
পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গি গোষ্ঠী বেলুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) দাবি করেছে, পাকিস্তান বন্দি বিনিময়ের আলোচনায় অস্বীকৃতি জানানোর পর তারা হাইজ্যাক করা ট্রেন থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া ২১৪ সেনার সবাইকে হত্যা করেছে।
যদিও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবি, ২৬ জন জিম্মিকে হত্যা করা হয়েছে। বিএলএ এই ঘটনায় পাঁচ আত্মঘাতী হামলাকারীসহ ১২ জন জঙ্গি নিহতের কথা স্বীকার করে।
রবিবার ( ১৬ মার্চ) এসব তথ্য জানায় দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া।
গত ১১ মার্চ বেলুচিস্তানের বোলান জেলার মুশফাক নামে একটি পাহাড়ি এলাকায় ‘জাফর এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি হাইজ্যাক করে জঙ্গিরা। এরপর পাকিস্তানের সেনা ও বিমানবাহিনী সেখানে প্রায় দুই দিন অভিযান চালায়। এসময় তারা ৩৩ জঙ্গিকে হত্যা ও প্রায় ৩০০ জনকে উদ্ধারের তথ্য জানায়।
তবে শনিবার (১৫ মার্চ) বেলুচ লিবারেশন আর্মির মুখপাত্র জিয়ান্দ বেলুচ একটি বিবৃতিতে দাবি করেন, তারা ট্রেন থেকে ২১৪ সেনাকে ধরে নিয়ে যান। তাদের মুক্তির জন্য আলোচনা শুরু করতে সেনাবাহিনীকে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেওয়া হয়। কিন্তু পাকিস্তান আর্মি আলোচনা না করায় ২১৪ জিম্মি সেনার সবাইকে হত্যা করা হয়।
তিনি বলেন, ‘বেলুচ লিবারেশন আর্মি পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে যুদ্ধবন্দি বিনিময়ের জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় বেধে দেয়। কিন্তু তারা পুরোনো জেদ এবং সামরিক অহংকার প্রদর্শন করে। এক্ষেত্রে তারা চোখ বন্ধ করে রাখার ভূমিকা পালন করে। যার ফলে এই ২১৪ জিম্মিকে হত্যা করা হয়।’
বিএলএ দাবি করছে, তারা সবসময় আন্তর্জাতিক আইন মেনে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে। কিন্তু অহংকারের জন্য পাকিস্তান তাদের সেনাদের হারিয়েছে।
তবে ২১৪ সেনাকে হত্যার দাবির পক্ষে বিএলএ এখনো কোনো প্রমাণ দেয়নি।
এছাড়া পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানান, তারা ট্রেনের ৩৫৪ জিম্মি যাত্রীকে উদ্ধার এবং ৩৩ জঙ্গিকে হত্যা করেছেন।
তিনি আরও জানান, বিএলএ অন্য যাত্রীদের জিম্মি করে নিয়ে গেছে এমন কোনো প্রমাণও নেই।
তিনি দাবি করেন, সন্ত্রাসী দলটি অতিরঞ্জিত খবর প্রকাশ করছে। সূত্র: দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া
দিনা/অমিয়/