
তথ্য ও নথিপত্র জালিয়াতি করে প্রায় ২০ বছর ধরে নিউজিল্যান্ডে বসবাস করছেন বাংলাদেশি এক দম্পতি। তবে অবশেষে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে ধরা পড়েন। তাদের বিরুদ্ধে অভিবাসন ও পরিচয় জালিয়াতির মোট ৪০টি অভিযোগ আনা হয়।
সোমবার ( ২৪ মার্চ) নিউজিল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, পরিবারের অপর সদস্যের পরিচয় ব্যবহার করে, তথ্য জালিয়াতি করে ভিসা নিয়ে নিউজিল্যান্ডে কাজ করতে থাকেন এই দম্পতি। এমনকি শেষ পর্যন্ত নাগরিকত্বও পেয়ে যান।
কিন্তু প্রতারণা ধরা পড়ার পর স্থানীয় একটি আদালত তাদের দোষী সাব্যস্ত করে।
বাংলাদেশি এই দম্পতি হলেন- জাহাঙ্গীর আলম ও তাজ পারভীন শিল্পী। তাদের বিরুদ্ধে নিউজিল্যান্ডের অভিবাসন বিভাগের ছয় বছরের তদন্তের পর অভিযোগ আনা হয়।
অকল্যান্ড জেলা আদালত ১৩ দিন ধরে চলা বিচার শেষে গত শুক্রবার (২১ মার্চ) আলম ও শিল্পীকে দোষী সাব্যস্ত করে।
আলম তার ভাইয়ের পরিচয় ব্যবহার করে ভ্রমণ ভিসায় নিউজিল্যান্ডে আসেন। পরে তিনি ওয়ার্ক পারমিট, রেসিডেন্স ভিসা এবং শেষ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের নাগরিকত্ব ও পাসপোর্ট পান।
আলম তার স্ত্রী শিল্পীর ১৪টি অভিবাসন পারমিট ও ভিসার আবেদন এবং তার মায়ের জন্য একটি আবেদনের সমর্থনে এই পরিচয় ব্যবহার করেন।
দম্পতি জানতেন যে, আলম নিউজিল্যান্ডের অভিবাসন বিভাগের কাছে এই আবেদনগুলো করার সময় তার আসল পরিচয় গোপন করাসহ অন্যান্য মিথ্যা তথ্য ব্যবহার করছেন।
নিউজিল্যান্ডের অভিবাসন তদন্ত বিভাগের মহাব্যবস্থাপক স্টিভ ওয়াটসন বলেন, ‘এই দোষী সাব্যস্ত হওয়ার মাধ্যমে একটি শক্তিশালী বার্তা পাঠানো হলো যে, অভিবাসনের ক্ষেত্রে নিউজিল্যান্ডকে প্রতারণামূলক তথ্য প্রদান সহ্য করা হবে না।’
আলমের আসল নাম ও জন্ম তারিখ জানা যায়নি। একইভাবে, তিনি কেন তার আসল পরিচয় গোপন করেন তাও জানা যায়নি। আলম ও শিল্পীর সাজা ঘোষণা করা হবে আগামী ২২ মে। সূত্র: নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড
দিনা/অমিয়/