ঢাকা ৩ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
English

রাজপুত হত্যাকাণ্ডের ময়নাতদন্ত প্রকাশ, ভয়াবহ নৃশংসতার প্রমাণ

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১০:৩৩ এএম
আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১১:০২ এএম
রাজপুত হত্যাকাণ্ডের ময়নাতদন্ত প্রকাশ, ভয়াবহ নৃশংসতার প্রমাণ
মার্চেন্ট নেভি অফিসার সৌরভ রাজপুতের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত সাহিল শুক্লাকে ১৯ মার্চ আদালতে হাজির করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের সাবেক মার্চেন্ট নেভি কর্মকর্তা সৌরভ রাজপুতের দেহের ময়নাতদন্তের রিপোট প্রকাশ করা হয়েছে।

রিপোর্টে বলা হয়, তার মাথা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল। উভয় হাতের কব্জি থেকে কেটে ফেলা হয় এবং তার পা পিছনের দিকে বাঁকানো ছিল।

তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে শক এবং অতিরিক্ত রক্তপাতের কথা উল্লেখ করা হয়।

ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকরা জানান, ময়নাতদন্তে মিরাট হত্যাকাণ্ডের ভয়াবহ নৃশংসতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। হত্যার আগে রাজপুতের হৃদপিণ্ডে তিন বার অত্যন্ত জোরে ছুরিকাঘাত করা হয়। যা একটি সহিংস আক্রমণ।
 
অভিযোগ রয়েছে, এই কর্মকর্তার স্ত্রী মুসকান রাস্তোগি এবং তার প্রেমিক সাহিল শুক্লা ৪ মার্চ রাজপুতকে মাদকাসক্ত করে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন। এরপর তার দেহ টুকরো টুকরো করে সিমেন্ট দিয়ে একটি ড্রামে সিল করে মুসকান এবং সাহিল হিমাচল প্রদেশে ছুটি কাটাতে চলে যান।

তারপর অপরাধ ধামাচাপা দিতে রাজপুতের ফোন থেকে বার্তা পাঠিয়ে তার পরিবারকে বিভ্রান্ত করেন। ১৮ মার্চ রাজপুতের পরিবার তার নিখোঁজ হওয়ার খবর পুলিশকে জানালে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা প্রকাশ পায়। পরে মুসকান এবং সাহিলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অপরাধ গোপন করার জন্য তারা মরদেহ রাখা ড্রামটি সিমেন্ট দিয়ে ভরাট করে দেয়। পুলিশ ড্রামটি উদ্ধার করে সিমেন্ট সরিয়ে রাজপুতের দেহাবশেষ বের করে। সূত্র: দ্য হিন্দু এবং ইন্ডিয়া টুডে

> ভারতের মার্চেন্ট নেভি অফিসার হত্যাকাণ্ডে কালো জাদু রহস্য!

দিনা/অমিয়/

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে জনগণ: যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১১:১৩ এএম
আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪২ এএম
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে জনগণ: যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ বাংলাদেশি জনগণের মাধ্যমেই নির্ধারিত হবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস।

বুধবার ( ১৬ এপ্রিল ) এএনআই এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।

তিনি আরও বলেন, দেশটি অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। দেশটির মানুষের কর্মকাণ্ডই ঠিক করবে তারা কীভাবে এই সমস্যা ও চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করবে।

এদিনের ব্রিফিংয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে ও যুক্তরাজ্যের সাবেক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি নিয়েও কথা বলেন তিনি।

টিউলিপের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়টিকে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের এখতিয়ার বলে অভিহিত করেন ট্যামি ব্রুস।

এ সময় এক সাংবাদিক বাংলাদেশে সাম্প্রতিক প্রতিবাদ-বিক্ষোভ ও বিভিন্ন দোকান ও ব্র্যান্ডে হামলার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করেন। তিনি দাবি করেন, ‘বাংলাদেশে সম্প্রতি উগ্র ইসলামপন্থি সন্ত্রাসবাদের আশঙ্কাজনক বৃদ্ধির বিষয়ে একাধিক রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। দুই সপ্তাহ আগে দ্য নিউইয়র্ক টাইমস-এও এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

সেই রিপোর্টে বলা হয়, ড. ইউনূস সরকারের শাসনামলে বাংলাদেশে ইসলামি চরমপন্থার উত্থান ঘটেছে। প্রতিবাদকারীরা প্রকাশ্যে ওসামা বিন লাদেনের ছবি প্রদর্শন করছে, এমনকি নাৎসি প্রতীক দেখা গেছে- তাও প্রকাশ্যে সেটি তুলে ধরা হয়।

এছাড়া মার্কিন ব্র্যান্ড যেমন কেএফসি ও কোকাকোলাকে লক্ষ্য করে ইহুদি-বিরোধী (অ্যান্টিসেমিটিক) প্রচার চালানো হয়। অভিযোগ উঠেছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু উপদেষ্টা বা ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরা এসব উত্তেজনা উসকে দিচ্ছেন।'

এসব কথার জবাবে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, আমি আপনার বক্তব্য শুনেছি এবং আপনার উদ্বেগের প্রশংসা করি। বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ এবং দেশটির কিছু বিশেষ চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এই দেশ নিয়ে আমরা আগেও বহুবার আলোচনা করেছি, বিশেষ করে এখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের মাধ্যমে।'

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে একটি বিষয় উল্লেখ করতে চাই, তা হলো- ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাংলাদেশের আদালতের তরফ থেকে জারি করা হয়েছে। অবশ্যই, এই সমস্ত বিষয় এবং আপনি যা আলোচনা করছেন - এমনকি প্রতিবাদ ইত্যাদি - বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষেরই বিষয়, এবং অবশ্যই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং আলোচনা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।'

এরপর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই মুখপাত্র জোর দিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবেন সেখানকার জনগণ। তারা অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন- যেমনটা আপনারা উল্লেখ করেছেন এবং আমরা বিভিন্ন রিপোর্টেও দেখেছি। নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি এখানে এটাকে তুচ্ছ বলে উল্লেখ করতে চাই না, কিন্তু এটা সত্যি।'

ট্যামি ব্রুস আরও বলেন, গণতন্ত্রও গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের কর্মকাণ্ডই ঠিক করবে তারা কীভাবে এই সমস্যার মোকাবিলা করবে। গত ২০-২৫ বছর ধরে আমরা দেখেছি, ভুল সিদ্ধান্ত কীভাবে জনগণের জীবন ধ্বংস করে দিতে পারে। কাজেই অনেক দেশের সামনে এখন স্পষ্ট পথ রয়েছে- তারা বিকল্প হিসেবে কি বেছে নেবে। সূত্র: এএনআই

দিনা/অমিয়/

ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেল কিম জং উনের ‘পবিত্র’ পর্বত

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১০:১৬ এএম
আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২৪ এএম
ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেল কিম জং উনের ‘পবিত্র’ পর্বত
উত্তর কোরিয়ার মানুষের কাছে একটি জাতীয় তীর্থক্ষেত্র মাউন্ট পায়েকতু পর্বত। এমনকী কিম জং উন নানা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার আগে এই পায়েকতু সফর করেন। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বের সবচেয়ে গোপন দেশের কড়া পাহারার সামরিক চৌকির পাহাড়ি রাস্তার শেষ প্রান্তে হুংকার দিচ্ছে একটি আগ্নেয়গিরি। সাথে বিস্তার করে আছে আগ্নেয়গিরির কোলঘেষা গভীর হ্রদ। উ.কোরিয়া এবং চীন সীমান্তে অবস্থিত সক্রিয় এই আগ্নেয়গিরির মাউন্ট পায়েকতু হল কোরীয় উপদ্বীপের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ। 

যে উপাখ্যানের মধ্য দিয়ে উত্তর কোরিয়া প্রতিষ্ঠার বর্ণনা করা হয়, তার কেন্দ্রস্থলে রয়েছে এই পর্বতের নাম। ইতিহাস, পৌরাণিক কাহিনি ও রাষ্ট্রীয় প্রতীকে গুরুত্বপূর্ণ এই পর্বতটিকে সম্প্রতি ইউনেস্কোর গ্লোবাল জিওপার্ক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এবারই প্রথম উ.কোরিয়ার প্রাকৃতিক কোনো স্থান এই সম্মানে ভূষিত হলো।

দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা ইয়োনহাপের বরাতে মঙ্গলবার( ১৫ এপ্রিল) সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানায়, ইউনেস্কোর নির্বাহী বোর্ড গত ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই স্বীকৃতি দেয়। এ সময় পায়েকতু পর্বতের অসাধারণ প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য—বিশেষ করে আগ্নেয়গিরির ইতিহাস, হিমবাহঘটিত উপত্যকা ও ভূতাত্ত্বিক গঠনের কথা উঠে আসে।

পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, পায়েকতু ছিল প্রথম কোরীয় রাজ্য প্রতিষ্ঠাতা ডানগুনের জন্মস্থান। উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল সুং ১৯৪০-এর দশকে জাপানি দখলদারদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে এই পর্বতের আশপাশেই লুকিয়ে ছিলেন। এমনকি তার পুত্র কিম জং ইল-এর জন্মও এই পর্বতের কাছে একটি কুটিরে হয় বলে প্রচার করে উত্তর কোরিয়া। যদিও ঐতিহাসিক প্রমাণ অনুযায়ী ধারণা করা হয়, তিনি সম্ভবত রাশিয়ায় জন্ম নেন।

এই পর্বত কিম পরিবারকে ঘিরে গড়ে উঠা ‘পায়েকতু রক্তরেখা’র প্রতীক। রাষ্ট্রীয়ভাবে এই রক্তরেখাকে মহৎ, বীরত্বপূর্ণ ও বিশুদ্ধ জাতির প্রতীক হিসেবে মান্য করা হয়। এ কারণে পায়েকতু শুধু একটি পর্বত নয়, এটি উত্তর কোরিয়ার মানুষের কাছে একটি জাতীয় তীর্থক্ষেত্র। এই পর্বতের ছবি জাতীয় প্রতীকে, রকেট, বিদ্যুৎকেন্দ্র এমনকি দেশের নামেও ব্যবহৃত হয়।

২০১৭ সালে একজন পশ্চিমা সাংবাদিকের ধারণকরা ভিডিওতে দেখা যায়—পাহাড়ি বাতাস আর হ্রদের ধারে দাঁড়িয়ে থাকা তীর্থযাত্রীদের মধ্যে কেউ কেউ আবেগে কাঁদছেন।

কিম জং উন নানা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার আগে পায়েকতু সফর করেন—যেমন তার চাচা জ্যাং সং থায়েকের মৃত্যুদণ্ড কিংবা ২০১৬ সালের পারমাণবিক পরীক্ষার আগেও তিনি এমনটি করেন। এমনকি ২০১৮ সালে তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইনকে সঙ্গে নিয়ে এই পর্বতের শীর্ষে উঠেন। দুই কোরিয়ার ঐক্যের এক বিরল মুহূর্ত হিসেবে বিবেচনা করা হয় সেই সময়টিকে।

৯৪৬ খ্রিষ্টাব্দে পায়েকতু পর্বতের অগ্ন্যুৎপাতকে পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম শক্তিশালী আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ইউনেস্কোর এটিকেই গুরুত্ব দিয়ে বিশ্বমানের ভূতাত্ত্বিক অঞ্চলের স্বীকৃতি দেয়। সূত্র: সিএনএন

দিনা/

স্থায়ী শান্তিচুক্তির জন্য রাজি পুতিন, জেলেনস্কিকে দুষলেন ট্রাম্প

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২৪ এএম
আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৩৪ এএম
স্থায়ী শান্তিচুক্তির জন্য রাজি পুতিন, জেলেনস্কিকে দুষলেন ট্রাম্প
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের সঙ্গে ‘স্থায়ী শান্তিচুক্তি’র জন্য রাজি। যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এ তথ্য জানান। 

গত সোমবার শেষ ভাগে এক টিভি সাক্ষাৎকারে বিষয়টি তুলে ধরেন উইটকফ। রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে গত সপ্তাহে সেইন্ট পিটার্সবার্গে আলোচনা হয় পুতিনের। ওই বৈঠকের পর দিয়েই এ আশাবাদ ব্যক্ত করলেন উইটকফ। যুক্তরাষ্ট্রের এ বিশেষ দূত মনে করছেন, পুতিনের সঙ্গে তার পাঁচ ঘণ্টার বৈঠকে তিনি একটি চুক্তির সম্ভাবনা দেখেছেন।

তবে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ সতর্ক করে দিয়েছেন যে, এই চুক্তির শর্তে রাজি হওয়া ‘সহজ হবে না।’ এদিকে ইউক্রেন ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা ওয়াশিংটনকে অনুরোধ জানিয়েছে, যাতে তারা মস্কোর এই বিলম্ব কৌশলে প্রতারিত না হয়। 

তবে উইটকফ বলছেন, ‘আমার মনে হয়, আমরা বিশ্বের জন্য বড় মাপের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছুর প্রান্তে রয়েছে। এ পর্যন্ত আসতে আমাদের কিছুটা সময় লেগেছে।’ উইটকফ আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার সম্পর্ককে বাণিজ্যিক সুযোগের মাধ্যমে পুনর্গঠনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এটি হলে ওই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে। সূত্র: আল-জাজিরা, বিবিসি 

গাজা সফরে নেতানিয়াহু

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২৩ এএম
গাজা সফরে নেতানিয়াহু
বিধ্বস্ত এই ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বাহিনীর ক্রমবর্ধমান স্থল ও বিমান হামলার মাঝেই মঙ্গলবার ( ১৫ এপ্রিল ) গাজায় গেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ছবি: সংগৃহীত

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার উত্তরাঞ্চলে সফরে গেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। বিধ্বস্ত এই ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বাহিনীর ক্রমবর্ধমান স্থল ও বিমান হামলার মাঝেই মঙ্গলবার ( ১৫ এপ্রিল ) গাজায় গেছেন তিনি। 

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল ) ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে এই সফরের বিষয়ে বিস্তারিত আর কোনও তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আজ গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চল সফর করেছেন।’ 

হামাসের সঙ্গে দুই মাসের যুদ্ধবিরতি চুক্তির অবসান ঘটিয়ে গত ১৮ মার্চ গাজায় নতুন করে অভিযান শুরু করে আইডিএফ। আর এই অভিযানে গাজায় এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত ও আরও হাজার হাজার মানুষ আহত হন। রেহাই পাচ্ছে না উপত্যকার হাসপাতালও।

নতুন অভিযানে ইসরায়েলি বাহিনী উপত্যকার বিশাল অংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী অভিযান জোরদার করায় প্রাণ বাঁচাতে গাজার হাজার হাজার বাসিন্দা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন।

এদিকে, ইসরায়েলের দেওয়া ছয় সপ্তাহের নতুন যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে হামাস। চুক্তির অংশ হিসেবে হামাসকে অস্ত্র সমর্পণের শর্ত দেয় ইসরায়েল।

যুদ্ধবিরতি আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা জানান, ইসরায়েল হামাসকে অস্ত্র ফেলে দেওয়ার শর্ত দিলেও; তারা স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধ অথবা গাজা থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের কোনও প্রতিশ্রুতি দেয়নি। ফলে হামাস এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে।

এদিকে, ইসরায়েলের দেওয়া ছয় সপ্তাহের নতুন যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে হামাস। চুক্তির অংশ হিসেবে হামাসকে অস্ত্র সমর্পণের শর্ত দিয়েছিল ইসরায়েল।

যুদ্ধবিরতি আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা বলেছেন, ইসরায়েল হামাসকে অস্ত্র ফেলে দেওয়ার শর্ত দিলেও; তারা স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধ অথবা গাজা থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের কোনও প্রতিশ্রুতি দেয়নি। ফলে হামাস এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। সূত্র: দ্য টাইমস অব ইসরায়েল

দিনা/

 

গাজায় প্রাণহানি ৫১ হাজার

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৫৮ এএম
আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১৮ এএম
গাজায় প্রাণহানি ৫১ হাজার
গাজায় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের তাঁবুতেও হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। গতকাল মঙ্গলবার উপত্যকার খান ইউনিসের আল-মাওয়াসি এলাকায় এ রকমই এক হামলাস্থলে পড়ে থাকা ড্রোনের অবশিষ্টাংশ দেখাচ্ছে এক শিশু। ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ভোর থেকে গাজায় অন্তত ২৩ জন ফিলিস্তিনি মারা গেছেন। অবরুদ্ধ উপত্যকাটির চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য জানান। গাজার উত্তর ও দক্ষিণাংশে তাঁবু লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। তাঁবুতে হামলা চালানোর ঘটনায় অন্তত তিনজন মারা গেছেন এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন। দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরের পশ্চিমাংশে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা তাঁবুতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেগুলোকেই লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান। প্রত্যক্ষদর্শীরা হামলা চালানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

উত্তর গাজার বেইতলাহিয়ার বি স্পোর্ট স্টেডিয়ামের কাছের এক তাঁবুতেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান। সেখানেও দুই ব্যক্তি মারা গেছেন। উত্তর গাজা সিটির শেখ রাদওয়ান এলাকার আল-জালা সড়কে আল-ঘাফরি পরিবারের বাড়িতেও হামলা চালানো হয়। এতেও এক ব্যক্তি মারা গেছেন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় অন্তত ৫১ হাজার জন ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ১৬ হাজার ২৭৪ জন। 

গাজার সরকারি গণমাধ্যম দপ্তর বলছে, মৃতের সংখ্যা আরও বেশি, ৬১ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি। গাজার ধ্বংসস্তূপে নিখোঁজ হাজারও ব্যক্তিকে দপ্তরটি মৃতের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।  

ওষুধের সংকট

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, উপত্যকায় চলমান ওষুধ সংকটে আহতদের চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে। চিকিৎসাকর্মীরা জরুরি পরিস্থিতিতে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছেন না। মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে এ নিয়ে এক বিবৃতি প্রকাশ করেছে মন্ত্রণালয়টি।

ওই বিবৃতিতে বলা হয়, শত শত রোগী ও আহত ব্যক্তিরা জরুরি ওষুধ থেকে বঞ্চিত, সীমান্ত বন্ধ থাকার কারণে তাদের দুর্ভোগ ক্রমশ বাড়ছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ক্যানসার, কিডনি অকেজো ও হৃদরোগে আক্রান্তরা এই ওষুধস্বল্পতা ও সরবরাহ না থাকায় সবচেয়ে বেশি ভুগছে। 

ইসরায়েলের ওপর চাপ তৈরিতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে, যাতে তারা যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় চিকিৎসা রসদ প্রবেশ করতে দেয়। সূত্র: আল-জাজিরা