
পারমাণবিক বোমা তৈরিতে ইরান কয়েকধাপ এগিয়েছে বলে ধারণা যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের। ইরানের পারমাণবিক প্রযুক্তি অত্যাধুনিক না হলেও প্রশাসনের চাহিদাসাপেক্ষে দ্রুত সময়ে বোমা তৈরির সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানান তারা।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বেশ কয়েকজন সাবেক মার্কিন কর্মকর্তা ও কর্মরত প্রশাসকের বরাতে খবরটি নিশ্চিত করেছে বার্তা সংস্থা দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস।
এদিকে তেহরানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ প্রসঙ্গে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বলে জানা গেছে।
মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, সাধারনত পারমাণবিক বোমা তৈরিতে কয়েক বছর সময় লাগলেও ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানীরা কয়েক মাসের মধ্যেই বোমা তৈরির প্রযুক্তি মজুদ করে রেখছেন।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টের শাসনামলের শেষদিকে এই তথ্য জানতে পারে ওয়াশিংটন। ক্ষমতা বদলের পর বর্তমান ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
তবে ইরানের রাষ্ট্রপ্রধান আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি এখনো বোমা তৈরির নির্দেশ দেননি বলে মত ওয়াশিনটনের কর্মকর্তাদের।
‘বেশ কয়েকটি বোমা তৈরি করার মতো প্রয়োজনীয় কাঁচামাল মজুদ থাকলেও উপযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করতে অন্তত এক বছর লাগবে। এই সময়ের মধ্যে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ আসার সম্ভাবনা প্রবল’, জানাচ্ছেন তারা।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় তেহরান বড় আকারের পারমাণবিক বোমার বদলে কম শক্তিশালী ,তবে দ্রুত তৈরি করা যায়- এমন বোমা তৈরির ব্যবস্থা রেখেছে বলে মত মার্কিন প্রশাসকদের।
এই প্রসঙ্গে আলোচনা করতে নেতানিয়াহু-ট্রাম্পের বৈঠক সংঘটিত হবে বলে গুঞ্জন ওয়াশিংটনপাড়ায়।
সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যে হামাস ও হিজবুল্লাহের মতো ইরানপন্থি সশস্ত্র সংগঠনের অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়ায় ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ইরানের প্রভাব নিম্নমুখী।
নেতুনিয়াহু অতীতে ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান ঘোষণার বিষয়ে দ্বিধান্বিত থাকলেও তেহরানের ভঙ্গুর অবস্থা বিবেচনা করে এবার যুদ্ধের ঘোষণা দেবেন বলে ধারণা করেছেন প্রশাসকরা।
এ পরিস্থিতিতে সমোঝোতায় আগ্রহ দেখিয়েছেন করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। তবে প্রেসিডেন্ট দেশের পারপমাণবিক অবস্থান নিয়ে ওয়াকিবহাল নন বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।
এ বিষয়ে আলোচক করিম শাজাদপুর বলেন, ‘খামেনির কাছে নিয়মিত সামরিক ও গোয়েন্দা প্রতিবেদন যায়। অন্যেরা এসব খবর সচরাচর পান না।’
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কূটনীতির মাধ্যমে সমাধানে আগ্রহ প্রকাশ করলেও প্রয়োজনে সামরিক শক্তি প্রয়োগের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন। সূত্র: দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস
নাইমুর/