
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর তাদের ওয়েবসাইট থেকে একটি বিবৃতি সরিয়ে নিয়েছে, যেখানে বলা হয়েছিল, ওয়াশিংটন তাইওয়ানের স্বাধীনতা সমর্থন করে না। এই পদক্ষেপ চীনে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
এক বিবৃতিতে এর প্রতিক্রিয়ায় চীন বলেছে, এ ধরনের সংশোধন ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতার পক্ষে থাকা বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিগুলোকে ভুল বার্তা দেয়’। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের ‘ভুল সংশোধন’ করার অনুরোধ জানিয়েছে চীনের কর্তৃপক্ষ। তাইওয়ান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক-সংক্রান্ত পররাষ্ট্র দপ্তরের ফ্যাক্ট শিটে আগে এই বাক্যটি ছিল, ‘আমরা তাইওয়ানের স্বাধীনতা সমর্থন করি না’। গত সপ্তাহে বাক্যটি সরিয়ে ফেলা হয়, যা তাদের ‘নিয়মিত হালনাগাদের’ অংশ বলে উল্লেখ করেছে পররাষ্ট্র দপ্তর।
বিবৃতিতে এক মার্কিন মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, তারা ‘এক চীন’ নীতিতে অটল রয়েছে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র চীনকে স্বীকৃতি দেয় এবং তাইওয়ানের বদলে চীনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
চীন স্বায়ত্তশাসিত তাইওয়ানকে একটি বিচ্ছিন্ন প্রদেশ হিসেবে দেখে, তারা মনে করে অঞ্চলটি শেষ পর্যন্ত চীনের অংশ হবে। তবে অনেক তাইওয়ানিজ নিজেদের একটি আলাদা জাতি হিসেবে মনে করে, যদিও বেশির ভাগ তাইওয়ানিজ বর্তমান অবস্থা বজায় রাখার পক্ষে। তবে তাইওয়ান এখনো চীন থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করেনি।
গত বৃহস্পতিবার হালনাগাদ হওয়া ফ্যাক্ট শিটে এটিও বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ‘যেখানে প্রযোজ্য’ সেখানে তাইওয়ানের আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সদস্য পদ সমর্থন করবে। এ বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে আমেরিকান ইনস্টিটিউট ইন তাইওয়ানের (যুক্তরাষ্ট্রের ডি ফ্যাক্টো দূতাবাস) এক মুখপাত্র স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, ফ্যাক্ট শিটটি আপডেট করা হয়েছে ‘সাধারণ জনগণকে (যুক্তরাষ্ট্রের) তাইওয়ানের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক সম্পর্কের বিষয়ে জানানোর জন্য।’
এ বিষয়ে গত রবিবার তাইওয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিন চিয়া-লুং যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানিয়ে পদক্ষেপটিকে ‘ইতিবাচক ও তাইওয়ান-বান্ধব ভাষা’ বলে মন্তব্য করেছেন।
তবে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) নিয়মিত প্রেস কনফারেন্সে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ পদক্ষেপটির তীব্র নিন্দা করে এবং এ সংশোধনকে তাইওয়ান-সংক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের ‘একটি গুরুতর পশ্চাদপসরণ’ বলে অভিহিত করে। সূত্র: বিবিসি