
রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে মার্কিন সামরিক সহায়তার বিনিময়ে দেশের দুর্লভ খনিজসম্পদ দিতে রাজি হয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে এই প্রস্তাব দেন জেলেনস্কি।
ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ চুক্তিতে সম্মত তিনি। যুক্তরাষ্ট্রকে দেওয়া খনিগুলোতে টাইটেনিয়াম ও ইউরেনিয়ামসহ কয়েকধরণের মূল্যবান সম্পদ রয়েছে।
রয়টার্সকে জেলেনস্কি বলেন, ‘সামরিক সহায়তার বিনিময়ের আর্থিক চুক্তি চাইছেন ট্রাম্প। তবে তাই হোক। আমরা রাজি।’, চলমান যুদ্ধে রাশিয়াকে মোকাবিলা করতে যেকোনো মূল্যে নিরাপত্তা দরকার জানিয়ে বলেন জেলেনস্কি।
এ সময় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জানান, ইউরোপের সবচেয়ে বেশি টাইটেনিয়ামের মজুদ ইউক্রেনেই রয়েছে। বিমান ও মহাকাশযান তৈরির পাশাপাশি পারমাণবিক খাতে এই ধাতুর কার্যকারিতা অনেক।
তবে ইউক্রেনের প্রায় অর্ধেক খনিসম্বলিত এলাকা রাশিয়ার দখলে জানিয়ে জেলেনস্কির মন্তব্য, এসব খনি মার্কিন শত্রুপক্ষ ইরান ও উত্তর কোরিয়ার অধীনে এলে যুক্তরাষ্ট্রেরই ক্ষতি।
তবে ইউক্রেনের খনিজসম্পদ যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের ‘হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে না’ জানিয়ে জেলেনস্কি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছে। এই পরিস্থতিতে দুই দেশেরই যখন লাভের সুযোগ এসেছে তখন ওয়াশিংটনই প্রাধান্য পাবে।’
এ ছাড়া মার্কিন তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস সংরক্ষণে ইউক্রেনের ভূগর্ভস্থ মজুদাগার ব্যবহারের বিষয়েও আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এই চুক্তিতে ট্রাম্প প্রশাসন আগ্রহী বলে জানান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।
জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে ট্রাম্পের বিশেষ দূত রাশিয়া ও ইউক্রেন প্রশাসনের সঙ্গে জার্মানির মিউনিখ শহরে সাক্ষাৎ করবেন।
তবে রাশিয়ার আগেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান জেলেনস্কি।
এদিকে রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে নতুন করে প্রায় আড়াই কিলোমিটার অঞ্চল দখলে নিয়েছে ইউক্রেন। তবে উত্তর কোরিয়ার সামরিক মদদপুষ্ট রুশ সেনাবাহিনীরাও লড়ছেন সমানে সমানে। সূত্র: রয়টার্স।
নাইমুর/