
লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে একটি বেসামরিক যানবাহন লক্ষ্য করে ইসরায়েলের ড্রোন হামলায় তিনজন লেবানিজ বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং চারজন আহত হয়েছেন।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এই হামলা চালানো হয় বলে ইরানের বার্তা সংস্থা তাসনিম জানায়।
সংঘটিত এই হামলা লেবানন ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির আরেকটি সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
লেবাননের গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলাটি ইকলিম আল-তুফাহ অঞ্চলের জারজুহ সড়কে একটি গাড়িকে লক্ষ্য করে চালানো হয়। ড্রোন থেকে নিক্ষিপ্ত ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরণ ঘটায়। যার ফলে পাশের একটি গাড়িতে থাকা চারজন নারীও আহত হন।
এক লেবানিজ নিরাপত্তা সূত্র আল-মানার টেলিভিশনকে জানায়, ‘এটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন এবং ইসরায়েল ধারাবাহিকভাবে বেসামরিক জনগণকে লক্ষ্যবস্তু বানানোর নীতি গ্রহণ করেছে। নিহতরা সবাই সাধারণ নাগরিক, কোনো যোদ্ধা নন।’
অন্যদিকে, ইসরায়েল দাবি করেছে, হামলাটি হিজবুল্লাহর একজন শীর্ষস্থানীয় কমান্ডারের ওপর চালানো হয়েছে। তবে স্থানীয় সূত্র এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে কেউই হিজবুল্লাহর সদস্য ছিলেন না।
এই ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটল, যখন গত বছরের নভেম্বর থেকে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর ইসরায়েল একাধিকবার তা লঙ্ঘন করেছে।
এদিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় গত এক বছরের বেশি সময় ধরে তিন হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে হিজবুল্লাহর সদস্য ও সাবেক মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরাল্লাহও রয়েছেন।
চুক্তি অনুসারে, ইসরায়েলি বাহিনীকে ৬০ দিনের মধ্যে দক্ষিণ লেবানন থেকে প্রত্যাহার করার কথা ছিল, পরে সময়সীমা বাড়িয়ে তা ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করা হয়।
এদিকে হিজবুল্লাহ হুঁশিয়ারি দিয়েছে, তেল আবিব যদি যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন অব্যাহত রাখে, তা হলে তার কঠোর জবাব দেওয়া হবে। সূত্র: তাসনিম নিউজ এজেন্সি
তাওফিক/