ঢাকা ৫ চৈত্র ১৪৩১, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
English

আলাস্কায় নিখোঁজ বিমানের সন্ধান

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৩৪ এএম
আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৩৫ এএম
আলাস্কায় নিখোঁজ বিমানের সন্ধান
আলাস্কার বরফ থেকে উদ্ধার হয়েছে নিখোঁজ যাত্রীবাহী বিমান। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রে আলাস্কা অঙ্গরাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলে নিখোঁজ একটি যাত্রীবাহী ছোট বিমানের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিমানের ১০ আরোহীর সবাই প্রাণ হারিয়েছেন।
 
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় বিকেলে খবরটি নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড।

আলাস্কার নোম এলাকা থেকে প্রায় ৫৪ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে বিমানটি পাওয়া গেছে। অঙ্গরাজ্যের উনালাক্লিত শহর থেকে নোম শহরের উদ্দেশে যাত্রা করছিল বিমানটি। এ সময় নর্টন সাউন্ড এলাকায় এসে নিচের দিকে পড়তে শুরু করে উড়োজাহাজটি।

হেলিকপ্টারের মাধ্যমে পুরো অঞ্চল তল্লাশি চালিয়ে বিমানটি উদ্ধার করে ইউএস কোস্টগার্ড।

এ প্রসঙ্গে লেফটেন্যান্ট কমান্ডার বেনজামিন কোবল বলেন, ‘কোনো অজানা কারণে অল্প সময়েই বিমানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাটিতে পড়তে শুরু করেছিল।’

কি ধরনের জটিলতার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে- এমন প্রশ্নের জবাবে বেনজামিন বলেন, ‘এখনো কিছুই ধারণা করা যাচ্ছে না।’

বিমানটি উনালাক্লিত থেকে স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটার দিকে রওনা দেয়। ঘণ্টাখানেক পর থেকে বিমানটির সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা সম্ভব হচ্ছিল না।

বিমানে ৯ জন যাত্রী ও পাইলট ছিলেন বলে জানায় ইউএস কোস্টগার্ড।
 
এর আগে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া, হালকা বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হয়। আলাস্কার বিমান কর্তৃপক্ষ গত বৃস্পতিবার রাতে উদ্ধার অভিযানে একটি হেলিকপ্টার পাঠালেও আবহাওয়ার কারণে দৃষ্টিসীমা কম হওয়ায় ফিরে আসতে বাধ্য হয়।

যুক্তরাষ্ট্রে আট দিনের মাথায় তৃতীয় বিমান দুর্ঘটনা ঘটল। এর আগে রাজধানী ওয়াশিংটনে একটি যাত্রীবাহী বিমানের সঙ্গে সামরিক হেলিকপটারের সংঘর্ষে ৬৭ জন মারা যান। দ্বিতীয় ঘটনায় ফিলাডেলফিয়ায় দুর্ঘটনার শিকার হয় একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স।

এদিকে আলাস্কার বিমান দুর্ঘটনায় ভুক্তভোগীদেরে নাম জানায়নি স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

নাইমুর/

ইউক্রেন ইস্যুতে বেকায়দায় ট্রাম্প

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০২:১১ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০২:২২ পিএম
ইউক্রেন ইস্যুতে বেকায়দায় ট্রাম্প
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন। ইনসেটে আলোচনারত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের চেয়ে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) পুতিনের সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টার ফোনালাপকে তিনি ‘বেশ কার্যকর’ দাবি করলেও রুশ প্রেসিডেন্টের সুর খুব একটা বন্ধুত্বপূর্ণ ছিল না। ইউক্রেন ইস্যুতে পুতিনের অবস্থানে কোনো ধরণের সমঝোতার সম্ভাবনা দেখছেন বিশ্লেষকরাও। এই ধারণার প্রতিফলন ক্রেমলিনের বক্তব্যেই স্পষ্ট হয়। আগামী ৩০ দিন ইউক্রেনের জ্বালানীবহরে আক্রমণ থামাতে রাজি হলেও পুরোপুরি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত নয় রাশিয়া। অথচ নির্বাচনী প্রচারণায় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের প্রতিশ্রুতি বেশ জোর গলায়ই দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই পরিস্থিতিতে কিছুটা বেকায়দায় পড়েছেন তিনি।

আলোচনায় পুতিনের দাবি ছিল, ইউক্রেনকে দেওয়া মার্কিন সামরিক সহায়তা পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে। পুতিনের এই প্রস্তাব মেনে নিলে ইউক্রেন যে প্রতিরক্ষা খাতে চরম দুর্বলতায় জর্জরিত হয়ে পড়বে তা সহজেই অনুমেয়।

এদিকে চলমান সহিংসতার পুরো দায় ইউক্রেনকেই দিয়েছে ক্রেমলিন।

এর আগে ইউক্রেনের সম্মতি সাপেক্ষে রাশিয়ার কাছে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জবাবে আংশিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি প্রকাশ করেছেন পুতিন। এতে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার শঙ্কাই প্রমাণ হলো। তারা জানিয়েছিলন, পুতিন যুদ্ধবিরতির নামে পুনরায় তীব্রতর সহিংসতার পাঁয়তারা করছেন। 

এ অবস্থায় বেশ বেকায়দায় পড়েছেন ট্রাম্প। তার সামনে এখন দুটো পথ খোলা: হয় তিনি পুতিনের কথা মেনে ইউক্রেনকে আরও চাপ দেবেন অথবা আর্থিক নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে পুতিনকে নিশর্ত যুদ্ধবিরতিতে রাজি করাবেন। প্রথম পথে গেলে যুক্তরাষ্ট্রের পুরোনো ইউরোপীয় বন্ধু যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স খেপবে।

ইউরোপ চায়, শান্তিচুক্তির মাধ্যমে ইউক্রেনে দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। এই প্রস্তাব বাস্তবায়নে যুক্তরাষ্ট্রকে দেশগুলো সামরিক ও গোয়েন্দা সহায়তা দিতেও প্রস্তুত। যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেট্রারি অব স্ট্রেট মার্কো রুবিও বলছেন, ‘বাধা ছাড়া চূড়ান্ত শান্তি আসে না।’

এতদসত্ত্বেও, পুতিনকে প্রায় জিতিয়েই দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ‘পুণর্গঠনের’ ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ট্রাম্পের এসব মন্তব্যের কারণে ইউক্রেন আরও নাজুক কূটনৈতিক গ্যাঁড়াকলে পড়েছে।

এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের জোর জবরদস্তির লোক দেখানো যুদ্ধবিরতি আসলেই ইউক্রেনে শান্তি ফিরিয়ে আনে নাকি ইউরোপের বুকে গাজার প্রতিচ্ছবি দেখতে যাচ্ছে বিশ্ব- এটা সময়ের কাছে ছেড়ে দেওয়া ছাড়া উপায় নেই। সূত্র: দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট

নাইমুর/

সুনীতাদের ফেরানোর কৃতিত্ব নিয়ে বাইডেনকে খোঁচা ট্রাম্পের

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০২:০৮ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০২:১৯ পিএম
সুনীতাদের ফেরানোর কৃতিত্ব নিয়ে বাইডেনকে খোঁচা ট্রাম্পের
সুনীতা এবং বুচ উইলমোর পৃথিবীতে ফিরে আসার পর তাদের পৃথিবীতে ফেরানোর ব্যাপারে কৃতিত্ব নিজের কাঁধে নেওয়ার পাশাপাশি এবার জো বাইডেনকেও খোঁচা দিলেন ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর সুনীতাদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব নিতে ইলন মাস্ককে অনুরোধ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে স্পেসএক্সের মোহাকাশযান পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়।

সুনীতা এবং বুচ উইলমোর পৃথিবীতে ফিরে আসার পর তাদের পৃথিবীতে ফেরানোর ব্যাপারে কৃতিত্ব নিজের কাঁধে নেওয়ার পাশাপাশি এবার জো বাইডেনকেও খোঁচা দিতে ছাড়লেন না তিনি।

এর আগেই উইলমোর এবং উইলিয়ামসের প্রত্যাবর্তন ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য একটি রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত হয়। তিনি ১৮ ফেব্রুয়ারি ফক্স নিউজকে বলেন,’বাইডেন রাজনৈতিক কারণে মহাকাশচারীদের মহাকাশেই রেখে গেছেন।‘ 

দ্রুত পদক্ষেপ না নেওয়ার জন্যও সাবেক রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনকে সমালোচনা করে ট্রাম্প নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) একাউন্টে একটি পোস্টে বলেন, ‘আমি ইলন মাস্ক এবং @SpaceX কে অনুরোধ করেছি তারা যেন দুই সাহসী নভোচারীকে ‘ফিরিয়ে আনে  যাদের বাইডেন প্রশাসন কার্যত মহাকাশে ফেলে রেখে গেছে। তারা অনেক মাস ধরে @Space Station-এ অপেক্ষা করছে। ইলন শীঘ্রই তার পথে ফিরে আসবে। আশা করি, সবাই নিরাপদে থাকবে। শুভকামনা ইলন!!!' সূত্র: ফক্স নিউজ

দিনা/

গাজার ডি-ফ্যাক্টো ‘প্রধানমন্ত্রীকে’ হত্যা

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০১:২৯ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০১:৩৮ পিএম
গাজার ডি-ফ্যাক্টো ‘প্রধানমন্ত্রীকে’ হত্যা
গাজার ডি-ফ্যাক্টো প্রধানমন্ত্রী ইশাম দা-লিসকে হত্যা করেছে আইডিএফ। ছবি: সংগৃহীত

গাজা উপত্যকার ডি-ফ্যাক্টো (কার্যত) প্রধানমন্ত্রী ইশাম দা-লিস  এবং হামাসের আরও বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে আইডিএফ।

এক বিবৃতিতে আইডিএফ জানায়, তাদের হামলায় নিহত হন ইশাম দা-লিস। গাজায় তার পদবী ‘সরকারের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ’ কমিটির প্রধান। যা প্রধানমন্ত্রীর সমপর্যায়ের পদ।

এই হামলায় ইশাম দা-লিস ছাড়াও গাজার হামাস সরকারের বিচার মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক আহমেদ আল-খাত্তা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আবু ওয়াতফা এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান বাহজাত আবু সুলতান নিহত হন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মাহমুদ আবু ওয়াতফা হামাস সরকারের পুলিশ এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার বিষয়টি দেখতেন।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, হামাস সরকারের উচ্চপদস্থ এ চার নেতাকে লক্ষ্য করে হত্যা করা হয়। আইডিএফ আরও জানায়, এসময় হামাসের মধ্যম সারির কমান্ডারদেরও হামলায় লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়। যার উদ্দেশ্য ছিল হামাসের সামরিক ও বেসামরিক সরকারের উপর বড় আঘাত হানা। যেন তারা গাজায় নিয়ন্ত্রণ হারায় এবং ইসরায়েলের জন্য কোনো ধরনের হুমকিতে পরিণত না হয়।

এরআগে গাজার সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাহি মুস্তাহাকে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে হত্যা করে ইসরায়েল। তার স্থলাভিষিক্ত হন ইশাম দা-লিস।

ইসরায়েল হুমকি দেয়, হামাস তাদের জিম্মিদের মুক্তি না দিলে গাজায় এ ধরনের হামলা অব্যাহত রাখা হবে। মঙ্গলবার ( ১৮ মার্চ) রাতে ঘুমন্ত গাজাবাসীর উপর বর্বরোচিত বোমা হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে চারশতরও বেশি মানুষ নিহত হন। যাদের মধ্যে অসংখ্য নারী ও শিশু রয়েছেন। সূত্র: দ্য টাইমস অব ইসরায়েল

দিনা/

গাজায় ধ্বংসস্তূপে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে নিহতদের মাংসপিণ্ড

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ১২:৫৩ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০১:০৭ পিএম
গাজায় ধ্বংসস্তূপে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে নিহতদের মাংসপিণ্ড
গত কয়েকদিনে অধিকৃত পশ্চিম তীরেও ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এবং বসতি স্থাপনকারীদের বেশ কয়েকটি  সংঘর্ষে্র ঘটনা ঘটে। ছবি: সংগৃহীত

গাজা উপত্যকা যেন নরকের অপর নাম। এখানকার মানুষগুলো যেভাবে দিন কাটাচ্ছেন কল্পিত নরকেও হয়ত মানুষকে এতটা বীভৎস পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে যেতে হবে না। আইডিএফ-এর বর্বরোচিত হামলায় বুধবার (১৯ মার্চ) দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস এবং রাফায় রাতভর ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ১৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বোমা হামলায় বুধবার দ্বিতীয় দিনে উপত্যকাজুড়ে প্রাণহানি আরও অনেক বেশি হবে বলে আশঙ্কা করছে হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। 

এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও অনেকের মরদেহ চাপা পড়ে রয়েছে বলে জানায় একাধিক মানবাধিকার সংস্থা।

বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের বরাত দিয়ে আল-জাজিরা জানায়, ইসরায়েলের হামলার পর হতাহতদের উদ্ধার করতে গিয়ে নিহতদের দেহের ছিন্নভিন্ন মাংস পাওয়া যাচ্ছে। যাদের মধ্যে বেশির ভাগ নারী এবং শিশু।

কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যমটি আরও জানায়, পুরো উপত্যকার আকাশে ইসরায়েলের ড্রোন। স্থানীয়রা বলছেন, অসংখ্য ড্রোনের কারণে গাজার আকাশ মেঘলা দেখাচ্ছে, ড্রোনের পাখার আওয়াজ শোনা যাচ্ছে পুরো উপত্যকা থেকেই। উপত্যকার কোনো স্থানই নিরাপদ নয় জেনেও জীবন বাঁচাতে এদিক-সেদিক ছোটাছুটি করছেন বাসিন্দারা।

আল-জাজিরার তথ্যমতে, নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে গাজার দক্ষিণ-উত্তরাঞ্চল থেকে মধ্য গাজার দিকে ছুটে যাচ্ছেন বাসিন্দারা। আবার মধ্য গাজায় বোমা হামলার তীব্রতায় সেখান থেকে উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলে সরে যাচ্ছেন বাসিন্দারা। প্রাণ বাঁচাতে অসহায় মানুষগুলো যেন মরীচিকার পেছনে ছুটে চলেছেন!

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) থেকে যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করে গাজায় ব্যাপক হামলা শুরু করে আইডিএফ। নির্বিচারে পুরো উপত্যকাজুড়ে চলছে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ। আবাসিক ভবন ও শরণার্থী শিবিরগুলো লক্ষ্য করে শুরু করা এই হামলাতে এক দিনেই প্রাণ গেছে চার শতাধিক ফিলিস্তিনির।

এমন পরিস্থিতিতে হাসপাতালগুলোতে হতাহতদের ভিড় সামলাতে বেগ পেতে হচ্ছে স্বাস্থ্যকর্মীদের। তারা বলছেন, এত বিপুলসংখ্যক মানুষকে জায়গা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু আহতদের অন্য কোথাও যাওয়ার সুযোগ নেই। পাশাপাশি, হাসপাতালগুলোতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামও নেই। তাছাড়া উপত্যকাজুড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে রেখেছে ইসরায়েল। আবার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম নিয়ে ত্রাণের ট্রাকও উপত্যকায় ঢুকতে দিচ্ছে না আইডিএফ সেনারা।

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক সংস্থা ওসিএইচএ বলছে, ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের (আইসিইউ) জন্য ২০টি ভেন্টিলেটর আর নবজাতকদের জন্য ৯টি ইনকিউবেটর নিয়ে সীমান্তে দাঁড়িয়ে আছে তাদের ট্রাক।

বর্তমানে গাজায় কোনো হাসপাতালই পুরোপুরি কার্যকর নয়। এর মধ্যে ১৩টি হাসপাতাল আর চারটি ফিল্ড হাসপাতাল পুরোপুরিই অকার্যকর। এমন পরিস্থিতিতে ত্রাণসহায়তা ঢুকতে না দিলে গাজায় মানবিক পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি হবে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। সূত্র: আল-জাজিরা

দিনা/অমিয়/

ট্রাম্পকে ইরানের কড়া জবাব

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ১২:২৫ পিএম
ট্রাম্পকে ইরানের কড়া জবাব
ছবি: সংগৃহীত

ইয়েমেনের প্রতি ইরানের সমর্থনকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি তেহরানের বিরুদ্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া হুমকির জবাবে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

বুধবার (১৯ মার্চ) ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে খবরটি নিশ্চিত করেছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

এদিকে ইয়েমেনের রাজধানী সানাসহ দেশটির বিভিন্ন স্থানে গত শনিবার (১৫ মার্চ) রাতে ইঙ্গো-মার্কিন বাহিনীর ভয়াবহ বিমান হামলায় অন্তত ৫৩ বেসামরিক ব্যক্তি নিহত ও ১০১ জন আহত হন। হতাহতদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু। গত জানুয়ারি মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের দায়িত্ব গ্রহণ করার পর এই প্রথম ইয়েমেনে আগ্রাসন চালাল যুক্তরাষ্ট্র।

এ ঘটনার পর ট্রাম্প হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, ‘ইয়েমেনে হামলা চালানোর মাধ্যমে ইরানকে বার্তা দেয়া হয়েছে। এই বার্তায় কাজ না হলে ইরানের বিরুদ্ধেও হামলা হতে পারে।’

ট্রাম্পের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাকায়ি সোমবার (১৭ মার্চ) তেহরানে সাংবাদিকদের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, ‘আমরা ইরানের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তার বিরুদ্ধে যেকোনো আগ্রাসনের চূড়ান্ত জবাব দেব। এই ব্যাপারে কারো মনে যেন বিন্দুমাত্র সন্দেহ না থাকে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনে ইয়েমেনের সরকার ও জনগণ যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে বা নিচ্ছে সেসব সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্ণ অধিকার একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে তাদের রয়েছে। ইয়েমেনের সিদ্ধান্ত গ্রহণে ইরানের কোনো হাত নেই।’

এ ছাড়া তিনি ইয়েমেনের বিরুদ্ধে ইঙ্গো-মার্কিন বাহিনীর হামলায় নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সব আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে আগ্রাসন চালিয়েছে।’ সূত্র: এএফপি, বাসস।

নাইমুর/