ঢাকা ৫ বৈশাখ ১৪৩২, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
English
শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২

বোমা হামলার জবাবে গাজা আক্রমণের প্রস্তুতি ইসরায়েলের

প্রকাশ: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৫৯ পিএম
বোমা হামলার জবাবে গাজা আক্রমণের প্রস্তুতি ইসরায়েলের
ইসরায়েলে বোমা বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত বাস। ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলের রাজধানীতে খালি বাসে বোমা হামলার জবাবে গাজা উপত্যকায় সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে তেল আবিব প্রশাসন। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একটি বাস ডিপোতে পার্ক করে রাখা তিনটি খালি বাসে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনা সশস্ত্র গোষ্ঠী ঘটিয়েছে জানিয়ে গাজায় পাল্টা হামলার প্রস্তুতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম দ্য জেরুজালেম পোস্ট।

বোমা বিস্ফোরণের পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জরুরি বৈঠক আয়োজন করে সামরিক অভিযান ঘোষণা করেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে করা পোস্টে উল্লেখ করা হয়, ‘বেশ কয়েকটি বোমা হামলা ঘটায় গাজার পশ্চিম তীরের জুডেয়া ও সামারিয়া এলাকায় জঙ্গিবাদের কেন্দ্রবিন্দু গুড়িয়ে দিতে জরুরি সামরিক অভিযানের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।’

ইসরায়েলের কর্তৃপক্ষের দাবি, শনিবার সকালে ব্যস্ত এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটানোর উদ্দেশে বোমাগুলো রাখা হয়েছিল।

অভিযানে ঘটনাস্থলের পাশের এলাকা থেকে আরও দুটো বোমা উদ্ধার করেন নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা।

এ বিষয়ে তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে দেশটির আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেট।

বোমা বিস্ফোরণের পর পুরো পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের চলাফেরায় কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।

এ প্রসঙ্গে সামরিক কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, ‘বর্তমান পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে পরবর্তী কঠোর সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি চলছে।’

উদ্ভূত জটিলতায় শঙ্কিত গাজার বাসিন্দারা। অঞ্চলটির উত্তর দিকের জেনিন ও তুলকারেম এলাকার অধিবাসীরা আছেন সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে।

গত ২১ জানুয়ারি থেকে গাজায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর আক্রমণে অন্তত ৭০জন বেসামরিক ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। ঘরছাড়া হয়েছেন ৪০হাজারের বেশি বাসিন্দা। তেল আবিবের সামরিক জোরজবরদস্তিতে আটকে গেছে এই অঞ্চলের ত্রাণ কার্যক্রমও। সূত্র: আল-জাজিরা।

নাইমুর/

সারোগেট মায়েদের নিয়ন্ত্রণে ইলন মাস্কের কঠোর গোপনীয়তার চুক্তি

প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৩১ পিএম
সারোগেট মায়েদের নিয়ন্ত্রণে ইলন মাস্কের কঠোর গোপনীয়তার চুক্তি
ছবি: সংগৃহীত

ইলন মাস্ক বারবারই বলে আসছেন, জন্মহার কমে যাওয়ার ফলে মানবসভ্যতা একদিন বিপদে পড়বে। এজন্য বুদ্ধিমান এবং মেধাবী মানুষদের আরও বেশি সন্তান জন্ম দেয়া উচিত। সেই বিশ্বাস থেকেই ইলন মাস্ক ‘শিশুদের দল’ গড়ার পরিকল্পনায় কাজ করছেন। 

এমনকি দ্রুত এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে তিনি নিজের এক্স একাউন্টে সম্ভাব্য সারোগেট মায়েদের খুঁজছেন।

বুধবার ( ১৬ এপ্রিল ) দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের একটি প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হয়। 
 
এই প্রতিবেদনে বলা হয়, শিশুদের একটি দল গড়তে চান ইলন মাস্ক। সেই উদ্দেশ্যে একজন পরিচিত জাপানি নারীর (সারোগেট মা) কাছে নিজের শুক্রাণু সরবরাহ করেছেন মাস্ক।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, গত সেপ্টেম্বরেই মাস্কের ১৩তম সন্তানের জন্ম দেন ২৬ বছর বয়সী রক্ষণশীল ইনফ্লুয়েন্সার অ্যাশলি সেন্ট ক্লেয়ার। তিনি জানান, তিনি মাস্কের কাছ থেকে একাধিক বার্তা পান যেখানে মাস্ক তার ‘বড় একটি সন্তানের দল’ গড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তিনি জানান ,এই বার্তায় মাস্ক তাকে বলেন, ‘আমি তোমাকে আবার গর্ভবতী করতে চাই’।

তবে সেন্ট ক্লেয়ারসহ একাধিক নারী দাবি করেন, মাস্কের টিম গোপনীয়তা চুক্তি ও অর্থ ব্যবহার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখে। 

এছাড়া অভিযোগ উঠেছে, মাস্ক  তার সহযোগী বার্চাল সারোগেত মায়েদের এই অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠীকে ‘মেরিটোক্র্যাসি’ হিসেবে বর্ণনা করেন। যেখানে যারা 'ভালো কাজ' করে বা তারা গোপনীয়তার নীতি মেনে মাস্কের সন্তানের মা হন তারাই সবচেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা পায়।

সেন্ট ক্লেয়ার বলেন, যখন তার প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয় মাস্কের ঘনিষ্ঠ সহকারী জ্যারেড বার্চাল তার কাছে একটি প্রস্তাব নিয়ে আসেন। যদি তিনি সন্তানের জন্মসনদে মাস্কের নাম না লেখেন এবং বাবার পরিচয় গোপন রাখেন, তাহলে তাকে ১.৫ কোটি ডলার এবং প্রতি মাসে ১ লাখ ডলার করে সহায়তা দেয়া হবে।

এরপর তিনি গোপনীয়তার শর্তে রাজি না হলেও জন্মসনদে মাস্কের নাম লেখেননি। পরে  ফেব্রুয়ারিতে  তাদের সম্পর্ক প্রকাশ্যে আনলে তাকে সেই সহায়তা থেকে ৪০ হাজার ডলার কম দেয়া হয়। পরবর্তীতে সেটি ২০ হাজার ডলারে নামিয়ে আনা হয়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মাস্ক আরও কয়েকজন নারীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন—যেমন ক্রিপ্টো ইনফ্লুয়েন্সার টিফানি ফং। তাকে মাস্ক সন্তান ধারণের প্রস্তাব দেন। ফং এই বার্তাগুলো প্রকাশ করে দিলে মাস্ক তাকে আনফলো করে দেন।

শিভন জিলিস, যিনি মাস্কের চার সন্তানের মা, তার একটি ‘বিশেষ মর্যাদা’ আছে বলেও দাবি করা হয়। জিলিসকে মাস্কের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক যেমন: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ ও বিশ্বনেতাদের অংশগ্রহণে একটি অভিষেক-পূর্ব নৈশভোজেও দেখা গেছে।

ইলন মাস্ক এখন পর্যন্ত চারজন পরিচিত নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে অন্তত ১৪টি সন্তানের বাবা হন। এদের মধ্যে রয়েছেন সেন্ট ক্লেয়ার, গায়িকা গ্রাইমস, নিউরালিঙ্ক নির্বাহী শিভন জিলিস এবং তার প্রাক্তন স্ত্রী জাস্টিন মাস্ক। তবে মাস্কের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো দাবি করে, এই সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।  সূত্র: দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল
দিনা

 

ট্রাম্প প্রশাসনের ৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিদেশি শিক্ষার্থীদের মামলা

প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৯ পিএম
ট্রাম্প প্রশাসনের ৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিদেশি শিক্ষার্থীদের মামলা
গত প্রায় ৩ মাসে দেশের ১০০’টির বেশি উচ্চতর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত ৬ শতাধিক বিদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করে ট্রাম্প প্রশাসন। ছবি: সংগৃহীত

উদ্দেশ্যপ্রনোদিতভাবে একের পর এক বিদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিলের ঘটনায় ট্রাম্প প্রশাসনের ৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জর্জিয়ার ফেডারেল আদালতে মামলা করেছেন ১৩০ জনেরও বেশি বিদেশি শিক্ষার্থী।

মামলায় অভিযুক্ত কর্মকর্তারা হলেন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টি নোয়েম এবং দেশটির অভিবাসন ও কাস্টমস বিষয়ক নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এজেন্সি (আইসিই)- এর ভারপ্রাপ্ত পরিচালক টড লিয়নস। 

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, এই তিন কর্মকর্তার নির্দেশে আইনকে পাশ কাটিয়ে আইসিই বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল করছে। আর তাদের এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীদের বৈধ অবস্থানকে সংকটাপন্ন করে তুলছে।

গত ১১ এপ্রিল ১৭ জন বিদেশি শিক্ষার্থী বাদি হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। পরে বাদির তালিকায় যুক্ত হন আরও অনেক শিক্ষার্থী । বৃহস্পতিবার ( ১৭ এপ্রিল) মামলার মোট বাদির সংখ্যা হয় ১৩৩ জনে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর গত প্রায় ৩ মাসে দেশের ১০০’টির বেশি উচ্চতর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত ৬ শতাধিক বিদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করে ট্রাম্প প্রশাসন।

এই শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ গত বছর গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান বন্ধ ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিতে আন্দোলনে অংশ নেয়। এছাড়া ছোটোখাটো কিংবা আমলযোগ্য অপরাধের মধ্যে পড়ে না— এমন কারণেও অনেক বিদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা সংক্রান্ত অনলাইন সংবাদ পোর্টাল ইনসাইড হায়ার ইডি’র বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে দ্য ইকোনোমিক টাইমস  জানায়, গণপরিবহনে টিকিট না কেটে ওঠা কিংবা সড়কে নির্ধারিত গতিসীমার চেয়ে জোরে গাড়ি চলানোর মতো অপরাধেও ভিসা বাতিলের ঘটনা ঘটে।

কয়েকদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সাংবাদিকদের জানান, এ পর্যন্ত ৩ শতাধিক বিদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করা হয়। ফিলিস্তিনের পক্ষে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ‘উন্মাদ’ বলেও আখ্যা দেন তিনি। সূত্র : দ্য ইকোনোমিক টাইমস


দিনা

 

ভ্যাটিকানের আদলে ক্ষুদ্র মুসলিম রাষ্ট্র গঠনের চেষ্টা!

প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১১:২৪ এএম
আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১০ পিএম
ভ্যাটিকানের আদলে ক্ষুদ্র মুসলিম রাষ্ট্র গঠনের চেষ্টা!
কসোভোতে ‘নওরোজ’ উপলক্ষে বক্তাশি মুসলিমদের একটি সম্মেলন। ছবি:সংগৃহীত

বিশ্বের ২০০ কোটিরও বেশি মুসলিমের মাঝে ‘বক্তাশি’ নামে একটি ক্ষুদ্র সুফি সম্প্রদায় সম্প্রতি আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন এক্সামিনার দাবি করছে, একটি ব্যতিক্রমধর্মী মুসলিম রাষ্ট্র গঠনের পরিকল্পনা নিয়ে এই সম্প্রদায় সন্তোপনে সংগঠিত হয়ে উঠছে।

বৃহস্পতিবার ( ১৭ এপ্রিল ) একটি প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন এক্সামিনার দাবি করে, আলবেনিয়ার রাজধানী তিরানায় বক্তাশিদের আধ্যাত্মিক সদর দপ্তরকে কেন্দ্র করে একটি  স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। রাষ্ট্রটি বিশ্বের ক্ষুদ্রতম ও প্রথম ইসলামি ভ্যাটিকান হিসেবে পরিচিতি পেতে পারে।

একটি নতুন রাষ্ট্র গঠনের প্রথম চ্যালেঞ্জ হলো আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করা। সেই লক্ষ্যে পৌঁছানোর একটি প্রয়াস হিসেবে ২০২৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী এদি রামা বক্তাশিদের জন্য একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের পরিকল্পনা ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, ‘বক্তাশিদের বৈশ্বিক কেন্দ্রকে তিরানার ভেতরে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রে রূপান্তরের মাধ্যমে আমরা একটি নতুন শান্তির কেন্দ্র তৈরি করতে চাই।’

যদিও সেসময় অনেকেই এই বক্তব্যটিকে রামার আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি উন্নয়নের কৌশল হিসেবে দেখেন।

প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলেও বর্তমানে বক্তাশিদের প্রকৃত সংখ্যা ৭০ লাখ থেকে ২ কোটি পর্যন্ত হতে পারে বলে ধারনা করা হয়। আলবেনিয়ায় বক্তাশিরা সংখ্যালঘু হলেও তারা ধর্মীয় সহনশীলতার প্রতীক হিসেবে সমাদৃত।

বক্তাশিদের সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি অত্যন্ত উদার। এমনকি বক্তাশিরা অন্যান্য অনেক ধর্মের মতো মদ্যপানকে নিষিদ্ধ করে না। তবে তারা সহিংসতার বিরোধী এবং রাজনীতি থেকে দূরেন অবস্থান নিয়ে  অন্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল মনোভাব দেখায়।

বক্তাশি মূলত একটি সুফি মতবাদের উপর প্রতিষ্ঠিত তরিকা। এই সুফি মতবাদের প্রতিষ্ঠাতা ত্রয়োদশ শতকের সুফি সাধক হাছি বক্তাশ বেলি। বক্তাশিদের ধর্মীয় বিশ্বাস শিয়া ইসলামের ছায়ায় গড়ে উঠলেও এতে খ্রিষ্টধর্ম ও প্রাচীন আনাতোলীয় উপাদানেরও প্রভাব রয়েছে। বক্তাশিবাদের মূল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ধর্মীয় সহনশীলতা, মানবতাবাদ এবং ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা বা শরিয়াহর প্রতি শৈথিল্য।

একসময় ওসমানীয় সাম্রাজ্যের অভিজাত বাহিনী জানিসারি বাহিনীর ধর্ম হিসেবে বক্তাশিবাদ প্রতিষ্ঠা পায়। বহু আলবেনীয় তখন বক্তাশিতে ধর্মান্তরিত হন। তবে ১৮২৬ সালে জানিসারি বাহিনী ভেঙে দিলে দ্বিতীয় সুলতান মাহমুদ বক্তাশিদের উপর দমন-পীড়ন চালান। পরবর্তী সময়ে ১৯২৫ সালে কামাল আতাতুর্কের ধর্মনিরপেক্ষ নীতির আওতায় বক্তাশিবাদ তুরস্কে নিষিদ্ধ হলে তাদের সদর দপ্তর আলবেনিয়ায় স্থানান্তরিত হয়।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আলবেনিয়ার কমিউনিস্ট শাসনামলে দেশটিতে সকল ধর্ম নিষিদ্ধ হলে বক্তাশিরা পরিচয় লুকিয়ে গোপনে টিকে থাকে। এরপর নব্বইয়-এর দশকে সমাজতন্ত্রের পতনের পর বক্তাশিবাদ নতুন করে জনসমক্ষে আবির্ভূত হয়। সূত্র: ওয়াশিংটন এক্সামিনার

দিনা 

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধ চায় না ভারত

প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪৮ এএম
বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধ চায় না ভারত
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো ধরনের বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করতে চায় না ভারত। দেশটির সরকারি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

এতে বলা হয়, ২০২০ সালে বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা সম্প্রতি ভারত প্রত্যাহার করলেও, এটি বাংলাদেশের বাণিজ্যে কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না। 

এ সিদ্ধান্তের ফলে নেপাল ও ভুটানে বাংলাদেশের রপ্তানিতে কোনো বাধা সৃষ্টি হয়নি। বরং ভারতের স্থল ও বিমানবন্দরে জট কমাতে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর পেছনে  বাংলাদেশের ক্ষতির কোনো উদ্দেশ্য ছিল না।

কিন্তু সম্প্রতি বাংলাদেশের কিছু পদক্ষেপ নিয়ে ভারতের কর্তৃপক্ষ প্রশ্ন তুলেছে। এর মধ্যে গত মার্চ মাসে বাংলাদেশ তিনটি স্থলবন্দর বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি ভারত থেকে সুতা আমদানিও বন্ধ করে দেয়। জানুয়ারি মাসে বেনাপোল কাস্টম হাউসে নজরদারি বাড়ানোর সিদ্ধান্তকেও ভারত বাণিজ্য সীমাবদ্ধ করার অংশ হিসেবে দেখছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশি পোশাক প্রস্তুতকারকরা সরকারকে সতর্ক করে বলেছেন, সুতা আমদানি বন্ধের সিদ্ধান্ত পোশাক রপ্তানিকারকদের জন্য আত্মঘাতী হতে পারে। অপরদিকে, ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য সম্পর্ক হুমকির মুখে পড়লেও, ঢাকা সরাসরি পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য পুনরায় শুরু করেছে। গত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে ৫০ হাজার টন চাল কিনতে সম্মত হয়।

পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক পুনরুজ্জীবনের বিষয়টি ভারতীয় কর্তৃপক্ষের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে যখন প্রতিবেশী দেশে চরমপন্থা বাড়ার আশঙ্কা বাড়ছে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালোচের ঢাকা সফর এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের পরবর্তী সফরের খবরে দুই দেশের সম্পর্কের নতুন অধ্যায় শুরু হতে যাচ্ছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

হুথি নিয়ন্ত্রিত জ্বালানি বন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় নিহত ৩৮

প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১০:১৪ এএম
আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৩১ এএম
হুথি নিয়ন্ত্রিত জ্বালানি বন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় নিহত ৩৮
পশ্চিম ইয়েমেনের রাস ইসা জ্বালানি বন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় কমপক্ষে ৩৮ জন নিহত হন। ছবি: সংগৃহীত

পশ্চিম ইয়েমেনের রাস ইসা জ্বালানি বন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় কমপক্ষে ৩৮ জন নিহত হয়েছেন। পাশাপাশি আহত হন ১০২ জন। 

শুক্রবার ( ১৮ এপ্রিল) হুথি পরিচালিত সংবাদমাধ্যম আল মাসিরাহর সূত্র দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স। 

ইরান-সমর্থিত হুথি বনাম যুক্তরাষ্ট্র  দ্বন্দ্ব-সংঘাত শুরু হওয়ার পর এটিকে সবচেয়ে বড় হামলা বলে মনে করা হচ্ছে।

আল মাসিরাহ টিভি জানায়, মার্কিন সেনাবাহিনীর এই হামলার লক্ষ্য হুথি গোষ্ঠীর জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করা। তবে হুথিরা হতাহতের যে সংখ্যা জানায় এ নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পেন্টাগনের তরফ থেকে কোনো কিছু জানানো হয়নি।  

তবে ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড এক্সে দেওয়া একটি পোস্টে জানায়, এই হামলার উদ্দেশ্য ছিল হুথিদের ক্ষমতার অর্থনৈতিক উৎসকে ভেঙে দেওয়া। 
গত মাসে হুথিদের বিরুদ্ধে বড় আকারের হামলা শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি বলছে,লোহিত সাগরের জাহাজে হুথিদের আক্রমণ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তারা থামবে না। 

২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে হুথিরা লোহিত সাগরে চলাচলকারী বেশ কিছু জাহাজে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। পক্ষান্তরে হুথিরা বলছে, তারা গাজা যুদ্ধের প্রতিবাদে ইসরায়েলের সাথে সংযুক্ত জাহাজগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়।  

গাজায় দুই মাসের যুদ্ধবিরতি চলাকালীন সময় তারা জাহাজে হামলা বন্ধ রাখে। যদিও গত মাসে গাজায় আইডিএফ আবারও হামলা শুরু হলে হুথিরাও হুঙ্কার দেয় যে— তারা আবারও লোহিত সাগরে জাহাজে হামলা চালাবে। যদিও হুথিরা এখনও কোনো হামলার দাবি করেনি।  সুত্র: রয়টার্স

দিনা