ঢাকা ১১ বৈশাখ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২

পাকিস্তানে যাত্রীবাহী ট্রেনের নিয়ন্ত্রণে সশস্ত্র গ্রুপ, জিম্মি ৫০০ ছাড়াতে পারে

প্রকাশ: ১১ মার্চ ২০২৫, ০৭:৩২ পিএম
আপডেট: ১১ মার্চ ২০২৫, ০৭:৪৬ পিএম
পাকিস্তানে যাত্রীবাহী ট্রেনের নিয়ন্ত্রণে সশস্ত্র গ্রুপ, জিম্মি ৫০০ ছাড়াতে পারে
ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের কোয়েটা থেকে পেশোয়ারগামী জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনে বিচ্ছিন্নতাবাদী বেলুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) হামলা চালিয়েছে। এতে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

পাকিস্তানের বেলুচিস্তান ভিত্তিক সশস্ত্র গ্রুপ বেলুচ লিবারেশন আর্মি দাবি করেছে যে, তারা প্রথমে রেললাইন উড়িয়ে দিয়েছে এবং পরে ট্রেনের যাত্রীদের জিম্মি করেছে।

তারা ১০০-এরও বেশি যাত্রীকে আটকে রেখেছে বলে প্রাথমিক সূত্রে জানা গেছে। তবে রেলওয়ে নিয়ন্ত্রকের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে জিম্মির সংখ্যা ৫০০ ছাড়াতে পারে।

ট্রেনটি বিপুলসংখ্যক সেনা সদস্যকে বহন করছিল। এ কারণে মূলত তাদেরকেই মূল টার্গেট করেছিল বেলুচ লিবারেশন আর্মি।

হামলার ফলে ছয়জন পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্তকর্তা জানিয়েছেন, সিবি নামক দুর্গম এলাকার একটি টানেলের কাছে পৌঁছালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এলাকাটি দুর্গম ও পাথরবেষ্টিত হওয়ায় দ্রুত কোনো অভিযান চালানো যাচ্ছে না।

বেলুচিস্তান প্রদেশের সরকারের মুখপাত্র শাহিদ রিন্দ জানিয়েছেন, দুর্ঘটনা কবলিত এলাকায় অ্যাম্বুলেন্স ও সিকিউরিটি ফোর্স পাঠানো হয়েছে কিন্ত দুর্গম এলাকা হওয়ায় উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে।

এদিকে কোয়েটার সকল হাসপাতালে ডক্টর, নার্স ও অ্যাম্বুলেন্স জরুরি ভিত্তিতে প্রস্তুত রাখার আদেশ দিয়েছে পাকিস্তান সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

বেলুচ লিবারেশন আর্মি হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে, যদি পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনী উদ্ধার অভিযানে নামে তাহলে তারা জিম্মিদের হত্যা করবে।

এদিকে, দুর্গম ভূখণ্ডের কারণে উদ্ধার কার্যক্রম বিলম্বিত হয়েছে বলে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে। পাকিস্তান রেলওয়ে ইতোমধ্যে একটি সহায়তা ট্রেন পাঠিয়েছে।

উল্লেখ্য, বেলুচিস্তান হলো পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত ইরান এ আফগানিস্তানের সীমান্তসংলগ্ন বড় একটি প্রদেশ। এখানে বেলুচ সম্প্রদায়ের লোকদের বসবাস। তারা পাকিস্তান থেকে বেলুচিস্তানকে আলাদা করে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন করতে চায়। আফগানিস্তান ও ইরানে বড় সংখ্যক বেলুচ জনগোষ্ঠী বাস করে। তিন দেশের ভেতর থেকে ভূখণ্ড নিয়ে বেলুচিস্তান রাষ্ট্রগঠনের লক্ষ্য তাদের। তাই এখানে সাম্প্রদায়িক ও বিচ্ছিন্নতাবাদী সংঘর্ষ বেড়ে চলছে। তারা অঞ্চলটিতে থাকা বিদেশি অর্থায়নে পরিচালিত বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প ও বিদ্যুৎ কেন্দ্রেও হামলা চালিয়েছে। তাদের অভিযোগ তারা নিজেদের প্রাকৃতিক সম্পদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সূত্র: ডন

মাহফুজ/

জম্মু-কাশ্মীরে এখনও সক্রিয় ১১৫ পাকিস্তানি জঙ্গি?

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:২১ পিএম
জম্মু-কাশ্মীরে এখনও সক্রিয় ১১৫ পাকিস্তানি জঙ্গি?
ছবি: সংগৃহীত

জম্মু-কাশ্মীরের পাহালগামের জঙ্গি হামলার ঘটনাপ্রবাহ যেন উগ্র দেশাত্মবোধক সিনেমার গল্পের মতোই এগোচ্ছে। ভারত এবং পাকিস্তান দুই পক্ষের একের পর জরুরি বৈঠক, চুক্তি বাতিল, সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে দেওয়া,ভিসা বাতিল, কূটনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করার মতো প্রতিশোধের পথে হাঁটছে ভারত। 

২৬ নাগরিক হত্যার প্রেক্ষিতে কূটনৈতিক, রাজনৈতিক ও সবার অলক্ষ্যে পরিচালিত সামরিক পদক্ষেপের পাশাপাশি ভারতের মূল টার্গেট এখন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটিতে আঘাত হানা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম গুলোর দাবি, পাহালগামের ঘটনার পরপরই পাক অধিকৃত কাশ্মীরের প্রায় ৪২-৪৫টি জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির ও ঘাঁটিকে নির্দিষ্ট করে ফেলেছে দেশের সেনাবাহিনী এবং গোয়েন্দা বিভাগ। যেখানে সক্রিয়ভাবে ভারত বিরোধী মগজ ধোলাই দিয়ে সামরিক প্রশিক্ষণের আদলে জঙ্গি প্রশিক্ষণের কাজ চলছে।

দেশটির গোয়েন্দা সূত্র জানায়, বেশ কয়েক মাস ধরে ভারতীয় গোয়েন্দারা এগুলোর উপর খুঁটিনাটি নজর রেখে চলেছে।
 
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানায় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল ও সেনানায়করা। পাহালগাম কাণ্ডের পর সীমান্তবর্তী এলাকায় নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করাও হয়। তাদের দাবি তারা এখন যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, এইসব ঘাঁটিগুলোতে আনুমানিক ১৫০-২০০ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জঙ্গি রয়েছে। তাদের দাবি এই জঙ্গিদের সীমান্ত পার হওয়ার কাজে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী সরাসরি সাহায্য করে। 

তাদের দাবি, জম্মু-কাশ্মীরে মুজাহিদ ব্যাটেলিয়ন ছাড়াও হিজবুল মুজাহিদিন, জয়েশ-ই-মহম্মদ এবং লস্কর-ই-তৈয়বার প্রায় ১১৫ পাকিস্তানি জঙ্গি এখনও সক্রিয় রয়েছে। তার মধ্যে ৭০-৭৫ পাকিস্তানি রয়েছে কাশ্মীর উপত্যকায় এবং ৬০-৬৫ জন রয়েছে জম্মু, রাজৌরি ও পুঞ্চ সেক্টরে।

পাহালগামে জঙ্গি হামলার পর নয়াদিল্লির শশব্যস্ততা প্রমাণ করে দিচ্ছে, হামলাকারীদের পরিকল্পনার  মুখে দেশটির নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সূত্র বোকা বনে গিয়েছে। সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে এবং বিজনেস টুডে

দিনা

প্রেমে ব্যর্থ হয়ে ধর্মের পথে পা বাড়ান পোপ ফ্রান্সিস!

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০২:২০ পিএম
প্রেমে ব্যর্থ হয়ে ধর্মের পথে পা বাড়ান পোপ ফ্রান্সিস!
প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিস। ছবি: সংগৃহীত

হোর্গে মারিও বারগোগ্লিও ছিলেন রসায়নের ছাত্র। ইতালিয় অভিবাসী রেলের কর্মী হোসে মারিও বারগোগ্লিও এবং গৃহিণী রেগিনা মারিয়া সিভোরি দম্পতির বড় সন্তান। পরিবারটি মুসোলিনির ফ্যাসিবাদী শাসনামলে পালিয়ে আর্জেন্টিনায় আশ্রয় নেয়।

খুবই সাধারণ পারিবারিক আবহে বড় হওয়া  হোর্গে বুয়েনস এইরেসের রামোস মেহিয়া শহরে স্কুল শিক্ষাজীবন শেষ করে পরবর্তীতে এসকেলা তেকনিকা নাসিওনাল (ন্যাশনাল টেকনিকাল স্কুল) থেকে রসায়ন প্রযুক্তিবিদ হিসেবে ডিপ্লোমা অর্জন করেন।

শিক্ষাজীবন শেষে বিভিন্ন পেশায় নিযুক্ত ছিলেন হোর্গে। খাদ্য পরীক্ষাগারে রসায়নবিদ থেকে নাইটক্লাবের নিরাপত্তারক্ষী ও ঝাড়ুদার হিসেবেও কাজের অভিজ্ঞতা আছে তার। 

শৈশবে আমালিয়া দামোন্তে নামের এক কিশোরীর প্রতি একসময় আকৃষ্ট হয়ে পড়েন। ১২ বছর বয়সেই আমালিয়াকে নিয়ে সংসার গড়ার পরিকল্পনাও করেন। এমনিকি তিনি সেসময় এই কিশোড়িকে চিঠি লিখে হুমকি দেন , ‘যদি তুমি আমাকে বিয়ে না কর, তাহলে আমি ধর্মযাজক হয়ে যাব।’

যদিও সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। এই চিঠি পড়ে আমালিয়ার বাবা-মায়ের হাতে এবং তারা এই সম্পর্ক মেনে নেননি। প্রেমে ব্যর্থ হওয়ার পর নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকেন হোর্গে বারগোগ্লিও। ধর্মযাজক হওয়ার পথই বেছে নেন তিনি। তবে যাজক হওয়ার প্রশিক্ষণকালে আরও একবার প্রেমে পড়েন পরবর্তী জীবনে সর্বজন সমাদৃত এই ধর্মীয় নেতা।

এ বিষয়ে ২০১৪ সালে তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমি যখন সেমিনারিতে ধর্মযাজক হওয়ার প্রশিক্ষণে ছিলাম, বয়স ২২ কি ২৩ হবে, তখন একটি মেয়ে আমার মাথা ঘুরিয়ে দেয়। তার আকর্ষণ এতই তীব্র ছিল যে, আমি প্রশিক্ষণে মন বসাতে পারতাম না। শেষমেষ আমাকে এই জটিলতা থেকে পরিত্রাণ পেতে কনফেসরের (ধর্মীয় উপদেষ্টা) কাছে যেতে হয়।’

এ বিষয়ে মজা করে তিনি বলেন, তবে সেই প্রেম টিকেছিল মাত্র এক সপ্তাহ। কনফেসরের উপদেশ মাথায় নিয়ে আবার ঈশ্বরের সাধনায় মনোনিবেশ করেন তিনি।

আরও একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনার কথাও তিনি একবার উল্লেখ করেন। ২০১০ সালে এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ট্যাঙ্গো নাচার সময় বন্ধুদের মধ্যে একটি মেয়ে ছিল, যার প্রতি তিনি টান অনুভব করেন। তবে মূলত সেই সময়েই তিনি নিজের মধ্যে ঈশ্বরের আহ্বান আবিষ্কার করেন বলে জানান।

হোর্গে বার্গোগ্লিওর প্রেমের অভিজ্ঞতাগুলো তার জীবনে গভীর প্রভাব ফেলে। আমালিয়া দামোন্তের সঙ্গে শৈশবের প্রেম এবং যৌবনে সেমিনারিতে ওই মেয়েটির প্রতি আকর্ষণ তাকে মানুষের সম্পর্ক ও ভালোবাসার জটিলতা সম্পর্কে শেখায়। এই অভিজ্ঞতাগুলো তার ধর্মীয় আহ্বানকে আরও দৃঢ় করে তোলে। তিনি বুঝতে পারেন যে, জীবনের উদ্দেশ্য হলো ঈশ্বরের সেবা করা এবং মানুষের মাঝে তার বাণী পৌঁছে দেওয়া।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘প্রেম ব্যর্থ হলে সেই ব্যর্থতার বেদনা অনুভব করতে হয়। যারা ছেড়ে গেল, তাদের নিন্দা করা উচিত নয়। বরং তাদের মতো নতুন করে জীবনের পথ আবিষ্কার ও সুযোগ হলে তাদের পাশে দাঁড়ানো উচিত।’

ধর্মের পথে যাত্রা

১৯৫৩ সালে ১৭ বছর বয়সে ফ্লোরেসের একটি গির্জায় কনফেশনের (পাপ স্বীকারের) জন্য যান হোর্গে। সময়টি ছিল গাউদেতে সানডে, অ্যাডভেন্টের তৃতীয় রবিবার; খ্রিস্টানরা দিনটিকে আনন্দের দিন হিসেবে পালন করে থাকেন।

গির্জায় একজন যাজক কিশোর হোর্গেকে এমন আন্তরিকতার সঙ্গে স্বাগত জানান, যাতে তার হৃদয় আন্দোলিত হয়। সেই যাজকের সঙ্গে ধীরে ধীরে তার সম্পর্ক বাড়তে থাকে। যাজকের সঙ্গে আলাপচারিতার মধ্য দিয়ে তার জীবনে আধ্যাত্মিক জাগরণ ঘটে। তিনি অনুভব করেন যে, ঈশ্বর তাকে ডাকছেন।

১৯৫৮ সালে ২১ বছর বয়সে তিনি জেসুইট সোসাইটি অফ জিসাসে যোগ দেন। এ বিষয়ে তার বক্তব্য ছিল, জেসুইটরা গির্জার সামনের সারিতে কাজ করেন। তারা কঠোর শৃঙ্খলার মধ্যে জীবনযাপন করেন এবং মিশনারি কাজ তাদের জীবনের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।

এরপর ১৯৬৯ সালের ১৩ ডিসেম্বর ৩৩ বছর বয়সে যাজক হিসেবে অভিষিক্ত হন হোর্গে বার্গোগ্লিও। আর্জেন্টিনার কর্দোবার আর্চবিশপ রামন হোসে কাস্তেয়ানোর মাধ্যমে তিনি অভিষিক্ত হন।

এরপর ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত আর্জেন্টিনায় জেসুইটদের প্রাদেশিক প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এসময় আর্জেন্টিনায় ‘ডার্টি ওয়ার’ বা নোংরা যুদ্ধ হিসেবে পরিচিত  সামরিক শাসন চলছিল।

১৯৯২ সালে তিনি বুয়েনস এইরেসের সহকারী বিশপ নিযুক্ত হন। ১৯৯৮ সালে হন আর্চবিশপ। এরপর ২০০১ সালে পোপ দ্বিতীয় জন পল তাকে কার্ডিনাল পদে উন্নীত করেন।

আর্চবিশপ হিসেবে বুয়েনস এইরেসের বস্তিবাসীদের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেন হোর্গে। সাধারণ জীবনযাপন, বাসে চলাফেরা ও নিজের খাবার রান্না করার মতো কর্মকাণ্ডে সাধারণ মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিতে বেশি সময় লাগে না তার। ‘বস্তির বিশপ'  হিসেবে এ সময় পরিচিত হয়ে ওঠেন তিনি।

পোপ হিসেবে অভিষেক 

২০১৩ সালে তৎকালীন পোপ ষোড়শ বেনেডিক্ট পদ ছেড়ে দিলে সে বছরের ১৩ মার্চ নতুন পোপ নির্বাচিত হন বার্গোগ্লিও। পোপ হিসেবে অভিষেকের পর নতুন নাম গ্রহণ করেন হোর্গে- পোপ ফ্রান্সিস। ইতালির আসিসির সেন্ট ফ্রান্সিসের সম্মানে তিনি এই নাম গ্রহণ করেন। 

 

হামাসকে ‘কুকুরের বাচ্চা’ বললেন প্রেসিডেন্ট আব্বাস!

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০১:০৪ পিএম
আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০১:১১ পিএম
হামাসকে ‘কুকুরের বাচ্চা’ বললেন প্রেসিডেন্ট আব্বাস!
ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের (পিএ) প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এক বক্তব্যে হামাসকে ‘কুকুরের বাচ্চা’বলে অভিহিত করেছেন। এছাড়াও তিনি অবশিষ্ট ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি এবং গোষ্ঠীটির নিরস্ত্রীকরণ করে গাজার নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তরের দাবি জানান।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) সিএনএন এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় ।

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর এই অভূতপূর্ব মন্তব্য সম্ভবত হামাসের প্রতি আব্বাসের সবচেয়ে তীব্র প্রকাশ্য সমালোচনা।

এদিকে প্রেসিডেন্ট আব্বাসের এই মন্তব্যের পর হামাসের একজন কর্মকর্তা এ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানান। হামাসের রাজনৈতিক শাখার সদস্য বাসেম নাইম বলেন, তিনি (মাহমুদ আব্বাস) নিজের লোকদের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশের প্রতি অবমাননাকর ভাষা’ ব্যবহার করেছেন।

মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বর্তমানে পশ্চিম তীরের একাংশ শাসন করছে। কিন্তু ২০০৭ সালে গাজার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় হামাস। তার আগে হামাস সেখানে নির্বাচনে জয়ী হয়। 

সাম্প্রতিক সময়ে মাহমুদ আব্বাস বলছেন, ‘হামাসকে গাজার নিয়ন্ত্রণ ও তাদের হাতে থাকা অস্ত্র হস্তান্তর করে নিজেদের রাজনৈতিক দলে রূপান্তর করতে হবে।' তিনি আরও বলেন, ‘হামাস ইসরায়েলের হাতে অপরাধমূলক দখলদারিত্বের অজুহাত তুলে দিয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো জিম্মি ধরে রাখা।'

হামাসকে উদ্দেশ করে তিনি আরও বলেন, ‘কুকুরের বাচ্চারা, যাদের আটকে রেখেছো তাদের ছেড়ে দাও। আর তাদের সুযোগ দেওয়া বন্ধ করে আমাদের মুক্তি দাও।'  সূত্র: সিএনএন

দিনা

 

কাশ্মীরে আটক ১৫০০, ৬ সন্ত্রাসী শনাক্ত, খোঁজ দিলেই পুরস্কার!

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ পিএম
আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৩৩ পিএম
কাশ্মীরে আটক ১৫০০, ৬ সন্ত্রাসী শনাক্ত, খোঁজ দিলেই পুরস্কার!
ছবি:সংগৃহীত

পাহালগামে জঙ্গি হামলার ঘটনায় জড়িতদের খোঁজ দিতে পারলে বা জঙ্গি নিধন অভিযানে সাহায্য করার মতো কোনও তথ্য দিতে পারলে ২০ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।
 
কাশ্মীরের পাহালগামে পর্যটকদের ওপর নির্বিচারে হত্যালীলা চালানো জঙ্গিদের মধ্যে চারজনের ছবি ইতোমধ্যে প্রকাশ করেছে ভারতের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো। এবার জঙ্গিদের খোঁজে পুরস্কারও ঘোষণা করা হল।

ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদসংস্থার দেওয়া খবর অনুসারে, জম্মু এবং কাশ্মীরের অনন্তনাগ পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে পাহালগামে জঙ্গি হামলার ঘটনায় জড়িতদের খোঁজ দিতে পারলে বা জঙ্গি নিধন অভিযানে সাহায্য করার মতো কোনও তথ্য দিতে পারলে ২০ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। 

এখন পর্যন্ত জানা গেছে, অন্তত ৬ জন সন্ত্রাসী এই হামলা চালায়। তাদের সবার হাতে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র, একে-৫৭ এবং এম৪ কারবাইন  ছিল। ভারতীয় কতৃপক্ষের অভিযোগ, পর্যটকদের আইডি কার্ড চেক করে, হিন্দু পর্যটকদের আলাদা করে চিহ্নিত করে, রীতিমতো বেছে বেছে গুলি চালায় তারা। 

ভারতীয় কতৃপক্ষের সন্দেহ, এই জঙ্গিরা পীরপঞ্জাল পাহাড়ি পথ দিয়ে পাহালগামের বৈসরন উপত্যকায় পৌঁছায় অত্যাধুনিক অস্ত্র হাতে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, কিছু জঙ্গি খাকি ইউনিফর্ম পরে, যুদ্ধের সাজে ছিল, আবার কেউ কেউ সাধারণ পাঞ্জাবি-পাজামায় ছিল।

নিরাপত্তাবাহিনীর দাবি, এই ছ'জনের মধ্যে দু'জন কাশ্মীরি, যারা ২০১৭ সালে পাকিস্তানে প্রশিক্ষণ নিতে গিয়েছিল এবং সম্প্রতি অন্যান্য বিদেশি জঙ্গিদের সঙ্গে অনুপ্রবেশ করে ভারতে প্রবেশ করে। এই জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে লস্কর-ই-তইবারও সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

একই সূত্র বলছে, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কাশ্মীর উপত্যকায় প্রায় ৬০ জন সক্রিয় জঙ্গি রয়েছে, যার মধ্যে শুধু লস্করের সদস্যই ৩৫ জন এবং জইশ-ই-মহম্মদের সদস্য ২১ জন।

মঙ্গলবার ( ২২ এপ্রিল) কাশ্মীরের অনন্তনাগের পাহালগামে জঙ্গি হামলায় কমপক্ষে ২৬ জন পর্যটক নিহত হন। সেনাবাহিনীর পোশাকে পর্যটকদের উপর হামলা চালায় জঙ্গিদের দল। 

ভারতের অভিযোগ, এই হামলায় বেছে বেছে খুন করা হয়েছে হিন্দুদের। এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে ঝাঁঝরা করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হয় এই পর্যটকদের। এছাড়া এই হামলায় আহতও হয়েছেন বহু মানুষ।

ঘটনার পর থেকেই উপত্যকা জুড়ে তল্লাশি অভিযানে নেমেছে সেনা। চলছে ধরপাকড়ও। জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত থাকার সন্দেহে ইতোমধ্যে দেড় হাজার আটক করা হয়। দফায় দফায় চলছে তাদের জেরা করা হচ্ছে। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

দিনা


ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে জয় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪৫ এএম
ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে জয় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর
প্রতীকী ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে গিয়ে হঠাৎ করে বৈধতা হারানো এক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে জয়ী হয়েছেন। এখন তিনি সেখানেই থেকে আবারও পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারবেন।

২৩ বছর বয়সী অঞ্জন রায় ২০২৪ সালের আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগে আন্ডার গ্র্যাজুয়েট কোর্স শুরু করেন। গত ডিসেম্বরে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে জানুয়ারিতে মাস্টার্সে ভর্তি হন। ২০২৬ সালের মে মাসে তার মাস্টার্স শেষ হওয়ার কথা।

তবে চলতি বছরের ১০ এপ্রিল তিনি একটি ইমেইল পান, যেখানে বলা হয়- তার শিক্ষার্থী হিসেবে বৈধতা বাতিল হয়েছে। এরপর থেকেই তিনি দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রে থাকা বাংলাদেশ দূতাবাস থেকেও সতর্কবার্তা আসে যে, যেকোনো সময় তাকে দেশে ফেরত পাঠানো হতে পারে, কিংবা তৃতীয় কোনো দেশে।

এই পরিস্থিতিতে তিনি আইনজীবীর সাহায্য নেন এবং নিরাপত্তার কারণে আত্মীয়ের বাসায় আশ্রয় নেন। কিছুদিন ক্লাসে না গিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহারও বন্ধ রাখেন। তবে শিক্ষকরা তার অবস্থান বুঝতে পেরে সহানুভূতি দেখান।

শেষ পর্যন্ত আইনি লড়াইয়ে জয়ী হন অঞ্জন। এখন তিনি যুক্তরাষ্ট্রে থেকেই পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবেন। এই ঘটনার মাধ্যমে অঞ্জনের সাহস ও দৃঢ় মনোবল উঠে এসেছে- যা অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে অনেক শিক্ষার্থীর জন্য।