ঢাকা ৯ চৈত্র ১৪৩১, রোববার, ২৩ মার্চ ২০২৫
English

বাংলাদেশের জনগণকে অগ্রাধিকার দিতে ভারতকে শশী থারুরের আহ্বান

প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:২৫ পিএম
আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:২৮ পিএম
বাংলাদেশের জনগণকে অগ্রাধিকার দিতে ভারতকে শশী থারুরের আহ্বান
ভারতের রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের নেতা শশী থারুর। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের বিরোধী রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের নেতা শশী থারুর বলেছেন, বাংলাদেশের কোনো নির্দিষ্ট দল বা কোনো নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের চেয়ে জনগণের কল্যাণের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে নয়াদিল্লির ইঙ্গিত দেওয়া উচিত।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) নয়াদিল্লিতে বিদেশি গণমাধ্যমকর্মীদের সংগঠন ফরেন করেসপন্ডেন্টস ক্লাবে (এফসিসি) একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি ও দিল্লির সঙ্গে ঢাকার সম্পর্কের বিষয়ে এই মন্তব্য করেন তিনি।

শশী বলেন, বাংলাদেশে যা ঘটছে তা নিবিড়ভাবে এবং সাবধানতার সঙ্গে দেখতে হবে নয়াদিল্লিকে। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, যদি সেখানে ভারতবিরোধী সরকার ক্ষমতায় আসে, তা ভারতের জন্য খুব ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।

ভারতের পররাষ্ট্রবিষয়ক সংসদীয় কমিটির প্রধান কংগ্রেসের এই নেতা বলেন, ‘বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী হিসেবে আমাদের সব পর্যায়ে এই ইঙ্গিত দেওয়া উচিত যে, আমাদের প্রতিশ্রুতি বাংলাদেশের সব জনগণের কল্যাণের জন্য। আমরা কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল বা কোনো নির্দিষ্ট সম্প্রদায় নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন- এমন ধারণার পরিবর্তে বাংলাদেশের জনগণের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতির কথা জানানো দরকার।’

তিনি আরও বলেন, ‘একটি দেশের ক্ষমতায় কে আসবে বা কে শাসন করবে তা আপনি নির্ধারণ করে দিতে পারবেন না। যেই ক্ষমতায় আসবে আমাদের তার সঙ্গে কাজ করা শিখতে হবে।’

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন। তাকে আশ্রয়ের বিষয়টিতে সমর্থন জানিয়েছেন শশী থারুর। তিনি বলেন, এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

ভারতের প্রবীণ সাংবাদিক ও পণ্ডিত কে ভি প্রসাদের ‘ইন্ডিয়ান পার্লামেন্ট: শেপিং ফরেন পলিসি’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন থারুর।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক এবং যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারির সফর নিয়ে শশী থারুরের কাছে প্রশ্ন করা হয়।

বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, ‘আমি মনে করি বাংলাদেশে যা ঘটছে তা আমাদের ঘনিষ্ঠভাবে এবং সাবধানতার সঙ্গে দেখতে হবে। কারণ আমাদের ঠিক পাশের দরজায় তারা।’

তিনি বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রতিকূল হিসেবে মনে করেন না বলে মন্তব্য করেন। একই সময়ে ভারতকে কিছু সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন।

শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক মন্তব্য বিষয়গুলোকে জটিল করে তুলেছে বলে স্বীকার করেছেন শশী থারুর। তিনি বলেন, “সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জারি করা বিবৃতি নিয়ে আমরা কিছুটা ‘ফাটা লাঠিতে’ আছি।”

এ সময় থারুর দুটি বিষয়ের ওপর জোর দিয়ে বলেন, ‘আমাদের প্রকাশ্যে বা গোপনে এমন কিছু করা উচিত নয়, যা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে। দ্বিতীয়ত, আমাদের কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল বা নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের পরিবর্তে বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থ, জনগণের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।’ সূত্র: পিটিআই।

নেতানিয়াহুবিরোধী বিক্ষোভ নিয়ে বিপাকে ইসরায়েল, অন্তর্দ্বন্দ্ব চরমে

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১২:৪৮ পিএম
নেতানিয়াহুবিরোধী বিক্ষোভ নিয়ে বিপাকে ইসরায়েল, অন্তর্দ্বন্দ্ব চরমে
গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি চায় বিক্ষোভকারীরা। ছবি: সংগৃহীত

প্রতিবাদে মুখরিত তেল আবিব। নেতানিয়াহুর নেওয়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে বিক্ষোভ করছে হাজার হাজার মানুষ।

ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেত নিরাপত্তা পরিষেবার প্রধান রোনেন বারকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত এবং গাজায় পুনরায় যুদ্ধ শুরুর প্রতিবাদে শনিবার (২২ মার্চ) রাস্তায় নেমেছে তারা। এই বিক্ষোভ সামাল দিতে বেশ বিপাকে পড়ছে নেতানিয়াহু প্রশাসন। 

এর আগেই ইসরায়েলের রোনেন বারকে বহিস্কার করা নিয়ে দখলদার ইসরায়েল প্রশাসনের শীর্ষস্তরেও চরম অন্তর্দ্বন্দ্ব দেখা দেয়।

রবিবার ( ২৩ মার্চ) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা একটি প্রতিবেদনে এই খবর জানায়।

এছাড়া তেল আবিবের হাবিমা স্কয়ারে বিক্ষোভকারীরা নীল-সাদা ইসরায়েলি পতাকা নেড়ে গাজায় আটক থাকা অবশিষ্ট বন্দীদের মুক্তির জন্য একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির আহ্বান জানায়।

এছাড়া রবিবার( ২৩ মার্চ) ইসরায়েলের সংসদ এবং পশ্চিম জেরুজালেমে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনেও বিক্ষোভের পরিকল্পনা করা হয়।

গাজায় পুনরায় যুদ্ধ শুরু হওয়াতে, ইসরায়েলি বন্দীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। তাদের মধ্যে ২৪ জন এখনও জীবিত বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা বলছেন, যুদ্ধ চালিয়ে গেলে তারা হয় তাদের বন্দীদের হাতে মারা যাবে অথবা ইসরায়েলি হামলায় নিহত হবে।

এদিকে নেতানিয়াহু এই সপ্তাহে বলেন, তিনি ২০২১ সাল থেকে শিন বেতের নেতৃত্বে থাকা রোনেন বারে’র প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেন তাই তাকে ১০ এপ্রিল থেকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেন। সূত্র:  আল- জাজিরা

দিনা/

 

এবার ইয়েমেনের বিমানবন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা হামলা

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১২:০২ পিএম
এবার ইয়েমেনের বিমানবন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা হামলা
ইয়েমেনের হোদেইদা বিমানবন্দরে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। জানিয়েছে দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতি । ছবি: সংগৃহীত

এবার ইয়েমেনের হোদেইদা বিমানবন্দরে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার (২২ এপ্রিল) এ তথ্য জানায় দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতি ।

এক সপ্তাহ আগে ইয়েমেনের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক হামলা চালায় মার্কিন বাহিনী। গতকাল হুতিরা জানালো, নতুন করে হোদেইদা বিমানবন্দরে হামলা চালায় মার্কিন বাহিনী।

হুতি নিয়ন্ত্রিত আল-মাসিরাহ টিভি এই হামলাকে ‘আমেরিকার আগ্রাসন’ হিসেবে অভিহিত করে। টিভি চ্যানেলটি জানায়, লোহিত সাগর উপকূলবর্তী হোদেইদা বিমানবন্দরে এ পর্যন্ত তিনবার হামলা চালানো হয়।

১৯-২১ মার্চ পর্যন্ত ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা টানা যুক্তরাষ্ট্রের হামলার তথ্য জানায়। এর আগে গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনজুড়ে ভারী বিমান হামলা চালানোর তথ্য নিশ্চিত করে। যুক্তরাষ্ট্র হুমকি দেয় হুতিদের পুরোপুরি ‘নিশ্চিহ্ন’ করে দেওয়া হবে।

এছাড়া ১৫ মার্চ যুক্তরাষ্ট্র জানায় তারা হুতি নেতাদের লক্ষ্য করে হামলা চালায়। এই হামলায় ইয়েমেনে ৫৩ জন নিহত হন বলে জানায় হুতিদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
চলতি মাস গাজায় হামলা চালিয়ে আবার শত শত ফিলিস্তিনিদের হত্যা করে দখলদার ইসরায়েল। এর জবাবে লোহিত সাগরে চলাচলকারী সব ইসরায়েলি জাহাজে হামলার হুমকি দেয় হুতি। এরপরই যুক্তরাষ্ট্র হুতি স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালানো শুরু করে।

সূত্র: এএফপি

দিনা/

হাসিনাবিরোধী গণবিক্ষোভের কথা আগেই জানত ভারত: জয়শঙ্কর

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১১:৩৯ এএম
আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১১:৪৯ এএম
হাসিনাবিরোধী গণবিক্ষোভের কথা আগেই জানত ভারত: জয়শঙ্কর
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর দেশটির পররাষ্ট্রবিষয়ক পার্লামেন্টারি পরামর্শক কমিটিকে জানান, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার আগেই ভারত তার বিরুদ্ধে তৈরি হওয়া জনমতের বিষয়টি জানতে পারে। তবে শেখ হাসিনাকে পরামর্শ দেওয়া ছাড়া দেশটি বিশেষ কিছু করতে পারেনি বা সম্ভব হয়নি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু জানায়, জয়শঙ্কর ইঙ্গিত দেন, অন্যান্য বড় আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর মতো ভারতও বাংলাদেশের ভেতরের অস্থির পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত ছিল।

এ প্রসঙ্গে তিনি জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক প্রধান ভলকার তুর্কের সাম্প্রতিক বক্তব্যের উল্লেখ করেন। জাতিসংঘ তখন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে সতর্ক করে যে, যদি তারা নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের উপর হামলা চালায়, তাহলে তাদের শান্তিরক্ষা মিশন থেকে নিষিদ্ধ করা হতে পারে।

ভারতের পররাষ্ট্রবিষয়ক পরামর্শক কমিটির সদস্যরা জয়শঙ্করের সঙ্গে দেশটির পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে সরাসরি আলোচনা করেন, যেখানে বাংলাদেশ, মায়ানমার, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের পরিস্থিতিই আলোচনার প্রধান বিষয় হয়ে ওঠে।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ভারতের সঙ্গে সংলাপ শুরু করলেও শেখ হাসিনাকে ভারত রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ায় দিল্লি-ঢাকার সম্পর্ক এখনও স্বাভাবিক হয়নি। ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ করতে গত ডিসেম্বরে পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রিকে ঢাকায় পাঠায়।

তবে আগামী ২ এপ্রিল থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অনুষ্ঠিতব্য বিমসটেক (বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন) শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যে আনুষ্ঠানিক বৈঠক হবে কি না- সে বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনো কিছু জানায়নি।

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এরই মধ্যে ঢাকায় একাধিক আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বকে স্বাগত জানান। বর্তমানে তিনি চীন সফরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। দুই দেশের মধ্যে একাধিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে। বিশেষ করে বিমান যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন সমঝোতা হতে পারে, যাতে ঢাকা ও চট্টগ্রামের সঙ্গে চীনের বিভিন্ন শহরের সংযোগ আরও জোরদার হয়।

এস. জয়শঙ্কর এই আলোচনায় উল্লেখ করেন, বাংলাদেশে ‘বহিরাগত শক্তির’ ভূমিকা রয়েছে এবং চীনকে তিনি ‘প্রতিপক্ষ’ নয়, বরং ‘প্রতিযোগী’ হিসেবে দেখেন।

জয়শঙ্কর দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক) নিয়েও আলোচনা করেন। ২০১৪ সালের পর থেকে সংস্থাটির কোনো শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি। ২০১৬ সালে পাকিস্তানে নির্ধারিত ১৯ তম সার্ক সম্মেলনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দেয় ভারত। কারণ সে বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর উরিতে ভারতীয় সামরিক স্থাপনায় হামলা হয়। এরপর থেকে ভারত বিমসটেককে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে, ফলে সার্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

তবে ব্রিফিংয়ে জয়শঙ্কর ইঙ্গিত দেন, ‘সার্ক বাতিল হয়নি, বরং বিরতিতে আছে।’ অর্থাৎ, ভবিষ্যতে এটির পুনরুজ্জীবিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ভারতীয় এমপিরা প্রতিবেশী দেশগুলোতে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং জানতে চান, আগামী এক দশকে মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ ও নেপালে চীনের প্রভাব মোকাবিলায় ভারত কী পদক্ষেপ নেবে। সুত্র: দ্য হিন্দু

দিনা/

রাজপুত হত্যাকাণ্ডের ময়নাতদন্ত প্রকাশ, ভয়াবহ নৃশংসতার প্রমাণ

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১০:৩৩ এএম
আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১১:০২ এএম
রাজপুত হত্যাকাণ্ডের ময়নাতদন্ত প্রকাশ, ভয়াবহ নৃশংসতার প্রমাণ
মার্চেন্ট নেভি অফিসার সৌরভ রাজপুতের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত সাহিল শুক্লাকে ১৯ মার্চ আদালতে হাজির করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের সাবেক মার্চেন্ট নেভি কর্মকর্তা সৌরভ রাজপুতের দেহের ময়নাতদন্তের রিপোট প্রকাশ করা হয়েছে।

রিপোর্টে বলা হয়, তার মাথা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল। উভয় হাতের কব্জি থেকে কেটে ফেলা হয় এবং তার পা পিছনের দিকে বাঁকানো ছিল।

তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে শক এবং অতিরিক্ত রক্তপাতের কথা উল্লেখ করা হয়।

ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকরা জানান, ময়নাতদন্তে মিরাট হত্যাকাণ্ডের ভয়াবহ নৃশংসতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। হত্যার আগে রাজপুতের হৃদপিণ্ডে তিন বার অত্যন্ত জোরে ছুরিকাঘাত করা হয়। যা একটি সহিংস আক্রমণ।
 
অভিযোগ রয়েছে, এই কর্মকর্তার স্ত্রী মুসকান রাস্তোগি এবং তার প্রেমিক সাহিল শুক্লা ৪ মার্চ রাজপুতকে মাদকাসক্ত করে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন। এরপর তার দেহ টুকরো টুকরো করে সিমেন্ট দিয়ে একটি ড্রামে সিল করে মুসকান এবং সাহিল হিমাচল প্রদেশে ছুটি কাটাতে চলে যান।

তারপর অপরাধ ধামাচাপা দিতে রাজপুতের ফোন থেকে বার্তা পাঠিয়ে তার পরিবারকে বিভ্রান্ত করেন। ১৮ মার্চ রাজপুতের পরিবার তার নিখোঁজ হওয়ার খবর পুলিশকে জানালে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা প্রকাশ পায়। পরে মুসকান এবং সাহিলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অপরাধ গোপন করার জন্য তারা মরদেহ রাখা ড্রামটি সিমেন্ট দিয়ে ভরাট করে দেয়। পুলিশ ড্রামটি উদ্ধার করে সিমেন্ট সরিয়ে রাজপুতের দেহাবশেষ বের করে। সূত্র: দ্য হিন্দু এবং ইন্ডিয়া টুডে

> ভারতের মার্চেন্ট নেভি অফিসার হত্যাকাণ্ডে কালো জাদু রহস্য!

দিনা/অমিয়/

দুটির বেশি ডিম কিনতে পারছেন না মার্কিনিরা

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০৯:৫৮ এএম
আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১০:১৮ এএম
দুটির বেশি ডিম কিনতে পারছেন না মার্কিনিরা
সরবরাহ কম থাকায় যুক্তরাষ্ট্রের কিছু দোকান থেকে দুটির বেশি ডিম কিনতে পারছেন না ক্রেতারা। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ডিমের ভয়াবহ সংকটের কারণে দেশটির অধিকাংশ দোকানে নোটিশ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়, ‘চাহিদা ও সরবরাহ কম থাকায় একসঙ্গে দুটি ডিমের বেশি কিনতে পারবেন না।’

এই সংকটের জন্য বার্ড ফ্লু মহামারিকে দায়ী করা হচ্ছে। ২০২২ সাল থেকে এই ভাইরাস যুক্তরাষ্ট্রের পোলট্রি শিল্পের ব্যাপক ক্ষতি করে। এ পর্যন্ত দেশটিতে ১৫৬ মিলিয়নের বেশি মুরগি মারা যাওয়ার পর ডিমের সংকট দেখা দেয়।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ডিমের দাম প্রায় ৬৫ শতাংশ বাড়ে। আশঙ্কা আছে, চলতি বছর আরও ৪১ শতাংশ বাড়তে পারে।

এদিকে ঊর্ধ্বমুখী ডিমের বাজার সামলাতে তুরস্ক ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে বিপুল ডিম আমদানির পরিকল্পনা করে দেশটি। এ ছাড়া দেশটির কৃষি মন্ত্রণালয় জানায়, আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গেও ডিম আমদানির বিষয়ে আলোচনা চলে।

বিদেশ থেকে ডিম আমদানি ছাড়াও ডিমের দাম কমানোর জন্য ট্রাম্প প্রশাসন ১ বিলিয়ন ডলারের পরিকল্পনা ঘোষণা করে। খামারে ফ্লুজাতীয় রোগ বা বায়োসিকিউরিটি ব্যবস্থা জোরদার করতে ৫০০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দের ঘোষণা দেওয়া হয়। এছাড়া  ভ্যাকসিন গবেষণা ও উন্নয়নে ১০০ মিলিয়ন ডলার, কৃষকদের আর্থিক সহায়তায় দেওয়া হয় ৪০০ মিলিয়ন ডলার। সূত্র: বিবিসি

দিনা/