
যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জুনিয়র মন্ত্রী অ্যান্ড্রু গুয়েন হোয়াটসঅ্যাপে আপত্তিকর বার্তা দেওয়ার অভিযোগে বরখাস্ত হয়েছেন।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দেশটির প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার তাকে পদ থেকে অপসারণের ঘোষণা দেন। সংবাদমাধ্যম রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায়।
অ্যান্ড্রু গুয়েনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বর্ণবাদী, যৌন উত্তেজক এবং অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন। বিশেষ করে এক ভোটার সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য এবং ইহুদিবিদ্বেষী কথাবার্তা বলার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
গত রবিবার ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য মেইল এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যেখানে তার বিতর্কিত বার্তাগুলোর উল্লেখ ছিল। এর পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী স্টারমার দ্রুত ব্যবস্থা নেন এবং শনিবার তার বরখাস্তের ঘোষণা দেন।
অ্যান্ড্রু গুয়েন এ ঘটনায় ক্ষমা চেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘আমি আমার মন্তব্যের জন্য গভীরভাবে অনুতপ্ত। যদি এতে কেউ আঘাত পেয়ে থাকেন, আমি তার জন্য দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী।’
রয়টার্স জানিয়েছে, গুয়েন তার হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় এক প্রবীণ নারী ভোটার সম্পর্কে কটূক্তি করেন। যেখানে তিনি আশা প্রকাশ করেন, ওই নারী আগামী নির্বাচনের আগেই মারা যাবেন। এ ছাড়া, তিনি উপপ্রধানমন্ত্রী অ্যাঞ্জেলিনা রায়নারকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্রিটিশ রাজনীতিতে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির অভ্যন্তরে এ নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে। বিরোধীরা একে দলটির শৃঙ্খলা ও নৈতিকতার সংকট হিসেবে দেখছে। অন্যদিকে, সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে।
এ ধরনের বিতর্কিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক অঙ্গনে নেতাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের নীতিমালা আরও কঠোর করার আহ্বান উঠছে। সূত্র: রয়টার্স
তাওফিক/