ঢাকা ১২ বৈশাখ ১৪৩২, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
English
শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২

হাসিনাবিরোধী গণবিক্ষোভের কথা আগেই জানত ভারত: জয়শঙ্কর

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১১:৩৯ এএম
আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১১:৪৯ এএম
হাসিনাবিরোধী গণবিক্ষোভের কথা আগেই জানত ভারত: জয়শঙ্কর
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর দেশটির পররাষ্ট্রবিষয়ক পার্লামেন্টারি পরামর্শক কমিটিকে জানান, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার আগেই ভারত তার বিরুদ্ধে তৈরি হওয়া জনমতের বিষয়টি জানতে পারে। তবে শেখ হাসিনাকে পরামর্শ দেওয়া ছাড়া দেশটি বিশেষ কিছু করতে পারেনি বা সম্ভব হয়নি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু জানায়, জয়শঙ্কর ইঙ্গিত দেন, অন্যান্য বড় আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর মতো ভারতও বাংলাদেশের ভেতরের অস্থির পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত ছিল।

এ প্রসঙ্গে তিনি জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক প্রধান ভলকার তুর্কের সাম্প্রতিক বক্তব্যের উল্লেখ করেন। জাতিসংঘ তখন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে সতর্ক করে যে, যদি তারা নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের উপর হামলা চালায়, তাহলে তাদের শান্তিরক্ষা মিশন থেকে নিষিদ্ধ করা হতে পারে।

ভারতের পররাষ্ট্রবিষয়ক পরামর্শক কমিটির সদস্যরা জয়শঙ্করের সঙ্গে দেশটির পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে সরাসরি আলোচনা করেন, যেখানে বাংলাদেশ, মায়ানমার, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের পরিস্থিতিই আলোচনার প্রধান বিষয় হয়ে ওঠে।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ভারতের সঙ্গে সংলাপ শুরু করলেও শেখ হাসিনাকে ভারত রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ায় দিল্লি-ঢাকার সম্পর্ক এখনও স্বাভাবিক হয়নি। ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ করতে গত ডিসেম্বরে পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রিকে ঢাকায় পাঠায়।

তবে আগামী ২ এপ্রিল থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অনুষ্ঠিতব্য বিমসটেক (বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন) শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যে আনুষ্ঠানিক বৈঠক হবে কি না- সে বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনো কিছু জানায়নি।

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এরই মধ্যে ঢাকায় একাধিক আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বকে স্বাগত জানান। বর্তমানে তিনি চীন সফরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। দুই দেশের মধ্যে একাধিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে। বিশেষ করে বিমান যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন সমঝোতা হতে পারে, যাতে ঢাকা ও চট্টগ্রামের সঙ্গে চীনের বিভিন্ন শহরের সংযোগ আরও জোরদার হয়।

এস. জয়শঙ্কর এই আলোচনায় উল্লেখ করেন, বাংলাদেশে ‘বহিরাগত শক্তির’ ভূমিকা রয়েছে এবং চীনকে তিনি ‘প্রতিপক্ষ’ নয়, বরং ‘প্রতিযোগী’ হিসেবে দেখেন।

জয়শঙ্কর দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক) নিয়েও আলোচনা করেন। ২০১৪ সালের পর থেকে সংস্থাটির কোনো শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি। ২০১৬ সালে পাকিস্তানে নির্ধারিত ১৯ তম সার্ক সম্মেলনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দেয় ভারত। কারণ সে বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর উরিতে ভারতীয় সামরিক স্থাপনায় হামলা হয়। এরপর থেকে ভারত বিমসটেককে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে, ফলে সার্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

তবে ব্রিফিংয়ে জয়শঙ্কর ইঙ্গিত দেন, ‘সার্ক বাতিল হয়নি, বরং বিরতিতে আছে।’ অর্থাৎ, ভবিষ্যতে এটির পুনরুজ্জীবিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ভারতীয় এমপিরা প্রতিবেশী দেশগুলোতে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং জানতে চান, আগামী এক দশকে মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ ও নেপালে চীনের প্রভাব মোকাবিলায় ভারত কী পদক্ষেপ নেবে। সুত্র: দ্য হিন্দু

দিনা/

কম্বোডিয়া থেকে ফিরেই হাসপাতালে ভর্তি থাই প্রধানমন্ত্রী!

প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০২:২৮ পিএম
কম্বোডিয়া থেকে ফিরেই হাসপাতালে ভর্তি থাই প্রধানমন্ত্রী!
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংটার্ন সিনাওয়াত্রা । ছবি: সংগৃহীত

কম্বোডিয়া সফর থেকে ফেরার পর অসুস্থ হয়ে বৃহস্পতিবার ( ২৪ এপ্রিল) রাতে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংটার্ন সিনাওয়াত্রা হাসপাতালে ভর্তি হন।

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) দেশটির সরকারি মুখপাত্র জানায়,গত বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কম্বোডিয়া সফরকালে প্রধানমন্ত্রীর ব্যস্ত সময়সূচী পার করেন। এরপর থাইল্যান্ডে ফিরে আসার পর উচ্চ জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ।

গত বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) স্থানীয় শোমোয় দুপুর ২ টার দিকে তিনি নমপেন থেকে রওনা হন এবং আনুমানিক ৩ টার দিকে ব্যাংককে পৌঁছান। দেশে ফিরে আসার কিছুক্ষণ পরই প্রধানমন্ত্রী অসুস্থতার লক্ষণ অনুভব করতে শুরু করেন, হালকা জ্বর থেকে শুরু করে সন্ধ্যার মধ্যে তা প্রচণ্ড জ্বরে পরিণত হয়।

এরপর উদ্বিগ্ন হয়ে তিনি রাতে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যান এবং পরবর্তীতে পর্যবেক্ষণ এবং আরও পরীক্ষার জন্য তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার মুখপাত্র জানান, চিকিৎসকরা পুঙ্খানুপুঙ্খ চিকিৎসা পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দিয়েছেন।

থাই সরকার এখনও প্রধানমন্ত্রীকে কতদিন হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হবে বা এই ঘটনা তার আসন্ন সময়সূচীতে প্রভাব ফেলবে কিনা সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানায়নি।

থাই প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন শিনাওয়াত্রা এ সপ্তাহের শুরুতে দুই দিনের সফরে কাম্বোডিয়া যান। সফরকালে তিনি কাম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেতের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং অনলাইন প্রতারণা ও বায়ুদূষণসহ সীমান্তবর্তী বিভিন্ন সহযোগিতামূলক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন।

দুই নেতা দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় জোট আসিয়ানকে ব্যবহার করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বাণিজ্য শুল্ক নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনাও বিবেচনা করেন।

এদিকে শুক্রবারের প্রধানমন্ত্রীর সব কর্মসূচি স্থগিত করে তার ডেপুটিদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এসবের মধ্যে ই-কমার্স সিইও ক্রিস ফেং এবং সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠকও ছিল।

প্রধানমন্ত্রীর স্বামী পিদক সুকসাওয়াস ইনস্টাগ্রামে একটি স্টোরিতে প্রধানমন্ত্রীকে হাসপাতালের বিছানায় বিশ্রামরত অবস্থায় দেখা যায়। তিনি সেখানে ক্যাপশনে লেখেন, 'তুমি কারও কথা শুনলে না। তোমার শরীরই এখন তোমায় সাবধান করে দিয়েছে যে, তুমি আর নিতে পারছো না।' সূত্র: খেমার টাইমস

দিনা

 

ভারতকে ভাতে-পানিতে মারতে কোমরে গামছা বেঁধেছে পাকিস্তান

প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৫৯ পিএম
আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৫৯ পিএম
ভারতকে ভাতে-পানিতে মারতে কোমরে গামছা বেঁধেছে পাকিস্তান
ছবি: সংগৃহীত

পাহালগামে ভয়াবহ হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে এখন চূড়ান্ত উত্তেজনা বিরাজ করছে। ইতোমধ্যেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিভিন্ পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত।এরপর ভারতের এসব পদক্ষেপকে একতরফা, অন্যায়, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, মারাত্মক দায়িত্বহীন এবং আইনি যোগ্যতা বিবর্জিত বলে অভিহিত করে পাকিস্তানও এক গুচ্ছ পাল্টা পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছে।

পাল্টাপাল্টি এসব পদক্ষেপে দেশ দুটির মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

পাকিস্তান সবচেয়ে জোরালো যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা হলো, ১৯৭২ সালের শিমলা চুক্তি স্থগিত। একই সঙ্গে ওয়াগা সীমান্ত বন্ধ করে তারা জানায় , এই সিদ্ধান্ত তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে। ভারত থেকে সব এই রুট দিয়ে সব ট্রানজিট স্থগিত থাকবে, ব্যতিক্রম ছাড়া। যারা বৈধ অনুমোদন নিয়ে ওই সীমান্ত অতিক্রম করেছেন তাদেরকে আগামী ৩০শে এপ্রিলের মধ্যে ফিরে যেতে ডেডলাইন বেধে দেয়া হয়।

এছাড়া সিন্ধু নদের পানি চুক্তি স্থগিত রাখার ভারতীয় ঘোষণাকে পাকিস্তান জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যান করে উল্লেখ করে, এই চুক্তিতে আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা আছে। এটা একতরফাভাবে স্থগিত করার কোনো বিধান নেই। এই পানি হলো পাকিস্তানের জাতীয় স্বার্থের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং এটা দেশের ২৪ কোটি মানুষের প্রাণ। যেকোনো মূল্যে এই অধিকার সুরক্ষিত রাখা হবে। 

এই নদীর পানি প্রবাহকে বন্ধ করার বা ভিন্ন পথে প্রবাহিত করা এবং ভাটিতে থাকা মানুষদের অধিকার হরণের যেকোনো চেষ্টাকে অ্যাক্ট অব ওয়ার বা যুদ্ধ বলে গণ্য করা হবে।  তাই  এর জবাবে পাকিস্তান সামরিক শক্তি প্রয়োগ করতেও দ্বিধা করবে না। 

এছাড়া সার্কের অধীনে ভারতের নাগরিকদের সার্ক ভিসা এক্সেমশন স্কিমের (এসভিইএস) সব ভিসা স্থগিত করেছে পাকিস্তান। শিখ ধর্মাবলম্বী বাদে অন্যদের ক্ষেত্রে এই স্থগিতাদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

এ সম্পর্কিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, এসভিইএসের অধীনে যেসব ভারতীয় বর্তমানে পাকিস্তানে রয়েছেন তাদেরকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে পাকিস্তান ত্যাগ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। শুধু শিখরা এর বাইরে থাকবেন। ইসলামাবাদে ভারতের প্রতিরক্ষা, নৌ ও আকাশ বিষয়ক উপদেষ্টাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। তাদেরকে ৩০শে এপ্রিলের ভেতর পাকিস্তান ত্যাগ করতে বলা হয়। এসব উপদেষ্টার যেসব সাপোর্ট স্টাফ আছেন, তাদেরকেও ভারতে ফিরে যেতে বলা হয়। 

একই সঙ্গে বলা হয়, ইসলামাবাদে ভারতীয় হাই কমিশনে কূটনীতিক এবং স্টাফ সংখ্যা ৩০ এপ্রিল থেকে ৩০ এ নামিয়ে আনতে হবে। আবার ভারত মালিকানাধীন অথবা ভারত পরিচালনা করে এমন এয়ারলাইন্সের জন্য পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। 

আরও জোর দিয়ে বলা হয়, যেকোনো মিসঅ্যাডভেঞ্চারের বিরুদ্ধে দেশের সার্বভৌমত্ব এবং ভূখণ্ডের অখণ্ডতা রক্ষায় পাকিস্তান ও তার সশস্ত্র বাহিনী পুরোপুরি সক্ষম এবং প্রস্তুত রয়েছে। 

দিনা

 

পোপের মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় শোক, জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত

প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২৬ পিএম
পোপের মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় শোক, জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত
পোপ ফ্রান্সিস

ক্যাথলিক চার্চের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে বাংলাদেশ তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করছে। 

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে ও বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। 

গত বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাতে কেবিনেট বিভাগ তিন দিনের শোক পালন-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

এতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। প্রয়াত পোপের জন্য বিশেষ প্রার্থনারও আয়োজন করা হবে।

পোপ ফ্রান্সিস গত ২১ এপ্রিল ৮৮ বছর বয়সে মারা যান। তার মৃত্যুতে বিশ্বব্যাপী ক্যাথলিকদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

চলতি বছরের শুরুতে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ফ্রান্সিস দুবার মৃত্যুর কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন। গত ২৩ মার্চ হাসপাতাল থেকে ছাড় পাওয়ার আগে তাকে সেখানে ৩৮ দিন থাকতে হয়েছিল।

 ২০১৩ সালের ১৩ মার্চ পোপ নির্বাচিত হন জর্জ মারিও বার্গোগলিও। পোপ হিসেবে নির্বাচিত হবার পর নাম পরিবর্তন করে রাখেন ‘ফ্রান্সিস’। আর্জেন্টিনার এই ধর্মযাজক দরিদ্রদের প্রতি সহমর্মিতার জন্য বেশ পরিচিত ছিলেন। পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্য আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠিত হবে বলে ভ্যাটিকান সিটির এক ঘোষণায় বলা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে জানা গেছে। 

কাশ্মীর হত্যাকান্ডে দুই সন্দেহভাজনের বাড়ি উড়িয়ে দিল ভারত

প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০১:১৩ পিএম
কাশ্মীর হত্যাকান্ডে দুই সন্দেহভাজনের বাড়ি উড়িয়ে দিল ভারত
পাহালগামে হামলার ঘটনায় এক সন্দেহভাজনের বিধ্বস্ত বাড়ি। ছবি: সংগৃহীত

জম্মু–কাশ্মীরের পাহালগামে পর্যটকদের  উপর হামলার ঘটনা নিয়ে ভারত-পাকিস্তান দুই দেশের মধ্যকার উত্তেজনা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌছে গেলেও  ৪৮ ঘণ্টা পরও এই হামলায় অভিযুক্ত কেউ আটক হয়নি। এবার দুই সন্দেহভাজনের বাড়ি বিস্ফোরণে উড়িয়ে দিয়েছে ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী।

ভারতের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে দেশটির সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার( ২৪ এপ্রিল ) রাতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দুই জনের বাড়ি ধ্বংস করা হয়। ধ্বংস করার আগে তল্লাশি চালিয়ে সন্দেহভাজন ওই দুই ব্যক্তির বাড়ি থেকে বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে বলেও দাবি করেছে কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর তথ্যমতে, দুই সন্দেহভাজনের নাম আদিল হুসাইন ও আসিফ শেখ। এর আগে জম্মু–কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগর থেকে ৫৩ কিলোমিটার দূরে অনন্তনাগ জেলার এক বাসিন্দাকে হামলার মূল হোতা বলে দাবি করে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। এই হামলার ষড়যন্ত্রকারীদের একজন হিসেবে প্রকাশ করা হয় শেখ নামে পুলওয়ামারের এক বাসিন্দার নাম। 

এর আগে অনন্তনাগ পুলিশ, থোকার এবং আরও দুই সন্দেহভাজনের স্কেচ প্রকাশ করে। পুলিশ জানায়, ওই দুই ব্যক্তি পাকিস্তানি নাগরিক এবং তাদের ধরিয়ে দিতে ২০ লাখ টাকার পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়।

২৪ এপ্রিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে প্রকাশিত এক নোটিশে ভারতীয় পুলিশ জানায়, এই দুই পাকিস্তানি সন্দেহভাজনের নাম হাশিম মুসা ওরফে সুলেমান এবং আলি ভাই ওরফে তালহা ভাই। তারা পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর–ই–তইয়্যেবার সদস্য বলে ধারণা করছে ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী।

মঙ্গলবার ( ২২ এপ্রিল) কাশ্মীরের পেহেলগামের বৈসরণ এলাকায় পর্যটকদের উপর একদল অস্ত্রধারী অতর্কিত হামলা চালালে, এতে নিহত হন ২৭ ভারতীয় এবং এক নেপালি নাগরিক। এ হামলায় জড়িতদের প্রত্যেককে খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক সাজা দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

এর আগে, গত বুধবার প্রধানমন্ত্রী মোদী মন্ত্রিসভার সুরক্ষা বিষয়ক কমিটির এক জরুরি বৈঠক আহ্বান করেন। এই  বৈঠকের পর, ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে ভারত-পাকিস্তানের প্রধান সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে দেওয়া, দুই দেশের সিন্ধু পানি বণ্টন চুক্তি স্থগিত করা, পাকিস্তানি কূটনীতিকদের বহিষ্কার এবং ভারতে অবস্থারত পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিল ও দুই দিনের মধ্যে ভারত ছাড়ার নির্দেশ। সূত্র: এনডিটিভি

দিনা/

 

 

জর্ডানে নিষিদ্ধ মুসলিম ব্রাদারহুড

প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২৮ পিএম
জর্ডানে নিষিদ্ধ মুসলিম ব্রাদারহুড
ছবি: সংগৃহীত

রকেট ও ড্রোন হামলার পরিকল্পনার সন্দেহে মুসলিম ব্রাদারহুডের ১৬ সদস্যকে গ্রেফতারের এক সপ্তাহ পর জর্ডান সরকার তাদের নিষিদ্ধ করেছে। ফলে সংগঠনটির সব কার্যক্রম বেআইনি বলে বিবেচিত হবে।

বুধবার( ২৩ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাজেন ফারায়া এই ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, জাতীয় নিরাপত্তা ও জননিরাপত্তা রক্ষায় সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

ব্রাদারহুডের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে এর আগে তাদের বিরুদ্ধে আনা হামলার পরিকল্পনার অভিযোগের সাথে নিজেদের যোগসূত্র থাকার বিষয়টি তারা অস্বীকার করেছে।

এই নিষেধাজ্ঞার ফলে দলটির রাজনৈতিক শাখা ইসলামিক অ্যাকশন ফ্রন্টের- যেটি বর্তমানে দেশোটির পার্লামেন্টের বিরোধী দল, উপর কী প্রভাব পড়বে তা স্পষ্ট নয়। এই ঘোষণার পর পুলিশ তাদের সদর দপ্তরে অভিযান চালায়।

মাজেন আল-ফারায়া সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ব্রাদারহুডের সকল অফিস বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং এর সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হবে এবং তাদের যেকোনো ধরণের কার্যকলাপ অবৈধ বলে বিবেচিত হবে।’

মন্ত্রী জানান, ‘মুসলিম ব্রাদারহুডের সদস্য বা এর সঙ্গে যুক্ত থাকা এখন আইনত নিষিদ্ধ। সংগঠনটির জর্ডানজুড়ে সব কার্যালয় স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আদালতের নির্দেশে এর সদর দফতর ও শাখাগুলো বন্ধের পাশাপাশি নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সংগঠনটির সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করা হবে।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মুসলিম ব্রাদারহুডের চলমান কার্যক্রমকে নাগরিকদের জন্য হুমকি, জাতীয় উন্নয়নের অন্তরায় ও অস্থিতিশীলতার কারণ বলে উল্লেখ করেন। তিনি জানান, ‘ভেঙে দেওয়া সংগঠনটির সদস্যরা সংবেদনশীল স্থানগুলোকে টার্গেট করার পরিকল্পনা করছিল। এ ছাড়া আবাসিক এলাকায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক মজুদ এবং গোপনে কাজ করে জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করার চেষ্টা চালাচ্ছিল তারা। ’

এছাড়া সংগঠনটির সম্পত্তি দ্রুত বাজেয়াপ্ত ও নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের জন্য একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়। 

এদিকে, জর্ডানের মিডিয়া কমিশন জানায়, মুসলিম ব্রাদারহুড সম্পর্কিত কোনও বিষয় প্রকাশ, সম্প্রচার বা প্রচার করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জর্ডানে মুসলিম ব্রাদারহুডের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন উত্তেজনা তৈরি করতে পারে। এছাড়া বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, এ ধরনের পদক্ষেপ রাজনৈতিক মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে সীমিত করতে পারে। 

সংগঠনটি দীর্ঘদিন ধরে জর্ডানের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিল, যদিও সরকারের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক সবসময়ই ব্রেশ শীতল ছিল। সূত্র: বিবিসি এবং রয়টার্স

দিনা