ঢাকা ৭ চৈত্র ১৪৩১, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫
English
শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১

‘মাস্ক’ ভাইরাসে আক্রান্ত বিশ্ব

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৪৬ এএম
আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৩৬ পিএম
‘মাস্ক’ ভাইরাসে আক্রান্ত বিশ্ব

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সের মালিক, প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান টেসলার সিইও, মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্পেস এক্সের সিইও, বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি- অনেক পরিচয় আছে মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের। তবে সাম্প্রতিক আলোচনায় মাস্কের বিষয়টি তার কর্মক্ষেত্রের চেয়ে বড় পরিসরে গিয়ে ঠেকেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মাস্ক সম্প্রতি মার্কিন প্রশাসনে ‘বিশেষ সরকারি কর্মকর্তার’ দায়িত্ব পেয়েছেন। ক্ষমতার অর্ধমাসেই সমালোচনা কুড়িয়েছেন অনেক। অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ক্ষমতাপ্রাপ্ত মাস্ক দেশটির সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন কমানোর পাশাপাশি মার্কিন ত্রাণ সংস্থা ইউএসএইড বন্ধের পেছনে মূল হোতা। বেশকিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্তের জেরে তিনি এখন ওয়াশিংটন পাড়ার হট টপিক।

তবে ইলন মাস্কের বিরূপ প্রভাব শুধু ওয়াশিংটন প্রশাসনেই আটকে থাকছে, নাকি তার অনভিপ্রেত নীতিমালা প্রণয়ন ক্ষতি করছে বিশ্বেরও। এ বিষয়ে বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আল-জাজিরা।
 
মার্কিন উগ্র ডানপন্থি রাজনীতির বিস্তারে ইলন মাস্কের প্রচেষ্টা লক্ষণীয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সরাসরি সমর্থনের পর ক্ষমতা পেয়ে এখন ইউরোপেও নিজের প্রভাব ছড়ানোর চেষ্টা করছেন তিনি।

তার এই চেষ্টার সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী যুক্তরাজ্য। দেশটির রাজনীতিতে উগ্র ডানপন্থি নেতা টমি রবিনসন ও নাইজেল ফারাজের মতো উগ্র ডানপন্থি নেতাদের উত্থান নিশ্চিত করতে উঠেপড়ে লেগেছেন তিনি। গেল জানুয়ারিতে এক্সের এক টুইটে রবিনসনের ডকুমেন্টারি ‘সাইলেনসড্’-এর লিংক শেয়ার করে টমি রবিনসনের মুক্তি দাবি করেন মাস্ক।

জানা গেছে, এই ডকুমেন্টারি তৈরিতে সহায়তা করেছে মার্কিন ডানপন্থি রেডিও হোস্ট অ্যালেক্স জোনসের প্রতিষ্ঠান ইনফোওয়ার্স।

বিতর্কিত এই ডকুমেন্টারিতে রবিনসন দাবি করেন, সিরীয় শরণার্থী জামাল হিজাজিকে অসম্মান করার দায়ে প্রায় ১ লাখ পাউন্ড জরিমানা গুনতে হয় তাকে। তবে এই দাবি মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় ভুল তথ্য ছড়ানোর দায়ে রবিনসনকে ১৮ মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত।

এতদসত্ত্বেও, রবিনসনকে সমর্থন করে অভিবাসনবিরোধী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন মাস্ক।

এ ছাড়া যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টারমারের বিরুদ্ধে মাস্ক কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। স্টারমার ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিসের প্রধান থাকাকালীন বিভিন্ন অভিযোগ টেনে ব্রিটিশ রাজা চার্লস তৃতীয়কে বিদ্যমান পার্লামেন্ট ভাঙার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টারমারের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাচ্ছেন মাস্ক। ছবি: সংগৃহীত

এদিকে জার্মানিতে মাস্কের প্রভাবও চিন্তার ভাঁজ এনেছে বিশ্লেষকদের কপালে। দেশটির উগ্র ডানপন্থি দল অল্টারনেটিভ ফর ডয়েচল্যান্ডের (এএফডি) সমর্থনে ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছেন এই ধনকুবের। গেল বছর ডিসেম্বরে জার্মানির জনপ্রিয় রাজনীতিবিষয়ক ম্যাগাজিন ওয়েল্ট আম সোন্ট্যাগকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এএফডিকে জার্মানির ‘শেষ আশার আলো’ আখ্যায়িত করার মাধ্যমে অভিবাসনবিরোধী অবস্থান স্পষ্ট করেছেন তিনি।

গেল জানুয়ারিতে এএফডির প্রধান অ্যালিস ওয়েইডলের সঙ্গে একটি ভার্চুয়াল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন মাস্ক। এই আলোচনায় ফ্যাসিস্ট জার্মান নেতা অ্যাডলফ্ হিটলারের প্রতি অ্যালিসের সুপ্ত সমর্থনের বিষয়টিও উঠে আসে। পৃথিবীর ইতিহাসে ভয়ংকরতম গণহত্যার মূলহোতা হিটলারকে তিনি ‘একজন সমাজতান্ত্রিক ও কমিউনিস্ট’ হিসেবে দেখেন।

জানুয়ারির শেষ দিকে এফএফডির র‌্যালিতে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করে তাকে দলটির সমর্থকদের জার্মানির জন্য যুদ্ধ করার পরামর্শ দিতে দেখা যায়।

এ ছাড়া ইতালি, আর্জেন্টিনা ও এল সালভাডোরের উগ্র ডানপন্থি রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে জোট বেঁধেছেন ইলন মাস্ক। তার প্রভাবের তীব্রতা সবচেয়ে স্পষ্ট পোল্যান্ডে। দেশটিতে পরিচালিত সাম্প্রতিক জরিপে উঠে এসেছে,  ৪৫ শতাংশ মানুষ মাস্কের মদদপুষ্ট প্রার্থীর সমর্থক।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বিশ্ব রাজনীতিতে আভিজাত্যবাদের বিরূপ প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। সব ক্ষমতা দখল করে রেখছেন ধনকুবেররা। জনমানুষের ভাতের পাত থেকে শুরু করে হোয়াটসঅ্যাপের কনভার্সেশন পর্যন্ত সবকিছুই দখলে নিচ্ছেন মাস্কেরা। উল্টেপাল্টে দেখছেন আমাদের দুটো শব্দে তাদের ক্ষমতায় ভাগ বসাচ্ছে কি না। এভাবে ইলন মাস্কের প্রভাব ওয়াশিংটন থেকে আটলান্টিক পেরিয়ে ইউরোপ হয়ে দক্ষিণ এশিয়ার জমিনে কবে শেকড় গাড়বে -সাধারণের এ খবর টের পাওয়ার পর ফিরে তাকিয়ে বোধহয় আর ফেরার ঘরই থাকবে না। সূত্র: আল-জাজিরা।

নাইমুর/

ঈশ্বরদীতে বাস-সিএনজি সংঘর্ষে শিশুসহ নিহত ৫

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৬:৩৭ পিএম
আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৯:৩৪ পিএম
ঈশ্বরদীতে বাস-সিএনজি সংঘর্ষে শিশুসহ নিহত ৫
ছবি: খবরের কাগজ

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে সিএনজি চালিত অটোরিকশার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে শিশুসহ ৫ জন নিহত হয়েছেন। এঘটনায় আরও ২ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার ঈশ্বরদী-দাশুড়িয়া মহাসড়কের বহরপুরে মুল্লিকা এগ্রো ফুডের সামনে এ ঘটনা ঘটে। 
নিহতরা হলেন- ঈশ্বরদী উপজেলা দিয়ার বাঘইল গ্রামের মৃত বাবু প্রামাণিকের ছেলে রাব্বি প্রামানিক (৩০), তার স্ত্রী মুক্তা খাতুন (৩০),  তাদের ছেলে মুস্তাকিম (২), ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার আশরাফুল ইসলামের ছেলে রাতুল ইসলাম (১৮) ও ঈশ্বরদী উপজেলার রানা হোসেনের ছেলে তোহা (২৫)।

বিষয়টির নিশ্চিত করে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, যাত্রীবাহী বাসটি ঈশ্বরদী দিকে যাচ্ছিল। আর সিএনজি চালিত অটোরিকশাটি ঈশ্বরদীর থেকে আসছিল। এই সময় বাস-সিএনজিটি ঘটনাস্থলে পৌঁছালে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনা আরও তিনজন গুরুতর আহত হোন। আহতদের ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে আহতদের অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও একজনের মৃত্যু হয়। 

ঘটনার পরপরই বাসের চালক ও হেলপার পালিয়ে। তবে বাসটি জব্দ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

পার্থ হাসান/ জাহাঙ্গীর হোসেন/এমএ/

 

রুশ বিমান ঘাঁটিতে ইউক্রেনের পাল্টা হামলা

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৫:৫৯ পিএম
আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৬:০০ পিএম
রুশ বিমান ঘাঁটিতে ইউক্রেনের পাল্টা হামলা
রুশ বিমানঘাঁটিতে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা। ছবি: সংগৃহীত

চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে সাম্প্রতিক রুশ সহিংসতার জবাবে রাশিয়ার এংগেলস্‌ বিমান ঘাঁটিতে ইউক্রেন শক্তিশালী ড্রোন হামলা করেছে। আক্রমণের কারণে ঘাঁটিতে বিরাট বিস্ফোরণ ঘটে।

বৃহস্পতিবারের (২০ মার্চ) এই ঘটনার বিষয়ে জানিয়েছেন মস্কো প্রশাসনের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা।

রাশিয়ার টেলিগ্রাম চ্যানেলগুলোতে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, ঘাঁটিতে বিকট বিস্ফোরণের পর আশেপাশের বসতিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ছে। রয়টার্স এর মধ্যেই একটি ফুটেজের সত্যতা নিশ্চিত করেছে। ভিডিওটিতে দেখা যায়, বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থল থেকে ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ছে। তবে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রায় ১৩২টি ড্রোন নিষ্ক্রিয় করেছে রুশ অ্যায়ার ডিফেন্স সিস্টেম।

পারমাণবিক ক্ষমতাসম্পন্ন এংগেলস্‌ বিমান ঘাঁটি রাশিয়ার সারাতভ অঞ্চলে অবস্থিত। দেশটির দূরপাল্লার বিমান অভিযানের ক্ষেত্রে এই ঘাঁটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সারাতভের গভর্নর রোমা বুসারগিন হামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিমান ঘাঁটিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ার পর পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়। ঘটনার তীব্রতা প্রকাশ করে অঞ্চলটির জেলাপ্রধান ম্যাক্সিম লিওনভ এলাকায় জরুরি অবস্থা জারি করলেও ঘটনার খুঁটুনাটি ও বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে খোলাসা করে কিছু বলেননি।

২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে কয়েকদফা ইউক্রেন এনগেলস্‌ বিমান ঘাঁটি আক্রমণের চেষ্টা করেছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে এই ঘাঁটির একটি তেলের ডিপোতে হামলার দায় স্বীকার করেছে কিয়েভ প্রশাসন। এই ঘটনায় তেলের ডিপোতে পাঁচদিন লাগাতার আগুন জ্বলেছে।

এদিকে বৃহস্পতিবারের হামলায় মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এই ঘাঁটি সামরিক কার্যক্রমের ভবিষ্যৎ নিয়েও মস্কো কর্তৃপক্ষ খোলামেলা কিছু জানায়নি। সূত্র: রয়টার্স

নাইমুর/

ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবে ৬ জনের প্রাণহানি, নিখোঁজ ৪০

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৫:২৪ পিএম
আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৫:৪০ পিএম
ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবে ৬ জনের প্রাণহানি, নিখোঁজ ৪০
ছবি: সংগৃহীত

ইতালির ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপ ল্যাম্পেডুসার কাছে নৌকা ডুবে অন্তত ছয়জন প্রাণ হারিয়েছে। এ ঘটনায় এখনো ৪০ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় শিকার হয়েছেন নৌকার ৫৬ অভিবাসন প্রত্যাশী।

উদ্ধারকর্মীরা ১০ জনকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী ল্যাম্পেডুসার একটি হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।

উদ্ধার যাত্রীদের সূত্রে জানা গেছে, তিউনিসিয়া থেকে ছেড়ে আসা নৌকাটি দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কবলে পড়ে মাঝসমুদ্রে উল্টে যায়।

এ প্রসঙ্গে ইতালির ক্যাথলিক দাতব্য সংস্থা ক্যারিটাসের পরিচালক ফাদার মারকো পাগনিয়াল্লো বলেন, ‘ভূমধ্যসাগরে এ ধরনের মৃত্যু দেখলেই আমার মনে হয় এই সমাজে নিঃস্ব জনগোষ্ঠীকে একটু সচ্ছল জীবন ও নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা কতটা ব্যর্থ।’

এ সময় তিনি যুদ্ধের কারণে অভিবাসীদের দেশ ছেড়ে পালানো রুখতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।

অর্থনৈতিক সচ্ছলতা অর্জনের উদ্দেশে ইতালিতে অবৈধ অভিবাসনের উদ্দেশে নৌকায় করে সমুদ্র পাড়ি দেওয়ার ঘটনা বেশ পুরোনো। চলতি বছর জানুয়ারি মাসে এভাবে ইতালিতে প্রায় ৩হাজার ৩৬৮ জন অভিবাসী যাত্রা করেছেন। ঠিক এক বছর আগে এই সংখ্যা ছিল ২হাজার ২৫৮। এদের মধ্যে বেশিরভাগই লিবিয়ার অধিবাসী।

সম্প্রতি লিবিয়ার কুখ্যাত সন্ত্রাস ওসামা নাজিমকে গ্রেপ্তারের কারণে দেশটিতে সৃষ্ট সহিংসতার কারণে আগের তুলনায় বেশি অভিবাসী নিরাপত্তার আশায় ইতালিতে পাড়ি দিচ্ছেন বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের। 

এদিকে অভিবাসনবিষয়ক আন্তর্জাতিক জরিপে উঠে এসেছে, ২০২৫ সালের প্রথম দুই মাসেই ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে অন্তত ২৪৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

নাইমুর/

ভারতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ২২ মাওবাদী নিহত

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৪:৪২ পিএম
আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৫:২৫ পিএম
ভারতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ২২ মাওবাদী নিহত
ভারতের ছত্তিশগড়ে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে সেনাবাহিনী। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের মধ্যাঞ্চলের ছত্তিশগড় এলাকার জঙ্গলে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে তুমুল যুদ্ধে নিহত হয়েছেন ২২ মাওবাদী বিদ্রোহী।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ)  ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলায় এ ঘটনা ঘটে। খবরটি নিশ্চিত করেছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি। দেশটির ইতিহাসে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তারক্ষীর অভিযানে এটাই সবচেয়ে সাড়া জাগানিয়া নজির। দুটো ভিন্ন বন্দুকযুদ্ধে নকশালবাদীদের মোট ২২জন প্রাণ হারিয়েছেন। দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি গুলিবর্ষণে ভারতীয় একজন সেনা প্রাণ হারিয়েছেন।

মাওবাদীদের কাছ থেকে এসময় সেনারা বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে ২২জন নকশালবাদী প্রাণ হারিয়েছেন।’

এসময় সশস্ত্র বিদ্রোহীদের রুখতে সরকারে শক্ত অবস্থান মনে করিয়ে দিয়ে অমিত বলেন, ‘মোদি সরকার বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর অবস্থান নেবে। যে নকশালবাদীরা এখনো আত্মসমর্পণে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত থাকবে।’

বামপন্থি চীনা নেতা মাও সেতুংয়ের আদর্শে পুষ্ট এই বিদ্রোহীরা ১৯৬৭ সাল থেকে ভারতে সশস্ত্র বিদ্রোহের মাধ্যমে দেশের সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য জমি, চাকরি ও প্রাকৃতিক সম্পদের নির্দিষ্ট অংশ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। তবে ভারত সরকারের সঙ্গে এই বিরোধের জেরে এই পর্যন্ত প্রায় ১০হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।

গত বছর ভারতের সেনাবাহিনীর অভিযানে মোট ২৮৭জন বিদ্রোহী নিহত হয়েছেন। চলতি বছর ইতোমধ্যেই আরও ৮০জন মাওবাদী মারা গেছেন।

এদিকে সরকারবাহিনীর অভিযান সত্ত্বেও নকশালপন্থিদের আক্রমণ চলমান। এবছর জানুয়ারি মাসে বিদ্রোহীদের বোমা হামলায় ৯জন ভারতীয় জওয়ান মারা গেছেন। তবে দিল্লি সরকার আগামী বছর মার্চ মাসের মধ্যে মাওবাদ নিশ্চিহ্নের ঘোষণা দিয়েছে। সূত্র: এনডিটিভি

নাইমুর/

শিক্ষা বিভাগ বন্ধের আদেশে স্বাক্ষর করবেন ট্রাম্প

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৩:৩৫ পিএম
আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৪:২৭ পিএম
শিক্ষা বিভাগ বন্ধের আদেশে স্বাক্ষর করবেন ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা বিভাগ বন্ধের একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করতে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) এই স্বাক্ষর করতে পারেন তিনি।

মূলত নির্বাচনের আগে এই ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ প্রচারণার পাশাপাশি প্রতিশ্রুতিও দেন ট্রাম্প। এছাড়া ইতোমধ্যেই এই বিভাগের কর্মী সংখ্যা ব্যাপকভাবে হ্রাস এবং তহবিল কমানোর প্রচেষ্টা চলছে।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় বার্তাসংস্থা ফক্স নিউজ।

ফক্স নিউজের তথ্য অনুসারে, ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার শিক্ষা বিভাগ বন্ধ করে দেওয়ার জন্য একটি দীর্ঘ-প্রত্যাশিত নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করবেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি নিজের নির্বাচনি প্রচারণার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতি পূরণ করবেন।

অবশ্য স্বাক্ষরিত হওয়ার আগেই ডেমোক্র্যাটিক অঙ্গরাজ্যগুলোর অ্যাটর্নি জেনারেলদের একটি দল এই আদেশটিকে চ্যালেঞ্জ জানান। এছাড়া তারা ট্রাম্পকে বিভাগটি বিলুপ্ত করা এবং গত সপ্তাহে ঘোষিত প্রায় অর্ধেক কর্মীদের ছাঁটাই বন্ধ করতে মামলাও করা হয়।

এদিকে শিক্ষা বিভাগ বিলুপ্ত করার এই আদেশে ট্রাম্পের স্বাক্ষর আমেরিকান রক্ষণশীলদের দীর্ঘদিনের লক্ষ্য পূরণ করবে বলে মনে করা হচ্ছে। বুধবার বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানায়, হোয়াইট হাউসের একটি অনুষ্ঠানে এই আদেশ স্বাক্ষরিত হবে। ইতোমধ্যেই এই বিভাগের কর্মী সংখ্যা ব্যাপকভাবে হ্রাস এবং তহবিল কমানোর প্রচেষ্টাও চলছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে নির্বাচনি প্রচারণা চালানোর সময় শিক্ষা বিকেন্দ্রীকরণের প্রতিশ্রুতি দেন এবং বলেন, তিনি এই বিভাগের ক্ষমতা অঙ্গরাজ্যগুলোর সরকারের কাছে হস্তান্তর করবেন। মূলত এটাই ছিল বহু দশক ধরে অনেক রিপাবলিকানের লক্ষ্য।

ঐতিহ্যগতভাবে যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষায় ফেডারেল সরকারের ভূমিকা সীমিত। কারণ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জন্য মাত্র ১৩ শতাংশ তহবিল ফেডারেল কোষাগার থেকে আসে, বাকি অর্থ অঙ্গরাজ্য এবং স্থানীয় সম্প্রদায় মাধ্যমে অর্থায়ন করা হয়ে থাকে।

কিন্তু নিম্ন আয়ের স্কুল এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য ফেডারেল তহবিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক অধিকার সুরক্ষা কার্যকর করার ক্ষেত্রে ফেডারেল সরকার অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে।

আইন অনুসারে, ১৯৭৯ সালে তৈরি শিক্ষা বিভাগটি কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া বন্ধ করা যাবে না এবং রিপাবলিকানদের তেমনটি করার জন্য ভোট নেই।

তবে ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে অন্যান্য ফেডারেল সংস্থাগুলোর মতো শিক্ষা বিভাগটি চলমান প্রোগ্রাম এবং কর্মচারীদের ওপর আরও কাটছাঁট দেখতে পাবে। আর এটিই এই বিভাগের কর্মকাণ্ডকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। সূত্র:  ফক্স নিউজ

দিনা/অমিয়/