ঢাকা ৯ চৈত্র ১৪৩১, রোববার, ২৩ মার্চ ২০২৫
English

গাজা দখলে সেনাদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৪৭ এএম
আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৫৭ এএম
গাজা দখলে সেনাদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ
গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র সরাতে ট্রাম্পের প্রস্তাবকে সমর্থন নেতানিয়াহুর। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা উপত্যকা দখলের ‘হঠকারী’ বক্তব্যে বিস্মিত পুরো বিশ্ব। কোনো ধরনের আগাম বার্তা ছাড়াই ট্রাম্প বলে বসলেন, যুক্তরাষ্ট্র গাজা উপত্যকার দখল নেবে এবং এর পুনর্গঠন করে অবকাশ যাপনকেন্দ্রে পরিণত করবে। ট্রাম্পের এই ঘোষণাকে এবার আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন দিল দখলদার দেশ ইসরায়েল। পাশাপাশি ট্রাম্পের ঘোষণা অনুযায়ী গাজার বিপুলসংখ্যক মানুষকে এলাকা থেকে বের করে দেওয়ার কাজ পরিচালনা করতে ইসরায়েলি সেনাদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

এদিকে ট্রাম্পের ঘোষণায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ, হামাস, মুসলিম বিশ্বসহ পশ্চিমেও নিন্দার ঝড় উঠেছে। সবাই বলছেন, ট্রাম্পের পরিকল্পনার বাস্তবায়ন হবে জাতিগত নির্মূলের শামিল এবং আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। কিন্তু নেতানিয়াহু জোর দিয়ে বলেছেন, ‘ট্রাম্পের পরিকল্পনাটি অসাধারণ’।

নেতানিয়াহু ফক্স নিউজকে বলেন, ‘এটি আমার শোনা গাজা সম্পর্কে প্রথম ভালো ধারণা। এটি একটি অসাধারণ পরিকল্পনা, আমি মনে করি সত্যিই এর অনুসরণ, নিরীক্ষা এবং বাস্তবায়ন করা উচিত। কারণ আমি মনে করি এটি সবার জন্য একটি ইতিবাচক ভবিষ্যৎ তৈরি করবে।’

ট্রাম্পের ঘোষণার মাধ্যমে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন সংকট প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র তার দীর্ঘদিনের দ্বিরাষ্ট্রনীতি থেকে এক প্রকার সরে এল। সমালোচকদের অনেকে বলছেন, ট্রাম্পের এই নীতির প্রয়োগ হলে মধ্যপ্রাচ্যের কেন্দ্রে মার্কিন সৈন্যদের আরেকটি যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে পারে। এই আশঙ্কায় হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারাও ট্রাম্পকে তার পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনা করার এবং সেখান থেকে ফিরে আসার অনুরোধ করেছেন। 

ট্রাম্পের গাজানীতির কুশীলব কুশনার!

কোন অভিলাষ থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট গাজা দখলে নিতে চাইছেন- এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনারের নাম। 

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের খবর অনুযায়ী, ট্রাম্পের গাজা দখল এবং ফিলিস্তিনিদের সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনার পেছনের কুশীলব ছিলেন জ্যারেড কুশনার। হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পাশে দাঁড়িয়ে ট্রাম্প যে বক্তব্য দিয়েছিলেন, তা প্রণয়নে জড়িত ছিলেন কুশনার। আগে থেকে ট্রাম্পকে এ ধরনের পরিকল্পনার বিষয়ে নেতানিয়াহু অনুরোধ করেননি বলে জানায় সংবাদমাধ্যমটি।

রয়টার্সও একই ধরনের খবর দিয়েছে। বার্তা সংস্থাটি বলছে, ট্রাম্পের ঘোষণার মাধ্যমে গাজায় একটি সমুদ্রতীরবর্তী আন্তর্জাতিক অবকাশ যাপনকেন্দ্র গড়ে তোলার বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় এসেছে। যদিও এক বছর আগে তার জামাতা কুশনারের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো বিষয়টি আলোচিত হয়েছিল।

২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে হার্ভার্ডে এক অনুষ্ঠানে কুশনার বলেন, যদি মানুষ জীবিকা গড়ে তোলার দিকে মনোযোগ দেয়, তা হলে গাজার সমুদ্র উপকূলীয় আবাসন ব্যবস্থা খুবই মূল্যবান হতে পারে।  ইসরায়েলের দৃষ্টিকোণ থেকে আমি তাদের (ফিলিস্তিনিদের) সরিয়ে অঞ্চলটি পরিষ্কার করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতাম।

অবশ্য গাজা দখলে নিয়ে এটিকে অবকাশ যাপনকেন্দ্রে রূপ দেওয়ার ট্রাম্পের পরিকল্পনা কীভাবে কার্যকর হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়ে গেছে।

রিয়াদের রয়্যাল কোর্টের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রের মত, আরব বিশ্বের উদীয়মান শক্তি সৌদি আরব ট্রাম্পের ঘোষণাকে খুব গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছে না। এটি তেমন কোনো ভাবনার মধ্যে আনা হয়নি এবং এটি কার্যকর করা অসম্ভব। তাই দিনশেষে ট্রাম্প নিজেও তা বুঝবেন।

গত বুধবার এক বিবৃতিতে সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ফিলিস্তিনিদের তাদের ভূমি থেকে উৎখাত করার যেকোনো চেষ্টা প্রত্যাখ্যান করছে দেশটি। গাজায় বিনিয়োগ নিয়ে কোনো আলোচনায় কুশনার এরই মধ্যে অংশ নিয়েছেন কি না, তা নিশ্চিত হতে পারেনি রয়টার্স। ইতিপূর্বে তার ইকুইটি প্রতিষ্ঠান সৌদি আরবের কাছ থেকে ২০০ কোটি ডলারসহ উপসাগরীয় দেশগুলোর কাছ থেকে বিনিয়োগ পেয়েছে। এসব বিষয়ে কুশনারের একজন মুখপাত্রের কাছে জানতে চাইলে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে কোনো সাড়া দেননি।

নেতানিয়াহুবিরোধী বিক্ষোভ নিয়ে বিপাকে ইসরায়েল, অন্তর্দ্বন্দ্ব চরমে

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১২:৪৮ পিএম
নেতানিয়াহুবিরোধী বিক্ষোভ নিয়ে বিপাকে ইসরায়েল, অন্তর্দ্বন্দ্ব চরমে
গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি চায় বিক্ষোভকারীরা। ছবি: সংগৃহীত

প্রতিবাদে মুখরিত তেল আবিব। নেতানিয়াহুর নেওয়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে বিক্ষোভ করছে হাজার হাজার মানুষ।

ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেত নিরাপত্তা পরিষেবার প্রধান রোনেন বারকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত এবং গাজায় পুনরায় যুদ্ধ শুরুর প্রতিবাদে শনিবার (২২ মার্চ) রাস্তায় নেমেছে তারা। এই বিক্ষোভ সামাল দিতে বেশ বিপাকে পড়ছে নেতানিয়াহু প্রশাসন। 

এর আগেই ইসরায়েলের রোনেন বারকে বহিস্কার করা নিয়ে দখলদার ইসরায়েল প্রশাসনের শীর্ষস্তরেও চরম অন্তর্দ্বন্দ্ব দেখা দেয়।

রবিবার ( ২৩ মার্চ) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা একটি প্রতিবেদনে এই খবর জানায়।

এছাড়া তেল আবিবের হাবিমা স্কয়ারে বিক্ষোভকারীরা নীল-সাদা ইসরায়েলি পতাকা নেড়ে গাজায় আটক থাকা অবশিষ্ট বন্দীদের মুক্তির জন্য একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির আহ্বান জানায়।

এছাড়া রবিবার( ২৩ মার্চ) ইসরায়েলের সংসদ এবং পশ্চিম জেরুজালেমে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনেও বিক্ষোভের পরিকল্পনা করা হয়।

গাজায় পুনরায় যুদ্ধ শুরু হওয়াতে, ইসরায়েলি বন্দীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। তাদের মধ্যে ২৪ জন এখনও জীবিত বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা বলছেন, যুদ্ধ চালিয়ে গেলে তারা হয় তাদের বন্দীদের হাতে মারা যাবে অথবা ইসরায়েলি হামলায় নিহত হবে।

এদিকে নেতানিয়াহু এই সপ্তাহে বলেন, তিনি ২০২১ সাল থেকে শিন বেতের নেতৃত্বে থাকা রোনেন বারে’র প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেন তাই তাকে ১০ এপ্রিল থেকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেন। সূত্র:  আল- জাজিরা

দিনা/

 

এবার ইয়েমেনের বিমানবন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা হামলা

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১২:০২ পিএম
এবার ইয়েমেনের বিমানবন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা হামলা
ইয়েমেনের হোদেইদা বিমানবন্দরে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। জানিয়েছে দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতি । ছবি: সংগৃহীত

এবার ইয়েমেনের হোদেইদা বিমানবন্দরে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার (২২ এপ্রিল) এ তথ্য জানায় দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতি ।

এক সপ্তাহ আগে ইয়েমেনের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক হামলা চালায় মার্কিন বাহিনী। গতকাল হুতিরা জানালো, নতুন করে হোদেইদা বিমানবন্দরে হামলা চালায় মার্কিন বাহিনী।

হুতি নিয়ন্ত্রিত আল-মাসিরাহ টিভি এই হামলাকে ‘আমেরিকার আগ্রাসন’ হিসেবে অভিহিত করে। টিভি চ্যানেলটি জানায়, লোহিত সাগর উপকূলবর্তী হোদেইদা বিমানবন্দরে এ পর্যন্ত তিনবার হামলা চালানো হয়।

১৯-২১ মার্চ পর্যন্ত ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা টানা যুক্তরাষ্ট্রের হামলার তথ্য জানায়। এর আগে গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনজুড়ে ভারী বিমান হামলা চালানোর তথ্য নিশ্চিত করে। যুক্তরাষ্ট্র হুমকি দেয় হুতিদের পুরোপুরি ‘নিশ্চিহ্ন’ করে দেওয়া হবে।

এছাড়া ১৫ মার্চ যুক্তরাষ্ট্র জানায় তারা হুতি নেতাদের লক্ষ্য করে হামলা চালায়। এই হামলায় ইয়েমেনে ৫৩ জন নিহত হন বলে জানায় হুতিদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
চলতি মাস গাজায় হামলা চালিয়ে আবার শত শত ফিলিস্তিনিদের হত্যা করে দখলদার ইসরায়েল। এর জবাবে লোহিত সাগরে চলাচলকারী সব ইসরায়েলি জাহাজে হামলার হুমকি দেয় হুতি। এরপরই যুক্তরাষ্ট্র হুতি স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালানো শুরু করে।

সূত্র: এএফপি

দিনা/

হাসিনাবিরোধী গণবিক্ষোভের কথা আগেই জানত ভারত: জয়শঙ্কর

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১১:৩৯ এএম
আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১১:৪৯ এএম
হাসিনাবিরোধী গণবিক্ষোভের কথা আগেই জানত ভারত: জয়শঙ্কর
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর দেশটির পররাষ্ট্রবিষয়ক পার্লামেন্টারি পরামর্শক কমিটিকে জানান, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার আগেই ভারত তার বিরুদ্ধে তৈরি হওয়া জনমতের বিষয়টি জানতে পারে। তবে শেখ হাসিনাকে পরামর্শ দেওয়া ছাড়া দেশটি বিশেষ কিছু করতে পারেনি বা সম্ভব হয়নি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু জানায়, জয়শঙ্কর ইঙ্গিত দেন, অন্যান্য বড় আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর মতো ভারতও বাংলাদেশের ভেতরের অস্থির পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত ছিল।

এ প্রসঙ্গে তিনি জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক প্রধান ভলকার তুর্কের সাম্প্রতিক বক্তব্যের উল্লেখ করেন। জাতিসংঘ তখন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে সতর্ক করে যে, যদি তারা নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের উপর হামলা চালায়, তাহলে তাদের শান্তিরক্ষা মিশন থেকে নিষিদ্ধ করা হতে পারে।

ভারতের পররাষ্ট্রবিষয়ক পরামর্শক কমিটির সদস্যরা জয়শঙ্করের সঙ্গে দেশটির পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে সরাসরি আলোচনা করেন, যেখানে বাংলাদেশ, মায়ানমার, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের পরিস্থিতিই আলোচনার প্রধান বিষয় হয়ে ওঠে।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ভারতের সঙ্গে সংলাপ শুরু করলেও শেখ হাসিনাকে ভারত রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ায় দিল্লি-ঢাকার সম্পর্ক এখনও স্বাভাবিক হয়নি। ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ করতে গত ডিসেম্বরে পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রিকে ঢাকায় পাঠায়।

তবে আগামী ২ এপ্রিল থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অনুষ্ঠিতব্য বিমসটেক (বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন) শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যে আনুষ্ঠানিক বৈঠক হবে কি না- সে বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনো কিছু জানায়নি।

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এরই মধ্যে ঢাকায় একাধিক আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বকে স্বাগত জানান। বর্তমানে তিনি চীন সফরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। দুই দেশের মধ্যে একাধিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে। বিশেষ করে বিমান যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন সমঝোতা হতে পারে, যাতে ঢাকা ও চট্টগ্রামের সঙ্গে চীনের বিভিন্ন শহরের সংযোগ আরও জোরদার হয়।

এস. জয়শঙ্কর এই আলোচনায় উল্লেখ করেন, বাংলাদেশে ‘বহিরাগত শক্তির’ ভূমিকা রয়েছে এবং চীনকে তিনি ‘প্রতিপক্ষ’ নয়, বরং ‘প্রতিযোগী’ হিসেবে দেখেন।

জয়শঙ্কর দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক) নিয়েও আলোচনা করেন। ২০১৪ সালের পর থেকে সংস্থাটির কোনো শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি। ২০১৬ সালে পাকিস্তানে নির্ধারিত ১৯ তম সার্ক সম্মেলনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দেয় ভারত। কারণ সে বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর উরিতে ভারতীয় সামরিক স্থাপনায় হামলা হয়। এরপর থেকে ভারত বিমসটেককে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে, ফলে সার্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

তবে ব্রিফিংয়ে জয়শঙ্কর ইঙ্গিত দেন, ‘সার্ক বাতিল হয়নি, বরং বিরতিতে আছে।’ অর্থাৎ, ভবিষ্যতে এটির পুনরুজ্জীবিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ভারতীয় এমপিরা প্রতিবেশী দেশগুলোতে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং জানতে চান, আগামী এক দশকে মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ ও নেপালে চীনের প্রভাব মোকাবিলায় ভারত কী পদক্ষেপ নেবে। সুত্র: দ্য হিন্দু

দিনা/

রাজপুত হত্যাকাণ্ডের ময়নাতদন্ত প্রকাশ, ভয়াবহ নৃশংসতার প্রমাণ

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১০:৩৩ এএম
আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১১:০২ এএম
রাজপুত হত্যাকাণ্ডের ময়নাতদন্ত প্রকাশ, ভয়াবহ নৃশংসতার প্রমাণ
মার্চেন্ট নেভি অফিসার সৌরভ রাজপুতের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত সাহিল শুক্লাকে ১৯ মার্চ আদালতে হাজির করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের সাবেক মার্চেন্ট নেভি কর্মকর্তা সৌরভ রাজপুতের দেহের ময়নাতদন্তের রিপোট প্রকাশ করা হয়েছে।

রিপোর্টে বলা হয়, তার মাথা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল। উভয় হাতের কব্জি থেকে কেটে ফেলা হয় এবং তার পা পিছনের দিকে বাঁকানো ছিল।

তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে শক এবং অতিরিক্ত রক্তপাতের কথা উল্লেখ করা হয়।

ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকরা জানান, ময়নাতদন্তে মিরাট হত্যাকাণ্ডের ভয়াবহ নৃশংসতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। হত্যার আগে রাজপুতের হৃদপিণ্ডে তিন বার অত্যন্ত জোরে ছুরিকাঘাত করা হয়। যা একটি সহিংস আক্রমণ।
 
অভিযোগ রয়েছে, এই কর্মকর্তার স্ত্রী মুসকান রাস্তোগি এবং তার প্রেমিক সাহিল শুক্লা ৪ মার্চ রাজপুতকে মাদকাসক্ত করে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন। এরপর তার দেহ টুকরো টুকরো করে সিমেন্ট দিয়ে একটি ড্রামে সিল করে মুসকান এবং সাহিল হিমাচল প্রদেশে ছুটি কাটাতে চলে যান।

তারপর অপরাধ ধামাচাপা দিতে রাজপুতের ফোন থেকে বার্তা পাঠিয়ে তার পরিবারকে বিভ্রান্ত করেন। ১৮ মার্চ রাজপুতের পরিবার তার নিখোঁজ হওয়ার খবর পুলিশকে জানালে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা প্রকাশ পায়। পরে মুসকান এবং সাহিলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অপরাধ গোপন করার জন্য তারা মরদেহ রাখা ড্রামটি সিমেন্ট দিয়ে ভরাট করে দেয়। পুলিশ ড্রামটি উদ্ধার করে সিমেন্ট সরিয়ে রাজপুতের দেহাবশেষ বের করে। সূত্র: দ্য হিন্দু এবং ইন্ডিয়া টুডে

> ভারতের মার্চেন্ট নেভি অফিসার হত্যাকাণ্ডে কালো জাদু রহস্য!

দিনা/অমিয়/

দুটির বেশি ডিম কিনতে পারছেন না মার্কিনিরা

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০৯:৫৮ এএম
আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১০:১৮ এএম
দুটির বেশি ডিম কিনতে পারছেন না মার্কিনিরা
সরবরাহ কম থাকায় যুক্তরাষ্ট্রের কিছু দোকান থেকে দুটির বেশি ডিম কিনতে পারছেন না ক্রেতারা। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ডিমের ভয়াবহ সংকটের কারণে দেশটির অধিকাংশ দোকানে নোটিশ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়, ‘চাহিদা ও সরবরাহ কম থাকায় একসঙ্গে দুটি ডিমের বেশি কিনতে পারবেন না।’

এই সংকটের জন্য বার্ড ফ্লু মহামারিকে দায়ী করা হচ্ছে। ২০২২ সাল থেকে এই ভাইরাস যুক্তরাষ্ট্রের পোলট্রি শিল্পের ব্যাপক ক্ষতি করে। এ পর্যন্ত দেশটিতে ১৫৬ মিলিয়নের বেশি মুরগি মারা যাওয়ার পর ডিমের সংকট দেখা দেয়।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ডিমের দাম প্রায় ৬৫ শতাংশ বাড়ে। আশঙ্কা আছে, চলতি বছর আরও ৪১ শতাংশ বাড়তে পারে।

এদিকে ঊর্ধ্বমুখী ডিমের বাজার সামলাতে তুরস্ক ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে বিপুল ডিম আমদানির পরিকল্পনা করে দেশটি। এ ছাড়া দেশটির কৃষি মন্ত্রণালয় জানায়, আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গেও ডিম আমদানির বিষয়ে আলোচনা চলে।

বিদেশ থেকে ডিম আমদানি ছাড়াও ডিমের দাম কমানোর জন্য ট্রাম্প প্রশাসন ১ বিলিয়ন ডলারের পরিকল্পনা ঘোষণা করে। খামারে ফ্লুজাতীয় রোগ বা বায়োসিকিউরিটি ব্যবস্থা জোরদার করতে ৫০০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দের ঘোষণা দেওয়া হয়। এছাড়া  ভ্যাকসিন গবেষণা ও উন্নয়নে ১০০ মিলিয়ন ডলার, কৃষকদের আর্থিক সহায়তায় দেওয়া হয় ৪০০ মিলিয়ন ডলার। সূত্র: বিবিসি

দিনা/