বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ ) নয়াদিল্লিতে শেষ হচ্ছে ‘রাইসিনা ডায়ালগ’। প্রায় ১২৫টি দেশের মন্ত্রী, সাবেক রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান, সামরিক ও গোয়েন্দাপ্রধান, শিল্প ব্যক্তিত্ব, প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, কূটনৈতিকসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রতিনিধিরা এখানে অংশ নেন। ছবি: সংগৃহীত
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) শেষ হচ্ছে ‘রাইসিনা ডায়ালগ’। ১৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টোফার লুক্সন যৌথভাবে রাইসিনা ডায়ালগ উদ্বোধন করেন।
তিন দিনের এই সম্মেলনে ১২৫টি দেশের মন্ত্রী, সাবেক রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান, সামরিক ও গোয়েন্দাপ্রধান, শিল্প ব্যক্তিত্ব, প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, কূটনৈতিকসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
এ ছাড়া শীর্ষস্থানীয় থিংকট্যাংক এবং যুব প্রতিনিধিরাও এই আলোচনায় অংশ নেন। এটি ভারতের ভূরাজনীতি ও ভূ-অর্থনীতিবিষয়ক প্রধান সম্মেলন হিসেবে বিশ্বজুড়ে পরিচিত।
২০১৬ সালে প্রথম এই সংলাপের আয়োজন করে ভারত। এবার ১০ম বছরে পদার্পণ করা রাইসিনা ডায়ালগ ইতোমধ্যে ভূরাজনীতি ও ভূ-অর্থনীতি বিষয়ে ভারতের প্রধান সম্মেলন হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
এটি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন আয়োজিত একটি বহুপক্ষীয় সম্মেলন। এই প্ল্যাটফর্ম বহুপক্ষীয় সহযোগিতা বৃদ্ধি, ধারণা বিনিময় এবং বৈশ্বিক নীতি অ্যাজেন্ডা গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
‘রাইসিনা ডায়ালগ’ নামটি এসেছে রাইসিনা হিল থেকে। এটি নয়াদিল্লির একটি উঁচু স্থান এবং এখানে ভারতের সংসদ ভবন, সুপ্রিম কোর্ট এবং রাষ্ট্রপতির ভবন অবস্থিত। এখানকার যে কোনো ভবন থেকে পুরো দিল্লি দেখতে পাওয়া যায়।
এবারের সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ড, যুক্তরাজ্যের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জোনাথন পাওয়েল ও নিউজিল্যান্ডের গোয়েন্দাপ্রধান অ্যান্ড্রু হ্যাম্পটন উপস্থিত হন।
এবারের সংলাপকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে শুল্ক ইস্যু, কানাডায় ‘খালিস্তানি’ বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর উত্থান, মৌলবাদ ও চরমপন্থার বিস্তার নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে এই সম্মেলন বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। সূত্র: দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া
দিনা/অমিয়/