
যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের রিপাবলিকান আইন প্রণেতারা ‘ট্রাম্প ডিরেঞ্জমেন্ট সিনড্রোম’কে (টিডিএস) আনুষ্ঠানিকভাবে মানসিক রোগ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করার প্রস্তাব করে একটি নতুন বিল পেশ করেছেন। এই বিলে ‘ট্রাম্প ডিরেঞ্জমেন্ট সিনড্রোম’ মানসিক রোগ হিসেবে মিনেসোটা রাজ্যের আইনে সংজ্ঞায়িত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়।
ট্রাম্প সমর্থকরা অনেক আগে থেকেই মনে করেন, ট্রাম্পবিরোধীরা টিডিএস-এ ভুগছেন। মূলত এবার মিনেসোটার এই পাঁচ রিপাবলিকান আইন প্রণেতা এটিকে রাজনৈতিক ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের বাইরে নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি মানসিক রোগ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে চান।
প্রস্তাবিত সংজ্ঞা অনুসারে- টিডিএস হলো এমন একটি অবস্থা, যেটির কারণে কোনো ব্যক্তি ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতি ও প্রেসিডেন্সির প্রতি অযৌক্তিক প্রতিক্রিয়া দেখান।
‘ট্রাম্প ডিরেঞ্জমেন্ট সিনড্রোম’ শব্দগুচ্ছটি মূলত ট্রাম্প সমর্থকরা বলে থাকেন। কেউ ট্রাম্পের প্রতি খুব নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখালে, সেই প্রতিক্রিয়াকে টিডিএস বলে চিহ্নিত করেন তারা।
সোমবার (১৭ মার্চ) মিনেসোটার পাঁচ রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা এই বিলটি উত্থাপন করেন। তারা টিডিএসকে মানসিক রোগের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দিয়ে বলেন, ‘এটি হলো প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতি ও প্রেসিডেন্সির প্রতিক্রিয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে হঠাৎ করে জাগ্রত হওয়া এক প্রকার ভয় বা সন্দেহ।’
প্রস্তাবে আরও বলা হয়, টিডিএস আক্রান্ত ব্যক্তিরা রাজনৈতিক মতবিরোধ ও মানসিক অবস্থার মধ্যে পার্থক্য করতে অসুবিধায় পড়েন।
বিলটির অন্যতম লেখক সিনেটর গ্লেন গ্রুয়েনহাগেন এই প্রস্তাবের পক্ষে কথা বলেন।
তিনি যুক্তি দেন, ট্রাম্প সমালোচকদের ‘অযৌক্তিক আচরণ’ গভীর মনস্তাত্ত্বিক সমস্যার ইঙ্গিত দেয় এবং এই বিল শুধু রাজনৈতিক মতবিরোধ নয়, বরং এই সমস্যার সমাধানও খুঁজতে চায়।
এদিকে টিডিএস শব্দগুচ্ছের সমালোচকরা মনে করেন, এটি ট্রাম্পের নীতি ও আচরণের বৈধ সমালোচনাকে খারিজ করার জন্য ব্যবহৃত একটি কৌশল।
কেউ কেউ আবার বলেন, এই লেবেলটি ট্রাম্প সমর্থকদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হতে পারে, যারা ট্রাম্পের বিরোধীদের প্রতি আক্রমণাত্মক প্রতিক্রিয়া দেখান। সূত্র: দ্য ইকোনোমিক টাইমস
দিনা/অমিয়/