ঢাকা ৮ চৈত্র ১৪৩১, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
English

ইউক্রেনের খনিজসম্পদে বিনিয়োগের আহ্বান জেলেনস্কির

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:১২ পিএম
আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৩৯ পিএম
ইউক্রেনের খনিজসম্পদে বিনিয়োগের আহ্বান জেলেনস্কির
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আন্তর্জাতিক মিত্রদের প্রতি তার দেশের খনিজসম্পদে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে তিনি জানান, ইউক্রেনের খনিজসম্পদ রয়েছে। তবে স্পষ্ট করে তিনি জানান, এই সম্পদ বিনামূল্যে কাউকে দেওয়া হবে না, এমনকি কৌশলগত অংশীদারদেরও নয়। জেলেনস্কি বলেন, ‘এটি একটি পারস্পরিক অংশীদারত্ব, যেখানে বিনিয়োগ করা হবে এবং একসঙ্গে সম্পদগুলোর উন্নয়ন এবং লাভবান হওয়া যাবে।’

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় এএফপি। 

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই সপ্তাহে মন্তব্য করেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের সঙ্গে একটি চুক্তি করতে চায়, যেখানে ইউক্রেনের দুর্লভ খনিজ এবং অন্যান্য সম্পদের বিনিময়ে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেওয়া হবে। ট্রাম্পের এই প্রস্তাব নিয়ে কিছু বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে, যার মধ্যে ইউক্রেনের খনিজসম্পদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কাও প্রকাশ করেছেন জেলেনস্কি।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, তার দেশের খনিজসম্পদের মূল্য প্রায় ‘ট্রিলিয়ন ডলার’ এবং ইউক্রেনে ইউরোপের সবচেয়ে বড় টাইটানিয়াম ও ইউরেনিয়ামের মজুত রয়েছে। তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনের জন্য এই সম্পদ সংরক্ষণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি দেশটির নিরাপত্তার জন্য একটি গ্যারান্টি হিসেবে কাজ করে।’

ট্রাম্পের প্রস্তাব নিয়ে সমালোচনা করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজ। শোলৎজ বলেছেন, ‘আমরা ইউক্রেনকে বিনিময়ে কিছু চাওয়া ছাড়াই সাহায্য করছি এবং এটি সবার অবস্থান হওয়া উচিত।’

অন্যদিকে, ট্রাম্প গত শুক্রবার জানান, তিনি সম্ভবত আগামী সপ্তাহে ইউক্রেনের বাইরে জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এই সাক্ষাৎ সম্পর্কে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টও এক্সে জানান, ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্র বৈঠক এবং আলোচনা পরিকল্পনা করছে, তবে এখনো নিশ্চিত নয়, বৈঠকটি পরবর্তী সপ্তাহে হবে কি না।

ট্রাম্প কিয়েভ ও মস্কোকে যুদ্ধ অবসানের জন্য আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তিনি জেলেনস্কি এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত, তবে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো বৈঠকের তারিখ নির্ধারিত হয়নি। সূত্র: এএফপি

বাসস/তাওফিক/ 

ভারতের বিরুদ্ধে মামলা করল ইলন মাস্কের এক্স

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৯:৪৫ পিএম
আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৯:৪৮ পিএম
ভারতের বিরুদ্ধে মামলা করল ইলন মাস্কের এক্স
এক্সের মালিক ইলন মাস্ক। ছবি: সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কন্টেন্ট অপসারণের করতে বেআইনি আদেশের অভিযোগে ভারত সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ইলন মাস্কের মালিকানাধীন প্ল্যাটফর্ম এক্স।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) এই মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে পরিচিত ভারত বিশ্বের শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে একটি, যারা সরকারিভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কন্টেন্ট অপসারণের জন্য সবচেয়ে বেশি সংখ্যক অনুরোধ জানায়।

মামলাটি ভারত সরকারের সেন্সরশিপ ক্ষমতার বিরুদ্ধে এক্সের সর্বশেষ চ্যালেঞ্জ। এমন সময়ে এই চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে, যখন ইলন মাস্কের মালিকানাধীন স্টারলিংক ও টেসলা বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ভারতে প্রবেশের প্রস্ততি নিচ্ছে।

মামলাটি ভারতের তথ্য প্রযুক্তি আইনের একটি বিধানকে কেন্দ্র করা হয়েছে, যার অপব্যবহার করে সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কন্টেন্ট ব্লক করার আদেশ দিয়ে থাকে।

আইনি সংবাদ সম্পর্কিত ভারতীয় ওয়েবসাইট বার অ্যান্ড বেঞ্চ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, এক্স-এর মতে- এই বিধানটি তথ্য ব্লক করার ক্ষেত্রে একটি বেআইনি সমান্তরাল কৌশল হিসেবে অপব্যবহার করা হচ্ছে।

এই সপ্তাহের শুরুতে মামলাটির সংক্ষিপ্ত শুনানিতে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি। আগামী ২৭ মার্চ দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটকের একটি আদালতে এই মামলার শুনানি হবে।

ভারতে কন্টেন্ট নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আইনি লড়াইয়ে মাস্কের এই প্ল্যাটফর্মটি নতুন নয়। ২০২৩ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের সমালোচনাকারী টুইট ও অ্যাকাউন্টগুলো অপসারণের আদেশকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করে টুইটার (এক্সের আগের নাম)। তখন ভারতীয় আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দিয়ে প্ল্যাটফর্মটিকে ৬১ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানা করে।

প্রায় এক বছর পর এক্স জানায়, নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্ট ও পোস্টগুলোতে সরকারের ব্লক করার আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে একটি রিট আপিল বিচারাধীন রয়েছে।

২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে কোম্পানিটি এক পোস্টে বলেছিল, আমাদের অবস্থানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভারত সরকারের ব্লকিং আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে একটি রিট আপিল এখনো বিচারাধীন রয়েছে। আমরা আমাদের নীতি অনুসারে প্রভাবিত ব্যবহারকারীদের এই পদক্ষেপগুলো সম্পর্কে নোটিশও দিয়েছি। 

পোস্টে আরও বলা হয়,  আইনি বিধিনিষেধের কারণে আমরা নির্বাহী আদেশগুলো প্রকাশ করতে পারছি না। তবে আমরা বিশ্বাস করি, স্বচ্ছতার জন্য সেগুলো জনসম্মুখে প্রকাশ করা অপরিহার্য। না প্রকাশ করলে জবাবদিহিতার অভাব ও স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত গ্রহণের দিকে পরিচালিত করতে পারে।

সুমন/

সুদানের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ দখল করল সেনাবাহিনী

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৯:৩৬ পিএম
আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৯:৩৭ পিএম
সুদানের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ দখল করল সেনাবাহিনী
রাজধানী খার্তুমের প্রেসিডেন্সিয়াল প্রাসাদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের পর সেনা সদস্যদের উচ্ছ্বাস। ছবি: সংগৃহীত

সুদানের সেনাবাহিনী দেশটির রাজধানী খার্তুমের প্রেসিডেন্সিয়াল প্রাসাদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করেছে। দীর্ঘ দুই বছর ধরে চলা সংঘাতের মধ্যে এটি সেনাবাহিনীর জন্য একটি বড় প্রতীকী অর্জন। শুক্রবার (২১ মার্চ) প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ দখলের মধ্য দিয়ে দেশটির বিভাজনের আশঙ্কা আরও গভীর হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

সেনাবাহিনী দীর্ঘদিন ধরে পিছু হটলেও সম্প্রতি তারা সুদানের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে আধা সামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) কাছ থেকে বেশ কিছু এলাকা পুনর্দখল করেছে। অন্যদিকে আরএসএফ পশ্চিমাঞ্চলে তাদের নিয়ন্ত্রণ শক্তিশালী করেছে, যা দেশটিকে কার্যত বিভাজনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আরএসএফ তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় একটি সমান্তরাল সরকার গঠনের চেষ্টা চালাচ্ছে, যদিও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে তা স্বীকৃতি পাওয়ার সম্ভাবনা কম।

সেনাবাহিনীর বক্তব্য, তারা খার্তুমের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে মন্ত্রণালয় ও অন্য গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলোরও নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। সামরিক সূত্রে জানা গেছে, আরএসএফ যোদ্ধারা প্রাসাদ থেকে প্রায় ৪০০ মিটার দূরে সরে গেছে। ২০২৩ সালের এপ্রিলে সংঘাত শুরুর পর আরএসএফ দ্রুত খার্তুম শহরের বেশির ভাগ অংশের পাশাপাশি প্রেসিডেন্সিয়াল প্রাসাদ দখল করে নেয়। 

সেনাবাহিনী প্রাসাদের ভেতরে সেনাদের জয়ধ্বনি করার ভিডিও শেয়ার করেছে, যেখানে দেখা গেছে প্রাসাদের কাচের জানালা ভাঙা এবং দেয়ালে গুলির চিহ্ন। আরএসএফ প্রাসাদ পুনর্দখল এবং খার্তুমে সেনাবাহিনীর অগ্রগতি সম্পর্কে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি। তবে বৃহস্পতিবার দলটি জানিয়েছিল, তারা উত্তর দারফুর অঞ্চলে সেনাবাহিনীর একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি দখল করেছে। 

প্রাসাদের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাওয়ার খবরে অনেক সুদানি নাগরিক আনন্দ প্রকাশ করেছেন। খার্তুমের বাসিন্দা ৫৫ বছর বয়সী মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, ‘যুদ্ধ শুরুর পর থেকে প্রাসাদ মুক্ত হওয়ার খবরটি সবচেয়ে ভালো খবর। এর মানে হলো, সেনাবাহিনী খার্তুমের বাকি অংশও নিয়ন্ত্রণে নিতে শুরু করেছে। আমরা আবার নিরাপদে থাকতে চাই এবং ভয় ও ক্ষুধা ছাড়া বাঁচতে চাই।’

এই সংঘাত জাতিসংঘের তথ্যমতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক সংকট তৈরি করেছে। পাঁচ কোটি মানুষের এই দেশটিতে বিভিন্ন অঞ্চলে দুর্ভিক্ষ ও রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। সংঘাতের উভয় পক্ষকে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। আরএসএফের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগও আনা হয়েছে। উভয় পক্ষই এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। 

শুক্রবার খার্তুমে মাঝেমধ্যে গুলির আওয়াজ শোনা গেছে। সেনাবাহিনী আরএসএফকে কোণঠাসা করতে চাইছে বলে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। আরএসএফ এখনো শহরে প্রাসাদের দক্ষিণাঞ্চলের বিস্তৃত এলাকা দখল করে আছে। সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা সব যুদ্ধক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছি, যতক্ষণ না এই মিলিশিয়া ও তাদের সহযোগীদের নোংরা উপস্থিতি থেকে আমাদের দেশের প্রতিটি ইঞ্চি পরিষ্কার করা হচ্ছে। 

দেশটি দুই বছর আগে গণতান্ত্রিক শাসনে উত্তরণের পরিকল্পনা করছিল, তখনই এই যুদ্ধের সূত্রপাত হয়। ২০১৯ সালে ওমর আল-বশিরকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর সেনাবাহিনী ও আরএসএফ একসঙ্গে কাজ করেছিল এবং পরে বেসামরিক নেতৃত্বকে ক্ষমতাচ্যুত করে। কিন্তু তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল, কারণ বশির আরএসএফকে সেনাবাহিনীর ভারসাম্য হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন। আরএসএফের নেতৃত্বে রয়েছেন মোহাম্মদ হামদান দাগালো, যিনি দারফুরের জাঞ্জাওয়িদ মিলিশিয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। অন্যদিকে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে রয়েছেন সেনা কর্মকর্তা আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান।

মাহফুজ/

২০২৪ সালে অভিবাসন পথে রেকর্ড ৮ হাজার ৯৩৮ জনের মৃত্যু: জাতিসংঘ

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৭:৪৫ পিএম
২০২৪ সালে অভিবাসন পথে রেকর্ড ৮ হাজার ৯৩৮ জনের মৃত্যু: জাতিসংঘ

২০২৪ সালকে অভিবাসীদের জন্য সবচেয়ে মারাত্মক বছর হিসেবে আখ্যায়িত করেছে জাতিসংঘ।

শুক্রবার (২১ মার্চ) সংস্থাটি জানিয়েছে, ওই বছর বিশ্বব্যাপী অভিবাসন পথে প্রায় ৯ হাজার মানুষ মারা গেছেন। জাতিসংঘ এই মৃত্যুকে ‘অগ্রহণযোগ্য ও প্রতিরোধযোগ্য’ ট্র্যাজেডি বলে অভিহিত করেছে।

জেনেভা থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানিয়েছে, ২০২৪ সালে বিশ্বব্যাপী অভিবাসন পথে অন্তত ৮ হাজার ৯৩৮ জন মারা গেছেন। গত পাঁচ বছর ধরে মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধির প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। সূত্র: বাসস।

গাজার দক্ষিণ ও উত্তরাঞ্চল দখলের হুমকি ইসরায়েলের

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৬:৪৪ পিএম
আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৬:৫৫ পিএম
গাজার দক্ষিণ ও উত্তরাঞ্চল দখলের হুমকি ইসরায়েলের
ইসরায়েলি বিমান হামলায় বিধ্বস্ত গাজা। ছবি: সংগৃহীত

উত্তর ও দক্ষিণ গাজায় স্থল অভিযান জোরদার করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের সমস্ত বন্দিকে মুক্তি না দিলে গাজার উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চল দখল করবে ইসরায়েল।

শুক্রবার (২১ মার্চ) ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাটজ এ কথা বলেন।

এ বিষয়ে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাটজ বলেন, ‘আমরা হামাসের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান তীব্র করব। একইসঙ্গে দক্ষিণ গাজার জনসংখ্যা সরিয়ে নেওয়া এবং গাজার বাসিন্দাদের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের স্বেচ্ছায় অভিবাসন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সব সামরিক ও বেসামরিক চাপ প্রয়োগ করব।’

স্থানীয় গণমাধ্যমের তথ্যানুয়ায়ী, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেনাবাহিনীকে গাজার অতিরিক্ত এলাকা দখল এবং জনগোষ্ঠীকে সরিয়ে নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন। এ ছাড়া তিনি ইসরায়েলি জনগণ এবং ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে সুরক্ষার জন্য গাজার চারপাশে নিরাপত্তা বলয় সম্প্রসারণের নির্দেশ দিয়েছেন।

কটজ হামাসকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘যতক্ষণ না তারা উপত্যকায় আটক থাকা সব বন্দিকে মুক্তি দিতে সম্মত হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত ইসরায়েল গাজার জমি দখল করবে।’

জেরুজালেম পোস্ট পত্রিকায় কাটজকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ‘হামাস যত বেশি জিম্মিদের মুক্তি দিতে অস্বীকৃতি জানাবে, তারা তত বেশি এলাকা হারাবে এবং এই অঞ্চলগুলো পরবর্তীতে ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে।’

মধ্যগাজা থেকে আল জাজিরার হিন্দ খোদারির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেইত লাহিয়া এবং রাফাহের বাসিন্দাদের ইসরায়েলি বাহিনী নতুন পরিকল্পনার বিষয়ে কোনো সতর্কবার্তা দেয়নি। ইসরায়েল এলাকাগুলি খালি করার জন্য কোনোও সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি দেয়নি। হঠাৎ করেই ফিলিস্তিনিরা তাদের উপর অবিরাম বিমান হামলা এবং কামানের গোলাবর্ষণ দেখতে পায়।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) প্রায় দুই মাসের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পর ইসরায়েল গাজায় স্থল অভিযান চালায়। গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সামরিক আক্রমণ চতুর্থ দিনের মতো অব্যাহত রয়েছে। এ অভিযানে প্রায় ২০০ শিশুসহ ৫৯০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়। 

আল জাজিরার সাংবাদিকরা জানিয়েছেন শুক্রবার গাজা শহরের উত্তরে জেইতুন পাড়ায় ইসরায়েলি বিমান প্রচণ্ড আক্রমণ চালিয়েছে।

সূত্র: আজ জাজিরা

 

সুমন/

হিথ্রো বিমানবন্দর সাময়িক বন্ধ ঘোষণা

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ১২:৩০ পিএম
আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৩:২৯ পিএম
হিথ্রো বিমানবন্দর সাময়িক বন্ধ ঘোষণা
হিথ্রো বিমানবন্দর। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যের হিথ্রো বিমানবন্দরের কাছে একটি বৈদ্যুতিক সাবস্টেশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কারণে বিমানবন্দরটি সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। 

শুক্রবার (২১ মার্চ) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদন এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিমানবন্দরের কাছে একটি বৈদ্যুতিক সাবস্টেশনে আগুন ধরে যাওয়ায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে আজ (শুক্রবার) মধ্যরাত পর্যন্ত বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই সাবস্টেশনটি থেকে হিথ্রো বিমানবন্দরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।

এদিকে আগুন লাগার কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যাত্রী ও সহকর্মীদের নিরাপত্তার জন্য হিথ্রো বিমানবন্দর ২১ মার্চ রাত ৯টা ৫৯ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, বিমানবন্দরের কাছের একটি সাবস্টেশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

এই অগ্নিকাণ্ডের কারণে ইতোমধ্যে ১৬ হাজারের বেশি বাড়ি বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। অনেককে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বড় এই বিমানবন্দর বন্ধ রাখার কারণে অন্তত ১ হাজার ৩৫১টি ফ্লাইট ওঠানামার সময়সূচি ব্যাহত হচ্ছে। 

এদিকে আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের প্রায় ৭০ কর্মী কাজ করছেন বলে জানিয়েছে লন্ডন ফায়ার ব্রিগেড।

বিমানবন্দরের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা কাজ করছেন, তবে ঠিক কখন নির্ভরযোগ্যভাবে বিদ্যুৎ পুনরায় চালু করা যাবে সে বিষয়টি আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়।’ সূত্র: আল-জাজিরা

পপি/