ঢাকা ১০ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
English
বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২

ঈশ্বরদীতে বাস-সিএনজি সংঘর্ষে শিশুসহ নিহত ৫

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৬:৩৭ পিএম
আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৫:২৪ পিএম
ঈশ্বরদীতে বাস-সিএনজি সংঘর্ষে শিশুসহ নিহত ৫
ছবি: খবরের কাগজ

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে সিএনজি চালিত অটোরিকশার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে শিশুসহ ৫ জন নিহত হয়েছেন। এঘটনায় আরও ২ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার ঈশ্বরদী-দাশুড়িয়া মহাসড়কের বহরপুরে মুল্লিকা এগ্রো ফুডের সামনে এ ঘটনা ঘটে। 
নিহতরা হলেন- ঈশ্বরদী উপজেলা দিয়ার বাঘইল গ্রামের মৃত বাবু প্রামাণিকের ছেলে রাব্বি প্রামানিক (৩০), তার স্ত্রী মুক্তা খাতুন (৩০),  তাদের ছেলে মুস্তাকিম (২), ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার আশরাফুল ইসলামের ছেলে রাতুল ইসলাম (১৮) ও ঈশ্বরদী উপজেলার রানা হোসেনের ছেলে তোহা (২৫)।

বিষয়টির নিশ্চিত করে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, যাত্রীবাহী বাসটি ঈশ্বরদী দিকে যাচ্ছিল। আর সিএনজি চালিত অটোরিকশাটি ঈশ্বরদীর থেকে আসছিল। এই সময় বাস-সিএনজিটি ঘটনাস্থলে পৌঁছালে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনা আরও তিনজন গুরুতর আহত হোন। আহতদের ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে আহতদের অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও একজনের মৃত্যু হয়। 

ঘটনার পরপরই বাসের চালক ও হেলপার পালিয়ে। তবে বাসটি জব্দ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

পার্থ হাসান/ জাহাঙ্গীর হোসেন/এমএ/

 

পাকিস্তানে বাস খাদে পড়ে নিহত ১৩

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৫৫ এএম
পাকিস্তানে বাস খাদে পড়ে নিহত ১৩
পাকিস্তানে বাস খাদে পড়ে নিহত ১৩। ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানে যাত্রীবাহী মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ২০ জন। দেশটির সিন্ধু প্রদেশের পার্বত্য অঞ্চলে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় কর্মকর্তারা দুর্ঘটনার খবরটি নিশ্চিত করেছেন। 

এএফপির প্রতিবেদন বলছে, গত সোমবার রাতে সিন্ধু প্রদেশের জামশোরো-কোহিস্তান অঞ্চলের পার্বত্য এলাকায় একটি গাড়ি রাস্তা থেকে ছিটকে গভীর খাদে পড়ে যায়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।

জামশোরোর ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) গজনফর কাদরি জানান, যাত্রীরা বেলুচিস্তান থেকে বাদিনে ফিরছিলেন এবং তাদের বেশির ভাগই কোহলি সম্প্রদায়ের সদস্য। 

তিনি আরও জানান, গাড়ির ‘ব্রেক ফেইল’ করায় চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশগুলো উদ্ধার করে এবং আহতদের নিকটবর্তী একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান।

এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে সিন্ধু প্রদেশের শেহয়ান শহরে এক দিনে দুটি পৃথক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। সে ঘটনায় ১৬ জন নিহত হন। আহত হন ৪৫ জন। সূত্র: এএফপি

ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহত ২৫

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৩৯ এএম
ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহত ২৫
গাজায় ইসরায়েলির হামলা। ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ভোর থেকে গাজায় অন্তত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১১ জন গাজার খান ইউনিসে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। ইসরায়েলের হামলায় সৃষ্ট আগুন থেকে দগ্ধ হন তারা।

গাজা সিটির পশ্চিমাংশেও হামলা হয়েছে। সেখানে ইসরায়েলি বিমান হামলায় একই পরিবারের সাতজন নিহত হয়েছেন। অবরুদ্ধ উপত্যকাটির জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের তাঁবুতে হামলা হয়েছে। সেখানে স্বামী, স্ত্রী ও তাদের তিন শিশুসন্তান মারা গেছেন। 

জাবালিয়ার নগর কর্তৃপক্ষের গ্যারেজেও হামলা চালানো হয়েছে। সেখানে ট্রাক ও বুলডোজার ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। আল-জাজিরার খবর বলছে, ওই ট্রাক ও বুলডোজার ব্যবহার করে ইসরায়েলি হামলায় সৃষ্ট ধ্বংসস্তূপ সরানো হচ্ছিল।  

গাজার রাফা শহরের উত্তরাংশে এখনো অনেক পরিবার আটকা পড়ে আছে। রেড ক্রিসেন্টের গাড়ি তাদের উদ্ধার করতে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী সেখানে রেড ক্রিসেন্টের গাড়ি প্রবেশের অনুমতি দেয়নি।  

আল-জাজিরার খবর বলছে, রাতজুড়ে ব্যাপক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। গাজা সিটির পূর্ব অংশে বাড়িঘর ধসিয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। সেগুলো অবশ্য নিয়ন্ত্রিত ও পূর্বপরিকল্পিত পন্থায় ধ্বংস করা হয়েছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় অন্তত ৫১ হাজার ২৪০ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ১ লাখ ১৬ হাজার ৯৩১ জন। গাজার গণমাধ্যম দপ্তর বলছে, মৃতের সংখ্যা হবে ৬১ হাজার ৭০০-এরও বেশি। উপত্যকাজুড়ে ধ্বংসস্তূপের নিচে থাকা নিখোঁজ ব্যক্তিদেরও নিহতের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে দপ্তরটি।

আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে ইসরায়েলিরা

ইসরায়েলি পুলিশের সঙ্গে আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে কয়েক ডজন ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী প্রবেশ করেছে। ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফার খবরে উঠে এসেছিল বিষয়টি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই ইসরায়েলিরা দলবদ্ধভাবে আসেন এবং প্রাঙ্গণে ঘুরে ঘুরে ফিলিস্তিনিদের উসকানি দেওয়ার চেষ্টা করেন। পূর্ব জেরুজালেমজুড়ে ইসরায়েলি বাহিনীর অনেক সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছে। আল-আকসার প্রতিটি ফটকে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা রয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা ওয়াফাকে জানান, পুরো এলাকাটি দেখে সামরিক ব্যারাক বলে মনে হয়। ইসরায়েলি পুলিশ মসজিদে প্রবেশের বিষয়ে ফিলিস্তিনিদের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করেছে, অনেককে প্রবেশও করতে দিচ্ছে না। সূত্র: আল-জাজিরা

কাশ্মীরে হামলা: সৌদি সফর সংক্ষিপ্ত করে ফিরলেন মোদি

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৩১ এএম
আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৪৯ এএম
কাশ্মীরে হামলা: সৌদি সফর সংক্ষিপ্ত করে ফিরলেন মোদি
ছবি: সংগৃহীত

ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরে ভয়াবহ হামলায় ২৬ জন নিহতের ঘটনার পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সৌদি আরব সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরে এসেছেন। জম্মু-কাশ্মীরে এই হামলায় ২৬ জন নিহত হয়েছেন। উপত্যকাটির অনন্তনাগ বিভাগের পেহেলগাঁও-এ হামলার ঘটনা ঘটে।  

বুধবার (২৩ এপ্রিল) এ তথ্য জানায় ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

এনডিটিভি জানায়, ভারতে ফিরে নরেন্দ্র মোদি আজ দিল্লিতে ‘ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি’র জরুরি বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন বলে জানা গেছে। এই বৈঠকে কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।

মঙ্গলবারের (২২ এপ্রিল) এই হামলাকে সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সর্বাধিক প্রাণঘাতী বেসামরিক হামলা বলে অভিহিত করেছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।

এনডিটিভি বলছে, মোদি বুধবার সকালে নয়াদিল্লিতে পৌঁছান। তার সৌদি সফর মূলত বুধবার রাতে শেষ হওয়ার কথা ছিল, তবে কাশ্মীরের ঘটনায় তা আগেভাগেই শেষ করেন তিনি। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল সৌদি রাজপ্রাসাদে গিয়ে সৌদি নেতৃত্বকে মোদির সফর সংক্ষিপ্ত হওয়ার কারণ জানান।

সৌদি আরবে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত সুহেল আজাজ খান বলেন, ‘এই সফরে কাশ্মীরে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এবং সৌদি যুবরাজ এ হামলার নিন্দা জানান। সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতায় ভারত ও সৌদি আরব একসাথে কাজ করছে।‘

অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই হামলার নিন্দা জানান এবং তিনি মোদির সঙ্গে ফোনে কথা বলবেন বলে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জানান।

নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যাল-এ ট্রাম্প লেখেন- ‘কাশ্মির থেকে আসা খবরে আমরা শোকাহত। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের পাশে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করছি এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা প্রার্থনা করছি।‘ সূত্র: এনডিটিভি

দিনা/অমিয়/

পুতিন দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় রাজি

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২৭ এএম
পুতিন দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় রাজি
ইউক্রেনের বন্দরনগরী ওদেসায় গত সোমবার রাতে ড্রোন হামলা চালায় রাশিয়া। সেখানে আগুন নেভাতে কাজ করছে ইউক্রেনের ফায়ার সার্ভিস। ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় রাজি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গত কয়েক বছরের মধ্যে এবারই প্রথম তিনি এ রকম মনোভাব জানালেন। এর আগে তিনি বলেছিলেন, ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনার আগে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির স্থলে নতুন কাউকে আনতে হবে। 

পুতিনের এ মন্তব্যের আগ দিয়ে কৃষ্ণসাগরসংলগ্ন ইউক্রেনীয় বন্দর শহর ওডেসায় ব্যাপক ড্রোন হামলা হয়। স্থানীয় কর্মকর্তারা সেখানে হামলা হওয়ার ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পাশাপাশি তারা জানিয়েছেন, এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তিনজন এবং বেশ কয়েকটি বেসামরিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।  

ওডেসার মেয়র হেনাডি ত্রুখানভ মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে এক পোস্টে লিখেছেন, ‘শত্রুপক্ষ ওদেসার ঘনবসতি জেলায় আবাসিক এলাকা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।’ 

ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে পুতিনের মন পরিবর্তনের বার্তা এমন একটি সময়ে এলো যখন ইউক্রেন, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের বুধবার (২৩ এপ্রিল) লন্ডনে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে আলোচনায় বসার কথা রয়েছে। 

জেলেনস্কি ওয়াশিংটনের চাপে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সমঝোতা করতে রাজি হয়েছেন। তিনি বলেছেন, লন্ডনের আলোচনার প্রাথমিক কাজ হলো নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির বিষয়টি সামনে নিয়ে আসা। এটিই হওয়া উচিত প্রথম ধাপ।

তবে যুদ্ধবিরতি আলোচনার কারণে ইউক্রেনে হামলা থেমে নেই। ইউক্রেনের বিমানবাহিনী গতকাল মঙ্গলবার জানায়, রাশিয়া সোমবার রাতে ৫৪ বার ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে ৩৮টি তারা ভূপাতিত করেছে। আরও ১৬টি লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি। ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক যন্ত্রের মাধ্যমে সেগুলোকে নিয়ন্ত্রণহীন করে দেওয়া হয়েছিল।

অন্যদিকে রাশিয়াতেও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। গণমাধ্যমের খবর বলছে, ১০টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত করেছে দেশটির বিমানবাহিনী। এর মধ্যে অর্ধেকই ক্রিমিয়া উপদ্বীপের আকাশে ধ্বংস করা হয়েছে।

ফাঁস হওয়া তথ্য বলছে, ট্রাম্প প্রশাসন এমন একটি শান্তি চুক্তি নিয়ে চাপ প্রয়োগ করছে, যা রাশিয়ার জন্য বেশি অনুকূল। ওই চুক্তিতে এক হাজার কিলোমিটার ফ্রন্টলাইন-জুড়ে যুদ্ধ থামানোর কথা বলা হয়েছে, ক্রিমিয়া মস্কোর অধীনে থাকার বিষয়ে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টিও রয়েছে এবং ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগ দেওয়া প্রশ্নে ভেটো দেওয়া হয়েছে। 

দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন বলছে, আরও কিছু তথ্য সামনে এসেছে, যেগুলো এখনো নিশ্চিত করা যায়নি। এসব তথ্যের মধ্যে রয়েছে যে ঝাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিরপেক্ষ অঞ্চলের অংশ হিসেবে গণ্য হবে। ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি রাশিয়া ২০২২ সালে দখলে নিয়েছিল।

এদিকে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টারমার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টর ভলোদিমির জেলেনস্কিকে বলেছেন যে তিনি পূর্ণ যুদ্ধবিরতির জন্য কিয়েভের আহ্বানকে সমর্থন করেন। যুদ্ধবিরতির সময়টিতে ইউক্রেনে যাতে একটি বাহিনী পুরো বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য থাকে, সে রকম একটি প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স দিয়েছে বলেও জানান তিনি।

যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য এখনো নিজের পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছে না। তারা ইউরোপের নিরাপত্তা ইস্যুতে নিজেদের দূরে রাখার চেষ্টা করছে। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান  

যুক্তরাষ্ট্রে জন্মহার বাড়াতে চান ট্রাম্প

প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২৬ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রে জন্মহার বাড়াতে চান ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

২০০৭ সাল থেকেই জন্মহার হ্রাস পাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে। এ অবস্থা চলতে থাকলে ২০৪০ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুর হার ছাড়িয়ে যাবে জন্মহারকে।

যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যা ব্যাপকভাবে হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রকে মানবশ্রমের ঘাটতির দিকে নিয়ে যাবে। মানবশ্রমের সরবরাহের জন্য নির্ভর করতে হবে অভিবাসীদের ওপর। ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র মানবশ্রমের অভাবের সম্মুখীন হয়েছে। গবেষণায় এমন ভয়ংকর পরিণতির কথা উঠে আসতেই চিন্তার ভাঁজ পড়েছে বিশেষজ্ঞদের কপালে। এটা নিয়ে যথেষ্ট চিন্তায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনও। এই পরিস্থিতিতে সন্তান নেওয়ার ক্ষেত্রে উৎসাহ দিতে একাধিক পরিকল্পনা করছে ট্রাম্প প্রশাসন। এতে থাকছে স্কলারশিপ, বেবি বোনাসসহ নানা উদ্যোগ।

‘নিউইয়র্ক টাইমস’-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সন্তান নেওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনার ব্যবস্থা্ নেওয়া হচ্ছে। বিয়ে করলে বা সন্তান হলেই টাকা বা অতিরিক্ত কোনো সুযোগ-সুবিধা মিলতে পারে যুক্তরাষ্ট্রে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির একটি প্রস্তাব হলো যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ‘ফুলব্রাইট স্কলারশিপ’ পাওয়ার ক্ষেত্রে বিবাহিত বা সন্তান আছে, এমন ব্যক্তিদের জন্য ৩০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করা। বাচ্চার জন্ম দেওয়ার পর মায়েদের পাঁচ হাজার ডলার (বাংলাদেশি টাকায় ৬ লাখেরও বেশি) অর্থ সাহায্য দেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে। 

আরও একটি পরিকল্পনার কথা হোয়াইট হাউসের সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে পত্রিকাটি। তা হলো মেয়েদের ঋতুচক্র নিয়ে আরও বেশি সচেতন করে তোলার কর্মসূচি নেওয়া হবে, যাতে কখন তারা সন্তানসম্ভবা হতে পারেন, তা নিয়ে তাদের একটি স্পষ্ট ধারণা থাকে।

হোয়াইট হাউস সূত্রের খবর, নাগরিকদের সন্তানের জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রে উৎসাহ বৃদ্ধি করতে ইতোমধ্যেই প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সন্তানদের নিয়ে সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বলা হয়েছে। জন্মহার বৃদ্ধির জন্য একটি নতুন সাংস্কৃতিক এজেন্ডাও হাতে নেওয়া হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের সমাজে রক্ষণশীল পারিবারিক মূল্যবোধকে আরও এগিয়ে নেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে। 

আমেরিকান এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের এক গবেষণায় দেখা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে মহামারির চেয়েও বেশি মরছেন যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ। হঠাৎ করে বিশ্বের উন্নত দেশ, বিত্তবৈভবের দেশ যুক্তরাষ্ট্রে মানুষের মৃত্যুর হার বেড়ে গেছে। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে মৃত্যুর হার বাড়লেও যুক্তরাষ্ট্রে গড় আয়ু বাড়ছে না। যুক্তরাষ্ট্রে মানুষ কেন দ্রুত মরছেন তার কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে। মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের সাবেক কমিশনার রোবার্ট ক্লিফ বিষয়টিকে ভয়াবহ বলে উল্লেখ করেছেন।

একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তিনি বলেছেন, খাদ্যাভ্যাস, ধূমপান এবং স্বাস্থ্যসেবার সমস্যা মৃত্যুকে বাড়িয়ে তুলছে। কোভিড-১৯ মহামারিতে মৃত্যুর সংখ্যা কমে যাওয়ার পরও মার্কিনিরা দ্রুত মারা যাচ্ছেন আস্বাভাবিক সংখ্যায়।

জীবন বিমা সংস্থাগুলো যুক্তরাষ্ট্রের লোকজনের বহুমৃত্যু নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে উদ্বেগ জানিয়ে আসছে। তাদের হিসাবে ২০১৯ সালের একই সময়ের তুলনায় ২০২৩ সালের প্রথম ৯ মাসে ১ লাখ ৫৮ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। ভিয়েতনাম যুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্রে সব কটি যুদ্ধেও এত লোক হারাননি বলে স্থানীয় একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মহামারিতে বয়স্ক ও অসুস্থ লোকজনের ব্যাপক মৃত্যুর পর যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক গড় মৃত্যুর হার বাড়ার কথা ছিল। কিন্তু তা না হয়ে ক্রমাগত বেশি মৃত্যুর হার অব্যাহত রয়েছে। বিষয়টিকে একটি অশনিসংকেত এবং চরম উৎকণ্ঠার বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

এর আগে জন্মহার বৃদ্ধি করতে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়ার পথে হেঁটেছে চীন-জাপানসহ বহু দেশ। এবার একই পথে হাঁটতে চলেছে ট্রাম্পের দেশও।