ঢাকা ৩ চৈত্র ১৪৩১, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
English

জার্মানিতে উগ্র-ডানপন্থার উত্থানে মাথাব্যাথা পুরো ইউরোপের

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:৪৪ পিএম
জার্মানিতে উগ্র-ডানপন্থার উত্থানে মাথাব্যাথা পুরো ইউরোপের
জার্মানিতে উগ্র-ডানপন্থি দল এএফডির উঠতি প্রভাবের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন দেশটির নাগরিকরা। ছবি: সংগৃহীত

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানির নির্বাচন নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামাতে দেখা না গেলেও দেশটিতে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে পুরো বিশ্ব। আরও নির্দিষ্ট করে বললে- ইউরোপের মাথাব্যাথা সবচেয়ে বেশি।

এ বিষয়ে বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা দ্য গার্ডিয়ান।

জার্মানির আসন্ন নির্বাচনের হাওয়া জাতীয় পরিমণ্ডল ছেড়ে পুরো ইউরোপেই ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্ববাণিজ্য ও যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের ভবিষ্যতও জড়িয়ে পড়েছে এই নির্বাচনের সঙ্গে। 

দেশটিতে আনুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা প্রচলিত থাকায় বেশিরভাগ সময়ই একদলীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকে না। এতে সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া দল অন্যান্য ছোট দলগুলোর সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার গঠন করে।সম্প্রতি জার্মানিতে পরিচালিত একটি জরিপে দেখা গেছে দেশটির বিরোধী দলের জোট সিডিইউ’র সমর্থন সবচেয়ে বেশি।

বর্তমান জার্মান চ্যাঞ্চেলর ওলাফ শোলৎজকে সরিয়ে সিডিইউর নেতা ফ্রেডরিখ মার্জ ক্ষমতায় বসবেন বলে ধারণা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।

তবে সিডিইউর ক্ষমতাপ্রাপ্তিতে শঙ্কিত ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ। জার্মানির উগ্র-ডানপন্থি দল এএফডির সঙ্গে মার্জের সাম্প্রতিক ঘনিষ্টতাই এই দুশ্চিন্তার কারণ।

দেশটির সামনের সারির রাজনৈতিক দলগুলো সাধারণত উগ্রপন্থি দলগুলোর সঙ্গে জোট বাঁধে না। তবে এই ঐতিহ্যে ফাঁটল ধরিয়ে সম্প্রতি সিডিইউ আসন্ন নির্বাচনে এএফডির সমর্থন চেয়েছে।

এদিকে নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য আসনে উগ্র-ডানপন্থি দল এএফডির প্রতিনিধিরা নির্বাচিত হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে নির্বাচন পরবর্তী জোট গঠন নিয়ে দেখা দিয়েছে ব্যাপক আশঙ্কা।

একপক্ষের বয়ান, জার্মানিতে আভিজাত্যবাদের কারণে এএফডির মতো দলগুলো ক্ষমতায় আসতে পারে না। নির্বাচনের পরেও জোট গঠন আলোচনায় এএফডিকে অন্তর্ভূক্ত না করলে এ ধরণের মন্তব্যের শিকার হতে পারে দেশটির নির্বাচন ব্যবস্থা। এই জায়গা থেকে এএফডিকে কেন্দ্রীয় আলোচনার বিকল্প নেই। 

অন্যদিকে এই দল ক্ষমতার কেন্দ্রে পৌঁছালে নীতিনির্ধারণে ইউরোপের বিপক্ষে ‘ক্ষতিকর’ অবস্থান নিতে পারে বলে শঙ্কিত মহাদেশের রাঘববোয়ালরা।

আসন্ন নির্বাচনের ওপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি সরাসরি নির্ভর করছে। চলমান যুদ্ধ নিরিসনে ইইউ’র অবস্থান নির্ধারণের ক্ষেত্রে জার্মানির বয়ান অত্যন্ত গুরুত্ববহ।

এদিকে এএফডির ইউক্রেনবিরোধী অবস্থান ইইউ’র অবস্থানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ইউক্রেনে জার্মানির দেওয়া সামরিক সহায়তা পাঠানোর বিপক্ষে এই দল।

এ পরিস্থিতিতে জার্মানির নির্বাচনের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে আছে কিয়েভসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশের প্রশাসন। 
আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি জার্মানিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

নাইমুর/

উত্তর মেসিডোনিয়ায় নাইটক্লাবে আগুন, নিহত ৫১

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৪:০৭ পিএম
উত্তর মেসিডোনিয়ায় নাইটক্লাবে আগুন, নিহত ৫১
ছবি: সংগৃহীত

উত্তর মেসিডোনিয়ার একটি নাইটক্লাবে অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ৫১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এ ছাড়া ১০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।

রবিবার (১৬ মার্চ) দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ও অভ্যন্তরীণ মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রবিবার ভোরে উত্তর মেসিডোনিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর কোচানির পালস ক্লাবে আগুন লাগে। এতে ৫১ জন নিহত ও ১০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন বলে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পাঞ্চে তোশকোভস্কি।

তোশকোভস্কি জানান, স্থানীয় একটি পপ গ্রুপের কনসার্ট চলাকালীন রাত ২টা ৩৫ মিনিটে আগুনের সূত্রপাত হয়। নাইটক্লাবে ব্যবহৃত আতশবাজির যন্ত্র থেকে আগুনের সূত্রপাত।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, ভবনটি আগুন পুড়ে যাচ্ছে এবং রাতের আকাশে ধোঁয়া উড়ছে।

সালমান/

ট্রাম্পের নির্দেশে ছুটিতে পাঠানো হলো ভয়েস অব আমেরিকার ১৩০০ কর্মীকে

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৩:০৭ পিএম
আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৩:১৮ পিএম
ট্রাম্পের নির্দেশে ছুটিতে পাঠানো হলো ভয়েস অব আমেরিকার ১৩০০ কর্মীকে
ট্রাম্পের নির্দেশে ভয়েস অব আমেরিকার ১৩০০ কর্মী ছুটিতে। ছবি: রয়টার্স

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে সরকারের পরিচালিত সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকার ১ হাজার ৩০০ কর্মীকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আরও দুটি সংবাদমাধ্যমের তহবিলও বাতিল করা হয়েছে।

শনিবার (১৫ মার্চ) এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে ভয়েস অব আমেরিকার (ভিওএ) কার্যক্রম একেবারে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

ট্রাম্প প্রশাসন চলতি বছরের শুরুতে ইউএস এজেন্সি ফর গ্লোবাল মিডিয়া (ইউএনএজিএম) এবং এর অধীনস্থ অন্যান্য সংবাদমাধ্যমে কর্মী কমানোর নির্দেশ দিয়েছিল। এ কারণে ভয়েস অব আমেরিকাসহ প্রায় ৫০টি ভাষায় সম্প্রচার করা মিডিয়া প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে।

ভয়েস অব আমেরিকার পরিচালক মাইকেল আব্রামোভিচ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছেন, এই প্রথমবারের মতো ভয়েস অব আমেরিকার কার্যক্রম বন্ধ হতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘এটি বিশ্বব্যাপী স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের পক্ষে কাজ করেছিল এবং এটি বন্ধ হওয়ায় আমি গভীরভাবে দুঃখিত।’

বাধ্যতামূলক ছুটির অংশ হিসেবে ভয়েস অব আমেরিকার প্রায় ১ হাজার ৩০০ সাংবাদিক, প্রযোজক ও অন্যান্য কর্মীকে ছুটি পাঠানো হয়েছে। যা এর কার্যক্রমকে প্রায় অকার্যকর করে দিচ্ছে।

এ ছাড়া ইউএসএজিএম-এর অধীনস্থ আরও দুটি সংবাদমাধ্যম- রেডিও ফ্রি ইউরোপ/রেডিও লিবার্টি ও রেডিও ফ্রি এশিয়ার বরাদ্দও বাতিল করা হয়েছে।রেডিও ফ্রি ইউরোপ পূর্ব ইউরোপ ও ইউক্রেনসহ অন্যান্য দেশের মধ্যে জনপ্রিয় এবং রেডিও ফ্রি এশিয়া চীন ও উত্তর কোরিয়া অঞ্চলে শুনে থাকে।

গত শুক্রবার ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশে সই করেন। যেখানে ইউএসএজিএম এবং আরও ছয়টি সংস্থাকে তাদের কার্যক্রম সীমিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। আদেশে বলা হয়েছে, সরকারি আমলাতন্ত্রকে সংকুচিত করার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

এদিকে ভয়েস অব আমেরিকা ১৯৪২ সালে নাৎসি প্রোপাগান্ডার বিরুদ্ধে প্রচার চালাতে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ৩৬ কোটি মানুষ এই সংস্থার সম্প্রচার শোনে। সূত্র: রয়টার্স

তাওফিক/ 

বেলুচিস্তানে ট্রেন থেকে ধরে ২১৪ সেনাকে হত্যার দাবি করছে বিএলএ

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০২:৪৩ পিএম
আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৩:১৫ পিএম
বেলুচিস্তানে ট্রেন থেকে ধরে ২১৪ সেনাকে হত্যার দাবি করছে বিএলএ
ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গি গোষ্ঠী বেলুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) দাবি করেছে, পাকিস্তান বন্দি বিনিময়ের আলোচনায় অস্বীকৃতি জানানোর পর তারা হাইজ্যাক করা ট্রেন থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া ২১৪ সেনার সবাইকে হত্যা করেছে।

যদিও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবি, ২৬ জন জিম্মিকে হত্যা করা হয়েছে। বিএলএ এই ঘটনায় পাঁচ আত্মঘাতী হামলাকারীসহ ১২ জন জঙ্গি নিহতের কথা স্বীকার করে।

রবিবার ( ১৬ মার্চ) এসব তথ্য জানায় দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া।

গত ১১ মার্চ বেলুচিস্তানের বোলান জেলার মুশফাক নামে একটি পাহাড়ি এলাকায় ‘জাফর এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি হাইজ্যাক করে জঙ্গিরা। এরপর পাকিস্তানের সেনা ও বিমানবাহিনী সেখানে প্রায় দুই দিন অভিযান চালায়। এসময় তারা ৩৩ জঙ্গিকে হত্যা ও প্রায় ৩০০ জনকে উদ্ধারের তথ্য জানায়।

তবে শনিবার (১৫ মার্চ) বেলুচ লিবারেশন আর্মির মুখপাত্র জিয়ান্দ বেলুচ একটি বিবৃতিতে দাবি করেন, তারা ট্রেন থেকে ২১৪ সেনাকে ধরে নিয়ে যান। তাদের মুক্তির জন্য আলোচনা শুরু করতে সেনাবাহিনীকে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেওয়া হয়। কিন্তু পাকিস্তান আর্মি আলোচনা না করায় ২১৪ জিম্মি সেনার সবাইকে হত্যা করা হয়।

তিনি বলেন, ‘বেলুচ লিবারেশন আর্মি পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে যুদ্ধবন্দি বিনিময়ের জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় বেধে দেয়। কিন্তু তারা পুরোনো জেদ এবং সামরিক অহংকার প্রদর্শন করে। এক্ষেত্রে তারা চোখ বন্ধ করে রাখার ভূমিকা পালন করে। যার ফলে এই ২১৪ জিম্মিকে হত্যা করা হয়।’

বিএলএ দাবি করছে, তারা সবসময় আন্তর্জাতিক আইন মেনে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে। কিন্তু অহংকারের জন্য পাকিস্তান তাদের সেনাদের হারিয়েছে।

তবে ২১৪ সেনাকে হত্যার দাবির পক্ষে বিএলএ এখনো কোনো প্রমাণ দেয়নি। 

এছাড়া পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানান, তারা ট্রেনের ৩৫৪ জিম্মি যাত্রীকে উদ্ধার এবং ৩৩ জঙ্গিকে হত্যা করেছেন। 

তিনি আরও জানান, বিএলএ অন্য যাত্রীদের জিম্মি করে নিয়ে গেছে এমন কোনো প্রমাণও নেই।

তিনি দাবি করেন, সন্ত্রাসী দলটি অতিরঞ্জিত খবর প্রকাশ করছে। সূত্র: দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া

দিনা/অমিয়/

ট্রাম্পের শুল্কারোপে ‘কনুই তুলে’ অভিনব কায়দায় কানাডিয়ানদের প্রতিবাদ

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০১:৫৯ পিএম
আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০২:৩৫ পিএম
ট্রাম্পের শুল্কারোপে ‘কনুই তুলে’ অভিনব কায়দায় কানাডিয়ানদের প্রতিবাদ
ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিককালের পদক্ষেপগুলোর বিরুদ্ধে 'কনুই তুলে'  অদ্ভুত উপায়ে  ক্ষুব্ধ কানাডিয়ানদের প্রতিবাদ। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের প্রেক্ষিতে কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনা দিন দিন যেন বেড়েই চলেছে। ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের বিষয়টি শান্তিপ্রিয় কানাডিয়ানদের বেশ ক্ষুব্ধ করে তুলেছে।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) কানাডার সাসকাচোয়ানের এলবোতে ‘এলবোস আপ’ নামে এক সমাবেশে অংশ নিয়ে কানাডার সঙ্গে ট্রাম্পের সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলোর বিরুদ্ধে অভিনব উপায়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন দেশটির নাগরিকরা।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স শনিবার (১৫ মার্চ) একটি প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানায়।

মূলত ‘এলবোস আপ’ হকি খেলার সঙ্গে সম্পর্কিত একটি শব্দ। এলবো আপ বলতে লড়াইয়ের প্রস্তুতিকে বোঝানো হয়। এটিকেই কানাডিয়ানরা তাদের সমাবেশের নতুন স্লোগান হিসেবে ব্যবহার করছে। এই সমাবেশে অংশ নেওয়া সবার পোশাকে সমাবেশের শিরোনাম ‘এলবোস আপ’ লেখা হয়েছে।

ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ কতদিন বহাল থাকবে বা কানাডাকে ৫১তম মার্কিন রাজ্যে পরিণত করার আকাঙ্ক্ষার পেছনে কী কারণ রয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ১১ জন ক্ষুব্ধ কানাডিয়ানের মতামত নিয়ে রয়টার্স জানায়, তারা বিশ্বাস করেন, এই বাণিজ্যযুদ্ধে দুই পক্ষেরই অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।

কানাডিয়ানরা মার্কিন পণ্য বর্জন করছে এবং মার্কিন ভ্রমণ পরিকল্পনা বাতিল করছে। সব দোকান থেকে আমেরিকান মদ সরিয়ে নিচ্ছে। তারা ট্রাম্পের এই পদক্ষেপকে বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে দেখছে যেটি তাদের অনুভূতির গভীরে আঘাত করেছে।

এলবোস আপ র‌্যালির আয়োজক পিটার ওয়াল বলেন, ‘এটি আসলে  উদ্বেগ, হতাশা, ক্রোধের মিশ্রণ। আমাদের দীর্ঘদিনের বন্ধু এবং মিত্র আমাদের বিরুদ্ধে চলে গেছে এবং আমরা আসলে কী করব তা জানি না।‘

ওয়াল এবং আরও কয়েকজন আয়োজক জানান, তারা কয়েকদিনের মধ্যেই কানাডার রাজধানী অটোয়ার পার্লামেন্ট হিলে আরও একটি সমাবেশের আয়োজন করবেন।  সূত্র: রয়টার্স

দিনা/অমিয়/

গ্রিনল্যান্ড কখনো বিক্রি হবে না, স্পষ্ট করলেন নতুন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০১:০২ পিএম
আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০২:২৯ পিএম
গ্রিনল্যান্ড কখনো বিক্রি হবে না, স্পষ্ট করলেন নতুন প্রধানমন্ত্রী
গ্রিনল্যান্ডের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী জেন্স ফ্রেডরিক নিলসেন। ছবি: সংগৃহীত

ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড কিনতে চাওয়ার যে পরিকল্পনা, তার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দেশটির নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী জেন্স ফ্রেডরিক নিলসেন। ইউরোপীয় দেশগুলোকে তাদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের পাশে দাঁড়ান এবং স্পষ্ট করে বলুন যে, গ্রিনল্যান্ড কখনও বিক্রির জন্য নয় এবং কখনও বিক্রি হবে না। গ্রিনল্যান্ড গ্রিনল্যান্ডের জনগণ দিয়ে পরিচালিত হয় এবং এটি কখনও পরিবর্তন হবে না।’ 

শনিবার (১৫ মার্চ) তুরস্কের সংবাদমাধ্যোম আনাদোলু অ্যাজেন্সি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।

এছাড়া শনিবার ডোনাল্ড ট্রাম্পের তাদের দেশের সার্বভৌমত্ব সম্পর্কে সাম্প্রতিক মন্তব্যের প্রতিবাদে প্রায় এক হাজার গ্রিনল্যান্ডবাসী রাজধানী নুউকে মিছিল করেন।

গ্রিনল্যান্ডের ডেমোক্র্যাটিক, নালেরাক, ইনুইট আতাকাতিগিট, সিউমুট এবং আতাসুট দলের নেতারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ট্রাম্পের আচরণ অগ্রহণযোগ্য।

গত বৃহস্পতিবার ট্রাম্প দ্বীপটির উপর ডেনমার্কের সার্বভৌমত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘ডেনমার্ক অনেক দূরে এবং আসলে তাদের কিছু করার নেই। কী হয়েছিল? ২০০ বছর আগে সেখানে একটি নৌকা এসে পড়েছিল। তারা শুধু বলে যে, তাদের এটির উপর অধিকার আছে। তবে আমি জানি না এটি সত্যি কিনা। আমি আসলে তা মনে করি না।’

তিনি আরও বলেন, তিনি ডেনমার্ক এবং গ্রিনল্যান্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এখন দ্বীপটি অধিগ্রহণ করতে হবে।‘ সূত্র: আনাদোলু

দিনা/অমিয়/