
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগ হিসেবে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। দীর্ঘ সাড়ে চার ঘণ্টার এই বৈঠকে উভয় পক্ষই বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে একমত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানায় বার্তা সংস্থা এএফপি।
ইউক্রেন যুদ্ধের তিন বছর পর এই প্রথমবারের মতো রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি আলোচনায় বসে। তবে এই আলোচনায় ইউক্রেন বা ইউরোপের অন্যান্য মিত্র রাষ্ট্রগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
বৈঠক শেষে রুশ প্রতিনিধি ইউরি উশাকভ বলেন, ‘আমরা যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চেয়েছিলাম, তা গুরুত্বের সঙ্গে আলোচিত হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, উভয় পক্ষই তাদের নীতিগত অবস্থান তুলে ধরেছে এবং ভবিষ্যতে আলোচনা অব্যাহত রাখতে রাজি হয়েছে।
বৈঠকে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। সেগুলো হচ্ছে- যত দ্রুত সম্ভব ওয়াশিংটন ও মস্কোতে দূতাবাসের কার্যক্রম পুনরায় সচল করা, ইউক্রেন শান্তি আলোচনায় উচ্চপর্যায়ের পৃথক দুটি কমিটি গঠন করা, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহযোগিতা করা।
মার্কো রুবিও বলেন, ‘রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের একটি ন্যায্য ও স্থায়ী সমাপ্তি টানতে আগ্রহী, যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ তিনি আরও জানান, যেকোনো চুক্তি অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ইউক্রেন এবং ইউক্রেনের স্বার্থ বিবেচনা করেই করা হবে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বৈঠকের প্রধান তিনটি বিষয় তুলে ধরেন- যত দ্রুত সম্ভব উভয় দেশের দূতাবাসে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দেবে এবং কূটনৈতিক মিশনের বাধা দূর করা হবে, ইউক্রেন বিষয়ে সমঝোতার প্রক্রিয়া শুরু হবে এবং উভয় দেশ প্রতিনিধি নিয়োগ করবে, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে পরস্পর সহযোগিতা পুনরায় চালু করার জন্য পরিবেশ তৈরি করা হবে।
লাভরভ বলেন, ‘এটি অত্যন্ত ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আমরা একে অপরের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেছি এবং ভবিষ্যতে কাজ করার পথ সুগম হয়েছে।’
এই ঐতিহাসিক আলোচনায় মার্কো রুবিও ও সের্গেই লাভরভ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস এবং মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের শুরুতে সৌদি কর্মকর্তারাও সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন। সূত্র: এএফপি
তাওফিক/