
অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরে বেশ কয়েকটি ফিলিস্তিনি বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। গত ২১ জানুয়ারি থেকে সেখানে অভিযান চালাচ্ছে তারা। এখনো থামেনি তাদের কার্যক্রম।
গত শুক্রবার ফিলিস্তিনের বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানায়, বৃহস্পতিবার রাতভর শরণার্থী শিবিরে হামলা হয়েছে। বেসামরিক বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইসরায়েলি বাহিনী শরণার্থী শিবিরের আশপাশে তাদের উপস্থিতি বাড়িয়েছে। ড্রোন দিয়েও নজরদারি চালানো হচ্ছে।
জেনিনের সরকারি হাসপাতালও নিজেদের কব্জায় রেখেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। ওই হাসপাতালের মূল ফটক আগেই বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে তারা। চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে জেনিনের বেশ কয়েকটি আবাসিক এলাকা ভেঙে দেয় তারা। ২০০২ সালের পর এবারই প্রথম এ রকম কোনো ঘটনা ঘটল। জেনিনের গভর্নর কামাল আবু আল-রাব নিশ্চিত করেছেন বিষয়টি।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, জেনিনে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর আক্রমণে ২৫ জন ফিলিস্তিনি মারা গেছেন। ইসরায়েলি বাহিনী সেখানে শরণার্থী শিবির ও আশপাশের শহরগুলো দখলে রেখেছে। শরণার্থী শিবিরের প্রায় ৯০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করা হয়েছে। বাস্তুচ্যুত মানুষরা আশপাশের ৩৯টি গ্রাম ও শহরে অবস্থান করছেন।
রামাল্লার বেশ কিছু এলাকাতেও ইসরায়েলি বাহিনীকে অভিযান চালাতে দেখা গেছে। ওল্ড সিটি অব হেব্রন থেকে তারা দুই ফিলিস্তিনিকে আটক করেছে। ওই দুই ফিলিস্তিনি রুটি বিতরণ করছিলেন।
নাবলুসের দক্ষিণের বেইতা অঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনী অভিযান চালানোর সময় জরুরি চিকিৎসাকর্মীদের কার্যক্রমে বাধা দিয়েছে। প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি এ তথ্য জানায়। ইসরায়েলি সেনারা সরাসরি অ্যাম্বুলেন্সে স্টান গ্রেনেড ছোড়ে। ওই সময় সেটি জরুরি সেবা কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত ছিল।
তুলকারেমেও চলছে ইসরায়েলি অভিযান। সেখানেও বেসামরিক অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কয়েক দিনে সেখান থেকে অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বহু পরিবার তাদের অভিযানের মুখে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে। এক শিশু ও এক সাংবাদিকসহ চার ফিলিস্তিনিকেও হত্যা করা হয়েছে। সূত্র: আল-জাজিরা