
ইসরায়েলের রাজধানীতে খালি বাসে বোমা হামলার জবাবে গাজা উপত্যকায় সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে তেল আবিব প্রশাসন। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একটি বাস ডিপোতে পার্ক করে রাখা তিনটি খালি বাসে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনা সশস্ত্র গোষ্ঠী ঘটিয়েছে জানিয়ে গাজায় পাল্টা হামলার প্রস্তুতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম দ্য জেরুজালেম পোস্ট।
বোমা বিস্ফোরণের পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জরুরি বৈঠক আয়োজন করে সামরিক অভিযান ঘোষণা করেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে করা পোস্টে উল্লেখ করা হয়, ‘বেশ কয়েকটি বোমা হামলা ঘটায় গাজার পশ্চিম তীরের জুডেয়া ও সামারিয়া এলাকায় জঙ্গিবাদের কেন্দ্রবিন্দু গুড়িয়ে দিতে জরুরি সামরিক অভিযানের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।’
ইসরায়েলের কর্তৃপক্ষের দাবি, শনিবার সকালে ব্যস্ত এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটানোর উদ্দেশে বোমাগুলো রাখা হয়েছিল।
অভিযানে ঘটনাস্থলের পাশের এলাকা থেকে আরও দুটো বোমা উদ্ধার করেন নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা।
এ বিষয়ে তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে দেশটির আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেট।
বোমা বিস্ফোরণের পর পুরো পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের চলাফেরায় কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
এ প্রসঙ্গে সামরিক কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, ‘বর্তমান পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে পরবর্তী কঠোর সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি চলছে।’
উদ্ভূত জটিলতায় শঙ্কিত গাজার বাসিন্দারা। অঞ্চলটির উত্তর দিকের জেনিন ও তুলকারেম এলাকার অধিবাসীরা আছেন সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে।
গত ২১ জানুয়ারি থেকে গাজায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর আক্রমণে অন্তত ৭০জন বেসামরিক ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। ঘরছাড়া হয়েছেন ৪০হাজারের বেশি বাসিন্দা। তেল আবিবের সামরিক জোরজবরদস্তিতে আটকে গেছে এই অঞ্চলের ত্রাণ কার্যক্রমও। সূত্র: আল-জাজিরা।
নাইমুর/