
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির কঠোর পদক্ষেপের অংশ হিসেবে আবারও ১১৯ জন অবৈধ ভারতীয় নাগরিককে ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টা ৪০ মিনিটে মার্কিন বিমানবাহিনীর সি-১৭ গ্লোবমাস্টার বিমানটি ভারতের অমৃতসর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
আজ রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) আরেকটি বিমান ভারতে পৌঁছানোর কথা রয়েছে, যা আরও অবৈধ ভারতীয় নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে আনবে।
এই ফেরত পাঠনোর প্রক্রিয়া নিয়মিতভাবে চলতে থাকবে এবং প্রতি দুই সপ্তাহ পরপর একই ধরনের ফ্লাইটে অনথিভুক্ত ভারতীয়দের ফেরত পাঠানো হবে।
এদিকে গত ৫ ফেব্রুয়ারি মার্কিন সামরিক বিমানটি প্রথমবারের মতো ১০৪ জন ভারতীয়কে নিয়ে ভারতে অবতরণ করেছিল। যাদের মধ্যে অনেকেই বৈধ উপায়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের আশায় বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত মানব পাচারকারীদের সহায়তায় কষ্টকর ও দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে বাধ্য হন।
মার্কিন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, বিমান থেকে নামার সময় অভিবাসীদের হাতকড়া পরানো হয়েছে এবং তাদের পায়ে শিকল বাঁধা হয়েছে, যা সাধারণত অপরাধীদের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
এভাবে ফেরত পাঠনোর পদ্ধতি নিয়ে ভারতের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তারা কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করে বলছে, কেন ভারত সরকার নিজ উদ্যোগে একটি বিমান পাঠিয়ে নাগরিকদের মানবিক উপায়ে ফিরিয়ে আনতে পারল না।
কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম বলেন, ‘আজ অমৃতসরে নামতে যাওয়া মার্কিন বিমানটির দিকে সবার দৃষ্টি থাকবে। বহিষ্কৃতদের কি আবারও হাতকড়া পরানো হবে এবং শিকলে বাঁধা হবে? এটি ভারতীয় কূটনীতির জন্য একটি পরীক্ষা।’
বিরোধীদের সমালোচনার জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানান, যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) বিভাগ এই বহিষ্কার কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং তারা এ বিষয়ে কঠোর নীতিতে রয়েছে।
তিনি আরও জানান, এটি নতুন কোনো ঘটনা নয়। ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত মোট ১৫ হাজার ৭৫৬ অনথিভুক্ত ভারতীয়কে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০১৯ সালে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪২ জন এবং ২০২০ সালে এক হাজার ৮৮৯ জন ভারতীয়কে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। সূত্র: এনডিটিভি
তাওফিক/