ঢাকা ৪ বৈশাখ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২

কমলা-হিলারির নিরাপত্তা ছাড়পত্র বাতিল করলেন ট্রাম্প

প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৫, ০৩:৪০ পিএম
আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০৮:৪৮ এএম
কমলা-হিলারির নিরাপত্তা ছাড়পত্র বাতিল করলেন ট্রাম্প
কমলা হ্যারিস ও হিলারি ক্লিনটন। ছবি: সংগৃহীত

কমলা হ্যারিস, হিলারি ক্লিনটন এবং আরও বেশ কয়েকজন শীর্ষ সাবেক কর্মকর্তার নিরাপত্তা ছাড়পত্র বাতিল করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

শুক্রবার (২১ মার্চ) স্থানীয় সময় রাতে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোকে পাঠানো এক মেমোতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই নির্দেশনা দেন।

এ বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, জাতীয় স্বার্থে নিম্নলিখিত ব্যক্তিদের গোপন তথ্যে প্রবেশাধিকার আর দেওয়া হবে না।’

উল্লেখ্য যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্টরা এবং শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তারা সাধারণত নিরাপত্তা ছাড়পত্র পায়।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন, সাবেক রিপাবলিকান আইন প্রণেতা লিজ চেনি, অ্যাডাম কিনজিঙ্গারও এই নিরাপত্তা ছাড়পত্র হারানোদের তালিকায় রয়েছেন। একই সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের সাবেক রাশিয়ানবিষয়ক উপদেষ্টা ফিওনা হিলও এই তালিকায় রয়েছেন।

এই তালিকায় অন্যরা হলেন জ্যাক সুলিভান, লিসা মোনাকো, মার্ক জাইদ, নরম্যান আইসেন, লেটিশিয়া জেমস, অ্যালভিন ব্র্যাগ, অ্যান্ড্রু ওয়েইসম্যান এবং আলেকজান্ডার ভিন্ডম্যান।

এর আগে ট্রাম্প ২০২০ সালের নির্বাচনে বাইডেনের পক্ষে হস্তক্ষেপের অভিযোগে চার ডজনেরও বেশি সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তার নিরাপত্তা ছাড়পত্র প্রত্যাহার করেছিলেন।

২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বাইডেন ট্রাম্পের আচরণকে অস্থির প্রকৃতির উল্লেখ করে তাকে গোয়েন্দা ব্রিফিংয়ে প্রবেশাধিকার থেকে বিরত রেখেছিলেন। সূত্র: বিবিসি

সুমন/

ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৪৩ পিএম
ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ
আদালতের আদেশ অমান্য করে একাধিক অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত করার কারণে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ দায়ের হতে পারে বলে সতর্ক করেন ওয়াশিংটন ডিসি জেলা বিচারক জেমস বোয়াসবার্গ। ছবি: সংগৃহীত

দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সরকারি বিভিন্ন অঙ্গ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের দ্বন্দ্ব কেবলই ঘনীভূত হচ্ছে। 

আদালতের আদেশ অমান্য করে একাধিক অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত করার কারণে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ দায়ের হতে পারে বলে বুধবার (১৬ এপ্রিল) সতর্ক করেছেন ওয়াশিংটন ডিসি জেলা বিচারক জেমস বোয়াসবার্গ। 

এই প্রথমবার ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন কোনও বিচারক।

বৃহস্পতিবার ( ১৭ এপ্রিল) ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এই খবর জানায়।

বোয়াসবার্গ এক লিখিত রায়ে জানান, বিদেশি শত্রু আইন, ১৭৯৮ ব্যবহার করে অভিবাসীদের বিতাড়ন স্থগিত রাখতে আদেশ দেয় আদালত। কিন্তু সরকারি কর্মকর্তারা ইচ্ছাকৃতভাবে তা অগ্রাহ্য করেছ, যা ফৌজদারি অপরাধের তালিকাভুক্ত।

ইচ্ছাকৃতভাবে আদালতের আদেশ অগ্রাহ্য করার প্রমাণস্বরূপ এক্স হ্যান্ডেলের একটু টুইট সংযুক্ত করেন তিনি। অভিবাসীদের বিতাড়নের পর এল সালভাদরের প্রেসিডেন্ট নায়িব বুকেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটা পোস্ট দেন, যেটাতে বোয়াসবার্গের স্থগিতাদেশটি সংযুক্ত ছিল। বুকেলে সেখানে কটাক্ষ করে লিখেন, আহ! দেরি হয়ে গেল ।

এমনকি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও নিজের প্রোফাইল থেকে এই স্ট্যাটাস শেয়ার করেন। এই পোস্টের কথা উল্লেখ করে বোয়াসবার্গ লিখেন, আদালতের রায় অগ্রাহ্য করে সেটা আবার উল্লাসের সঙ্গে প্রচার করেন তারা।

১৭৯৮ সালের বিদেশি শত্রু আইন ব্যবহার করে গত মাসে একাধিক ব্যক্তিকে এল সাল্ভাদরের কারাগারে পাঠিয়ে দেয় ট্রাম্প প্রশাসন। তাদের বিরুদ্ধে অপরাধচক্রে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়। বিতাড়িতরা মার্কিন আইন অনুযায়ী আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনও সুযোগই পায়নি। 

এদিকে, অনেক বিতাড়িত ব্যক্তির স্বজনদের দাবি, তারা কেউই অপরাধচক্রে জড়িত নন।

এদিকে ট্রাম্প প্রশাসনের সম্মান বাঁচানোর পথও বাতলে দিয়েছেন বোয়াসবার্গ নিজেই। তিনি বলেন, আদেশ মান্য করলে এখনও অবমাননার অভিযোগ এড়াতে পারে ট্রাম্প প্রশাসন। আর এজন্য বিতাড়িত অভিবাসীদের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য আদালতে দাঁড়ানোর সুযোগ দিতে হবে। প্রশাসনকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন বোয়াসবার্গ। 

ট্রাম্প প্রশাসনের বিভিন্ন নীতিকে চ্যালেঞ্জ করে এখন পর্যন্ত দেড় শতাধিক মামলা ঠোকা হয়েছে। ডেমোক্র্যাট ও অনেক আইন বিশেষজ্ঞের অভিযোগ, আদালতের রায় নিজেদের পক্ষে না গেলেই বিভিন্ন ছুতায় কালক্ষেপণ করছেন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। এভাবে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার প্রতি তারা অবজ্ঞা প্রকাশ করছেন। সূত্র: রয়টার্স 

দিনা/

 

আল-শারার মাধ্যমে ইসরায়েল-সিরিয়া সুসম্পর্কের গোপন প্রতিশ্রুতি!

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৩৩ পিএম
আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২৫ পিএম
আল-শারার মাধ্যমে ইসরায়েল-সিরিয়া সুসম্পর্কের গোপন প্রতিশ্রুতি!
সাবেক ব্রিটিশ কূটনীতিক ক্রেইগ মারে দাবি করেছেন ,ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে গোপনে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা। ছবি : সংগৃহীত

সাবেক ব্রিটিশ কূটনীতিক ক্রেইগ মারে দাবি করেছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে গোপনে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা। এই কূটনীতিকের দাবি, আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি নামে পরিচিত আল-শারা যুক্তরাজ্যকে এই প্রতিশ্রুতি দেন।

গত ১৩ এপ্রিল সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটরের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সাবেক ব্রিটিশ কূটনীতিক ক্রেইগ মারে দাবি করেন, সিরিয়ান প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা ব্যক্তিগতভাবে যুক্তরাজ্যকে আশ্বাস দেন যে, সিরিয়া ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে।

ক্রেইগ মারে জানান, ২০২৬ সালের শেষ নাগাদ সিরিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে দখলদার রাষ্ট্রটিকে স্বীকৃতি দেবে এবং রাষ্ট্রদূত বিনিময় করবে।

মারে বলেন, ‘হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) গোষ্ঠীর নেতা আবু মোহাম্মদ আল-জোলানির এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হলো পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে বড় অঙ্কের আর্থিক সহায়তা আনা এবং সিরিয়ার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা।’

সাবেক এই ব্রিটিশ কূটনীতিক আরও বলেন, ‘আমি জিজ্ঞাসা করেছি যে, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর সিরিয়া থেকে প্রত্যাহার এই চুক্তির অংশ কি না? আশ্চর্যের বিষয় হলো, কোনো পক্ষই বিষয়টি উত্থাপন করেনি। যুক্তরাজ্য এটিকে সিরিয়া ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি দ্বিপক্ষীয় বিষয় হিসেবে দেখে। আল-জোলানিও ইসরায়েলি প্রত্যাহারকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন বলে মনে হয় না।’

ক্রেইগ মারে আরও উল্লেখ করেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের ডিরেক্টরেট জেনারেল ফর ইন্টারন্যাশনাল পার্টনারশিপ বিশ্বাস করে, আল-জোলানির অন্তর্বর্তী সরকারের অবস্থান গত ১৭ মার্চ ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত ইইউ প্লেজিং কনফারেন্সে দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলোর সঙ্গে সংগতিপূর্ণ।

এই প্রতিশ্রুতিগুলোর মধ্যে রয়েছে আলভি ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়কে সরকারে অন্তর্ভুক্ত করা এবং নারীদের মন্ত্রী পদে নিয়োগ দেওয়া। তবে মন্ত্রিসভা মূলত আল-জোলানির অনুসারী নিয়ন্ত্রিত। কারণ, তারাই প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র, অর্থ ও স্বরাষ্ট্রের মতো প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণ করছে।

সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের মন্ত্রিসভায় ২৪ জন মন্ত্রীর মধ্যে মাত্র তিনজন সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করেন এবং মাত্র একজন নারী। এ ছাড়া একজন কুর্দি, একজন আলভি ও একজন দ্রুজ আছেন। 

ব্রাসেলসের এই সম্মেলনে সিরিয়ার জন্য সাড়ে ৫ মিলিয়ন ইউরো ঋণ ও অনুদান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়, যার অর্ধেক সরাসরি ইইউ থেকে আসবে।

মারে অভিযোগ করেন, আল-জোলানি সিরিয়ায় কর্মরত ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই-৬ ও যুক্তরাজ্যের বিশেষ বাহিনীর সমর্থন পাচ্ছেন। 

তিনি মনে করেন, পশ্চিমা পৃষ্ঠপোষকদের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো আল-জোলানির ইসরায়েলপন্থি সরকারের অধীনে ক্ষমতা সুসংহত করা এবং পরে হায়াত তাহরির শামের মধ্যে থাকা আরও উগ্রপন্থি গোষ্ঠীগুলোকে দমন করা। সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর

দিনা/অমিয়/

ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৩৪ ফিলিস্তিনি

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ পিএম
ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৩৪ ফিলিস্তিনি
ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে আরও ৩৪ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আহত হন আরও প্রায় একশতাধিক। নিহতের মোট সংখ্যা ইতোমধ্যেই ৫১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

যুদ্ধবিরতি স্থির করে ১৮ মার্চ গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে ১৬৫০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হন। 

বুধবার (১৬ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা আনাদোলু এজেন্সি।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, গাজা উপত্যকায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে আরও ৩৫ ফিলিস্তিনি নিহত হন। যার ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের গণহত্যামূলক আগ্রাসনে ভূখণ্ডটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫১ হাজার ২৫ জনে পৌঁছেছে বলে জানায় গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি আক্রমণে আহত হওয়া আরও ৮৯ জনকে গাজার বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়। সংঘাতের শুরু থেকে আহতের সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ১৬ হাজার ৪৩২ জনে পৌঁছে। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারেননি।

দীর্ঘ ১৫ মাস সামরিক অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল। তারপর প্রায় দু’মাস গাজায় কম-বেশি শান্তি বজায় ছিল; কিন্তু গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে হামাসের সাথে মতবিরোধের জেরে মার্চ মাসের তৃতীয় গত সপ্তাহ থেকে আবার গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় নতুন করে শুরু হওয়া ইসরায়েলি বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৬৫২ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও প্রায় ৪ হাজার ৪০০ জন আহত হন। 

জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হন। এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি 

দিনা/

গাজা ফিলিস্তিনিদেরই, ইসরায়েলকে সতর্কবার্তা জার্মানির

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১০:০০ এএম
আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৩৬ এএম
গাজা ফিলিস্তিনিদেরই, ইসরায়েলকে সতর্কবার্তা জার্মানির
ছবি: সংগৃহীত

গাজা ফিলিস্তিনিদেরই- দ্ব্যর্থ কন্ঠে একথা জানিয়ে গাজা ভূখণ্ড স্থায়ীভাবে দখলের বিষয়ে ইসরায়েলকে সতর্ক করেছে জার্মানি।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ গাজার তথাকথিত নিরাপত্তা অঞ্চলে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থানের কথা বলার পর ইসরায়েলকে এভাবেই সতর্ক করে দিলো জার্মানি।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা আনাদোলু অ্যাজেন্সি।

বার্তাসংস্থাটি জানায়, গাজা নিয়ে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজের সাম্প্রতিক ঘোষণার পর জার্মানি সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়ে জানায়, তারা গাজার স্থায়ী দখল মেনে নেবে না।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) বার্লিনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ক্রিশ্চিয়ান ওয়াগনার বলেন, ‘গাজা ফিলিস্তিনিদের অঞ্চল এবং জার্মান সরকার গাজার স্থায়ী দখল ও ফিলিস্তিনিদের স্থায়ীভাবে সেখান থেকে বিতাড়নের কৌশলকে স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করে।‘

তিনি আরও বলেন, ‘জার্মান পররাষ্ট্রনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হলো মধ্যপ্রাচ্যে আলোচনার মাধ্যমে দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানে পৌঁছানো, যাতে ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলিরা পৃথক দুটি রাষ্ট্রে শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থানে বসবাস করতে পারে।‘

এর আগে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ ঘোষণা করেন, ‘গাজার নিরাপত্তা অঞ্চলে’ ইসরায়েলি সেনারা অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান করবে, যা হবে ‘শত্রু এবং ইসরায়েলি বসতিগুলোর মাঝে বাফার জোন।‘

তিনি আরও জানান, সেনাবাহিনী এবার আগের মতো দখল করা এলাকা ছেড়ে যাচ্ছে না। বরং, উত্তর গাজায় বাফার জোন আরও সম্প্রসারণ করা হয়, যেখানে লাখো ফিলিস্তিনিকে উচ্ছেদ করে এই অঞ্চলকে ইসরায়েলি ‘নিরাপত্তা অঞ্চল’-এ পরিণত করা হয়।

কাটজ বলেন, এই পদক্ষেপগুলো মূলত হামাসকে চাপে রাখার কৌশলের অংশ, যাতে তারা বন্দিমুক্তির চুক্তি মেনে নিতে বাধ্য হয়। তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, যতক্ষণ হামাস ইসরায়েলের শর্ত মানবে না, ততক্ষণ ইসরায়েলি সেনা অভিযান চলতেই থাকবে এবং হামাসের কার্যক্রম ও অবকাঠামো ধ্বংস করা হবে।

সম্প্রতি, ইসরায়েলি বাহিনী গাজার উত্তরে বেইত লাহিয়া, বেইত হনুন, ও জাবালিয়ায় এবং দক্ষিণের রাফাহ শহর ও খান ইউনুসের কিছু অংশ থেকে মানুষকে জোরপূর্বক সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। ১২ এপ্রিল আইডিএফ ঘোষণা করে, তারা রাফাহ শহর ঘিরে ফেলে শহরটিকে খান ইউনুস থেকে বিচ্ছিন্ন করতে ‘মোরাগ করিডোর’ তৈরি করেছে। সূত্র: আনাদোলূ অ্যাজেন্সি

দিনা/অমিয়/

শুল্কের মধ্যেও চীনের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৫৬ এএম
শুল্কের মধ্যেও চীনের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি
শুল্কের মধ্যেও চীনের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি। ছবি: সংগৃহীত

চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে চীনের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ। দেশটির পরিসংখ্যান সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে। এমন একটি সময় দেশটির পক্ষ থেকে এ খবর এল যখন যুক্তরাষ্ট্র তাদের ওপর ব্যাপক শুল্ক আরোপ করছে এবং রপ্তানিকারকরা শুল্কের রেশ সহ্য করার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) চীনের পরিসংখ্যান ব্যুরো জানায়, শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ছয় দশমিক ৫ শতাংশ, সেবা খাত ৫ দশমিক ৩ শতাংশ। খুচরা বিক্রি ও কৃষি খাত বেড়েছে যথাক্রমে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ ও ৪ শতাংশ।

পরিসংখ্যান ব্যুরো চীনের পরিস্থিতি প্রসঙ্গে লিখেছে, জাতীয় অর্থনীতির ভালো সূচনা হয়েছে এবং নতুন ও ইতিবাচক মুহূর্তের মাধ্যমে উচ্চ-মানসম্পন্ন উন্নয়নের দিকে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও চীন বর্তমানে একে অন্যের ওপর শুল্ক আরোপ করছে। এতে করে বড় মাপে বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ার শঙ্কাও দেখা দিয়েছে। এ রকমটি হলে বৈশ্বিক অর্থনীতির ভিত্তি নড়ে উঠতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন অনেকে।

হংকংয়ের বিনিয়োগ ও ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান ন্যাটিক্সিসের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের মুখ্য অর্থনীতিবিদ অ্যালিসিয়া গারসিয়া-হেরেরো বলেন, ‘তারা মূলত অত্যন্ত ইতিবাচক রপ্তানির ওপর ভিত্তি করে। ফলে আরও প্রতিকূল দ্বিতীয় প্রান্তিক দেখা দিতে পারে বলে ধরে নিতে পারেন।’

ট্রাম্প চীনের ওপর ১৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। পাশাপাশি সেমিকন্ডাক্টর ও গুরুত্বপূর্ণ খনিজসহ দেশটির বড় বড় রপ্তানির ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের প্রতিক্রিয়ায় চীনও পাল্টা ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। দেশটি বলেছে, ওয়াশিংটনের সঙ্গে এই শুল্ক নিয়ে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবে তারা।

আইএনজির চীনবিষয়ক মুখ্য অর্থনীতিবিদ লিন সং বলেন, বেইজিং নিজেদের ২০২৫ সালের প্রায় ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঠিক রাখতে আগামীতে আরও আর্থিক ও রাজস্ববিষয়ক প্রণোদনা সামনে নিয়ে আসতে পারে। সূত্র: আল-জাজিরা