
পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ বেলুচিস্তানে একটি যাত্রীবাহী বাসে দুর্বৃত্তের গুলিবর্ষণে সাতজন নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) পাঞ্জাব প্রদেশের সীমান্তবর্তী বারখান জেলায় অতর্কিত হামলায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা শাহাদাত হুসাইনের ভাষ্যমতে, লাহোর থেকে আগত বাসটির টায়ারে গুলি করে থামিয়ে দেয় দুর্বৃত্ত।
‘প্রত্যেক বাসযাত্রীর পরিচিতিপত্র দেখার পর উদ্দেশ্যপ্রনোদিতভাবে পাঞ্জাবিদের গুলি করে এই জঙ্গি।’, বলেন তিনি।
ঘটনাস্থলেই সাতজন মারা গেছেন বলে নিশ্চিত করেন প্রশাসনের এই কর্মকর্তা।
কোনো সশস্ত্রগোষ্ঠী এপর্যন্ত হামলার দায় স্বীকার করেনি।
বেলুচিস্তানে এ ধরণের ঘটনা নতুন কিছু নয়। অঞ্চলটিতে স্বাধীনতাকামী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের তৎপরতা বেশ পুরনো সমস্যা।
বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) এই অঞ্চলের সবচেয়ে তৎপর সশস্ত্রগোষ্ঠী। প্রায়ই পাকিস্তানি নিরাপত্তাবাহিনী ও অন্য প্রদেশের শ্রমিকদের উদ্দেশ করে আক্রমণ পরিচালনা করে এই সংগঠন।
সম্প্রতি দেশটিতে বেলুচিস্তানে পাঞ্জাবি শ্রমিকদের প্রতি সহিংসতায় ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। গেল বছর জঙ্গি হামলার শিকার হয়ে অন্তত ৩৯জন পাঞ্জাবি প্রাণ হারিয়েছেন।
এদিকে আক্রমণের আত্মপক্ষ সমর্থনে বিএলএ’র ভাষ্য, পাকিস্তান সরকার ও অন্য প্রদেশের শ্রমিকরা বেলুচিস্তানের প্রাকৃতিক সম্পদ ‘ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছে-যেখানে অঞ্চলের স্থানীয়রাই সুবিধাবঞ্চিত।’
মঙ্গলবারের হামলার পর স্থানীয় নিরাপত্তাবাহিনী পুরো অঞ্চলে অভিযান পরিচালনা করছে। ঘটনার পেছনে দায়ী সবাইকে ন্যায়ের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
তবে বাড়তে থাকা সহিংসতায় জ্যামিতিক হারে বাড়ছে বেলুচিস্তানের জনসাধারণের নিরাপত্তাশঙ্কা। সূত্র: ডয়েচে ভেলে
নাইমুর/