ঢাকা ৩ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
English

বেলুচিস্তানে ট্রেন থেকে ধরে ২১৪ সেনাকে হত্যার দাবি করছে বিএলএ

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০২:৪৩ পিএম
আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৩:১৫ পিএম
বেলুচিস্তানে ট্রেন থেকে ধরে ২১৪ সেনাকে হত্যার দাবি করছে বিএলএ
ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গি গোষ্ঠী বেলুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) দাবি করেছে, পাকিস্তান বন্দি বিনিময়ের আলোচনায় অস্বীকৃতি জানানোর পর তারা হাইজ্যাক করা ট্রেন থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া ২১৪ সেনার সবাইকে হত্যা করেছে।

যদিও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবি, ২৬ জন জিম্মিকে হত্যা করা হয়েছে। বিএলএ এই ঘটনায় পাঁচ আত্মঘাতী হামলাকারীসহ ১২ জন জঙ্গি নিহতের কথা স্বীকার করে।

রবিবার ( ১৬ মার্চ) এসব তথ্য জানায় দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া।

গত ১১ মার্চ বেলুচিস্তানের বোলান জেলার মুশফাক নামে একটি পাহাড়ি এলাকায় ‘জাফর এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি হাইজ্যাক করে জঙ্গিরা। এরপর পাকিস্তানের সেনা ও বিমানবাহিনী সেখানে প্রায় দুই দিন অভিযান চালায়। এসময় তারা ৩৩ জঙ্গিকে হত্যা ও প্রায় ৩০০ জনকে উদ্ধারের তথ্য জানায়।

তবে শনিবার (১৫ মার্চ) বেলুচ লিবারেশন আর্মির মুখপাত্র জিয়ান্দ বেলুচ একটি বিবৃতিতে দাবি করেন, তারা ট্রেন থেকে ২১৪ সেনাকে ধরে নিয়ে যান। তাদের মুক্তির জন্য আলোচনা শুরু করতে সেনাবাহিনীকে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেওয়া হয়। কিন্তু পাকিস্তান আর্মি আলোচনা না করায় ২১৪ জিম্মি সেনার সবাইকে হত্যা করা হয়।

তিনি বলেন, ‘বেলুচ লিবারেশন আর্মি পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে যুদ্ধবন্দি বিনিময়ের জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় বেধে দেয়। কিন্তু তারা পুরোনো জেদ এবং সামরিক অহংকার প্রদর্শন করে। এক্ষেত্রে তারা চোখ বন্ধ করে রাখার ভূমিকা পালন করে। যার ফলে এই ২১৪ জিম্মিকে হত্যা করা হয়।’

বিএলএ দাবি করছে, তারা সবসময় আন্তর্জাতিক আইন মেনে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে। কিন্তু অহংকারের জন্য পাকিস্তান তাদের সেনাদের হারিয়েছে।

তবে ২১৪ সেনাকে হত্যার দাবির পক্ষে বিএলএ এখনো কোনো প্রমাণ দেয়নি। 

এছাড়া পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানান, তারা ট্রেনের ৩৫৪ জিম্মি যাত্রীকে উদ্ধার এবং ৩৩ জঙ্গিকে হত্যা করেছেন। 

তিনি আরও জানান, বিএলএ অন্য যাত্রীদের জিম্মি করে নিয়ে গেছে এমন কোনো প্রমাণও নেই।

তিনি দাবি করেন, সন্ত্রাসী দলটি অতিরঞ্জিত খবর প্রকাশ করছে। সূত্র: দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া

দিনা/অমিয়/

সোভিয়েত সেনাদের আক্রমণ করেছিল এলিয়েনরা, দাবি সিআইএর

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৪৪ পিএম
আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৪৫ পিএম
সোভিয়েত সেনাদের আক্রমণ করেছিল এলিয়েনরা, দাবি সিআইএর
প্রতীকী ছবি (সংগৃহীত)

সম্প্রতি কানাডিয়ান উইকলি ওয়ার্ল্ড নিউজ এবং ইউক্রেনীয় সংবাদপত্র হলোস উক্রাইনি স্নায়ুযুদ্ধ চলাকালীন সময়ের সিআইএ-এর একটি গোপন নথি প্রকাশ করে। যেখানে ইউক্রেনে সোভিয়েত সেনা এবং একটি ইউএফও-র মধ্যে কথিত সংঘর্ষের বিবরণ রয়েছে। এই নথি প্রকাশের পর ইন্টার্নেটে রীতিমতো হইচই শরু হয়। 

প্রতিবেদন অনুসারে, ১৯৮৯ থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে কোনো এক সময় ইউক্রেনে সোভিয়েত সেনারা একটি প্রশিক্ষণ মহড়াতে অংশ নেওয়ার সময় 'একটি গোলাকার  উড়ন্ত মহাকাশযান'দেখতে পায়।

এই সিআইএ নথিটি ২০০০ আবিষ্কার করার পর গোপন রাখা হয়। তবে সম্প্রতি নথিটি প্রকাশ পাওয়ার পর বিষয়টি ইউএফও ( আনআইডেন্টিফাইড ফ্লাইং অবজেক্ট) সম্পর্কে আগ্রহীদের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি আমেরিকান বিখ্যাত কমেডি পডকাস্ট 'দ্য জো রোগান এক্সপেরিয়েন্স'-এও এটি নিয়ে আলোচনা করা হয়।

সিআইএ নথি অনুসারে, এসময় একটি প্লাটুন একটি উড়ন্ত সসারকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়, যার ফলে এলিয়েনরাও প্রতিশোধ নিতে বাধ্য হয় এবং ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার আগে ২৩ জন সেনাকে পাথরে পরিণত করে।

দ্য নিউ ইয়র্ক পোস্ট জানায়, ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর সিআইএ ঘটনাস্থলে ২৫০ পৃষ্ঠার একটি কেজিবি রিপোর্ট পায়, যাতে প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ এবং পরবর্তী ঘটনার বিরক্তিকর  ছবি রয়েছে।

প্রতিবেদনে সৈন্যদের শরীরের জীবন্ত কোষগুলোকে চুনাপাথরের মতো পদার্থে রূপান্তরিত করার বিস্ময়কর বর্ণনা দেওয়া হয়, যেখানে একজন আমেরিকান এজেন্ট দৃশ্যটিকে 'বহির্জাগতিক প্রাণীদের প্রতিশোধের এক ভয়াবহ চিত্র' হিসাবে বর্ণনা করেন।

এই প্রতিবেদন অনুসারে, ইউক্রেনে সোভিয়েত সেনারা একটি প্রশিক্ষণ মহড়ার সময় একটি গোলাকার উড়ন্ত মহাকাশযান দেখতে পায়। এরপর একজন সেনা ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে, যা ইউএফওতে আঘাত করে এবং এটিকে বিধ্বস্ত করে।

এই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ‘এটি খুব বেশি দূরে নয়,পৃথিবীতে আছড়ে পড়ে এবং এর ভেতর থেকে 'বড় মাথা এবং বড় কালো চোখ' বিশিষ্ট ৫টি ছোট মানবদেহ বেরিয়ে আসে।বেঁচে থাকা সেনারা জানান, ধ্বংসাবশেষ থেকে বেরিয়ে আসার পর, বহির্জাগতিক প্রাণীরা দলবদ্ধ হয়ে একটি একক, গোলাকার বস্তুতে মিশে যায়।

এর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে, গোলকগুলো অনেক বড় হয়ে উঠে এবং অত্যন্ত উজ্জ্বল আলোয় বিস্ফোরিত হয়। ঠিক সেই মুহূর্তে, ঘটনাটি দেখতে পাওয়া ২৩ জন সৈন্য পাথরের খুঁটিতে পরিণত হয়। কেবল দুজন সৈন্য যারা ছায়ায় দাঁড়িয়ে ছিল এবং আলোকিত বিস্ফোরণের সংস্পর্শে কম আসে তারা বেঁচে যায়!’

সেখানে আরো বলা হয়, কেজিবি ক্ষতবিক্ষত সৈন্য এবং ক্ষতিগ্রস্ত মহাকাশযানটি আটক করে মস্কোর কাছে একটি গোপন ঘাঁটিতে নিয়ে যায়। সোভিয়েত বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেন যে, একটি অজানা আলোক উৎস সেনাদের জীবন্ত কোষগুলোকে চুনাপাথরের মতো পদার্থে রূপান্তরিত করে।

সিআইএ এই প্রতিবেদনের উপসংহারে বলে,’ যদি কেজিবি ফাইলটি বাস্তবতার সাথে মিলে যায়, তাহলে এটি একটি অত্যন্ত ভয়ঙ্কর ঘটনা। এলিয়েনদের কাছে এমন অস্ত্র এবং প্রযুক্তি রয়েছে যা আমাদের সমস্ত ধারণারও বাইরে।‘ 

এদিকে প্রাক্তন সিআইএ এজেন্ট মাইক বেকার ফক্স নিউজকে এই প্রতিবেদনের যথার্থতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন । তিনি বলেন, ‘যদি কোন ঘটনা ঘটে থাকে, ঘটনার প্রকৃতি যাই হোক না কেন, আমার সন্দেহ হয় যে প্রকৃত প্রতিবেদনটি মূলত যা লেখা হয় তার পাঁচ, ছয় বা সাতটি পুনরাবৃত্তি থেকে এসেছে। আর সেখান থেকে যা উঠে এসেছে তার সাথে প্রকৃত ঘটনার খুব বেশি মিল নেই।' সূত্র: নিউইয়র্ক পোস্ট

দিনা/

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে জনগণ: যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১১:১৩ এএম
আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪২ এএম
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে জনগণ: যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ বাংলাদেশি জনগণের মাধ্যমেই নির্ধারিত হবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস।

বুধবার ( ১৬ এপ্রিল ) এএনআই এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।

তিনি আরও বলেন, দেশটি অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। দেশটির মানুষের কর্মকাণ্ডই ঠিক করবে তারা কীভাবে এই সমস্যা ও চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করবে।

এদিনের ব্রিফিংয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে ও যুক্তরাজ্যের সাবেক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি নিয়েও কথা বলেন তিনি।

টিউলিপের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়টিকে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের এখতিয়ার বলে অভিহিত করেন ট্যামি ব্রুস।

এ সময় এক সাংবাদিক বাংলাদেশে সাম্প্রতিক প্রতিবাদ-বিক্ষোভ ও বিভিন্ন দোকান ও ব্র্যান্ডে হামলার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করেন। তিনি দাবি করেন, ‘বাংলাদেশে সম্প্রতি উগ্র ইসলামপন্থি সন্ত্রাসবাদের আশঙ্কাজনক বৃদ্ধির বিষয়ে একাধিক রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। দুই সপ্তাহ আগে দ্য নিউইয়র্ক টাইমস-এও এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

সেই রিপোর্টে বলা হয়, ড. ইউনূস সরকারের শাসনামলে বাংলাদেশে ইসলামি চরমপন্থার উত্থান ঘটেছে। প্রতিবাদকারীরা প্রকাশ্যে ওসামা বিন লাদেনের ছবি প্রদর্শন করছে, এমনকি নাৎসি প্রতীক দেখা গেছে- তাও প্রকাশ্যে সেটি তুলে ধরা হয়।

এছাড়া মার্কিন ব্র্যান্ড যেমন কেএফসি ও কোকাকোলাকে লক্ষ্য করে ইহুদি-বিরোধী (অ্যান্টিসেমিটিক) প্রচার চালানো হয়। অভিযোগ উঠেছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু উপদেষ্টা বা ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরা এসব উত্তেজনা উসকে দিচ্ছেন।'

এসব কথার জবাবে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, আমি আপনার বক্তব্য শুনেছি এবং আপনার উদ্বেগের প্রশংসা করি। বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ এবং দেশটির কিছু বিশেষ চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এই দেশ নিয়ে আমরা আগেও বহুবার আলোচনা করেছি, বিশেষ করে এখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের মাধ্যমে।'

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে একটি বিষয় উল্লেখ করতে চাই, তা হলো- ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাংলাদেশের আদালতের তরফ থেকে জারি করা হয়েছে। অবশ্যই, এই সমস্ত বিষয় এবং আপনি যা আলোচনা করছেন - এমনকি প্রতিবাদ ইত্যাদি - বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষেরই বিষয়, এবং অবশ্যই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং আলোচনা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।'

এরপর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই মুখপাত্র জোর দিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবেন সেখানকার জনগণ। তারা অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন- যেমনটা আপনারা উল্লেখ করেছেন এবং আমরা বিভিন্ন রিপোর্টেও দেখেছি। নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি এখানে এটাকে তুচ্ছ বলে উল্লেখ করতে চাই না, কিন্তু এটা সত্যি।'

ট্যামি ব্রুস আরও বলেন, গণতন্ত্রও গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের কর্মকাণ্ডই ঠিক করবে তারা কীভাবে এই সমস্যার মোকাবিলা করবে। গত ২০-২৫ বছর ধরে আমরা দেখেছি, ভুল সিদ্ধান্ত কীভাবে জনগণের জীবন ধ্বংস করে দিতে পারে। কাজেই অনেক দেশের সামনে এখন স্পষ্ট পথ রয়েছে- তারা বিকল্প হিসেবে কি বেছে নেবে। সূত্র: এএনআই

দিনা/অমিয়/

ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেল কিম জং উনের ‘পবিত্র’ পর্বত

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১০:১৬ এএম
আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২৪ এএম
ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেল কিম জং উনের ‘পবিত্র’ পর্বত
উত্তর কোরিয়ার মানুষের কাছে একটি জাতীয় তীর্থক্ষেত্র মাউন্ট পায়েকতু পর্বত। এমনকী কিম জং উন নানা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার আগে এই পায়েকতু সফর করেন। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বের সবচেয়ে গোপন দেশের কড়া পাহারার সামরিক চৌকির পাহাড়ি রাস্তার শেষ প্রান্তে হুংকার দিচ্ছে একটি আগ্নেয়গিরি। সাথে বিস্তার করে আছে আগ্নেয়গিরির কোলঘেষা গভীর হ্রদ। উ.কোরিয়া এবং চীন সীমান্তে অবস্থিত সক্রিয় এই আগ্নেয়গিরির মাউন্ট পায়েকতু হল কোরীয় উপদ্বীপের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ। 

যে উপাখ্যানের মধ্য দিয়ে উত্তর কোরিয়া প্রতিষ্ঠার বর্ণনা করা হয়, তার কেন্দ্রস্থলে রয়েছে এই পর্বতের নাম। ইতিহাস, পৌরাণিক কাহিনি ও রাষ্ট্রীয় প্রতীকে গুরুত্বপূর্ণ এই পর্বতটিকে সম্প্রতি ইউনেস্কোর গ্লোবাল জিওপার্ক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এবারই প্রথম উ.কোরিয়ার প্রাকৃতিক কোনো স্থান এই সম্মানে ভূষিত হলো।

দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা ইয়োনহাপের বরাতে মঙ্গলবার( ১৫ এপ্রিল) সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানায়, ইউনেস্কোর নির্বাহী বোর্ড গত ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই স্বীকৃতি দেয়। এ সময় পায়েকতু পর্বতের অসাধারণ প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য—বিশেষ করে আগ্নেয়গিরির ইতিহাস, হিমবাহঘটিত উপত্যকা ও ভূতাত্ত্বিক গঠনের কথা উঠে আসে।

পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, পায়েকতু ছিল প্রথম কোরীয় রাজ্য প্রতিষ্ঠাতা ডানগুনের জন্মস্থান। উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল সুং ১৯৪০-এর দশকে জাপানি দখলদারদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে এই পর্বতের আশপাশেই লুকিয়ে ছিলেন। এমনকি তার পুত্র কিম জং ইল-এর জন্মও এই পর্বতের কাছে একটি কুটিরে হয় বলে প্রচার করে উত্তর কোরিয়া। যদিও ঐতিহাসিক প্রমাণ অনুযায়ী ধারণা করা হয়, তিনি সম্ভবত রাশিয়ায় জন্ম নেন।

এই পর্বত কিম পরিবারকে ঘিরে গড়ে উঠা ‘পায়েকতু রক্তরেখা’র প্রতীক। রাষ্ট্রীয়ভাবে এই রক্তরেখাকে মহৎ, বীরত্বপূর্ণ ও বিশুদ্ধ জাতির প্রতীক হিসেবে মান্য করা হয়। এ কারণে পায়েকতু শুধু একটি পর্বত নয়, এটি উত্তর কোরিয়ার মানুষের কাছে একটি জাতীয় তীর্থক্ষেত্র। এই পর্বতের ছবি জাতীয় প্রতীকে, রকেট, বিদ্যুৎকেন্দ্র এমনকি দেশের নামেও ব্যবহৃত হয়।

২০১৭ সালে একজন পশ্চিমা সাংবাদিকের ধারণকরা ভিডিওতে দেখা যায়—পাহাড়ি বাতাস আর হ্রদের ধারে দাঁড়িয়ে থাকা তীর্থযাত্রীদের মধ্যে কেউ কেউ আবেগে কাঁদছেন।

কিম জং উন নানা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার আগে পায়েকতু সফর করেন—যেমন তার চাচা জ্যাং সং থায়েকের মৃত্যুদণ্ড কিংবা ২০১৬ সালের পারমাণবিক পরীক্ষার আগেও তিনি এমনটি করেন। এমনকি ২০১৮ সালে তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইনকে সঙ্গে নিয়ে এই পর্বতের শীর্ষে উঠেন। দুই কোরিয়ার ঐক্যের এক বিরল মুহূর্ত হিসেবে বিবেচনা করা হয় সেই সময়টিকে।

৯৪৬ খ্রিষ্টাব্দে পায়েকতু পর্বতের অগ্ন্যুৎপাতকে পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম শক্তিশালী আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ইউনেস্কোর এটিকেই গুরুত্ব দিয়ে বিশ্বমানের ভূতাত্ত্বিক অঞ্চলের স্বীকৃতি দেয়। সূত্র: সিএনএন

দিনা/

স্থায়ী শান্তিচুক্তির জন্য রাজি পুতিন, জেলেনস্কিকে দুষলেন ট্রাম্প

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২৪ এএম
আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৩৪ এএম
স্থায়ী শান্তিচুক্তির জন্য রাজি পুতিন, জেলেনস্কিকে দুষলেন ট্রাম্প
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের সঙ্গে ‘স্থায়ী শান্তিচুক্তি’র জন্য রাজি। যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এ তথ্য জানান। 

গত সোমবার শেষ ভাগে এক টিভি সাক্ষাৎকারে বিষয়টি তুলে ধরেন উইটকফ। রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে গত সপ্তাহে সেইন্ট পিটার্সবার্গে আলোচনা হয় পুতিনের। ওই বৈঠকের পর দিয়েই এ আশাবাদ ব্যক্ত করলেন উইটকফ। যুক্তরাষ্ট্রের এ বিশেষ দূত মনে করছেন, পুতিনের সঙ্গে তার পাঁচ ঘণ্টার বৈঠকে তিনি একটি চুক্তির সম্ভাবনা দেখেছেন।

তবে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ সতর্ক করে দিয়েছেন যে, এই চুক্তির শর্তে রাজি হওয়া ‘সহজ হবে না।’ এদিকে ইউক্রেন ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা ওয়াশিংটনকে অনুরোধ জানিয়েছে, যাতে তারা মস্কোর এই বিলম্ব কৌশলে প্রতারিত না হয়। 

তবে উইটকফ বলছেন, ‘আমার মনে হয়, আমরা বিশ্বের জন্য বড় মাপের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছুর প্রান্তে রয়েছে। এ পর্যন্ত আসতে আমাদের কিছুটা সময় লেগেছে।’ উইটকফ আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার সম্পর্ককে বাণিজ্যিক সুযোগের মাধ্যমে পুনর্গঠনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এটি হলে ওই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে। সূত্র: আল-জাজিরা, বিবিসি 

গাজা সফরে নেতানিয়াহু

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২৩ এএম
গাজা সফরে নেতানিয়াহু
বিধ্বস্ত এই ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বাহিনীর ক্রমবর্ধমান স্থল ও বিমান হামলার মাঝেই মঙ্গলবার ( ১৫ এপ্রিল ) গাজায় গেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ছবি: সংগৃহীত

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার উত্তরাঞ্চলে সফরে গেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। বিধ্বস্ত এই ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বাহিনীর ক্রমবর্ধমান স্থল ও বিমান হামলার মাঝেই মঙ্গলবার ( ১৫ এপ্রিল ) গাজায় গেছেন তিনি। 

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল ) ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে এই সফরের বিষয়ে বিস্তারিত আর কোনও তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আজ গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চল সফর করেছেন।’ 

হামাসের সঙ্গে দুই মাসের যুদ্ধবিরতি চুক্তির অবসান ঘটিয়ে গত ১৮ মার্চ গাজায় নতুন করে অভিযান শুরু করে আইডিএফ। আর এই অভিযানে গাজায় এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত ও আরও হাজার হাজার মানুষ আহত হন। রেহাই পাচ্ছে না উপত্যকার হাসপাতালও।

নতুন অভিযানে ইসরায়েলি বাহিনী উপত্যকার বিশাল অংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী অভিযান জোরদার করায় প্রাণ বাঁচাতে গাজার হাজার হাজার বাসিন্দা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন।

এদিকে, ইসরায়েলের দেওয়া ছয় সপ্তাহের নতুন যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে হামাস। চুক্তির অংশ হিসেবে হামাসকে অস্ত্র সমর্পণের শর্ত দেয় ইসরায়েল।

যুদ্ধবিরতি আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা জানান, ইসরায়েল হামাসকে অস্ত্র ফেলে দেওয়ার শর্ত দিলেও; তারা স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধ অথবা গাজা থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের কোনও প্রতিশ্রুতি দেয়নি। ফলে হামাস এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে।

এদিকে, ইসরায়েলের দেওয়া ছয় সপ্তাহের নতুন যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে হামাস। চুক্তির অংশ হিসেবে হামাসকে অস্ত্র সমর্পণের শর্ত দিয়েছিল ইসরায়েল।

যুদ্ধবিরতি আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা বলেছেন, ইসরায়েল হামাসকে অস্ত্র ফেলে দেওয়ার শর্ত দিলেও; তারা স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধ অথবা গাজা থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের কোনও প্রতিশ্রুতি দেয়নি। ফলে হামাস এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। সূত্র: দ্য টাইমস অব ইসরায়েল

দিনা/