
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য ২৯ মিলিয়ন ডলারের যে অর্থায়ন করে থাকে, তা বাতিল করেছে ইলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (ডিওজিই)। একই সঙ্গে ভারতের ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্ধারিত ২১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অনুদানও বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে এই দপ্তরটি।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ডিওজিইর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের অফিশিয়াল অ্যাকাউন্ট থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে। রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুস্তান টাইমস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক সহায়তায় অর্থায়ন কমানোর অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যেখানে বাংলাদেশ, ভারত, মোজাম্বিকসহ আরও কয়েকটি দেশের বিভিন্ন প্রকল্পের তহবিলও বাতিল করা হয়েছে। ডিওজিইর প্রকাশিত তালিকায় বলা হয়, ‘যুক্তরাষ্ট্রের করদাতাদের অর্থ যেসব প্রকল্পগুলোতে ব্যয় করা হচ্ছিল, সেগুলো এখন সম্পূর্ণ বাতিল করা হয়েছে।’
সেই তালিকায় বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবকাঠামো শক্তিশালী করতে যুক্তরাষ্ট্র যে ২৯ মিলিয়ন ডলার দিয়ে থাকে, তা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এ ছাড়া ভারতে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্ধারিত ২১ মিলিয়ন অর্থায়নও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
এই পদক্ষেপটি ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনের অধীনে নেওয়া প্রথম দিকের বড় সিদ্ধান্তগুলোর একটি। বাজেট কমানোর লক্ষ্যে ট্রাম্প প্রশাসন একাধিক আন্তর্জাতিক প্রকল্পের তহবিল বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে।
এ বিষয়ে ডিওজিইর প্রধান ইলন মাস্ক বলেছেন, ‘আমরা যদি বড় ধরনের বাজেট কাটছাঁট না করি, তা হলে আমেরিকা দেউলিয়া হয়ে যাবে।’
ডিওজিই এই সিদ্ধান্ত এমন এক সময়ে নিয়েছে, যখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। যদিও তাদের আলোচনার পর আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে এই অনুদান বাতিলের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি।
বাংলাদেশ ও ভারতের পাশাপাশি অন্যান্য বেশকিছু দেশেরও আন্তর্জাতিক সহায়তা প্রকল্পের তহবিল বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে নেপালে ৩৯ মিলিয়ন ডলার, মোজাম্বিকে ১০ মিলিয়ন ডলার, লাইবেরিয়া ১.৫ মিলিয়ন ডলার, মালিতে ১৪ মিলিয়ন ডলার, দক্ষিণ আফ্রিকার ২.৫ মিলিয়ন ডলার এবং এশিয়ার শিক্ষা ক্ষেত্রে ৪৭ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে। সূত্র: দ্য হিন্দুস্তান টাইমস
তাওফিক/