
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আন্তর্জাতিক মিত্রদের প্রতি তার দেশের খনিজসম্পদে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে তিনি জানান, ইউক্রেনের খনিজসম্পদ রয়েছে। তবে স্পষ্ট করে তিনি জানান, এই সম্পদ বিনামূল্যে কাউকে দেওয়া হবে না, এমনকি কৌশলগত অংশীদারদেরও নয়। জেলেনস্কি বলেন, ‘এটি একটি পারস্পরিক অংশীদারত্ব, যেখানে বিনিয়োগ করা হবে এবং একসঙ্গে সম্পদগুলোর উন্নয়ন এবং লাভবান হওয়া যাবে।’
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় এএফপি।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই সপ্তাহে মন্তব্য করেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের সঙ্গে একটি চুক্তি করতে চায়, যেখানে ইউক্রেনের দুর্লভ খনিজ এবং অন্যান্য সম্পদের বিনিময়ে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেওয়া হবে। ট্রাম্পের এই প্রস্তাব নিয়ে কিছু বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে, যার মধ্যে ইউক্রেনের খনিজসম্পদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কাও প্রকাশ করেছেন জেলেনস্কি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, তার দেশের খনিজসম্পদের মূল্য প্রায় ‘ট্রিলিয়ন ডলার’ এবং ইউক্রেনে ইউরোপের সবচেয়ে বড় টাইটানিয়াম ও ইউরেনিয়ামের মজুত রয়েছে। তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনের জন্য এই সম্পদ সংরক্ষণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি দেশটির নিরাপত্তার জন্য একটি গ্যারান্টি হিসেবে কাজ করে।’
ট্রাম্পের প্রস্তাব নিয়ে সমালোচনা করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজ। শোলৎজ বলেছেন, ‘আমরা ইউক্রেনকে বিনিময়ে কিছু চাওয়া ছাড়াই সাহায্য করছি এবং এটি সবার অবস্থান হওয়া উচিত।’
অন্যদিকে, ট্রাম্প গত শুক্রবার জানান, তিনি সম্ভবত আগামী সপ্তাহে ইউক্রেনের বাইরে জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এই সাক্ষাৎ সম্পর্কে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টও এক্সে জানান, ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্র বৈঠক এবং আলোচনা পরিকল্পনা করছে, তবে এখনো নিশ্চিত নয়, বৈঠকটি পরবর্তী সপ্তাহে হবে কি না।
ট্রাম্প কিয়েভ ও মস্কোকে যুদ্ধ অবসানের জন্য আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তিনি জেলেনস্কি এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত, তবে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো বৈঠকের তারিখ নির্ধারিত হয়নি। সূত্র: এএফপি
বাসস/তাওফিক/