
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় ফিলিস্তিনি নাগরিক ভেবে দুই ইসরায়েলি দর্শনার্থীকে হত্যার উদ্দেশে গুলি করেছে ২৭ বছর বয়সী মরদেচাই ব্রাফম্যান। ‘ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তি তাদের ফিলিস্তিনি নাগরিক ভেবে হামলা করেছিল’ বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুই ব্যক্তিকে গুলি করার অভিযোগে পুলিশ ব্রাফম্যানকে গ্রেপ্তার করে এবং মায়ামি-ডেড কাউন্টি কারাগারে পাঠায়। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এই সংবাদ জানায়।
গ্রেপ্তার প্রতিবেদনে পুলিশ উল্লেখ করেছে, ‘ট্রাক চালানোর সময় ব্রাফম্যান দুজন ব্যক্তিকে ফিলিস্তিনি মনে করে গুলি চালান এবং ভেবেছিলেন তারা মারা গেছেন। যা সে নিজেই স্বীকার করেছেন।’
স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আহতরা হলেন ইসরায়েল থেকে মায়ামি বেড়াতে আসা এক ইহুদি বাবা ও ছেলে। তারা প্রাণে বেঁচে গেলেও একজন কাঁধে ও অপরজন হাতে গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডব্লিউপিএলজি লোক্যাল ১০-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আহতদের একজন আরি রেভাই জানান, একটি ট্রাক থেকে আচমকা গুলি চালানো হয়।
এই ঘটনা এমন এক সময় ঘটল যখন মানবাধিকার সংগঠনগুলো জানাচ্ছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম ও ইহুদি বিদ্বেষমূলক হামলার সংখ্যা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। বিশেষ করে ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত আমেরিকানদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
এর আগে ১৪ অক্টোবর ২০২৩, শিকাগোর উপকণ্ঠে ছয় বছর বয়সী ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত ওয়াদিয়া আল-ফাইউমিকে তার বাড়িওয়ালা ২৬ বার ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে।
এ ছাড়া টেক্সাসে ৪১ বছর বয়সী এক নারী তিন বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনি-আমেরিকান শিশুকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। গত নভেম্বরে ভারমন্টে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের কাছে তিন ফিলিস্তিনি যুবককে গুলি করে আহত করা হয়।
এ বিষয়ে কাউন্সিল অন আমেরিকান ইসলামিক রিলেশনস (সিএআইআর)-এর নির্বাহী পরিচালক নিহাদ আওয়াদ বলেছেন, ‘এটি আরও একটি দৃষ্টান্ত, যেখানে ফিলিস্তিনি ও ফিলিস্তিনি-আমেরিকানদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানো হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দেশের নীতিনির্ধারকদের উচিত এই ঘৃণা প্রচার বন্ধ করা।’ সূত্র: আল-জাজিরা
তাওফিক/