ঢাকা ৬ চৈত্র ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৬ চৈত্র ১৪৩১

গাজা সংকট আরব লীগের বিশেষ সম্মেলন ৪ মার্চ

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৪৮ পিএম
আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৪২ পিএম
আরব লীগের বিশেষ সম্মেলন ৪ মার্চ
গাজার সংকট নিয়ে ৪ মার্চ আরব লীগের বিশেষ সম্মেলন। ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজা পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ আরব লীগ সম্মেলন আগামী ৪ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সম্মেলনের আয়োজক দেশ মিশর এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানায়, মূলত সম্মেলনের প্রস্তুতির বিষয়ে সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে এই নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সম্মেলন মূলত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি বিতর্কিত প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়ায় আহ্বান করা হয়েছে।

যেখানে ট্রাম্প প্রস্তাব দিয়েছেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার পুনর্গঠনের পরিবর্তে সেখানকার বাসিন্দাদের মিশর ও জর্ডানে স্থানান্তর করা হোক। তবে মিশর সরাসরি এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে এবং জর্ডান জানিয়েছে, তারা কেবল গাজার অসুস্থ বাসিন্দাদের সহায়তা দিতে পারে।

গাজা সংকট মোকাবিলায় আরববিশ্বের অবস্থান নির্ধারণে এই সম্মেলনকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সম্মেলনটি ফিলিস্তিনিদের অধিকার রক্ষায় শক্তিশালী বার্তা দেবে এবং আন্তর্জাতিক মহলে আরব বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ অবস্থান তুলে ধরবে।

এদিকে বৃহস্পতিবার সৌদি আরবের উদ্যোগে মিশর, জর্ডান, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতারা একত্রিত হবেন। যেখানে তারা গাজার পুনর্গঠনের জন্য নিজেদের পরিকল্পনা উপস্থাপন করতে পারেন। একই সঙ্গে ফিলিস্তিনি জনগণ যাতে তাদের নিজ ভূমিতে থাকতে পারে, তা নিশ্চিত করার বিষয়েও আলোচনা হবে।

ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনাটি আরব দুনিয়াজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে এবং এটি প্রতিহত করতে আরব দেশগুলোর মধ্যে বিরল ঐক্য দেখা যাচ্ছে। সূত্র: আরব নিউজ 

তাওফিক/ 

রুশ বিমান ঘাঁটিতে ইউক্রেনের পাল্টা হামলা

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৫:৫৯ পিএম
আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৬:০০ পিএম
রুশ বিমান ঘাঁটিতে ইউক্রেনের পাল্টা হামলা
রুশ বিমানঘাঁটিতে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা। ছবি: সংগৃহীত

চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে সাম্প্রতিক রুশ সহিংসতার জবাবে রাশিয়ার এংগেলস্‌ বিমান ঘাঁটিতে ইউক্রেন শক্তিশালী ড্রোন হামলা করেছে। আক্রমণের কারণে ঘাঁটিতে বিরাট বিস্ফোরণ ঘটে।

বৃহস্পতিবারের (২০ মার্চ) এই ঘটনার বিষয়ে জানিয়েছেন মস্কো প্রশাসনের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা।

রাশিয়ার টেলিগ্রাম চ্যানেলগুলোতে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, ঘাঁটিতে বিকট বিস্ফোরণের পর আশেপাশের বসতিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ছে। রয়টার্স এর মধ্যেই একটি ফুটেজের সত্যতা নিশ্চিত করেছে। ভিডিওটিতে দেখা যায়, বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থল থেকে ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ছে। তবে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রায় ১৩২টি ড্রোন নিষ্ক্রিয় করেছে রুশ অ্যায়ার ডিফেন্স সিস্টেম।

পারমাণবিক ক্ষমতাসম্পন্ন এংগেলস্‌ বিমান ঘাঁটি রাশিয়ার সারাতভ অঞ্চলে অবস্থিত। দেশটির দূরপাল্লার বিমান অভিযানের ক্ষেত্রে এই ঘাঁটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সারাতভের গভর্নর রোমা বুসারগিন হামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিমান ঘাঁটিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ার পর পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়। ঘটনার তীব্রতা প্রকাশ করে অঞ্চলটির জেলাপ্রধান ম্যাক্সিম লিওনভ এলাকায় জরুরি অবস্থা জারি করলেও ঘটনার খুঁটুনাটি ও বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে খোলাসা করে কিছু বলেননি।

২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে কয়েকদফা ইউক্রেন এনগেলস্‌ বিমান ঘাঁটি আক্রমণের চেষ্টা করেছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে এই ঘাঁটির একটি তেলের ডিপোতে হামলার দায় স্বীকার করেছে কিয়েভ প্রশাসন। এই ঘটনায় তেলের ডিপোতে পাঁচদিন লাগাতার আগুন জ্বলেছে।

এদিকে বৃহস্পতিবারের হামলায় মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এই ঘাঁটি সামরিক কার্যক্রমের ভবিষ্যৎ নিয়েও মস্কো কর্তৃপক্ষ খোলামেলা কিছু জানায়নি। সূত্র: রয়টার্স

নাইমুর/

ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবে ৬ জনের প্রাণহানি, নিখোঁজ ৪০

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৫:২৪ পিএম
আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৫:৪০ পিএম
ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবে ৬ জনের প্রাণহানি, নিখোঁজ ৪০
ছবি: সংগৃহীত

ইতালির ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপ ল্যাম্পেডুসার কাছে নৌকা ডুবে অন্তত ছয়জন প্রাণ হারিয়েছে। এ ঘটনায় এখনো ৪০ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় শিকার হয়েছেন নৌকার ৫৬ অভিবাসন প্রত্যাশী।

উদ্ধারকর্মীরা ১০ জনকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী ল্যাম্পেডুসার একটি হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।

উদ্ধার যাত্রীদের সূত্রে জানা গেছে, তিউনিসিয়া থেকে ছেড়ে আসা নৌকাটি দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কবলে পড়ে মাঝসমুদ্রে উল্টে যায়।

এ প্রসঙ্গে ইতালির ক্যাথলিক দাতব্য সংস্থা ক্যারিটাসের পরিচালক ফাদার মারকো পাগনিয়াল্লো বলেন, ‘ভূমধ্যসাগরে এ ধরনের মৃত্যু দেখলেই আমার মনে হয় এই সমাজে নিঃস্ব জনগোষ্ঠীকে একটু সচ্ছল জীবন ও নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা কতটা ব্যর্থ।’

এ সময় তিনি যুদ্ধের কারণে অভিবাসীদের দেশ ছেড়ে পালানো রুখতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।

অর্থনৈতিক সচ্ছলতা অর্জনের উদ্দেশে ইতালিতে অবৈধ অভিবাসনের উদ্দেশে নৌকায় করে সমুদ্র পাড়ি দেওয়ার ঘটনা বেশ পুরোনো। চলতি বছর জানুয়ারি মাসে এভাবে ইতালিতে প্রায় ৩হাজার ৩৬৮ জন অভিবাসী যাত্রা করেছেন। ঠিক এক বছর আগে এই সংখ্যা ছিল ২হাজার ২৫৮। এদের মধ্যে বেশিরভাগই লিবিয়ার অধিবাসী।

সম্প্রতি লিবিয়ার কুখ্যাত সন্ত্রাস ওসামা নাজিমকে গ্রেপ্তারের কারণে দেশটিতে সৃষ্ট সহিংসতার কারণে আগের তুলনায় বেশি অভিবাসী নিরাপত্তার আশায় ইতালিতে পাড়ি দিচ্ছেন বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের। 

এদিকে অভিবাসনবিষয়ক আন্তর্জাতিক জরিপে উঠে এসেছে, ২০২৫ সালের প্রথম দুই মাসেই ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে অন্তত ২৪৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

নাইমুর/

শিক্ষা বিভাগ বন্ধের আদেশে স্বাক্ষর করবেন ট্রাম্প

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৩:৩৫ পিএম
আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৪:২৭ পিএম
শিক্ষা বিভাগ বন্ধের আদেশে স্বাক্ষর করবেন ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা বিভাগ বন্ধের একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করতে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) এই স্বাক্ষর করতে পারেন তিনি।

মূলত নির্বাচনের আগে এই ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ প্রচারণার পাশাপাশি প্রতিশ্রুতিও দেন ট্রাম্প। এছাড়া ইতোমধ্যেই এই বিভাগের কর্মী সংখ্যা ব্যাপকভাবে হ্রাস এবং তহবিল কমানোর প্রচেষ্টা চলছে।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় বার্তাসংস্থা ফক্স নিউজ।

ফক্স নিউজের তথ্য অনুসারে, ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার শিক্ষা বিভাগ বন্ধ করে দেওয়ার জন্য একটি দীর্ঘ-প্রত্যাশিত নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করবেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি নিজের নির্বাচনি প্রচারণার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতি পূরণ করবেন।

অবশ্য স্বাক্ষরিত হওয়ার আগেই ডেমোক্র্যাটিক অঙ্গরাজ্যগুলোর অ্যাটর্নি জেনারেলদের একটি দল এই আদেশটিকে চ্যালেঞ্জ জানান। এছাড়া তারা ট্রাম্পকে বিভাগটি বিলুপ্ত করা এবং গত সপ্তাহে ঘোষিত প্রায় অর্ধেক কর্মীদের ছাঁটাই বন্ধ করতে মামলাও করা হয়।

এদিকে শিক্ষা বিভাগ বিলুপ্ত করার এই আদেশে ট্রাম্পের স্বাক্ষর আমেরিকান রক্ষণশীলদের দীর্ঘদিনের লক্ষ্য পূরণ করবে বলে মনে করা হচ্ছে। বুধবার বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানায়, হোয়াইট হাউসের একটি অনুষ্ঠানে এই আদেশ স্বাক্ষরিত হবে। ইতোমধ্যেই এই বিভাগের কর্মী সংখ্যা ব্যাপকভাবে হ্রাস এবং তহবিল কমানোর প্রচেষ্টাও চলছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে নির্বাচনি প্রচারণা চালানোর সময় শিক্ষা বিকেন্দ্রীকরণের প্রতিশ্রুতি দেন এবং বলেন, তিনি এই বিভাগের ক্ষমতা অঙ্গরাজ্যগুলোর সরকারের কাছে হস্তান্তর করবেন। মূলত এটাই ছিল বহু দশক ধরে অনেক রিপাবলিকানের লক্ষ্য।

ঐতিহ্যগতভাবে যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষায় ফেডারেল সরকারের ভূমিকা সীমিত। কারণ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জন্য মাত্র ১৩ শতাংশ তহবিল ফেডারেল কোষাগার থেকে আসে, বাকি অর্থ অঙ্গরাজ্য এবং স্থানীয় সম্প্রদায় মাধ্যমে অর্থায়ন করা হয়ে থাকে।

কিন্তু নিম্ন আয়ের স্কুল এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য ফেডারেল তহবিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক অধিকার সুরক্ষা কার্যকর করার ক্ষেত্রে ফেডারেল সরকার অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে।

আইন অনুসারে, ১৯৭৯ সালে তৈরি শিক্ষা বিভাগটি কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া বন্ধ করা যাবে না এবং রিপাবলিকানদের তেমনটি করার জন্য ভোট নেই।

তবে ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে অন্যান্য ফেডারেল সংস্থাগুলোর মতো শিক্ষা বিভাগটি চলমান প্রোগ্রাম এবং কর্মচারীদের ওপর আরও কাটছাঁট দেখতে পাবে। আর এটিই এই বিভাগের কর্মকাণ্ডকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। সূত্র:  ফক্স নিউজ

দিনা/অমিয়/

ভারতে চলমান ‘রাইসিনা ডায়ালগ’ আসলে কী?

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০২:৫৩ পিএম
আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৩:২৪ পিএম
ভারতে চলমান ‘রাইসিনা ডায়ালগ’ আসলে কী?
বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ ) নয়াদিল্লিতে শেষ হচ্ছে ‘রাইসিনা ডায়ালগ’। প্রায় ১২৫টি দেশের মন্ত্রী, সাবেক রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান, সামরিক ও গোয়েন্দাপ্রধান, শিল্প ব্যক্তিত্ব, প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, কূটনৈতিকসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রতিনিধিরা এখানে অংশ নেন। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) শেষ হচ্ছে ‘রাইসিনা ডায়ালগ’। ১৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টোফার লুক্সন যৌথভাবে রাইসিনা ডায়ালগ উদ্বোধন করেন।

তিন দিনের এই সম্মেলনে ১২৫টি দেশের মন্ত্রী, সাবেক রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান, সামরিক ও গোয়েন্দাপ্রধান, শিল্প ব্যক্তিত্ব, প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, কূটনৈতিকসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। 

এ ছাড়া শীর্ষস্থানীয় থিংকট্যাংক এবং যুব প্রতিনিধিরাও এই আলোচনায় অংশ নেন। এটি ভারতের ভূরাজনীতি ও ভূ-অর্থনীতিবিষয়ক প্রধান সম্মেলন হিসেবে বিশ্বজুড়ে পরিচিত।

২০১৬ সালে প্রথম এই সংলাপের আয়োজন করে ভারত। এবার ১০ম বছরে পদার্পণ করা রাইসিনা ডায়ালগ ইতোমধ্যে ভূরাজনীতি ও ভূ-অর্থনীতি বিষয়ে ভারতের প্রধান সম্মেলন হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

এটি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন আয়োজিত একটি বহুপক্ষীয় সম্মেলন। এই প্ল্যাটফর্ম বহুপক্ষীয় সহযোগিতা বৃদ্ধি, ধারণা বিনিময় এবং বৈশ্বিক নীতি অ্যাজেন্ডা গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।

‘রাইসিনা ডায়ালগ’ নামটি এসেছে রাইসিনা হিল থেকে। এটি নয়াদিল্লির একটি উঁচু স্থান এবং এখানে ভারতের সংসদ ভবন, সুপ্রিম কোর্ট এবং রাষ্ট্রপতির ভবন অবস্থিত। এখানকার যে কোনো ভবন থেকে পুরো দিল্লি দেখতে পাওয়া যায়।

এবারের সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ড, যুক্তরাজ্যের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জোনাথন পাওয়েল ও নিউজিল্যান্ডের গোয়েন্দাপ্রধান অ্যান্ড্রু হ্যাম্পটন উপস্থিত হন।

এবারের সংলাপকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে শুল্ক ইস্যু, কানাডায় ‘খালিস্তানি’ বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর উত্থান, মৌলবাদ ও চরমপন্থার বিস্তার নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে এই সম্মেলন বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। সূত্র: দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া

দিনা/অমিয়/

দুর্নীতির অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা, দুদকে টিউলিপের চিঠি

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০২:২৮ পিএম
আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ০২:৪১ পিএম
দুর্নীতির অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা, দুদকে টিউলিপের চিঠি
টিউলিপ সিদ্দিক। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যের লেবারদলীয় এমপি টিউলিপ সিদ্দিক অভিযোগ করে বলেছেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার তাকে টার্গেট করে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির ভিত্তিহীন প্রচারণা চালাচ্ছে। বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে লেখা এক চিঠিতে তিনি এই অভিযোগ করেন। 

টিউলিপ বলেন, তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, তা একেবারেই ‘মিথ্যা ও অযৌক্তিক’। তিনি অভিযোগ করেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের ব্যাপারে কোনো আনুষ্ঠানিক তদন্ত করা হয়নি। কিন্তু তার আগেই মিডিয়ায় তার দুর্নীতি নিয়ে ব্রিফ করা হয়েছে। 

টিউলিপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে গত জানুয়ারিতে তিনি যুক্তরাজ্যের সিটি মিনিস্টার (ইকোনমিক সেক্রেটারি টু দ্য ট্রেজারি অ্যান্ড সিটি মিনিস্টার) পদ থেকে পদত্যাগ করেন। 

লন্ডনের দ্য হ্যাম্পস্টিড ও হাইগেট এলাকার এমপি টিউলিপ তখন জোর দিয়ে বলেন, তিনি কোনো দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নন। তবে সরকার যাতে কোনো বেকায়দায় না পড়ে, সে জন্য তিনি মিনিস্টার পদ থেকে সরে দাঁড়ান। 

দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর ব্রিটিশ সরকারের নৈতিকতা রক্ষাবিষয়ক কমিটির উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাসের কমিটির মুখোমুখি হন টিউলিপ সিদ্দিক। পরে স্যার লরি ম্যাগনাস সরকারের কাছে একটি রিপোর্ট পেশ করেন। সেখানে তিনি লিখেন ‘দুর্নীতির অভিযোগের সঙ্গে টিউলিপের কোনো যোগসূত্র বা অসদুপায় অবলম্বনের তথ্য পাওয়া যায়নি।’ তবে তিনি সেখানে উল্লেখ করেন, ‘এসব বিষয়ে টিউলিপ সিদ্দিকের আগে থেকে আরও বেশি সতর্ক না হওয়া ছিল দুঃখজনক। তা হলে তাকে সুনামহানির ঝুঁকির মুখে পড়তে হতো না।’

গত জুলাই-আগস্টের ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টিউলিপ সিদ্দিকের খালা। 

বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে ৩ দশমিক ৯ বিলিয়ন পাউন্ডের অর্থ তছরুপের অভিযোগ এনেছে। দুদক সেই অভিযোগ তদন্ত করছে। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ববি হাজ্জাজের কয়েক দফা অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক বিষয়টির তদন্ত করছে। 

আদালতের নথিপত্রে বিবিসি দেখতে পেয়েছে, ববি হাজ্জাজ অভিযোগ করেছেন, ২০১৩ সালে রাশিয়ার সঙ্গে নতুন পরমাণু বিদ্যুৎ প্লান্টের চুক্তির মধ্যস্থতা করেছেন টিউলিপ সিদ্দিক। আর এর পরই এই পাওয়ার প্লান্টের নির্মাণ ব্যয় অনেক বেড়ে যায়। 

দুর্নীতি দমন কমিশনের কাছে পাঠানো চিঠিতে টিউলিপ সিদ্দিকের আইনজীবী স্টিফেনসন হারউড বলেছেন, তার মক্কেল (টিউলিপ) পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুক্তির সঙ্গে কোনোভাবেই যুক্ত নন। যদিও ২০১৩ সালে মস্কোয় চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাকে দেখা গেছে। তিনি বলেন, সরকারপ্রধানদের রাষ্ট্রীয় সফরে আত্মীয়স্বজনদের আমন্ত্রণ জানানো বা সফরসঙ্গী করা অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা নয়। অভিযোগ করা আর্থিক অনিয়মের ব্যাপারে টিউলিপ কোনোভাবেই অবগত ছিলেন না। 

চিঠিতে বলা হয়েছে, লন্ডনের কিংস ক্রসে দুর্নীতির মাধ্যমে টিউলিপ সিদ্দিকের একটি ফ্ল্যাটের মালিকানা অর্জনের কথা বলা হয়েছে। তিনি ফ্ল্যাটটি উপহার হিসেবে পেয়েছেন ২০০৪ সালে। আর পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে এর ১০ বছর পর। পরমাণু প্লান্ট চুক্তির সুফল হিসেবে তিনি ওই ফ্ল্যাট পেয়েছেন এটা বলা একেবারেই অবিশ্বাস্য। এটি কোনোভাবেই সত্যি হতে পারে না। 

স্যার লরি তার তদন্ত রিপোর্টে উল্লেখ করেছেন, ফ্ল্যাটটি পাওয়ার পর দীর্ঘ সময় টিউলিপ সিদ্দিক মালিকানার উৎস সম্পর্কে অসচেতন ছিলেন। তিনি এমন একটি ধারণার মধ্যে আচ্ছন্ন ছিলেন যে, তার বাবাই তার ফ্ল্যাটটি কিনেছিলেন। তবে টিউলিপ মন্ত্রী হওয়ার পর এ সংক্রান্ত রেকর্ড সংশোধন করেন। এটাকে স্যার লরি ‘দুর্ভাগ্যজনক ভুল বোঝাবুঝি’ বলে উল্লেখ করেছেন রিপোর্টে। 

আইনজীবী স্টিফেনসন হারউড দুদককে লেখা চিঠিতে বলেছেন, টিউলিপকে ওই ফ্ল্যাটটি উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন আব্দুল মোতালিফ, যাকে টিউলিপের পারিবারিক বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। সূত্র: বিবিসি