ঢাকা ৬ চৈত্র ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৬ চৈত্র ১৪৩১

তেহরান-রিয়াদ সম্পর্ক নতুন অধ্যায়ে, স্থিতিশীলতার পথে মধ্যপ্রাচ্য!

প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০৯ পিএম
আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৪২ পিএম
তেহরান-রিয়াদ সম্পর্ক নতুন অধ্যায়ে, স্থিতিশীলতার পথে মধ্যপ্রাচ্য!
তেহরান-রিয়াদ সম্পর্ক নতুন অধ্যায়ে। ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ সাত বছরের কূটনৈতিক টানাপোড়েনের পর ইরান ও সৌদি আরব দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দুই বছরের আলোচনার পর বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকের মাধ্যমে ২০২৪ সালের ১০ মার্চ এই সমঝোতার ঘোষণা আসে। আলোচনায় সৌদি আরব, ইরান, ইরাক ও ওমানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ওমানের মাসকাট থেকে এএফপি এই খবর জানায়। 

২০২৩ সালের মার্চ থেকে ইরান ও সৌদি আরবের কূটনৈতিক সম্পর্ক এক নতুন যুগে প্রবেশ করেছে। পরস্পরের রাজধানীতে কূটনৈতিক সফর, রাজনৈতিক সংলাপ এবং আঞ্চলিক ইস্যুতে আলোচনা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

ভারতীয় থিঙ্কট্যাঙ্ক ‘নাজার রিসার্চ ফাউন্ডেশন’ এই সমঝোতাকে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক অগ্রগতি হিসেবে দেখছে। প্রতিষ্ঠানটির মতে, ইরান-সৌদি সম্পর্ক এতটাই জটিল যে এটি কোনো স্বল্পমেয়াদি কৌশল হতে পারে না।

ইরানের সংবাদমাধ্যম ইরনার এক প্রতিবেদনে মধ্যপ্রাচ্য বিশ্লেষক আব্দুল আজিজ আল-কাশিয়ান উল্লেখ করেছেন, ‘২০২৫ সালের শুরু থেকে মধ্যপ্রাচ্য একাধিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবে। গাজা যুদ্ধের প্রভাব সমগ্র অঞ্চলজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে, লেবাননে ইসরায়েলি হামলার ফলে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং সিরিয়া এক অনিশ্চিত নতুন পর্বে প্রবেশ করেছে।’

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধে ইরানের সমর্থন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের ‘সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ’ নীতিও ইরানের ওপর কাঙ্ক্ষিত প্রভাব ফেলতে ব্যর্থ হয়েছে।

এদিকে সৌদি আরব ওয়াশিংটন, তেল আবিব ও তেহরানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার অংশ হতে চায় না। রিয়াদ কূটনৈতিকভাবে ভারসাম্য বজায় রাখতে চাইছে। কারণ এই উত্তেজনা উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের (জিসিসি) সম্পর্কের ওপরও চাপ সৃষ্টি করতে পারে।

তেহরান-রিয়াদ সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উদ্যোগ মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতা ফেরাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তবে আঞ্চলিক রাজনীতি এবং বৈশ্বিক শক্তির অবস্থান ভবিষ্যতে এই সম্পর্কের গতিপথ নির্ধারণ করবে। সূত্র: এএফপি

বাসস/তাওফিক/ 

ভারতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ২২ মাওবাদী নিহত

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৪:৪২ পিএম
ভারতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ২২ মাওবাদী নিহত
ভারতের ছত্তিশগড়ে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে সেনাবাহিনী। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের মধ্যাঞ্চলের ছত্তিশগড় এলাকার জঙ্গলে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে তুমুল যুদ্ধে নিহত হয়েছেন ২২ মাওবাদী বিদ্রোহী।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ)  ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলায় এ ঘটনা ঘটে। খবরটি নিশ্চিত করেছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি। দেশটির ইতিহাসে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তারক্ষীর অভিযানে এটাই সবচেয়ে সাড়া জাগানিয়া নজির। দুটো ভিন্ন বন্দুকযুদ্ধে নকশালবাদীদের মোট ২২জন প্রাণ হারিয়েছেন। দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি গুলিবর্ষণে ভারতীয় একজন সেনা প্রাণ হারিয়েছেন।

মাওবাদীদের কাছ থেকে এসময় সেনারা বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে ২২জন নকশালবাদী প্রাণ হারিয়েছেন।’

এসময় সশস্ত্র বিদ্রোহীদের রুখতে সরকারে শক্ত অবস্থান মনে করিয়ে দিয়ে অমিত বলেন, ‘মোদি সরকার বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর অবস্থান নেবে। যে নকশালবাদীরা এখনো আত্মসমর্পণে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত থাকবে।’

বামপন্থি চীনা নেতা মাও সেতুংয়ের আদর্শে পুষ্ট এই বিদ্রোহীরা ১৯৬৭ সাল থেকে ভারতে সশস্ত্র বিদ্রোহের মাধ্যমে দেশের সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য জমি, চাকরি ও প্রাকৃতিক সম্পদের নির্দিষ্ট অংশ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। তবে ভারত সরকারের সঙ্গে এই বিরোধের জেরে এই পর্যন্ত প্রায় ১০হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।

গত বছর ভারতের সেনাবাহিনীর অভিযানে মোট ২৮৭জন বিদ্রোহী নিহত হয়েছেন। চলতি বছর ইতোমধ্যেই আরও ৮০জন মাওবাদী মারা গেছেন।

এদিকে সরকারবাহিনীর অভিযান সত্ত্বেও নকশালপন্থিদের আক্রমণ চলমান। এবছর জানুয়ারি মাসে বিদ্রোহীদের বোমা হামলায় ৯জন ভারতীয় জওয়ান মারা গেছেন। তবে দিল্লি সরকার আগামী বছর মার্চ মাসের মধ্যে মাওবাদ নিশ্চিহ্নের ঘোষণা দিয়েছে। সূত্র: এনডিটিভি

নাইমুর/

শিক্ষা বিভাগ বন্ধের আদেশে স্বাক্ষর করবেন ট্রাম্প

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৩:৩৫ পিএম
আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৪:২৭ পিএম
শিক্ষা বিভাগ বন্ধের আদেশে স্বাক্ষর করবেন ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা বিভাগ বন্ধের একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করতে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) এই স্বাক্ষর করতে পারেন তিনি।

মূলত নির্বাচনের আগে এই ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ প্রচারণার পাশাপাশি প্রতিশ্রুতিও দেন ট্রাম্প। এছাড়া ইতোমধ্যেই এই বিভাগের কর্মী সংখ্যা ব্যাপকভাবে হ্রাস এবং তহবিল কমানোর প্রচেষ্টা চলছে।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় বার্তাসংস্থা ফক্স নিউজ।

ফক্স নিউজের তথ্য অনুসারে, ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার শিক্ষা বিভাগ বন্ধ করে দেওয়ার জন্য একটি দীর্ঘ-প্রত্যাশিত নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করবেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি নিজের নির্বাচনি প্রচারণার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতি পূরণ করবেন।

অবশ্য স্বাক্ষরিত হওয়ার আগেই ডেমোক্র্যাটিক অঙ্গরাজ্যগুলোর অ্যাটর্নি জেনারেলদের একটি দল এই আদেশটিকে চ্যালেঞ্জ জানান। এছাড়া তারা ট্রাম্পকে বিভাগটি বিলুপ্ত করা এবং গত সপ্তাহে ঘোষিত প্রায় অর্ধেক কর্মীদের ছাঁটাই বন্ধ করতে মামলাও করা হয়।

এদিকে শিক্ষা বিভাগ বিলুপ্ত করার এই আদেশে ট্রাম্পের স্বাক্ষর আমেরিকান রক্ষণশীলদের দীর্ঘদিনের লক্ষ্য পূরণ করবে বলে মনে করা হচ্ছে। বুধবার বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানায়, হোয়াইট হাউসের একটি অনুষ্ঠানে এই আদেশ স্বাক্ষরিত হবে। ইতোমধ্যেই এই বিভাগের কর্মী সংখ্যা ব্যাপকভাবে হ্রাস এবং তহবিল কমানোর প্রচেষ্টাও চলছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে নির্বাচনি প্রচারণা চালানোর সময় শিক্ষা বিকেন্দ্রীকরণের প্রতিশ্রুতি দেন এবং বলেন, তিনি এই বিভাগের ক্ষমতা অঙ্গরাজ্যগুলোর সরকারের কাছে হস্তান্তর করবেন। মূলত এটাই ছিল বহু দশক ধরে অনেক রিপাবলিকানের লক্ষ্য।

ঐতিহ্যগতভাবে যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষায় ফেডারেল সরকারের ভূমিকা সীমিত। কারণ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জন্য মাত্র ১৩ শতাংশ তহবিল ফেডারেল কোষাগার থেকে আসে, বাকি অর্থ অঙ্গরাজ্য এবং স্থানীয় সম্প্রদায় মাধ্যমে অর্থায়ন করা হয়ে থাকে।

কিন্তু নিম্ন আয়ের স্কুল এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য ফেডারেল তহবিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক অধিকার সুরক্ষা কার্যকর করার ক্ষেত্রে ফেডারেল সরকার অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে।

আইন অনুসারে, ১৯৭৯ সালে তৈরি শিক্ষা বিভাগটি কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া বন্ধ করা যাবে না এবং রিপাবলিকানদের তেমনটি করার জন্য ভোট নেই।

তবে ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে অন্যান্য ফেডারেল সংস্থাগুলোর মতো শিক্ষা বিভাগটি চলমান প্রোগ্রাম এবং কর্মচারীদের ওপর আরও কাটছাঁট দেখতে পাবে। আর এটিই এই বিভাগের কর্মকাণ্ডকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। সূত্র:  ফক্স নিউজ

দিনা/অমিয়/

ভারতে চলমান ‘রাইসিনা ডায়ালগ’ আসলে কী?

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০২:৫৩ পিএম
আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৩:২৪ পিএম
ভারতে চলমান ‘রাইসিনা ডায়ালগ’ আসলে কী?
বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ ) নয়াদিল্লিতে শেষ হচ্ছে ‘রাইসিনা ডায়ালগ’। প্রায় ১২৫টি দেশের মন্ত্রী, সাবেক রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান, সামরিক ও গোয়েন্দাপ্রধান, শিল্প ব্যক্তিত্ব, প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, কূটনৈতিকসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রতিনিধিরা এখানে অংশ নেন। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) শেষ হচ্ছে ‘রাইসিনা ডায়ালগ’। ১৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টোফার লুক্সন যৌথভাবে রাইসিনা ডায়ালগ উদ্বোধন করেন।

তিন দিনের এই সম্মেলনে ১২৫টি দেশের মন্ত্রী, সাবেক রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান, সামরিক ও গোয়েন্দাপ্রধান, শিল্প ব্যক্তিত্ব, প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, কূটনৈতিকসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। 

এ ছাড়া শীর্ষস্থানীয় থিংকট্যাংক এবং যুব প্রতিনিধিরাও এই আলোচনায় অংশ নেন। এটি ভারতের ভূরাজনীতি ও ভূ-অর্থনীতিবিষয়ক প্রধান সম্মেলন হিসেবে বিশ্বজুড়ে পরিচিত।

২০১৬ সালে প্রথম এই সংলাপের আয়োজন করে ভারত। এবার ১০ম বছরে পদার্পণ করা রাইসিনা ডায়ালগ ইতোমধ্যে ভূরাজনীতি ও ভূ-অর্থনীতি বিষয়ে ভারতের প্রধান সম্মেলন হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

এটি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন আয়োজিত একটি বহুপক্ষীয় সম্মেলন। এই প্ল্যাটফর্ম বহুপক্ষীয় সহযোগিতা বৃদ্ধি, ধারণা বিনিময় এবং বৈশ্বিক নীতি অ্যাজেন্ডা গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।

‘রাইসিনা ডায়ালগ’ নামটি এসেছে রাইসিনা হিল থেকে। এটি নয়াদিল্লির একটি উঁচু স্থান এবং এখানে ভারতের সংসদ ভবন, সুপ্রিম কোর্ট এবং রাষ্ট্রপতির ভবন অবস্থিত। এখানকার যে কোনো ভবন থেকে পুরো দিল্লি দেখতে পাওয়া যায়।

এবারের সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ড, যুক্তরাজ্যের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জোনাথন পাওয়েল ও নিউজিল্যান্ডের গোয়েন্দাপ্রধান অ্যান্ড্রু হ্যাম্পটন উপস্থিত হন।

এবারের সংলাপকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে শুল্ক ইস্যু, কানাডায় ‘খালিস্তানি’ বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর উত্থান, মৌলবাদ ও চরমপন্থার বিস্তার নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে এই সম্মেলন বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। সূত্র: দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া

দিনা/অমিয়/

দুর্নীতির অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা, দুদকে টিউলিপের চিঠি

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০২:২৮ পিএম
আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ০২:৪১ পিএম
দুর্নীতির অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা, দুদকে টিউলিপের চিঠি
টিউলিপ সিদ্দিক। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যের লেবারদলীয় এমপি টিউলিপ সিদ্দিক অভিযোগ করে বলেছেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার তাকে টার্গেট করে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির ভিত্তিহীন প্রচারণা চালাচ্ছে। বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে লেখা এক চিঠিতে তিনি এই অভিযোগ করেন। 

টিউলিপ বলেন, তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, তা একেবারেই ‘মিথ্যা ও অযৌক্তিক’। তিনি অভিযোগ করেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের ব্যাপারে কোনো আনুষ্ঠানিক তদন্ত করা হয়নি। কিন্তু তার আগেই মিডিয়ায় তার দুর্নীতি নিয়ে ব্রিফ করা হয়েছে। 

টিউলিপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে গত জানুয়ারিতে তিনি যুক্তরাজ্যের সিটি মিনিস্টার (ইকোনমিক সেক্রেটারি টু দ্য ট্রেজারি অ্যান্ড সিটি মিনিস্টার) পদ থেকে পদত্যাগ করেন। 

লন্ডনের দ্য হ্যাম্পস্টিড ও হাইগেট এলাকার এমপি টিউলিপ তখন জোর দিয়ে বলেন, তিনি কোনো দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নন। তবে সরকার যাতে কোনো বেকায়দায় না পড়ে, সে জন্য তিনি মিনিস্টার পদ থেকে সরে দাঁড়ান। 

দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর ব্রিটিশ সরকারের নৈতিকতা রক্ষাবিষয়ক কমিটির উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাসের কমিটির মুখোমুখি হন টিউলিপ সিদ্দিক। পরে স্যার লরি ম্যাগনাস সরকারের কাছে একটি রিপোর্ট পেশ করেন। সেখানে তিনি লিখেন ‘দুর্নীতির অভিযোগের সঙ্গে টিউলিপের কোনো যোগসূত্র বা অসদুপায় অবলম্বনের তথ্য পাওয়া যায়নি।’ তবে তিনি সেখানে উল্লেখ করেন, ‘এসব বিষয়ে টিউলিপ সিদ্দিকের আগে থেকে আরও বেশি সতর্ক না হওয়া ছিল দুঃখজনক। তা হলে তাকে সুনামহানির ঝুঁকির মুখে পড়তে হতো না।’

গত জুলাই-আগস্টের ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টিউলিপ সিদ্দিকের খালা। 

বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে ৩ দশমিক ৯ বিলিয়ন পাউন্ডের অর্থ তছরুপের অভিযোগ এনেছে। দুদক সেই অভিযোগ তদন্ত করছে। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ববি হাজ্জাজের কয়েক দফা অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক বিষয়টির তদন্ত করছে। 

আদালতের নথিপত্রে বিবিসি দেখতে পেয়েছে, ববি হাজ্জাজ অভিযোগ করেছেন, ২০১৩ সালে রাশিয়ার সঙ্গে নতুন পরমাণু বিদ্যুৎ প্লান্টের চুক্তির মধ্যস্থতা করেছেন টিউলিপ সিদ্দিক। আর এর পরই এই পাওয়ার প্লান্টের নির্মাণ ব্যয় অনেক বেড়ে যায়। 

দুর্নীতি দমন কমিশনের কাছে পাঠানো চিঠিতে টিউলিপ সিদ্দিকের আইনজীবী স্টিফেনসন হারউড বলেছেন, তার মক্কেল (টিউলিপ) পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুক্তির সঙ্গে কোনোভাবেই যুক্ত নন। যদিও ২০১৩ সালে মস্কোয় চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাকে দেখা গেছে। তিনি বলেন, সরকারপ্রধানদের রাষ্ট্রীয় সফরে আত্মীয়স্বজনদের আমন্ত্রণ জানানো বা সফরসঙ্গী করা অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা নয়। অভিযোগ করা আর্থিক অনিয়মের ব্যাপারে টিউলিপ কোনোভাবেই অবগত ছিলেন না। 

চিঠিতে বলা হয়েছে, লন্ডনের কিংস ক্রসে দুর্নীতির মাধ্যমে টিউলিপ সিদ্দিকের একটি ফ্ল্যাটের মালিকানা অর্জনের কথা বলা হয়েছে। তিনি ফ্ল্যাটটি উপহার হিসেবে পেয়েছেন ২০০৪ সালে। আর পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে এর ১০ বছর পর। পরমাণু প্লান্ট চুক্তির সুফল হিসেবে তিনি ওই ফ্ল্যাট পেয়েছেন এটা বলা একেবারেই অবিশ্বাস্য। এটি কোনোভাবেই সত্যি হতে পারে না। 

স্যার লরি তার তদন্ত রিপোর্টে উল্লেখ করেছেন, ফ্ল্যাটটি পাওয়ার পর দীর্ঘ সময় টিউলিপ সিদ্দিক মালিকানার উৎস সম্পর্কে অসচেতন ছিলেন। তিনি এমন একটি ধারণার মধ্যে আচ্ছন্ন ছিলেন যে, তার বাবাই তার ফ্ল্যাটটি কিনেছিলেন। তবে টিউলিপ মন্ত্রী হওয়ার পর এ সংক্রান্ত রেকর্ড সংশোধন করেন। এটাকে স্যার লরি ‘দুর্ভাগ্যজনক ভুল বোঝাবুঝি’ বলে উল্লেখ করেছেন রিপোর্টে। 

আইনজীবী স্টিফেনসন হারউড দুদককে লেখা চিঠিতে বলেছেন, টিউলিপকে ওই ফ্ল্যাটটি উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন আব্দুল মোতালিফ, যাকে টিউলিপের পারিবারিক বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। সূত্র: বিবিসি

পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ঢাকা আসছেন ২২ এপ্রিল

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০১:৫০ পিএম
আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৪:০৭ পিএম
পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ঢাকা আসছেন ২২ এপ্রিল
পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। ছবি: সংগৃহীত

তিন দিনের উচ্চ পর্যায়ের সফরে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার আগামী এপ্রিল মাসের ২২ তারিখে বাংলাদেশে আসতে পারেন। এই তথ্য জানায় পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য নেশন।  

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাকিস্তানি কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানায়,  এই সফরে ইসহাক দার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এছাড়া, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গেও তার বৈঠক হবে।

এ ছাড়া, ইসহাক দার বাংলাদেশের উপদেষ্টা পরিষদের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গেও বৈঠক করতে পারেন বলে জানায় সূত্রগুলো। সফরকালে উভয় দেশের মধ্যে একাধিক সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যার মূল লক্ষ্য হবে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নত করা। তাছাড়া এসব বৈঠকে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে।

ইসহাক দারের বাংলাদেশ সফরের প্রাথমিক প্রস্তুতির অংশ হিসেবে পাকিস্তানের অতিরিক্ত পররাষ্ট্রসচিব (এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চল) রাষ্ট্রদূত ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী বাংলাদেশ সফর করেন। ঢাকায় তার সফরের সময় তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মো. জসিম উদ্দিনের কাছে ইসহাক দারের একটি চিঠি হস্তান্তর করেন। চিঠিতে ইসলামাবাদ-ঢাকা সম্পর্ক শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা হয়।

সর্বশেষ সচিব-স্তরের দ্বিপক্ষীয় আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় ২০১০ সালে । তখন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রসচিব ড. নাসিমুল গণি ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতার জন্য বিদ্যমান চুক্তি নবায়ন সম্পর্কে আলোচনা করেন।

এর আগে, গত ২ জানুয়ারি ইসহাক দার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, তিনি বাংলাদেশ সফর করবেন। তবে তা আর হয়নি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকেও পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়। তিনি আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন এবং সুবিধাজনক সময়ে ইসলামাবাদ সফর করবেন বলে নিশ্চিত করেন। সূত্র: দ্য নেশন

দিনা/