ঢাকা ১৩ চৈত্র ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫, ১৩ চৈত্র ১৪৩১

যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন লেবাননে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় নিহত ৩

প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৪২ পিএম
আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:৩১ পিএম
লেবাননে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় নিহত ৩

লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে একটি বেসামরিক যানবাহন লক্ষ্য করে ইসরায়েলের ড্রোন হামলায় তিনজন লেবানিজ বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং চারজন আহত হয়েছেন।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এই হামলা চালানো হয় বলে ইরানের বার্তা সংস্থা তাসনিম জানায়। 

সংঘটিত এই হামলা লেবানন ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির আরেকটি সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

লেবাননের গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলাটি ইকলিম আল-তুফাহ অঞ্চলের জারজুহ সড়কে একটি গাড়িকে লক্ষ্য করে চালানো হয়। ড্রোন থেকে নিক্ষিপ্ত ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরণ ঘটায়। যার ফলে পাশের একটি গাড়িতে থাকা চারজন নারীও আহত হন।

এক লেবানিজ নিরাপত্তা সূত্র আল-মানার টেলিভিশনকে জানায়, ‘এটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন এবং ইসরায়েল ধারাবাহিকভাবে বেসামরিক জনগণকে লক্ষ্যবস্তু বানানোর নীতি গ্রহণ করেছে। নিহতরা সবাই সাধারণ নাগরিক, কোনো যোদ্ধা নন।’

অন্যদিকে, ইসরায়েল দাবি করেছে, হামলাটি হিজবুল্লাহর একজন শীর্ষস্থানীয় কমান্ডারের ওপর চালানো হয়েছে। তবে স্থানীয় সূত্র এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে কেউই হিজবুল্লাহর সদস্য ছিলেন না।

এই ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটল, যখন গত বছরের নভেম্বর থেকে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর ইসরায়েল একাধিকবার তা লঙ্ঘন করেছে।

এদিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় গত এক বছরের বেশি সময় ধরে তিন হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে হিজবুল্লাহর সদস্য ও সাবেক মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরাল্লাহও রয়েছেন।

চুক্তি অনুসারে, ইসরায়েলি বাহিনীকে ৬০ দিনের মধ্যে দক্ষিণ লেবানন থেকে প্রত্যাহার করার কথা ছিল, পরে সময়সীমা বাড়িয়ে তা ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করা হয়।

এদিকে হিজবুল্লাহ হুঁশিয়ারি দিয়েছে, তেল আবিব যদি যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন অব্যাহত রাখে, তা হলে তার কঠোর জবাব দেওয়া হবে। সূত্র: তাসনিম নিউজ এজেন্সি 

তাওফিক/ 

এবার ভারতকে ফেন্টানিলের কাঁচামাল সরবরাহকারী বলল যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২৫, ০৪:০৩ পিএম
আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২৫, ০৪:২৮ পিএম
এবার ভারতকে ফেন্টানিলের কাঁচামাল সরবরাহকারী বলল যুক্তরাষ্ট্র
ফেন্টানিল মাদক সেবনের কারণে শুধু ২০২২ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত ৫২ হাজারের বেশি আমেরিকান নাগরিকের মৃত্যু হয়। ছবি: সংগৃহীত

সিনথেটিক আফিমজাত ভয়াবহ মাদক ফেন্টানিলের (ফেন্টানাইল সাইট্রেট নামেও পরিচিত) অবৈধ বাজারে চীনের সঙ্গে ভারতকেও সরবরাহকারী হিসেব দায়ী করল যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার বার্ষিক হুমকি মূল্যায়ন (এটিএ) প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ভারত ও চীন মাদক উৎপাদনকারী অপরাধী চক্রের কাছে সরাসরি ও পরোক্ষভাবে ফেন্টানিল তৈরির রাসায়নিক সরবরাহ করে থাকে। শুধু তাই নয়, এই মাদক তৈরির উপাদান ‘রাষ্ট্রীয়ভাবে’ সরবরাহ করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা বিভাগের (ডিএনআই) পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ডের কার্যালয় থেকে মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।

বুধবার (২৬ মার্চ) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের এটিএ প্রতিবেদনে বলা হয়, এই চক্রগুলো (আন্তর্জাতিক অপরাধী সংগঠন) প্রায়শই চীন ও ভারতের মাধ্যমে মাদক পাচারের জন্য প্রয়োজনীয় রাসায়নিক ও সরঞ্জাম পায়। অবৈধ ফেন্টানিল তৈরির রাসায়নিক ও পিল তৈরির সরঞ্জামের প্রধান উৎস চীন। এর পরই ভারতের অবস্থান।

এবারই প্রথম যুক্তরাষ্ট্র ফেন্টানিলের মতো মাদক তৈরির রাসায়নিক সরবরাহের অভিযোগে ভারতকে চীনের মতো করে চিহ্নিত করল। গত বছরের প্রতিবেদনে মেক্সিকোর চক্রগুলো ভারতসহ অন্যান্য দেশ থেকে কম পরিমাণে রাসায়নিক সংগ্রহ করত বলে উল্লেখ করা হয়। সেখানে চীনকে প্রধান সরবরাহকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

এই প্রতিবেদনটি এমন সময়ে প্রকাশ করা হলো, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মাদক সমস্যা মোকাবিলাকে রাজনৈতিক অগ্রাধিকার দিচ্ছেন এবং সেটি দেশটির বৈদেশিক নীতিকেও প্রভাবিত করছে।

চলতি মাসের শুরুতে ট্রাম্প স্পষ্ট জানান, ‘যুক্তরাষ্ট্রে ফেন্টানিলের মহামারি সম্পূর্ণ নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত তার প্রশাসন বিশ্রাম নেবে না।’

যুক্তরাষ্ট্রের মতে, ফেন্টানিল যুক্তরাষ্ট্রে পাচার হওয়া সবচেয়ে মারাত্মক মাদক। এটি একটি অত্যন্ত শক্তিশালী কৃত্রিম আফিম-সদৃশ ঔষধ যা প্রাথমিকভাবে ব্যথানাশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ফেন্টানাইল মরফিনের চেয়ে ৫০ থেকে ১০০ গুণ বেশি শক্তিশালী। ফেন্টানাইল খুব দ্রুত কাজ করে এবং তুলনামূলক অল্প পরিমাণে গ্রহণ করলে ওভারডোজ হতে পারে।

এই মাদকের কারণে শুধু ২০২২ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত ৫২ হাজারের বেশি আমেরিকানের মৃত্যু হয়। সূত্র: এনডিটিভি

দিনা/অমিয়/

স্যামসাং সিইও হান জং-হি মারা গেছেন

প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২৫, ০২:০৬ পিএম
আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২৫, ০৩:১৬ পিএম
স্যামসাং সিইও হান জং-হি মারা গেছেন
স্যামসাং ইলেকট্রনিক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও ভাইস চেয়ারম্যান হান জং-হি হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। ছবি: সংগৃহীত

স্যামসাং ইলেকট্রনিক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও ভাইস চেয়ারম্যান হান জং-হি মারা গেছেন। তিনি ২০২২ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার বৃহত্তম কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নির্বাচিত হন।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান বলে জানায় বার্তাসংস্থা রয়টার্স। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর।

নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হানের মৃত্যুর পর জুন ইয়ং-হিউনকে স্যামসাং ইলেকট্রনিক্সের প্রধান নির্বাহী নিযুক্ত করা হয়।

কোম্পানিটি গত মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানায়।

হান দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচনের ইনহা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৮৮ সালে স্যামসাংয়ের ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় প্রতিষ্ঠাতা লি বাইং-চুলের মৃত্যুর পরপরই কোম্পানিটিতে যোগদান করেন।

কোম্পানির মুখপাত্র জানান, মৃত্যুর সময় হান স্ত্রী এবং তিন সন্তান রেখে গেছেন। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) স্যামসাং সিউল হাসপাতালের ফিউনারেল হলে তার শেষকৃত্য হবে।

স্যামসাং বিশ্বব্যাপী স্মার্টফোন বাজারে অন্যতম জনপ্রিয় ব্র্যান্ড। এটি বৈদ্যুতিক গাড়ি এবং স্মার্টওয়াচ থেকে শুরু করে উন্নত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সার্ভার পর্যন্ত সবকিছুতে ব্যবহৃত মেমোরি চিপের বিশ্বের বৃহত্তম প্রস্তুতকারক। সূত্র: দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস

দিনা/অমিয়/

ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে দক্ষিণ কোরিয়া

প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২৫, ০১:১৩ পিএম
আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২৫, ০৩:২০ পিএম
ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে দক্ষিণ কোরিয়া
দক্ষিণ কোরিয়াতে শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে ছয় দিন ধরে চলা ভয়াবহ দাবানলে কমপক্ষে ১৮ জন নিহত হন। ছবি:সংগৃহীত

দক্ষিণ কোরিয়াতে শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে ছয় দিন ধরে চলা ভয়াবহ দাবানলে কমপক্ষে ১৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

বুধবার (২৬ মার্চ) বার্তাসংস্থা দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস জানায়, বুধবার স্থানীয় সময় ভোর পাঁচটা পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের একাধিক স্থানে ছড়িয়ে পড়া আগুনে অন্তত ১৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় জানায়, উইসেওং কাউন্টিতে ছড়িয়ে পড়া আগুনে ১৪ জন এবং সানচেওং কাউন্টির আগুনে বাকি চারজন মারা গেছেন। মৃতরা সবাই ষাট থেকে সত্তরোর্ধ্ব।

আগুন ভয়াবহ রূপ নেওয়ার পর সেখান থেকে অন্তত ২৭ হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়। এমনকি দাবানল আক্রান্ত এলাকার নিকটবর্তী কারাগার থেকে বন্দিদেরও অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়।

দেশটির ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সু বলেন, দাবানলের নিয়ন্ত্রণ করতে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিসহ সব সদস্য কাজ করছেন। দেশটিতে অবস্থানরত মার্কিন সেনারাও সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছেন। তবে পরিস্থিতি এখনও ভালো নয়।

দেশটির কয়েক শ পুলিশ কর্মকর্তা ও সেনা দাবনল নিয়ন্ত্রণের জন্য ৮৭টি হেলিকপ্টার নিয়ে কাজ করছেন। এখানকার পাহাড়ি ভূ-প্রকৃতির কারণে দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনতে হেলিকপ্টার ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা বেশি। এছাড়া সেখানে চার হাজার ৯১৯ জন দমকলকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। সূত্র: দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস

দিনা/অমিয়/

শিনজো হত্যাকাণ্ডে নাম জড়ানো ‘মুনিজ’ চার্চ ভাঙার আদেশ

প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২৫, ১২:২৫ পিএম
আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২৫, ০৩:২৫ পিএম
শিনজো হত্যাকাণ্ডে নাম জড়ানো ‘মুনিজ’ চার্চ  ভাঙার  আদেশ
ছবি:সংগৃহীত

জাপান সরকারের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে টোকিওর একটি আদালত জাপানের বিতর্কিত ইউনিফিকেশন ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এই চার্চটি ২০২২ সালে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের হত্যাকাণ্ডের পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে।

তখন অভিযুক্ত হত্যাকারী দাবি করেন, তিনি শিনজোর প্রতি ক্ষুব্ধ ছিলেন; কারণ এই চার্চের সঙ্গে তার সংযোগ ছিল। তিনি অভিযোগ করেন, এই চার্চটি তার পরিবারকে দেউলিয়া করে দিয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) ইউরোনিউজ এক প্রতিবেদনে জানায়, এই চার্চটির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, এটি  তাদের অনুসারীদের বিশাল অঙ্কের অনুদান ও অন্যান্য আর্থিক ত্যাগ স্বীকার করতে বাধ্য করে। এরপর সেই অভিযোগ আমলে এনেই জাপানের শিক্ষা ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় চার্চটি বিলুপ্ত করার আবেদন করে।

তবে ‘মুনিজ’ নামে পরিচিত এই চার্চটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, এসব দান বা অনুদান বৈধ ধর্মীয় কার্যক্রমেরই অংশ। তাই আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ রয়েছে চার্চ কর্তৃপক্ষের।

এদিকে টোকিও জেলা আদালতের এই রায়ের কারণে চার্চটি করমুক্ত সম্পদ ভোগের সুবিধা হারাবে এবং তাদের স্থাবর সম্পদকে নগদ অর্থে পরিণত করতে হবে। তবে তারা জাপানে কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবে।

কয়েকটি তদন্তে দেখা গেছে, চার্চটি অনুসারীদের আত্মিক কল্যাণের প্রলোভন এবং ভয় দেখিয়ে ব্যয়বহুল সামগ্রী কেনার জন্য বাধ্য করতো। প্রায় ২০০ ব্যক্তি এই চার্চের মাধ্যমে প্রতারিত হয়েছেন বলে সাক্ষ্য দেন।

তারা জানান, তাদের অনিচ্ছাকৃতভাবে অনুদানে বাধ্য করা হয়। এরপর তারা মোট ৫৭০ কোটি ইয়েন (৪৬০ কোটি টাকার বেশি) ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।

১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠিত দক্ষিণ কোরিয়ার এই ইউনিফিকেশন চার্চ জাপানে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। প্রতিষ্ঠাতা সান মিয়ং মুনের নাম থেকেই ‘মুনিজ’ নামটি এসেছে। এর আগে চার্চটি হাজার হাজার যুগলের গণবিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজন করে আলোচিত হয়। 

এছাড়া জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে হত্যাকাণ্ডের তদন্তে উঠে আসে, গোপনীয় এই চার্চটির সঙ্গে জাপানের ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের বহু আইনপ্রণেতার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। যার ফলে চার মন্ত্রী পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।

আবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার নেতৃত্বাধীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) অভ্যন্তরীণ তদন্তে জানা যায়, তাদের ৩৭৯ জন আইনপ্রণেতার মধ্যে ১৭৯ জনের ইউনিফিকেশন চার্চের সঙ্গে যোগাযোগ ছিলেন।

চার্চটির সঙ্গে ক্ষমতাসীন দল এবং রাজনীতিবিদদের গভীর সংযোগের বিষয়টি জাপানিদের হতবাক করে। সূত্র: ইউরো নিউজ

দিনা/অমিয়/

আইফেল টাওয়ার হিজাবে মুড়িয়ে বিজ্ঞাপন!

প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২৫, ১১:১৬ এএম
আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২৫, ০৩:২৮ পিএম
আইফেল টাওয়ার হিজাবে মুড়িয়ে বিজ্ঞাপন!
ইসলামি পোশাকের জনপ্রিয় ব্র্যান্ড মেরাচি সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে এই বিজ্ঞাপন দিয়ে ফ্রান্সে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

ইসলামি পোশাকের জনপ্রিয় ব্র্যান্ড মেরাচি সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে একটি বিজ্ঞাপন দিয়ে ফ্রান্সে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির এই বিজ্ঞাপনে দেখা যায়, আইফেল টাওয়ার একটি হিজাবে মোড়ানো। আর ক্যাপশনে লেখা —‘ফরাসি সরকার মেরাচিকে আসতে দেখলে ঘৃণা করে।’

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম সানডে টাইমস তাদের এক প্রতিবেদনে জানায়, ফ্রান্সে স্কুল ও সরকারি অফিসগুলোতে হিজাব নিষিদ্ধ হওয়ায় বিজ্ঞাপনটি নিয়ে সেখানে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। 

দেশটির জাতীয় টেলিভিশন এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপনটি নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠে। অভিযোগ, এটি সরকারবিরোধী স্লোগানকে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার একটি অপকৌশল।

ফরাসি লে পয়েন্ত ম্যাগাজিনের সম্পাদক জেরালদিন ভোসনার বলেন, এই বিজ্ঞাপন ফ্রান্সে বিভেদ সৃষ্টি করতে পারে।

তিনি বলেন, ‘তারা বোঝাতে চাচ্ছেন, যারা হিজাব পরেন তারা বিনয়ী, আর যারা পরেন না তারা বিনয়ী নন। এটি সত্যিই আক্রমণাত্মক এবং বিভ্রান্তিকর।’

বিজ্ঞাপনটিতে সরাসরি ধর্মের কোনো রেফারেন্সের কথা উল্লেখ নেই। তবে এটি ফ্রান্সের সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় বিভাজনকে সামনে নিয়ে এসেছে। বিশেষ করে কট্টর ডানপন্থি রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল র‍্যালি দলের নেতারা এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। 

দলটির সংসদ সদস্য লিসেট পোলেট সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, ‘এটি আইফেল টাওয়ারের জন্য একটি অবমাননা। ইসলামিক হিজাবে এটি ঢেকে দিয়ে মেরাচি ইচ্ছাকৃতভাবে আমাদের উসকে দেওয়ার চেষ্টা করেছে।’

আমস্টারডাম-ভিত্তিক ব্র্যান্ড মেরাচি মূলত ফ্রান্সে অনলাইনে ব্যবসা করে। সম্প্রতি প্যারিসের এটি একটি অস্থায়ী দোকানও চালু করে। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ২৬ বছর বয়সী নাদা মেরাচি এখনো এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।

ফ্রান্সের কঠোর ধর্মনিরপেক্ষতা নীতির অধীনে সরকারি কর্মচারী, আইনজীবী, পুলিশ কর্মকর্তা এবং রাষ্ট্রীয় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা প্রকাশ্যে ধর্মীয় কোনো প্রতীক ধারণ করতে পারেন না। ২০২৩ সাল থেকে ফ্রান্সের স্কুলে ইসলামিক পোষাক আবায়া বা হিজাব পরাও নিষিদ্ধ। সূত্র: দ্য সানডে টাইমস

দিনা/অমিয়/