোর জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তি তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং সাত হাজার ডলারের বেশি জরিমানার সম্মুখীন হতে পারেন। তবে সাংবাদিকরা অভিযোগ করেছেন, সরকার এমন তথ্যকে ‘ভুয়া খবর’ হিসেবে চিহ্নিত করতে চাইছে, যা তাদের পছন্দমতো নয়।

পাকিস্তান ফেডারেল ইউনিয়ন অব জার্নালিস্টসসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন এই আইনটির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। সংগঠনগুলো বলছে, এই আইনটি সঠিকভাবে আলোচনার মাধ্যমে পাস হওয়া উচিত ছিল এবং মিডিয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আলোচনা না করেই এটি পাস করা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়।

এদিকে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মতো পাকিস্তানের হিউম্যান রাইটস কমিশন এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সরকারের কাছে এই সংশোধনীগুলোর বিরোধিতা করে আলোচনার জন্য আহ্বান জানিয়ে বলেছে, এটি যদি আইনে পরিণত হয়, তবে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও ব্যক্তির মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা 

তাওফিক/ 

এবার সিরিয়ার কেন্দ্রীয় সামরিক স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলা

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৩:০১ পিএম
এবার সিরিয়ার কেন্দ্রীয় সামরিক স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলা
মঙ্গলবার ( ১৮ মার্চ) সিরিয়ার কেন্দ্রীয় সামরিক স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলা ছবি: সংগৃহীত

সিরিয়ার যুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী একটি সংস্থা জানায়, মঙ্গলবার ( ১৮ মার্চ) ইসরায়েলি বিমান সিরিয়ার একটি সামরিক স্থপনায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। 

ব্রিটেন-ভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস-এর মতে, হোমস শহরের কাছে ইসরায়েলি বিমান থেকে একটি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সিরিয়ান ব্যাটালিয়নকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। এসময় এই এলাকায় বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে, তবে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি।

সিরিয়ার আরব প্রজাতন্ত্রের একটি যুদ্ধ পর্যবেক্ষণ সংস্থা জানায়,গত মঙ্গলবার ইসরায়েলি জেট বিমান মধ্য সিরিয়ার একটি সামরিক স্থাপনায় হামলা চালায়।

এছাড়া চলতি বছরের ডিসেম্বরে বাশার আল আসাদের উৎখাতের পর থেকে ইসরায়েল সিরিয়ার সামরিক স্থাপনায় শত শত হামলা চালায়। তারা বলছে,জিহাদিদের হাতে যাতে অস্ত্র না পড়ে তার জন্য তারা হামলা করছে।

এদিকে সিরিয়ার কর্তৃপক্ষ জানায়, সোমবার (১৭ মার্চ) ইসরায়েলের দক্ষিনে অবস্থিত সিরিয়ার দারা এলাকায় হামলা চালিয়ে তিনজন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করে ইসরায়েল।

এছাড়া, বিমান হামলার পাশাপাশি, আসাদের পতনের পর থেকে  ইসরায়েল কৌশলগত গোলান হাইটসের জাতিসংঘ-প্রহরীর বাফার জোনেও সেনা মোতায়েন করেছে। সূত্র: আরব নিউজ

দিনা/

 

দুর্নীতি-সন্ত্রাসবাদের দায়ে গ্রেপ্তার এরদোয়ানের প্রতিপক্ষ

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০২:৫৭ পিএম
দুর্নীতি-সন্ত্রাসবাদের দায়ে গ্রেপ্তার এরদোয়ানের প্রতিপক্ষ
এরদোয়ানের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও ইস্তানবুলের মেয়র একরেম ইমামোগলু। ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতি, সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গি সংগঠনকে সহায়তার দায়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও ইস্তানবুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুকে গ্রেপ্তার করেছে স্থানীয় স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

বুধবারের (১৯ মার্চ) এই ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

তবে গ্রেপ্তারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে একরেমের দল রিপাবলিকান পার্টি। এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে দলটি বলে, ‘একরেমকে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে তুরস্কের পরবর্তী প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক বিশ্বাসঘাতকতা করেছে সরকার।’

একরেম গত দুই মেয়াদে ইস্তানবুলের মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছেন। আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাকে রিপাবলিকান পার্টি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নের বিষয়টি বিবেচনা করছিল বলে জানা গেছে। এরদোয়ানের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বীর হঠাৎ গ্রেপ্তার সহজ ভাবে দেখতে পারছেন না বিশ্লেষকরা। এই ঘটনা রাজনৈতিক উদ্দেশপ্রণোদিত আক্রমণ বলে ধারণা অনেকের।

এদিকে গ্রেপ্তার সত্ত্বেও হাল ছাড়ছেন না একরেম। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এক ভিডিও পোস্টে তিনি নিজের অবস্থানে দৃঢতার বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন।

ইস্তানবুলের প্রসিকিউটর কার্যালয়ের বরাতে জানা যায়, একরেমের বিরুদ্ধে দুটি পৃথক তদন্তের কার্যক্রম চলমান। দুর্নীতির অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি নগরের টেন্ডার হাতিয়ে নিতে সাংবাদিক ও ব্যবসায়ীসহ প্রায় ১০০০ জনকে ঘুষ দিয়েছেন। অন্যটি কুর্দিপন্থি জঙ্গিগোষ্ঠী কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) সঙ্গে সম্পৃক্ততা বিষয়ক।

এদিকে মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ইস্তানবুল বিশ্ববিদ্যালয় একরেমের ডিগ্রী বাতিলের ঘোষণার পর সমালোচনা তুঙ্গে পৌঁছায়। ডিগ্রী বাতিলের কারণে আইনগতভাবে আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার মনোনয়ন প্রাপ্তি নিয়ে আশঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে চলতি সমালোচনার জবাবে ইস্তানবুল গভর্নরের কার্যালয় শহরে চারদিনের জন্য যেকোনো ধরণের আন্দোলন ও সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে।

তুরস্কের প্রধান বিরোধীদলীয় নেতার গ্রেপ্তার দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতি ঘোলাটে করে তুলেছে। সূত্র: রয়টার্স

নাইমুর/

ইউক্রেন ইস্যুতে বেকায়দায় ট্রাম্প

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০২:১১ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৩:৫০ পিএম
ইউক্রেন ইস্যুতে বেকায়দায় ট্রাম্প
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন। ইনসেটে আলোচনারত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের চেয়ে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) পুতিনের সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টার ফোনালাপকে তিনি ‘বেশ কার্যকর’ দাবি করলেও রুশ প্রেসিডেন্টের সুর খুব একটা বন্ধুত্বপূর্ণ ছিল না। ইউক্রেন ইস্যুতে পুতিনের অবস্থানে কোনো ধরনের সমঝোতার সম্ভাবনা দেখছেন বিশ্লেষকরা। এই ধারণার প্রতিফলন ক্রেমলিনের বক্তব্যেই স্পষ্ট হয়। আগামী ৩০ দিন ইউক্রেনের জ্বালানীবহরে আক্রমণ থামাতে রাজি হলেও পুরোপুরি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত নয় রাশিয়া। অথচ নির্বাচনী প্রচারণায় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের প্রতিশ্রুতি বেশ জোর গলায়ই দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই পরিস্থিতিতে কিছুটা বেকায়দায় পড়েছেন তিনি।

আলোচনায় পুতিনের দাবি ছিল, ইউক্রেনকে দেওয়া মার্কিন সামরিক সহায়তা পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে। পুতিনের এই প্রস্তাব মেনে নিলে ইউক্রেন যে প্রতিরক্ষা খাতে চরম দুর্বলতায় জর্জরিত হয়ে পড়বে তা সহজেই অনুমেয়।

এদিকে চলমান সহিংসতার পুরো দায় ইউক্রেনকেই দিয়েছে ক্রেমলিন।

এর আগে ইউক্রেনের সম্মতি সাপেক্ষে রাশিয়ার কাছে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জবাবে আংশিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি প্রকাশ করেছেন পুতিন। এতে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার শঙ্কাই প্রমাণ হলো। তারা জানিয়েছিলন, পুতিন যুদ্ধবিরতির নামে পুনরায় তীব্রতর সহিংসতার পাঁয়তারা করছেন। 

এ অবস্থায় কিছুটা বেকায়দায় পড়েছেন ট্রাম্প। তার সামনে এখন দুটো পথ খোলা: হয় তিনি পুতিনের কথা মেনে ইউক্রেনকে আরও চাপ দেবেন অথবা আর্থিক নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে পুতিনকে নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতিতে রাজি করাবেন। প্রথম পথে গেলে যুক্তরাষ্ট্রের পুরোনো ইউরোপীয় বন্ধু যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স খেপবে।

ইউরোপ চায়, শান্তিচুক্তির মাধ্যমে ইউক্রেনে দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। এই প্রস্তাব বাস্তবায়নে যুক্তরাষ্ট্রকে দেশগুলো সামরিক ও গোয়েন্দা সহায়তা দিতেও প্রস্তুত। যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অব স্টেট মার্কো রুবিও বলছেন, ‘বাধা ছাড়া চূড়ান্ত শান্তি আসে না।’

এতদসত্ত্বেও, পুতিনকে প্রায় জিতিয়েই দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ‘পুনর্গঠনের’ ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ট্রাম্পের এসব মন্তব্যের কারণে ইউক্রেন আরও নাজুক কূটনৈতিক গ্যাঁড়াকলে পড়েছে।

এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের জোর জবরদস্তির লোক দেখানো যুদ্ধবিরতি আসলেই ইউক্রেনে শান্তি ফিরিয়ে আনে নাকি ইউরোপের বুকে গাজার প্রতিচ্ছবি দেখতে যাচ্ছে বিশ্ব- এটা সময়ের কাছে ছেড়ে দেওয়া ছাড়া উপায় নেই। সূত্র: দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট

সুনীতাদের ফেরানোর কৃতিত্ব নিয়ে বাইডেনকে খোঁচা ট্রাম্পের

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০২:০৮ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০২:৩৫ পিএম
সুনীতাদের ফেরানোর কৃতিত্ব নিয়ে বাইডেনকে খোঁচা ট্রাম্পের
সুনীতা এবং বুচ উইলমোর পৃথিবীতে ফিরে আসার পর তাদের পৃথিবীতে ফেরানোর ব্যাপারে কৃতিত্ব নিজের কাঁধে নেওয়ার পাশাপাশি এবার জো বাইডেনকেও খোঁচা দিলেন ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর সুনীতাদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব নিতে ইলন মাস্ককে অনুরোধ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে স্পেসএক্সের মোহাকাশযান পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়।

সুনীতা এবং বুচ উইলমোর পৃথিবীতে ফিরে আসার পর তাদের পৃথিবীতে ফেরানোর ব্যাপারে কৃতিত্ব নিজের কাঁধে নেওয়ার পাশাপাশি এবার জো বাইডেনকেও খোঁচা দিতে ছাড়লেন না তিনি।

এর আগেই উইলমোর এবং উইলিয়ামসের প্রত্যাবর্তন ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য একটি রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত হয়। তিনি ১৮ ফেব্রুয়ারি ফক্স নিউজকে বলেন,’বাইডেন রাজনৈতিক কারণে মহাকাশচারীদের মহাকাশেই রেখে গেছেন।‘ 

দ্রুত পদক্ষেপ না নেওয়ার জন্যও সাবেক রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনকে সমালোচনা করে ট্রাম্প নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) একাউন্টে একটি পোস্টে বলেন, ‘আমি ইলন মাস্ক এবং @SpaceX কে অনুরোধ করেছি তারা যেন দুই সাহসী নভোচারীকে ‘ফিরিয়ে আনে  যাদের বাইডেন প্রশাসন কার্যত মহাকাশে ফেলে রেখে গেছে। তারা অনেক মাস ধরে @Space Station-এ অপেক্ষা করছে। ইলন শীঘ্রই তার পথে ফিরে আসবে। আশা করি, সবাই নিরাপদে থাকবে। শুভকামনা ইলন!!!' সূত্র: ফক্স নিউজ

দিনা/

গাজার ডি-ফ্যাক্টো ‘প্রধানমন্ত্রীকে’ হত্যা

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০১:২৯ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০২:৪২ পিএম
গাজার ডি-ফ্যাক্টো ‘প্রধানমন্ত্রীকে’ হত্যা
গাজার ডি-ফ্যাক্টো প্রধানমন্ত্রী ইশাম দা-লিসকে হত্যা করেছে আইডিএফ। ছবি: সংগৃহীত

গাজা উপত্যকার ডি-ফ্যাক্টো (কার্যত) প্রধানমন্ত্রী ইশাম দা-লিস এবং হামাসের আরও বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।

এক বিবৃতিতে আইডিএফ জানায়, তাদের হামলায় নিহত হন ইশাম দা-লিস। গাজায় তার পদবী ‘সরকারের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ’ কমিটির প্রধান। যা প্রধানমন্ত্রীর সমপর্যায়ের পদ।

এই হামলায় ইশাম দা-লিস ছাড়াও গাজার হামাস সরকারের বিচার মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক আহমেদ আল-খাত্তা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আবু ওয়াতফা এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান বাহজাত আবু সুলতান নিহত হন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মাহমুদ আবু ওয়াতফা হামাস সরকারের পুলিশ এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার বিষয়টি দেখতেন।

আইডিএফ জানায়, হামাস সরকারের উচ্চপদস্থ এ চার নেতাকে লক্ষ্য করে হত্যা করা হয়। আইডিএফ আরও জানায়, এসময় হামাসের মধ্যম সারির কমান্ডারদেরও হামলায় লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়। যার উদ্দেশ্য ছিল হামাসের সামরিক ও বেসামরিক সরকারের উপর বড় আঘাত হানা। যেন তারা গাজায় নিয়ন্ত্রণ হারায় এবং ইসরায়েলের জন্য কোনো ধরনের হুমকিতে পরিণত না হয়।

এরআগে গাজার সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাহি মুস্তাহাকে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে হত্যা করে ইসরায়েল। তার স্থলাভিষিক্ত হন ইশাম দা-লিস।

ইসরায়েল হুমকি দিয়েছে, হামাস তাদের জিম্মিদের মুক্তি না দিলে গাজায় এ ধরনের হামলা অব্যাহত রাখা হবে। মঙ্গলবার ( ১৮ মার্চ) রাতে ঘুমন্ত গাজাবাসীর উপর বর্বরোচিত বোমা হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে চারশতরও বেশি মানুষ নিহত হন। যাদের মধ্যে অসংখ্য নারী ও শিশু রয়েছেন। সূত্র: দ্য টাইমস অব ইসরায়েল

দিনা/