
ভারতের উত্তরপ্রদেশের কানপুরে নিজের পোষ্য জার্মান শেফার্ড কুকুরের আক্রমণে মোহিনী ত্রিবেদী (৮০) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।
মোহিনী ত্রিবেদী তার নাতি ধীরু প্রশান্ত ত্রিবেদী ও পুত্রবধূ কিরণের সঙ্গে থাকতেন। তার ছেলে সঞ্জীব ত্রিবেদী ভারতীয় সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল।
জানা গেছে, পোষ্য জার্মান শেফার্ডটি কয়েকদিন ধরেই ক্ষুব্ধ ছিল। কুকুরকে সামলাতে গিয়ে ধীরু ও কিরণ দুজনেই আগেও একাধিকবার আহত হয়েছিলেন। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় মোহিনী দেবী কুকুরটিকে খাওয়ানোর সময় আচমকা সেটি আক্রমণ করে। প্রচণ্ড হিংস্র হয়ে উঠে বৃদ্ধাকে কামড়ে ছিঁড়ে ফেলে কুকুরটি। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা বিষয়টি পৌরসভাকে জানালে রাতেই পৌরসভা কর্মীরা কুকুরটিকে ধরে নিয়ে যায়।
পৌরসভার প্রাণী দমন শাখার ইনচার্জ সুশীল সিং বলেন, 'আমরা যখন উদ্ধার করতে গিয়েছিলাম, কুকুরটি এতটাই হিংস্র ছিল যে বাড়ির ভেতরে ঢোকা সম্ভব হয়নি। বৃদ্ধার দেহ তখনও ঘরের ভেতরেই ছিল। পরে অনেক চেষ্টা করে তার পুত্রবধূ কুকুরটিকে নিয়ন্ত্রণ করলে আমরা মরদেহ উদ্ধার করি। যেহেতু পরিবার থেকে পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ জানানো হয়নি, তাই পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিতে পারেনি। বর্তমানে কুকুরটিকে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। স্থানীয়দের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে পৌরসভা শীঘ্রই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।'
এদিকে এই ঘটনার পর নিহতের নাতি ধীরু প্রশান্ত ত্রিবেদী কুকুরটি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য কানপুর পৌরসভার কাছে আবেদন করেছেন । তার ভাষ্যমতে, দয়া করে আমার কুকুর ফিরিয়ে দিন। কুকুর না থাকায় বাড়ির কেউ খেতে পারছে না। ভবিষ্যতে কোনও ঘটনা ঘটলে আমি সম্পূর্ণ দায়িত্ব নেব।'
তবে পৌরসভা পক্ষ থেকে কুকুর ফেরানোর বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। পৌরসভার প্রাণী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. আর কে নিরঞ্জন জানান, কুকুরটির আক্রমণাত্মক আচরণ নিয়ে অভিযোগ পাওয়ার পর সেটিকে আটক করা হয়েছে। ধীরু ত্রিবেদী কুকুর ফেরানোর আবেদন করলেও তা এখনো অনুমোদন করা হয়নি।আমরা এখনও কুকুরটির আচরণ পর্যবেক্ষণ করছি।
মেহেদী/