ঢাকা ৭ চৈত্র ১৪৩১, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫
English
শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১

ইউরোপকে হাতের মুঠোয় চান পুতিন, সহায়তায় ট্রাম্প

প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:২৬ পিএম
আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩৬ পিএম
ইউরোপকে হাতের মুঠোয় চান পুতিন, সহায়তায় ট্রাম্প
ছবি: সংগৃহীত

২০০৭ সালে অনুষ্ঠিত বার্ষিক নিরাপত্তা সম্মেলনে ইউরোপে মার্কিন আধিপত্য কমানোর ঘোষণা দেওয়ায় স্তম্ভিত হয়ে পড়েছিলেন বাঘাবাঘা নেতারা। আদতে তার উদ্দেশ ছিল ইউরোপে রুশ কর্তৃত্ব কায়েম। সে সময় কাউকে পাশে না পেলেও এবার খোদ মার্কিন প্রশাসনই এগিয়ে এসেছে পুতিনের ইউরোপজয়ের স্বপ্ন পূরণে।

সম্প্রতি মার্কিন প্রশাসনের বেশ কিছু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বক্তব্যে এই বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে।

জার্মানির মিউনিখের অনুষ্ঠিত নিরাপত্তা সম্মেলনে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে. ডি. ভ্যান্স ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষাবিষয়ক মন্ত্রী পিট হেগসেথের বক্তব্য থেকে জানা যায়, মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিতে ইউরোপের প্রাধান্য কমে রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ট সম্পর্ক স্থাপনের সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।

এর আগে পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারস সফরকালে হেগসেথ ট্রাম্প প্রশাসনের ইউরোপবিমুখতা স্পষ্ট করে জানান, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে রাশিয়া ও চীনের চেয়েও বড় কূটনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে দাঁড়িয়েছে ইউরোপীয় জোট। এ সময় ইউরোপে উগ্র ডানপন্থি রাজনৈতিক দলগুলোর দৌরাত্ম নিয়ে অভিযোগ করেন তিনি।   

গত বছর রোমানিয়ায় অনুষ্ঠেয় নির্বাচন বাতিলের ঘটনা উল্লেখ করে ভাইস প্রেসিডেন্ট ভ্যান্স বলেন, ‘ইউরোপ নিজদের মধ্যেই দ্বন্দ্বে লিপ্ত। এখানে যুক্তরাষ্ট্রের কিছুই করার নেই।’ 

এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন মিত্ররাষ্ট্রগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দেওয়াই মস্কোর অভিপ্রায়। দুপক্ষের সম্পর্কে ফাঁটল তৈরি করতে পারলে লাভ পুতিনের।

ইন্সটিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের কর্মকর্তা ন্যাথালি টোকির মতে, উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে ইউরোপ ‘পুরোপুরি ধ্বংস না হলেও দুর্বল হয়ে পড়বে-এটা নিশ্চিত।’

এদিকে ট্রাম্প প্রশাসন আন্তর্জাতিক ত্রাণ সহায়তা সাময়িক বন্ধ রাখায় ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে নতুন করে টানাপোড়েনের সৃষ্টি হয়েছে।

চলমান ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ নিরসনে অনুষ্ঠিতব্য শান্তি আলোচনায় ট্রাম্পের প্রভাবে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ইউরোপের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। এই আলোচনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট মস্কোর চাওয়াকেই বেশি গুরুত্ব দেবেন বলে আশঙ্কা তাদের।

এ পর্যায়ে ইউরোপজুড়ে পুতিনের প্রভাব ছড়িয়ে পড়লে পুরো মহাদেশের ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে পড়তে পারে। সূত্র: নিউ ইয়র্ক টাইমস্‌। 

নাইমুর/

২০২৪ সালে অভিবাসন পথে রেকর্ড ৮ হাজার ৯৩৮ জনের মৃত্যু: জাতিসংঘ

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৭:৪৫ পিএম
২০২৪ সালে অভিবাসন পথে রেকর্ড ৮ হাজার ৯৩৮ জনের মৃত্যু: জাতিসংঘ

২০২৪ সালকে অভিবাসীদের জন্য সবচেয়ে মারাত্মক বছর হিসেবে আখ্যায়িত করেছে জাতিসংঘ।

শুক্রবার (২১ মার্চ) সংস্থাটি জানিয়েছে, ওই বছর বিশ্বব্যাপী অভিবাসন পথে প্রায় ৯ হাজার মানুষ মারা গেছেন। জাতিসংঘ এই মৃত্যুকে ‘অগ্রহণযোগ্য ও প্রতিরোধযোগ্য’ ট্র্যাজেডি বলে অভিহিত করেছে।

জেনেভা থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানিয়েছে, ২০২৪ সালে বিশ্বব্যাপী অভিবাসন পথে অন্তত ৮ হাজার ৯৩৮ জন মারা গেছেন। গত পাঁচ বছর ধরে মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধির প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। সূত্র: বাসস।

গাজার দক্ষিণ ও উত্তরাঞ্চল দখলের হুমকি ইসরায়েলের

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৬:৪৪ পিএম
আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৬:৫৫ পিএম
গাজার দক্ষিণ ও উত্তরাঞ্চল দখলের হুমকি ইসরায়েলের
ইসরায়েলি বিমান হামলায় বিধ্বস্ত গাজা। ছবি: সংগৃহীত

উত্তর ও দক্ষিণ গাজায় স্থল অভিযান জোরদার করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের সমস্ত বন্দিকে মুক্তি না দিলে গাজার উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চল দখল করবে ইসরায়েল।

শুক্রবার (২১ মার্চ) ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাটজ এ কথা বলেন।

এ বিষয়ে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাটজ বলেন, ‘আমরা হামাসের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান তীব্র করব। একইসঙ্গে দক্ষিণ গাজার জনসংখ্যা সরিয়ে নেওয়া এবং গাজার বাসিন্দাদের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের স্বেচ্ছায় অভিবাসন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সব সামরিক ও বেসামরিক চাপ প্রয়োগ করব।’

স্থানীয় গণমাধ্যমের তথ্যানুয়ায়ী, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেনাবাহিনীকে গাজার অতিরিক্ত এলাকা দখল এবং জনগোষ্ঠীকে সরিয়ে নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন। এ ছাড়া তিনি ইসরায়েলি জনগণ এবং ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে সুরক্ষার জন্য গাজার চারপাশে নিরাপত্তা বলয় সম্প্রসারণের নির্দেশ দিয়েছেন।

কটজ হামাসকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘যতক্ষণ না তারা উপত্যকায় আটক থাকা সব বন্দিকে মুক্তি দিতে সম্মত হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত ইসরায়েল গাজার জমি দখল করবে।’

জেরুজালেম পোস্ট পত্রিকায় কাটজকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ‘হামাস যত বেশি জিম্মিদের মুক্তি দিতে অস্বীকৃতি জানাবে, তারা তত বেশি এলাকা হারাবে এবং এই অঞ্চলগুলো পরবর্তীতে ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে।’

মধ্যগাজা থেকে আল জাজিরার হিন্দ খোদারির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেইত লাহিয়া এবং রাফাহের বাসিন্দাদের ইসরায়েলি বাহিনী নতুন পরিকল্পনার বিষয়ে কোনো সতর্কবার্তা দেয়নি। ইসরায়েল এলাকাগুলি খালি করার জন্য কোনোও সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি দেয়নি। হঠাৎ করেই ফিলিস্তিনিরা তাদের উপর অবিরাম বিমান হামলা এবং কামানের গোলাবর্ষণ দেখতে পায়।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) প্রায় দুই মাসের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পর ইসরায়েল গাজায় স্থল অভিযান চালায়। গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সামরিক আক্রমণ চতুর্থ দিনের মতো অব্যাহত রয়েছে। এ অভিযানে প্রায় ২০০ শিশুসহ ৫৯০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়। 

আল জাজিরার সাংবাদিকরা জানিয়েছেন শুক্রবার গাজা শহরের উত্তরে জেইতুন পাড়ায় ইসরায়েলি বিমান প্রচণ্ড আক্রমণ চালিয়েছে।

সূত্র: আজ জাজিরা

 

সুমন/

হিথ্রো বিমানবন্দর সাময়িক বন্ধ ঘোষণা

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ১২:৩০ পিএম
আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৩:২৯ পিএম
হিথ্রো বিমানবন্দর সাময়িক বন্ধ ঘোষণা
হিথ্রো বিমানবন্দর। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যের হিথ্রো বিমানবন্দরের কাছে একটি বৈদ্যুতিক সাবস্টেশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কারণে বিমানবন্দরটি সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। 

শুক্রবার (২১ মার্চ) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদন এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিমানবন্দরের কাছে একটি বৈদ্যুতিক সাবস্টেশনে আগুন ধরে যাওয়ায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে আজ (শুক্রবার) মধ্যরাত পর্যন্ত বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই সাবস্টেশনটি থেকে হিথ্রো বিমানবন্দরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।

এদিকে আগুন লাগার কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যাত্রী ও সহকর্মীদের নিরাপত্তার জন্য হিথ্রো বিমানবন্দর ২১ মার্চ রাত ৯টা ৫৯ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, বিমানবন্দরের কাছের একটি সাবস্টেশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

এই অগ্নিকাণ্ডের কারণে ইতোমধ্যে ১৬ হাজারের বেশি বাড়ি বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। অনেককে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বড় এই বিমানবন্দর বন্ধ রাখার কারণে অন্তত ১ হাজার ৩৫১টি ফ্লাইট ওঠানামার সময়সূচি ব্যাহত হচ্ছে। 

এদিকে আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের প্রায় ৭০ কর্মী কাজ করছেন বলে জানিয়েছে লন্ডন ফায়ার ব্রিগেড।

বিমানবন্দরের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা কাজ করছেন, তবে ঠিক কখন নির্ভরযোগ্যভাবে বিদ্যুৎ পুনরায় চালু করা যাবে সে বিষয়টি আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়।’ সূত্র: আল-জাজিরা

পপি/ 

শিক্ষা বিভাগ ভেঙে দিতে নির্বাহী আদেশে ট্রাম্পের স্বাক্ষর

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ১১:৩৫ এএম
আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৩:৪৫ পিএম
শিক্ষা বিভাগ ভেঙে দিতে নির্বাহী আদেশে ট্রাম্পের স্বাক্ষর
শিক্ষা বিভাগ ভেঙে দিতে নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা বিভাগ ভেঙে দিতে একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। 

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এই আদেশে স্বাক্ষর করেন তিনি।

এ পদক্ষেপের মাধ্যমে শিক্ষাসংক্রান্ত ক্ষমতা রাজ্য ও স্থানীয় সরকারের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। 

শুক্রবার (২১ মার্চ) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এদিকে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প শিক্ষা বিভাগ বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে নির্বাচনি প্রচারণার সময়ে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছেন। যদিও তার এই প্রচেষ্টা আদালতের চ্যালেঞ্জ এবং সাংবিধানিক বাধার মুখে পড়তে পারে।

স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আগে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি ফেডারেল শিক্ষা বিভাগকে একবারে নির্মূল করতে একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করব। এটা অদ্ভুত শোনাচ্ছে, তাই না? আমরা শিক্ষা বিভাগ নির্মূল করতে যাচ্ছি এবং সবাই জানে এটি সঠিক ও ডেমোক্রেট জানে এটি সঠিক।’

তবে ডেমোক্রেটরা এ পদক্ষেপকে কেবল প্রেসিডেন্টের অতিরিক্ত ক্ষমতার উদাহরণ নয়, বরং সারা দেশের শিক্ষার্থীদের ক্ষতির প্রচেষ্টা হিসেবে নিন্দা জানিয়েছেন।

এদিকে বৃহস্পতিবারের অনুষ্ঠানের কয়েক মিনিটের মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সিনেট সংখ্যালঘু নেতা চাক শুমার লেখেন, ‘শিক্ষা বিভাগ ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেওয়া সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক এবং বিপর্যয়কর পদক্ষেপগুলোর মধ্যে একটি। এটি শিশুদের ক্ষতি করবে।’

ফেডারেল সরকারের মধ্যে বিভিন্ন শিক্ষা উদ্যোগকে একীভূত করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ১৯৭৯ সালে প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের অধীনে শিক্ষা বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এর মাধ্যমে সে সময় তিনি একটি নতুন মন্ত্রিসভা স্তরের অবস্থান তৈরি করেন। যদিও রিপাবলিকানরা সে সময় মন্তব্য করেছিলেন যে এ পদক্ষেপ রাজ্য এবং স্থানীয় স্কুল বোর্ডগুলোর ক্ষমতা কেড়ে নেবে। সূত্র: বিবিসি ও আল-জাজিরা

পপি/

গাজায় তিন দিনে নিহত ৭১০

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৯:৩৫ এএম
গাজায় তিন দিনে নিহত ৭১০
ছবি: সংগৃহীত

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) নারী ও শিশুসহ প্রায় ১০০ জন নিহত হয়েছে। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার থেকে উপত্যকাটিতে ৭১০ জনকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। একই সময়ে ৯০০ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। আহতদের প্রায় ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু এবং তাদের বেশির ভাগেরই আঘাত গুরুতর। 

বৃহস্পতিবার কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র খলিল আল-দাকরান জানিয়েছেন, গতকাল ভোররাতে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এ নিয়ে গত তিন দিনে গাজায় ৭১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়াও ৯০০ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। হামলায় আহতদের অনেকেই চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন। চিকিৎসা সরঞ্জাম ও ওষুধের অভাবে তাদের জরুরি চিকিৎসা সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

ইসরায়েলি বাহিনীর স্থল সেনারাও গাজায় হামলায় যোগ দিয়েছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে তীব্র যুদ্ধ চলার পাশাপাশি অধিকৃত পশ্চিম তীরেও বড় এবং শক্তিশালী যুদ্ধক্ষেত্র তৈরি হতে পারে। 

যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৪৯ হাজার ৫৪৭ জন মারা গেছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন ১ লাখ ১২ হাজার ৭১৯ জন। তবে গাজার সরকারি গণমাধ্যম দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, মৃতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০। এই হিসাবে ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ ফিলিস্তিনিদেরও মৃত বলে ধরে নেওয়া হয়েছে।

নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, গাজার যুদ্ধ অনির্দিষ্টকালের জন্য চলবে। কাতার ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক লুসিয়ানো জাকারা বলেছেন, ‘ইসরায়েলি সরকার দুটি লক্ষ্য অর্জিত হওয়ার আগ পর্যন্ত গাজার যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। প্রথমটি হলো, তারা জিম্মিদের মুক্তি চায়– বেশির ভাগ জিম্মির মুক্তি তারা আলোচনার মাধ্যমেই করবে। দ্বিতীয় লক্ষ্যটি হলো হামাসকে ধ্বংস করা। নেতানিয়াহু এটিতেই সব সময় অগ্রাধিকার দিয়ে এসেছেন।’

জাকারা বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি যে স্বাক্ষরিত হয়েছিল, এটি নেতানিয়াহুর জোটের অনেকের জন্য পরাজয়। জিম্মিদের এরই মধ্যে বলি দেওয়া হয়েছে, তারা এখন যুদ্ধ চায়।’  

মিসর ও কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ 

মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আব্দেলাত্তি ও কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুর রহমান বিন জসিম আল থানি ফোনে একে অপরের সঙ্গে আলাপ করেছেন। মিসরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানা গেছে এ তথ্য। 

শীর্ষ এই দুই কূটনীতিক যুদ্ধবিরতি আবার কীভাবে ফেরানো যায়, তা নিয়ে আলাপ করেন। কাতার ও মিসর শুরু থেকেই ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধবিরতি আলোচনার সঙ্গে যুক্ত। আঞ্চলিক স্থিরতার জন্য দুই নেতা রাজনৈতিক সমঝোতার বিষয়েও একমত হন। ওই সমঝোতায় এই দ্বন্দ্ব অবসানের উপায় ধরা হচ্ছে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাকে।

গোলান মালভূমিতে সামরিক মহড়া

এদিকে অধিকৃত গোলান মালভূমিতে ইসরায়েল সামরিক মহড়া চালিয়েছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ঘোষণা দিয়েছে যে, সেখানে তারা আরও সেনা মোতায়েন করছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ইসরায়েলি বাহিনী জানায়, বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাবে। তবে কোনো নিরাপত্তা হুমকি নেই।

গত ডিসেম্বরে সিরিয়ার বাশার আল-আসাদ সরকারের পতন হয়। এর পরে ইসরায়েলি বাহিনী সিরিয়ার আরও এলাকা দখলে নেয়। ১৯৭৪ সাল থেকে দুই দেশের মধ্যে বাফার জোন হিসেবে পরিচিত এলাকাতেও ঢুকে পড়ে তারা। সূত্র: আল-জাজিরা