ঢাকা ১১ বৈশাখ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২

ভারতের বিরুদ্ধে মামলা করল ইলন মাস্কের এক্স

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৯:৪৫ পিএম
আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৯:৪৮ পিএম
ভারতের বিরুদ্ধে মামলা করল ইলন মাস্কের এক্স
এক্সের মালিক ইলন মাস্ক। ছবি: সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কন্টেন্ট অপসারণের করতে বেআইনি আদেশের অভিযোগে ভারত সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ইলন মাস্কের মালিকানাধীন প্ল্যাটফর্ম এক্স।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) এই মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে পরিচিত ভারত বিশ্বের শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে একটি, যারা সরকারিভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কন্টেন্ট অপসারণের জন্য সবচেয়ে বেশি সংখ্যক অনুরোধ জানায়।

মামলাটি ভারত সরকারের সেন্সরশিপ ক্ষমতার বিরুদ্ধে এক্সের সর্বশেষ চ্যালেঞ্জ। এমন সময়ে এই চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে, যখন ইলন মাস্কের মালিকানাধীন স্টারলিংক ও টেসলা বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ভারতে প্রবেশের প্রস্ততি নিচ্ছে।

মামলাটি ভারতের তথ্য প্রযুক্তি আইনের একটি বিধানকে কেন্দ্র করা হয়েছে, যার অপব্যবহার করে সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কন্টেন্ট ব্লক করার আদেশ দিয়ে থাকে।

আইনি সংবাদ সম্পর্কিত ভারতীয় ওয়েবসাইট বার অ্যান্ড বেঞ্চ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, এক্স-এর মতে- এই বিধানটি তথ্য ব্লক করার ক্ষেত্রে একটি বেআইনি সমান্তরাল কৌশল হিসেবে অপব্যবহার করা হচ্ছে।

এই সপ্তাহের শুরুতে মামলাটির সংক্ষিপ্ত শুনানিতে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি। আগামী ২৭ মার্চ দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটকের একটি আদালতে এই মামলার শুনানি হবে।

ভারতে কন্টেন্ট নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আইনি লড়াইয়ে মাস্কের এই প্ল্যাটফর্মটি নতুন নয়। ২০২৩ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের সমালোচনাকারী টুইট ও অ্যাকাউন্টগুলো অপসারণের আদেশকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করে টুইটার (এক্সের আগের নাম)। তখন ভারতীয় আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দিয়ে প্ল্যাটফর্মটিকে ৬১ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানা করে।

প্রায় এক বছর পর এক্স জানায়, নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্ট ও পোস্টগুলোতে সরকারের ব্লক করার আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে একটি রিট আপিল বিচারাধীন রয়েছে।

২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে কোম্পানিটি এক পোস্টে বলেছিল, আমাদের অবস্থানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভারত সরকারের ব্লকিং আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে একটি রিট আপিল এখনো বিচারাধীন রয়েছে। আমরা আমাদের নীতি অনুসারে প্রভাবিত ব্যবহারকারীদের এই পদক্ষেপগুলো সম্পর্কে নোটিশও দিয়েছি। 

পোস্টে আরও বলা হয়,  আইনি বিধিনিষেধের কারণে আমরা নির্বাহী আদেশগুলো প্রকাশ করতে পারছি না। তবে আমরা বিশ্বাস করি, স্বচ্ছতার জন্য সেগুলো জনসম্মুখে প্রকাশ করা অপরিহার্য। না প্রকাশ করলে জবাবদিহিতার অভাব ও স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত গ্রহণের দিকে পরিচালিত করতে পারে।

সুমন/

পাকিস্তান বনাম 'শুকরের ঠোঁটে লিপস্টিক'

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:১৪ পিএম
আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:২২ পিএম
পাকিস্তান বনাম 'শুকরের ঠোঁটে লিপস্টিক'
ছবি: সংগৃহীত

পাহালগাম ঘটনায় কার্যত স্তম্ভিত গোটা বিশ্ব। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই হামলার নিন্দা করা হয়। এই হামলার পর পাক সেনাপ্রধানের কাশ্মীরকে 'পাক ধমনী' বলে দাবি করেন। সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই এবার তাকে সাবেক আল কায়দা নেতা এবং যুক্তরাষ্ট্রের ওপর সন্ত্রাসী হামলার হোতা ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে তুলনা করলেন সাবেক মার্কিন কর্মকর্তা মাইকেল রুবিন।

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে সাবেক এই মার্কিন কর্মকর্তা কাশ্মীরের পাহালগামে পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দাও করেন।

ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেয়া একটি সাক্ষাৎকারে সাবেক আল-কায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে আসিম মুনিরের তুলনা করে মাইকেল রুবিন বলেন, 'লাদেন এবং আসিম মুনিরের মধ্যে কেবল একটাই পার্থক্য, লাদেন গুহায় থাকতেন কিন্তু মুনির থাকেন প্রাসাদে। তাছাড়া দু'জনের মানসিকতা সমান।' 

তিনি আরো বলেন পাকিস্তানকে সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে মনোনীত করা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আসিম মুনিরকে সন্ত্রাসবাদী হিসেবে ঘোষণা করা, এগুলিই হবে পহেলগাম হামলার পাল্টা জবাব।

এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি 'শুকরের ঠোঁটে লিপস্টিক'-এর মতো প্রবাদ বাক্য ব্যবহার করেন। মাইকেল রুবিন বোঝাতে চেয়েছেন, 'শুকরের ঠোঁটে লিপস্টিক দেওয়া যায় কিন্তু পাকিস্তানকে বদলানো যায় না। তিনি আরো যোগ করেন, 'প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ব্লিল ক্লিনটন যখন ভারত সফরে গিয়েছিলেন সেসময়ও জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। আবার মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বর্তমানে ভারতে রয়েছেন, এমন সময় ঘটল পহেলগাম হামলা।' 

গত ১৬ এপ্রিল ইসলামাবাদে প্রবাসী পাকিস্তানিদের সম্মেলনে যোগ দেন পাক সেনা প্রধান জেনারেল আসিম মুনির বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, 'আমরা আমাদের অবস্থানে অনড়। কাশ্মীর পাকিস্তানের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ, যা কোনোভাবেই বাদ দেওয়া যাবে না। আমরা কাশ্মীর ছাড়ব না। আমাদের কাশ্মীরী ভাইদের সংগ্রামের সময় তাদের একা ছেড়ে দেব না।'

এরপর পাহালগামে নৃশংস জঙ্গি হামলায় ২৬ জন পর্যটকের মৃত্যুর ঘটনার পর আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার বক্তব্য ভাইরাল হয়।

সূত্র: এএনআই

দিনা



জঙ্গিদের খুঁজে বের করে উচিত শিক্ষা দেবেন মোদী

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:১৪ পিএম
আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩১ পিএম
জঙ্গিদের খুঁজে  বের করে উচিত শিক্ষা দেবেন মোদী
পাহালগামে জঙ্গি হামলার ঘটনায় জড়িতদের উদ্দেশ্যে কঠিন হুঁশিয়ারি দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি: সংগৃহীত

এবার পাহালগামে জঙ্গি হামলার ঘটনায় জড়িতদের উদ্দেশ্যে কঠিন হুঁশিয়ারি দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর আগে এই জঙ্গি হামলার ঘটনায় জড়িতদের খোঁজ দিতে পারলে বা জঙ্গি নিধন অভিযানে সাহায্য করার মতো কোনও তথ্য দিতে পারলে ২০ লক্ষ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দেয়া হয়। 

বৃহস্পতিবার ( ২৪ এপ্রিল) বিহারের মধুবনীতে পাহালগামের নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিহার নিয়ে, দেশের উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলার পরই তিনি পাহালগাম প্রসঙ্গে তুলে বলেন, ‘সেখানে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে ,আহত হয়েছে অসংখ্য। তাদের পাশে ১৪০ কোটি দেশবাসী রয়েছে, একথা জানিয়ে দিন। ‘

এসময় দ্ব্যর্থ কন্ঠে তিনি বলেন, 'যারা এই হামলা করেছে, তাদের কল্পনাতীত সাজা দেওয়া হবে। জঙ্গিদের খুঁজে খুঁজে বের করে উচিত শিক্ষা দেওয়া হবে।‘

এরপর চোয়াল শক্ত করে এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'যেভাবে মেরেছে, তাতে পুরো দেশ ব্যথিত। কোটি কোটি দেশবাসী আজ দুঃখে আছে। যাদের চিকিৎসা চলছে, তারা খুব তাড়াতাড়ি যাতে সুস্থ হয়ে যান, তার চেষ্টা সরকার করছে। এই সন্ত্রাসবাদী হামলায় কেউ ছেলে, কেউ ভাই, কেউ জীবনসঙ্গীকে হারিয়েছেন। তদের মধ্যে কেউ বাংলা বলতেন, কেউ কানাড়া, কেউ ওড়িয়া। কেউ ছিলেন মারাঠি, কেউ গুজরাটি তো কেউ বিহারের। তাদের মৃত্যুতে কার্গিল থেকে কন্যাকুমারী সব জায়গায়  দুঃখ ও আক্রোশ একই রকম।' 

তিনি বলেন, শত্রুরা দেশের আত্মায় হামলা চালানোর দুঃসাহস দেখিয়েছে। তাদের যোগ্য সাজা দেওয়া হবে, এমন সাজা যা তারা কল্পনাও করতে পারছে না। খুঁজে খুঁজে উচিত শিক্ষা দেওয়া হবে। 

এদিন তিনি সাফ জানিয়ে দেন, আতঙ্কবাদ বরদাস্ত করবে না কেন্দ্রীয় সরকার । দেশের বিরুদ্ধে আঘার হেনেছে যারা তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। শুধু তাই নয়, এমন ঘৃণ্য অপরাধে যারা মদত দিয়েছে তাদেরও ছেড়ে কথা বলা হবে না। মাটিয়ে মিশিয়ে দেওয়া হবে। ১৪০ কোটি ভারতীয়র ইচ্ছাশক্তি সন্ত্রাসদমন করবেই। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

দিনা

জম্মু-কাশ্মীরে এখনও সক্রিয় ১১৫ পাকিস্তানি জঙ্গি?

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:২১ পিএম
জম্মু-কাশ্মীরে এখনও সক্রিয় ১১৫ পাকিস্তানি জঙ্গি?
ছবি: সংগৃহীত

জম্মু-কাশ্মীরের পাহালগামের জঙ্গি হামলার ঘটনাপ্রবাহ যেন উগ্র দেশাত্মবোধক সিনেমার গল্পের মতোই এগোচ্ছে। ভারত এবং পাকিস্তান দুই পক্ষের একের পর জরুরি বৈঠক, চুক্তি বাতিল, সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে দেওয়া,ভিসা বাতিল, কূটনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করার মতো প্রতিশোধের পথে হাঁটছে ভারত। 

২৬ নাগরিক হত্যার প্রেক্ষিতে কূটনৈতিক, রাজনৈতিক ও সবার অলক্ষ্যে পরিচালিত সামরিক পদক্ষেপের পাশাপাশি ভারতের মূল টার্গেট এখন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটিতে আঘাত হানা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম গুলোর দাবি, পাহালগামের ঘটনার পরপরই পাক অধিকৃত কাশ্মীরের প্রায় ৪২-৪৫টি জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির ও ঘাঁটিকে নির্দিষ্ট করে ফেলেছে দেশের সেনাবাহিনী এবং গোয়েন্দা বিভাগ। যেখানে সক্রিয়ভাবে ভারত বিরোধী মগজ ধোলাই দিয়ে সামরিক প্রশিক্ষণের আদলে জঙ্গি প্রশিক্ষণের কাজ চলছে।

দেশটির গোয়েন্দা সূত্র জানায়, বেশ কয়েক মাস ধরে ভারতীয় গোয়েন্দারা এগুলোর উপর খুঁটিনাটি নজর রেখে চলেছে।
 
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানায় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল ও সেনানায়করা। পাহালগাম কাণ্ডের পর সীমান্তবর্তী এলাকায় নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করাও হয়। তাদের দাবি তারা এখন যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, এইসব ঘাঁটিগুলোতে আনুমানিক ১৫০-২০০ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জঙ্গি রয়েছে। তাদের দাবি এই জঙ্গিদের সীমান্ত পার হওয়ার কাজে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী সরাসরি সাহায্য করে। 

তাদের দাবি, জম্মু-কাশ্মীরে মুজাহিদ ব্যাটেলিয়ন ছাড়াও হিজবুল মুজাহিদিন, জয়েশ-ই-মহম্মদ এবং লস্কর-ই-তৈয়বার প্রায় ১১৫ পাকিস্তানি জঙ্গি এখনও সক্রিয় রয়েছে। তার মধ্যে ৭০-৭৫ পাকিস্তানি রয়েছে কাশ্মীর উপত্যকায় এবং ৬০-৬৫ জন রয়েছে জম্মু, রাজৌরি ও পুঞ্চ সেক্টরে।

পাহালগামে জঙ্গি হামলার পর নয়াদিল্লির শশব্যস্ততা প্রমাণ করে দিচ্ছে, হামলাকারীদের পরিকল্পনার  মুখে দেশটির নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সূত্র বোকা বনে গিয়েছে। সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে এবং বিজনেস টুডে

দিনা

প্রেমে ব্যর্থ হয়ে ধর্মের পথে পা বাড়ান পোপ ফ্রান্সিস!

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০২:২০ পিএম
প্রেমে ব্যর্থ হয়ে ধর্মের পথে পা বাড়ান পোপ ফ্রান্সিস!
প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিস। ছবি: সংগৃহীত

হোর্গে মারিও বারগোগ্লিও ছিলেন রসায়নের ছাত্র। ইতালিয় অভিবাসী রেলের কর্মী হোসে মারিও বারগোগ্লিও এবং গৃহিণী রেগিনা মারিয়া সিভোরি দম্পতির বড় সন্তান। পরিবারটি মুসোলিনির ফ্যাসিবাদী শাসনামলে পালিয়ে আর্জেন্টিনায় আশ্রয় নেয়।

খুবই সাধারণ পারিবারিক আবহে বড় হওয়া  হোর্গে বুয়েনস এইরেসের রামোস মেহিয়া শহরে স্কুল শিক্ষাজীবন শেষ করে পরবর্তীতে এসকেলা তেকনিকা নাসিওনাল (ন্যাশনাল টেকনিকাল স্কুল) থেকে রসায়ন প্রযুক্তিবিদ হিসেবে ডিপ্লোমা অর্জন করেন।

শিক্ষাজীবন শেষে বিভিন্ন পেশায় নিযুক্ত ছিলেন হোর্গে। খাদ্য পরীক্ষাগারে রসায়নবিদ থেকে নাইটক্লাবের নিরাপত্তারক্ষী ও ঝাড়ুদার হিসেবেও কাজের অভিজ্ঞতা আছে তার। 

শৈশবে আমালিয়া দামোন্তে নামের এক কিশোরীর প্রতি একসময় আকৃষ্ট হয়ে পড়েন। ১২ বছর বয়সেই আমালিয়াকে নিয়ে সংসার গড়ার পরিকল্পনাও করেন। এমনিকি তিনি সেসময় এই কিশোড়িকে চিঠি লিখে হুমকি দেন , ‘যদি তুমি আমাকে বিয়ে না কর, তাহলে আমি ধর্মযাজক হয়ে যাব।’

যদিও সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। এই চিঠি পড়ে আমালিয়ার বাবা-মায়ের হাতে এবং তারা এই সম্পর্ক মেনে নেননি। প্রেমে ব্যর্থ হওয়ার পর নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকেন হোর্গে বারগোগ্লিও। ধর্মযাজক হওয়ার পথই বেছে নেন তিনি। তবে যাজক হওয়ার প্রশিক্ষণকালে আরও একবার প্রেমে পড়েন পরবর্তী জীবনে সর্বজন সমাদৃত এই ধর্মীয় নেতা।

এ বিষয়ে ২০১৪ সালে তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমি যখন সেমিনারিতে ধর্মযাজক হওয়ার প্রশিক্ষণে ছিলাম, বয়স ২২ কি ২৩ হবে, তখন একটি মেয়ে আমার মাথা ঘুরিয়ে দেয়। তার আকর্ষণ এতই তীব্র ছিল যে, আমি প্রশিক্ষণে মন বসাতে পারতাম না। শেষমেষ আমাকে এই জটিলতা থেকে পরিত্রাণ পেতে কনফেসরের (ধর্মীয় উপদেষ্টা) কাছে যেতে হয়।’

এ বিষয়ে মজা করে তিনি বলেন, তবে সেই প্রেম টিকেছিল মাত্র এক সপ্তাহ। কনফেসরের উপদেশ মাথায় নিয়ে আবার ঈশ্বরের সাধনায় মনোনিবেশ করেন তিনি।

আরও একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনার কথাও তিনি একবার উল্লেখ করেন। ২০১০ সালে এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ট্যাঙ্গো নাচার সময় বন্ধুদের মধ্যে একটি মেয়ে ছিল, যার প্রতি তিনি টান অনুভব করেন। তবে মূলত সেই সময়েই তিনি নিজের মধ্যে ঈশ্বরের আহ্বান আবিষ্কার করেন বলে জানান।

হোর্গে বার্গোগ্লিওর প্রেমের অভিজ্ঞতাগুলো তার জীবনে গভীর প্রভাব ফেলে। আমালিয়া দামোন্তের সঙ্গে শৈশবের প্রেম এবং যৌবনে সেমিনারিতে ওই মেয়েটির প্রতি আকর্ষণ তাকে মানুষের সম্পর্ক ও ভালোবাসার জটিলতা সম্পর্কে শেখায়। এই অভিজ্ঞতাগুলো তার ধর্মীয় আহ্বানকে আরও দৃঢ় করে তোলে। তিনি বুঝতে পারেন যে, জীবনের উদ্দেশ্য হলো ঈশ্বরের সেবা করা এবং মানুষের মাঝে তার বাণী পৌঁছে দেওয়া।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘প্রেম ব্যর্থ হলে সেই ব্যর্থতার বেদনা অনুভব করতে হয়। যারা ছেড়ে গেল, তাদের নিন্দা করা উচিত নয়। বরং তাদের মতো নতুন করে জীবনের পথ আবিষ্কার ও সুযোগ হলে তাদের পাশে দাঁড়ানো উচিত।’

ধর্মের পথে যাত্রা

১৯৫৩ সালে ১৭ বছর বয়সে ফ্লোরেসের একটি গির্জায় কনফেশনের (পাপ স্বীকারের) জন্য যান হোর্গে। সময়টি ছিল গাউদেতে সানডে, অ্যাডভেন্টের তৃতীয় রবিবার; খ্রিস্টানরা দিনটিকে আনন্দের দিন হিসেবে পালন করে থাকেন।

গির্জায় একজন যাজক কিশোর হোর্গেকে এমন আন্তরিকতার সঙ্গে স্বাগত জানান, যাতে তার হৃদয় আন্দোলিত হয়। সেই যাজকের সঙ্গে ধীরে ধীরে তার সম্পর্ক বাড়তে থাকে। যাজকের সঙ্গে আলাপচারিতার মধ্য দিয়ে তার জীবনে আধ্যাত্মিক জাগরণ ঘটে। তিনি অনুভব করেন যে, ঈশ্বর তাকে ডাকছেন।

১৯৫৮ সালে ২১ বছর বয়সে তিনি জেসুইট সোসাইটি অফ জিসাসে যোগ দেন। এ বিষয়ে তার বক্তব্য ছিল, জেসুইটরা গির্জার সামনের সারিতে কাজ করেন। তারা কঠোর শৃঙ্খলার মধ্যে জীবনযাপন করেন এবং মিশনারি কাজ তাদের জীবনের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।

এরপর ১৯৬৯ সালের ১৩ ডিসেম্বর ৩৩ বছর বয়সে যাজক হিসেবে অভিষিক্ত হন হোর্গে বার্গোগ্লিও। আর্জেন্টিনার কর্দোবার আর্চবিশপ রামন হোসে কাস্তেয়ানোর মাধ্যমে তিনি অভিষিক্ত হন।

এরপর ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত আর্জেন্টিনায় জেসুইটদের প্রাদেশিক প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এসময় আর্জেন্টিনায় ‘ডার্টি ওয়ার’ বা নোংরা যুদ্ধ হিসেবে পরিচিত  সামরিক শাসন চলছিল।

১৯৯২ সালে তিনি বুয়েনস এইরেসের সহকারী বিশপ নিযুক্ত হন। ১৯৯৮ সালে হন আর্চবিশপ। এরপর ২০০১ সালে পোপ দ্বিতীয় জন পল তাকে কার্ডিনাল পদে উন্নীত করেন।

আর্চবিশপ হিসেবে বুয়েনস এইরেসের বস্তিবাসীদের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেন হোর্গে। সাধারণ জীবনযাপন, বাসে চলাফেরা ও নিজের খাবার রান্না করার মতো কর্মকাণ্ডে সাধারণ মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিতে বেশি সময় লাগে না তার। ‘বস্তির বিশপ'  হিসেবে এ সময় পরিচিত হয়ে ওঠেন তিনি।

পোপ হিসেবে অভিষেক 

২০১৩ সালে তৎকালীন পোপ ষোড়শ বেনেডিক্ট পদ ছেড়ে দিলে সে বছরের ১৩ মার্চ নতুন পোপ নির্বাচিত হন বার্গোগ্লিও। পোপ হিসেবে অভিষেকের পর নতুন নাম গ্রহণ করেন হোর্গে- পোপ ফ্রান্সিস। ইতালির আসিসির সেন্ট ফ্রান্সিসের সম্মানে তিনি এই নাম গ্রহণ করেন। 

 

হামাসকে ‘কুকুরের বাচ্চা’ বললেন প্রেসিডেন্ট আব্বাস!

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০১:০৪ পিএম
আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০১:১১ পিএম
হামাসকে ‘কুকুরের বাচ্চা’ বললেন প্রেসিডেন্ট আব্বাস!
ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের (পিএ) প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এক বক্তব্যে হামাসকে ‘কুকুরের বাচ্চা’বলে অভিহিত করেছেন। এছাড়াও তিনি অবশিষ্ট ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি এবং গোষ্ঠীটির নিরস্ত্রীকরণ করে গাজার নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তরের দাবি জানান।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) সিএনএন এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় ।

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর এই অভূতপূর্ব মন্তব্য সম্ভবত হামাসের প্রতি আব্বাসের সবচেয়ে তীব্র প্রকাশ্য সমালোচনা।

এদিকে প্রেসিডেন্ট আব্বাসের এই মন্তব্যের পর হামাসের একজন কর্মকর্তা এ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানান। হামাসের রাজনৈতিক শাখার সদস্য বাসেম নাইম বলেন, তিনি (মাহমুদ আব্বাস) নিজের লোকদের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশের প্রতি অবমাননাকর ভাষা’ ব্যবহার করেছেন।

মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বর্তমানে পশ্চিম তীরের একাংশ শাসন করছে। কিন্তু ২০০৭ সালে গাজার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় হামাস। তার আগে হামাস সেখানে নির্বাচনে জয়ী হয়। 

সাম্প্রতিক সময়ে মাহমুদ আব্বাস বলছেন, ‘হামাসকে গাজার নিয়ন্ত্রণ ও তাদের হাতে থাকা অস্ত্র হস্তান্তর করে নিজেদের রাজনৈতিক দলে রূপান্তর করতে হবে।' তিনি আরও বলেন, ‘হামাস ইসরায়েলের হাতে অপরাধমূলক দখলদারিত্বের অজুহাত তুলে দিয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো জিম্মি ধরে রাখা।'

হামাসকে উদ্দেশ করে তিনি আরও বলেন, ‘কুকুরের বাচ্চারা, যাদের আটকে রেখেছো তাদের ছেড়ে দাও। আর তাদের সুযোগ দেওয়া বন্ধ করে আমাদের মুক্তি দাও।'  সূত্র: সিএনএন

দিনা