
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) সংস্কারের একটি পরিকল্পনা সামনে এনেছে। যেখানে সংস্থাটির নেতৃত্বে একজন আমেরিকানকে বসানোর প্রস্তাব রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স একটি প্রস্তাবনা নথি এবং সংস্থা সংশ্লিষ্ট দুইটি সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, এই পরিকল্পনার লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্রের সদস্যপদ বজায় রাখা।
ট্রাম্পের দায়িত্ব গ্রহণের আগে তার উপদেষ্টাদের কাছে পাঠানো একটি নথিতে যুক্তরাষ্ট্রকে দ্রুত ডব্লিউএইচও থেকে বেরিয়ে আসার সুপারিশ করা হয়েছিল। ট্রাম্প প্রশাসনকে একটি ‘নতুন কৌশল’ গ্রহণেরও পরামর্শ দেওয়া হয়, যেখানে ২০২৭ সালে বর্তমান মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম ঘেব্রেয়াসিয়াসের মেয়াদ শেষ হলে একজন মার্কিন কর্মকর্তাকে মহাপরিচালক করার প্রচেষ্টা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম দিকের নীতিগত পদক্ষেপ হিসেবে ডব্লিউএইচও থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে যাওয়ার নির্বাহী আদেশ জারি করেন। এর ফলে ২০২৬ সালের জানুয়ারির মধ্যে সংস্থাটি সর্ববৃহৎ অর্থায়নকারী দেশকে হারাবে, যা সংস্থাটির কার্যক্রমে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। আদেশে সংস্থাটিকে কোভিড-১৯ মহামারির ভুল ব্যবস্থাপনার জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে। দাবি করা হয়েছে, সংস্থাটি কিছু দেশের অযাচিত প্রভাবের শিকার হয়েছে। তবে, ডব্লিউএইচও তা অস্বীকার করেছে এবং বলেছে যে, তারা বৈশ্বিক স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করতে নিরপেক্ষভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
পরে যদিও ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, ডব্লিউএইচও যদি তাদের কর্মকাণ্ডে ‘স্বচ্ছতা’ আনে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ফের যোগ দিতে পারে। তবে, তিনি স্পষ্ট করেননি, এই ‘স্বচ্ছতা’ বলতে ঠিক কী বোঝানো হয়েছে বা কী পরিবর্তন প্রয়োজন। সংস্কার প্রস্তাবটি নিয়ে ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার আগে থেকেই আলোচনা চলছিল। তবে তার প্রশাসন সংস্থাটির অন্য কোনো সুপারিশ গ্রহণ করবে কি না, তা স্পষ্ট নয় বলে সংশ্লিষ্ট দুই সূত্র জানিয়েছে।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কুশ দেসাই রয়টার্সকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, ট্রাম্প প্রশাসন প্রয়োজনীয় সংস্কার বাস্তবায়নের জন্য বর্তমান প্রক্রিয়া ও স্বাস্থ্য সংস্থাগুলোর পর্যালোচনা চালিয়ে যাবে। তবে তিনি ডব্লিউএইচও সম্পর্কিত কোনো আলোচনার বিষয়ে মন্তব্য করেননি। সূত্র: রয়টার্স