ঢাকা ১১ আষাঢ় ১৪৩২, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫
English

যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয় কেন তদন্তের মুখোমুখি?

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০১:০৪ পিএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০২:৫২ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয় কেন তদন্তের মুখোমুখি?
যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে বর্ণবাদ ও শ্বেতাঙ্গ শিক্ষার্থীদের প্রতি বৈষম্য প্রদর্শনের অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ আমলে নিয়ে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

প্রায় এক মাস আগে শীক্ষার্থী ভর্তি, বৃত্তি প্রদান বা ছাত্রদের বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রমের ক্ষেত্রে ‘জাতি-ভিত্তিক পছন্দ’ দিয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ফেডারেল সাহায্য হারাতে পারে বলে সতর্ক করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এর পরই শিক্ষা বিভাগ এই পদক্ষেপের ঘোষণা দেয়।

বৃহস্পতিবার ( ১৩ মার্চ ) এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানান দেশটির শিক্ষামন্ত্রী লিন্ডা ম্যাকমাহন।

এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বর্ণবাদ ও বৈষম্যমুক্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে চাই এবং এই তদন্ত সেই কার্যক্রমেরই অংশ।’

যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নাগরিক অধিকার বিভাগ এই তদন্ত পরিচালনা করছে। 

এই ৪৫টি বিশ্ববিদ্যায় সম্প্রতি বিদেশি শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ করতে যেসব কর্মসূচি নিয়েছে তা নিয়েই যত আপত্তি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যেসব লিখিত অভিযোগ এসেছে, সেগুলোতে বলা হয়- মার্কিন শিক্ষার্থীদের চাপে রাখতেই বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তির ব্যাপারে এত আগ্রহী হয়ে উঠেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।

অভিযোগ উঠেছে, এসব ক্ষেত্রে শ্বেতাঙ্গ এবং এশিয়ান-আমেরিকান শিক্ষার্থীদের বাদ দেওয়া হচ্ছে।

এক বিবৃতিতে মার্কিন শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, এই ৪৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রচলিত নাগরিক অধিকার আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। মার্কিন নাগরিক অধিকার আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল ১৯৬৪ সালে এবং এই আইনের মূল লক্ষ্য ছিল গায়ের রঙের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো অশ্বেতাঙ্গ ব্যক্তি যেন বৈষম্য-বঞ্চনার শিকার না হয়।

এখন সেই আইনটিই প্রয়োগ করা হচ্ছে শ্বেতাঙ্গ শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসূচির কারণে কোনো শ্বেতাঙ্গ মার্কিন শিক্ষার্থী কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কি না- তা এখনও জানা যায়নি।

এই অভিযোগের তীর বেশিরভাগই পিএইচডি প্রকল্পে জড়িত কলেজগুলোর উপর। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা অলাভজনক সংস্থা যা ব্যবসায়িক জগতকে বৈচিত্র্যময় করার লক্ষ্যে কম প্রতিনিধিত্বশীল গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের ব্যবসায় ডিগ্রি অর্জনে সহায়তা করে। 

এরকম পিএইচডি প্রকল্প নিয়ে তদন্তের মুখোমুখি ৪৫টি কলেজের মধ্যে রয়েছে অ্যারিজোনা স্টেট, ওহাইও স্টেট এবং রাটগার্সের মতো প্রধান পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এছাড়া  ইয়েল, কর্নেল, ডিউক এবং ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির মতো নামিদামি বেসরকারি স্কুল।

শিক্ষা বিভাগের এই তালিকায় আরও নাম আছে গ্র্যান্ড ভ্যালি স্টেট ইউনিভার্সিটি, ইথাকা কলেজ, নিউ ইংল্যান্ড কলেজ অব অপটোমেট্রি, আলাবামা বিশ্ববিদ্যালয়, মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়, সাউথ ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয় এবং তুলসায় ওকলাহোমা বিশ্ববিদ্যালয়ের। সূত্র: এনবিসি নিউজ

দিনা/অমিয়/

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৭০, ত্রাণকেন্দ্র এখন মৃত্যুকূপ

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ১০:৫৫ পিএম
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৭০, ত্রাণকেন্দ্র এখন মৃত্যুকূপ
হামলায় আহত শিশু। ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ও ড্রোন হামলায় মঙ্গলবার (২৪ জুন) ভোর থেকে গাজায় কমপক্ষে ৭০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে অন্তত ৫১ জন নিহত হয়েছেন ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রগুলোর আশপাশে, যারা খাদ্য ও জরুরি সহায়তা নিতে এসেছিলেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।

গাজা উপত্যকার দক্ষিণে রাফাহ এলাকায় একদিনেই ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে নিহত হন ২৭ জন সহায়তা প্রত্যাশী।

গত ৭ অক্টোবর ২০২৩ থেকে চলমান যুদ্ধের ফলে এখন পর্যন্ত গাজায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬ হাজার ৭৭ জনে এবং আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৩১ হাজার ৮৪৮ জন।

এই হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটছে এমন এক সময়ে যখন ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে গঠিত বিতর্কিত সংস্থা গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (GHF) গত মাসের শেষ দিকে খাদ্য বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছে। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (UNRWA) প্রধান ফিলিপ লাজারিনি এই কার্যক্রমকে ‘মৃত্যুর ফাঁদ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

গাজার সালাহউদ্দিন সড়কে গণহত্যা
গাজা মেডিকেল সূত্র বার্তা সংস্থা এপি’কে জানায়, গাজার মধ্যাঞ্চলের ওয়াদি গাজার দক্ষিণে সালাহউদ্দিন সড়কে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ২৫ জন নিহত এবং আরও ১৪০ জন আহত হন, যাদের মধ্যে ৬২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

আল জাজিরার সত্যতা যাচাইকারী সংস্থা Sanad-এর বরাতে জানা গেছে, নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরের আল-আওদা হাসপাতালে মৃতদেহগুলো পৌঁছানোর দৃশ্য সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

একই ধরনের হত্যাকাণ্ডের খবর পাওয়া গেছে দক্ষিণের খান ইউনিসের নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্স থেকেও, যেখানে আল-তিনা সড়কে সহায়তার জন্য অপেক্ষমাণ মানুষজন লক্ষ্যবস্তু হয় ইসরায়েলি সেনাদের।

উত্তরের গাজা সিটিতেও একই চিত্র দেখা। হামলার পর আল-শিফা হাসপাতালে জরুরি বিভাগ রক্তাক্ত এক বিভীষিকাময় দৃশ্যে পরিণত হয়। অনেকেই চিকিৎসা পাওয়ার আগেই মারা যান।

GHF: মানবিক সহায়তা না, মৃত্যুর ফাঁদ
গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (GHF)-এর মাধ্যমে সহায়তা বিতরণ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই সহায়তা নিতে আসা মানুষজনের ওপর হামলার ঘটনা ঘটছে। এই বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয় মে মাসের শেষ দিকে, যখন ইসরায়েল গাজায় দুই মাসের বেশি সময় ধরে সকল খাদ্য ও চিকিৎসা সরবরাহ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে রেখেছিল, যার ফলে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা দেখা দেয়।

জাতিসংঘ GHF-এর সঙ্গে কাজ করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেছে, এই কার্যক্রম মানবিক চাহিদার চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে ইসরায়েলি সামরিক লক্ষ্যপূরণে, এবং এটি ত্রাণকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের শামিল।

GHF-এর ত্রাণ বিতরণ পয়েন্টগুলোতে সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলা নিত্যদিনের চিত্র হয়ে উঠেছে। GHF কার্যক্রম শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে ৪০০ জনের বেশি মানুষ নিহত এবং ১ হাজার জনের বেশি আহত হয়েছেন।

UNRWA প্রধান ফিলিপ লাজারিনি মঙ্গলবার (২৪ জুন) বার্লিনে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এই তথাকথিত সহায়তা ব্যবস্থাটি এক ঘৃণ্য কার্যক্রম, যা মানুষদের অপমান ও হেয় করছে। এটি এক মৃত্যুকূপ, যা যতটা সহায়তা দেয়, তার চেয়ে বেশি প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে।

এদিকে, সোমবার প্রকাশিত এক চিঠিতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ‘ইন্টারন্যাশনাল কমিশন অব জুরিস্টস’ ও আরও ১৪টি সংস্থা GHF-এর বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়ে গাজায় বেসরকারিভাবে পরিচালিত সামরিকধর্মী মানবিক কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে।

জেনেভাভিত্তিক সংস্থা ‘ট্রায়াল ইন্টারন্যাশনাল’-এর নির্বাহী পরিচালক ফিলিপ গ্রান্ট বলেন, GHF-এর সহায়তা বিতরণের পদ্ধতি মানবিক নীতিমালার পরিপন্থী। তিনি আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, GHF-এর সঙ্গে জড়িত বা এতে লাভবান হওয়া ব্যক্তিরা যুদ্ধাপরাধে সহায়তা করার দায়ে আন্তর্জাতিক বিচারিক প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হতে পারেন - এর মধ্যে রয়েছে সাধারণ মানুষের জোরপূর্বক স্থানান্তর ও দুর্ভিক্ষকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার। সূত্র: আল জাজিরা

 

মাহফুজ/

ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর কাতারের আমিরকে দুঃখ প্রকাশ ইরানি প্রেসিডেন্টের

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ১০:০২ পিএম
ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর কাতারের আমিরকে দুঃখ প্রকাশ ইরানি প্রেসিডেন্টের
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়া ও কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। ছবি: সংগৃহীত

কাতারে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটিতে ইসলামি বিপ্লবী গার্ড (আইআরজিসি) কর্তৃক চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলার একদিন পর কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানিকে ফোন করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান।

কাতারের সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়, শেখ তামিম এই হামলাকে তার দেশের আকাশসীমা ও সার্বভৌমত্বের ‘স্পষ্ট লঙ্ঘন’ বলে অভিহিত করেন এবং এটিকে আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদের পরিপন্থী বলেও উল্লেখ করেন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইরানের সঙ্গে সংলাপের পক্ষে কাতার সব সময়ই সক্রিয় থেকেছে এবং এই লক্ষ্যেই ধারাবাহিক কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও সাধারণ মানুষের সুরক্ষার স্বার্থে ইরানকে আলোচনার টেবিলে ফিরে আসার আহ্বান জানান কাতারের আমির।

জবাবে ইরানের প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান কাতার ও কাতারের জনগণের প্রতি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এই হামলার লক্ষ্যবস্তু কাতার ছিল না। সূত্র: আল জাজিরা

 

ইরানের হামলায় এক সৈনিকের মৃত্যুর খবর স্বীকার করল ইসরায়েল

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ০৯:৩৫ পিএম
ইরানের হামলায় এক সৈনিকের মৃত্যুর খবর স্বীকার করল ইসরায়েল
নিহত ইসরায়েলি সৈনিক

ইরান-ইসরায়েল ১২ দিনের হামলা পাল্টা-হামলার পর যুদ্ধবিরতির দিন সকালে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় এক সৈনিকের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে ইসরায়েল। নিহত ওই সৈনিকের নাম এইটান জ্যাকস (১৮)। তার পদবী কর্পোরাল। ইরানি হামলায় কোনো সামরিক ব্যক্তির নিহত হওয়ার খবর এটাই প্রথম স্বীকার করল ইসরায়েল। 

মঙ্গলবাবের এই হামলায় ওই সৈনিক-সহ মোট চার ইসরায়েলি নিহত হয় এবং হতাহত হয় বহু।

এর আগে যুদ্ধ শুরুর প্রথম দিন অর্থাৎ ১৩ জুন ইসরায়েলি হামলার জবাবে মিসাইল হামলায় সাত সৈনিকের আহত হওয়ার খবর প্রকাশ করেছে ইসরায়েল। তারপর সাধারণ নাগরিক ছাড়া আর কোনো সামরিক ব্যক্তির হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

ইরানের হামলা সম্পর্কিত কোনো ফুটেজ বা চিত্র প্রকাশে সেন্সরশিপ আরোপ করে ইসরায়েল। ফলে ইরানের হামলায় প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির চিত্র গণমাধ্যমে প্রকাশ পায় নি। ইসরায়েলে অবস্থান করা বিদেশি নাগরিক ও সাংবাদিকদের ওপরও এই বিধি নিষেধ থাকায় তারাও প্রকৃত তথ্য প্রকাশ করতে পারে নি। বিশেষ করে ইসরায়েলি সামরিক স্থাপনার আশপাশে এই সেন্সরিশিপ আরও বেশি বলে জানা যায়। 

 

ইরানে শাসন পরিবর্তনে আগ্রহ নেই: পরস্পরবিরোধী বক্তব্য ট্রাম্পের

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ০৭:৩২ পিএম
ইরানে শাসন পরিবর্তনে আগ্রহ নেই: পরস্পরবিরোধী বক্তব্য ট্রাম্পের
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

ইরানে ‘শাসন পরিবর্তন’ চান না বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার মতে, এমন পদক্ষেপ ইরানে অস্থিরতা সৃষ্টি করবে।

‘এয়ারফোর্স ওয়ানে’ চড়ে ন্যাটো সম্মেলনে যাওয়া সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। 

তবে এই বক্তব্য কিছুটা বিস্ময় তৈরি করেছে, কারণ মাত্র কয়েকদিন আগেই নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ স্যোশাল-এ তিনি ইরানের বর্তমান ইসলামী প্রজাতন্ত্রের শাসন পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।

গত রবিবার দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প লিখেছিলেন, 'Regime Change' অর্থাৎ ‘শাসন পরিবর্তন’ শব্দটি বলা এখন রাজনৈতিকভাবে ঠিক না। কিন্তু যদি বর্তমান ইরানি শাসকগোষ্ঠী MAKE IRAN GREAT AGAIN (MIGA) অর্থাৎ ‘ইরানকে আবার মহান করতে’ না পারে, তাহলে শাসন পরিবর্তন কেন হবে না? 

ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্য ও পূর্ববর্তী পোস্টের মধ্যে পার্থক্য নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন।

উল্লেখ্য, ট্রাম্পের রাজনৈতিক শ্লোগানের মধ্যে অন্যতম হলো MAKE AMERICA GREAT AGAIN (MAGA), এই শ্লোগানের সামান্য পরিবর্তন করে তিনি ইরানের ক্ষেত্রেও শব্দগুচ্ছটি ব্যবহার করেছেন। সূত্র: আল জাজিরা

 

গাজায় যুদ্ধ বন্ধের এখনই সময়: জার্মান চ্যান্সেলর মার্জ

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ০৭:১৩ পিএম
গাজায় যুদ্ধ বন্ধের এখনই সময়: জার্মান চ্যান্সেলর মার্জ
জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জ। ছবি: সংগৃহীত

গাজায় ইসরায়েল-হামাস সংঘাত বন্ধে এখনই উপযুক্ত সময় বলে মন্তব্য করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জ। মঙ্গলবার (২৪ জুন) পার্লামেন্টে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।

চ্যান্সেলর মার্জ বলেন, এখন সময় এসেছে গাজায় একটি যুদ্ধবিরতির।

তিনি ইসরায়েলের নিরাপত্তা ও অস্তিত্ব রক্ষার অধিকারের প্রতি সমর্থন জানালেও বলেন, জার্মানিরও অধিকার আছে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় কী অর্জন করতে চায়, তা সমালোচনামূলকভাবে প্রশ্ন করার।

তিনি ইসরায়েলকে গাজার সাধারণ জনগণের প্রতি বিশেষ করে নারী, শিশু ও বয়স্কদের প্রতি মানবিক আচরণ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। সূত্র: আল জাজিরা