ঢাকা ১৭ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
English
বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২

এবার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ বিলিয়ন ডলার অনুদান স্থগিত

প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৮ পিএম
এবার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ বিলিয়ন ডলার অনুদান স্থগিত
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি ফেডারেল অনুদান স্থগিত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।হোয়াইট হাউজের এক তালিকা ভিত্তিক দাবিকে প্রত্যাখ্যান করার মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরই বিশ্ববিদ্যালয়টির বিরুদ্ধে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ছবি : সংগৃহীত

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি ফেডারেল অনুদান স্থগিত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।হোয়াইট হাউজের এক তালিকা ভিত্তিক দাবিকে প্রত্যাখ্যান করার মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরই বিশ্ববিদ্যালয়টির বিরুদ্ধে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

সোমবার ( ১৪ এপ্রিল) হোয়াইট হাউজের দাবি প্রত্যাখ্যান করে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় জানায়, হোয়াইট হাউজ বিশ্ববিদ্যালয়টির সম্প্রদায়কে ‘নিয়ন্ত্রণ’ করতে চাইছে। 

মঙ্গলবার ( ১৫ এপ্রিল ) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এই খবর জানায়।

বিবিসি জানায়,হোয়াইট হাউজ গত সপ্তাহে হার্ভার্ডকে একটি দাবি সংবলিত তালিকা পাঠায়। তালিকাটিতে ক্যাম্পাসে ইহুদি-বিরোধী মনোভাব মোকাবেলায় তৈরি করা হয়। তালিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাঠামো, নিয়োগ নীতি এবং ভর্তি প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনার প্রস্তাবও দেয়া হয়।

অন্যদিকে হার্ভার্ড প্রশাসন গত সোমবার সেই দাবিগুলো প্রত্যাখ্যান করে জানায়, হার্ভার্ড ট্রাম্প প্রশাসনের চাপ উপেক্ষা করে তাদের নীতিতে পরিবর্তন আনতে অস্বীকৃতি জানানো প্রথম মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়।

হার্ভার্ড প্রেসিডেন্ট অ্যালান গারবার এদিন এক চিঠিতে বলেন, ‘হোয়াইট হাউজ গত শুক্রবার একটি তালিকা পাঠায় এবং সতর্ক করে যে বিশ্ববিদ্যালয়টি এই দাবি মেনে না নিলে সরকারের সঙ্গে আর্থিক সম্পর্ক বন্ধ হয়ে যাবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা আমাদের আইনজীবীদের মাধ্যমে প্রশাসনকে জানিয়েছি যে, আমরা তাদের প্রস্তাবিত চুক্তি মেনে নেব না। বিশ্ববিদ্যালয় তার স্বাধীনতা বা সংবিধানিক অধিকার ত্যাগ করবে না। তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ইহুদি-বিরোধিতা মোকাবেলায় তার দায়িত্ব হালকাভাবে নিচ্ছে না। তবে সরকারের হস্তক্ষেপ মাত্রাতিরিক্ত।’

চিঠিটি পাঠানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই শিক্ষা দপ্তর জানায়, হার্ভার্ডের জন্য নির্ধারিত ২.২ বিলিয়ন ডলারের অনুদান ও ৬০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি অর্থ সঙ্গে সঙ্গে স্থগিত করা হয়।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অভিযোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো  র সময় ইহুদি শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।

হোয়াইট হাউজের পাঠানো দাবি তালিকা বলা হয়, গত কয়েক বছরে ক্যাম্পাসগুলোতে শিক্ষার পরিবেশে যেভাবে বিঘ্ন ঘটেছে, তা গ্রহণযোগ্য নয়। ইহুদি শিক্ষার্থীদের হয়রানি সহ্য করা হবে না। শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যদি করদাতাদের অর্থ পেতে চায়, তবে তাদের বাস্তবিক পরিবর্তনে অঙ্গীকার করতে হবে। এছাড়াও গত দুই বছরে ক্যাম্পাসে যে বিক্ষোভ হয়েছে, সেখানে কোনো 'উল্লেখযোগ্য লঙ্ঘন' হয়ে থাকলে তার জন্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়।

ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইহুদি-বিরোধী মনোভাবের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা এবং ডাইভার্সিটি কার্যক্রম বাতিলের জন্য চাপ দিয়ে আসছেন। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে হার্ভার্ড, পেন এবং এমআইটির প্রেসিডেন্টদের কংগ্রেসে জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হয়। 

২০২৫ সালের মার্চে প্রশাসন জানায়, হার্ভার্ডের ২৫৬ মিলিয়ন ডলারের ফেডারেল চুক্তি ও অনুদান পর্যালোচনার আওতায় আনা হয়। আরও ৮.৭ বিলিয়ন ডলারের দীর্ঘমেয়াদি অনুদানও পর্যালোচনাধীন। এর আগে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৪০০ মিলিয়ন ডলারের ফান্ড বাতিল করেহোয়াইট হাউজ। এরপর কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কিছু দাবি মেনে নেয়, যা ছাত্র ও শিক্ষক মহলে সমালোচনা হয়।

হার্ভার্ডের কয়েকজন অধ্যাপক প্রেক্ষাপটে মামলা করেন, তাদের অভিযোগ,সরকার অবৈধভাবে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও অ্যাকাডেমিক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে। সূত্র: বিবিসি

সুলতানা দিনা 

কাশ্মীরে হামলার পাল্টা জবাব দিতে সেনাবাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা মোদির

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৩৫ পিএম
কাশ্মীরে হামলার পাল্টা জবাব দিতে সেনাবাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা মোদির

সম্প্রতি ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পাহালগামে সন্ত্রাসী হামলার পর পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় কখন, কোথায় হামলা চালাতে হবে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে তার সিদ্ধান্ত নিতে পুরোপুরি স্বাধীনতা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ সিদ্ধান্তের ফলে সেনাবাহিনী এখন নিজেদের পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নিতে পারবে।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

জম্মু ও কাশ্মীরে বন্দুকধারীদের হামলা ও এর সম্ভাব্য জবাব নিয়ে দেশটির তিন বাহিনীর প্রধান, চিফ অব ডিফেন্স অনীল চৌহান, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং জাতীয় নিরাপত্তা পরামর্শক অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার মোদির নয়াদিল্লির বাসভবনে বৈঠকটি হয়। আগামীকাল বুধবার (৩০ এপ্রিল) তিনি মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির (সিসিএস) সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। এর আগে শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা পরামর্শকের সঙ্গে বৈঠক করলেন তিনি।

সূত্রের বরাতে এনডিটিভি লিখেছে, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ‘সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করার জাতীয় সংকল্প’ পুনর্ব্যক্ত করেছেন এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর ওপর তার ‘পূর্ণ আস্থা’ রয়েছে। বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে পৌঁছান।

২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর এটাই সবচেয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী ঘটনা, যাতে ২৬ জন নিহত হয়েছেন। সূত্রমতে, নরেন্দ্র মোদির এই বার্তা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের পথ প্রশস্ত করেছে। ২০১৯ সালে বালাকোটে ভারত বিমান হামলা চালিয়েছিল। এবারও নিষিদ্ধ পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার নাম উঠে এসেছে।

ভারত ইতোমধ্যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক পদক্ষেপ শুরু করেছে। পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিল করা হয়েছে (হিন্দু ও দীর্ঘমেয়াদি ভিসাধারী বাদে)। সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত, যা পাকিস্তানের ৮৫ শতাংশ পানির যোগান দেয়। পাকিস্তান এই সিদ্ধান্তকে ‘যুদ্ধের শামিল কাজ’ বলে আখ্যা দিয়েছে।

কাশ্মীরের পাহালগামে ওই হামলার পর পাকিস্তানকে দোষারোপ করে আসছে ভারত। যদিও পাকিস্তান এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। সূত্র: এনডিটিভি

এমএ/

চীনে রেস্টুরেন্টে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ২২

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:০৯ পিএম
আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৫৬ পিএম
চীনে রেস্টুরেন্টে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ২২
ছবি: সংগৃহীত

চীনের রিয়াওনিং প্রদেশের উত্তরপূর্বাঞ্চলের লিয়াওয়াংয়ে একটি রেস্টুরেন্টে আগুন লেগে ২২জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও তিনজন।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে।

চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিসিটিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং রেস্টুরেন্টের অগ্নিকাণ্ডকে ‘গভীর উদ্বেগজনক বলে’ মন্তব্য করে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে এ ঘটনার কারণ খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন। এর পেছনে দায়ীদেরকে শাস্তির আওতায় আনতে বলা হয়েছে।

এর আগে গত মার্চে চীনের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশে একটি রেস্টুরেন্টে বিস্ফোরণের ঘটনায় দুজন নিহত এবং ২৬জন আহত হয়েছিলেন। এর পর সেপ্টেম্বরে শেনজেনের দক্ষিণাঞ্চলে একটি উচু ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় একজন নিহত হন। সূত্র: রয়টার্স 

মেহেদী/

ভারতে বন্ধ খাজা পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এক্স অ্যাকাউন্ট

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৪১ পিএম
ভারতে বন্ধ খাজা পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এক্স অ্যাকাউন্ট
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স অ্যাকাউন্ট ভারতে বন্ধ করা হয়েছে। এর ফলে ভারত থেকে ব্যবহারকারীরা তার অ্যাকাউন্টের পোস্ট দেখতে পাবেন না।

পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার জেরে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) এ পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত সরকার।

খাজা আসিফের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় তিনি সন্ত্রাসবাদকে লালন করছেন। এর আগে পাকিস্তান সরকারের অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার অনুরোধ জানানো হয় প্লাটফর্মটির কর্তৃপক্ষের কাছে। তবে মত প্রকাশের স্বাধীনতায় তারা হস্তক্ষেপ করতে পারবে না বলে এ অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে।

এর আগে জনপ্রিয় ১৬টি পাকিস্তানি ইউটিউব চ্যানেল বন্ধ করে ভারত সরকার। এসব ইউটিউব চ্যানেলে প্রায় ৬ কোটি ৩০ লাখ সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। ‘উস্কানিমূলক ও সাম্প্রদায়িকভাবে সংবেদনশীল’ তথ্য প্রচারের অভিযোগ এনে এমন সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

জম্মু-কাশ্মিরে বন্ধ করা হলো অর্ধশত ট্যুরিস্ট স্পট

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৩৫ পিএম
আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৪৩ পিএম
জম্মু-কাশ্মিরে বন্ধ করা হলো অর্ধশত ট্যুরিস্ট স্পট
ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরের পাহালগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায়। নিরাপত্তাজনিত কারণে জম্মু-কাশ্মিরের মোট ৮৭টি ট্যুরিস্ট স্পটের মধ্যে (দর্শনীয় স্থান) ৪৮টি বন্ধ করে দিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। এসব স্থানের পার্ক ও কাশ্মিরের নয়নাভিরাম দৃশ্য উপভোগ করার স্থানে এখন দর্শণার্থীরা যেতে পারবেন না।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) থেকে এ আদেশ কার্যকর করা হয়।

বন্ধ ঘোষণা করা এসব স্থানের মধ্যে রয়েছে বিখ্যাত ও পর্যটকদের পছন্দের দুদপাঠরী, কোকেরনাগ, দুকসুম, সিনথান টপ, আচাবল, বাঙ্গুস ভেলি, মারগান টপ ও তোসাময়দান। পাশাপাশি দক্ষিণ কাশ্মিরের মোঘল গার্ডেনও বন্ধ করে দিয়েছে। কেন্দ্রীয়ভাবে ভারত সরকার ঘোষণা না দিলেও এসব দর্শনীয় স্থান মাঠ পর্যায়ে বন্ধ রাখা হয়েছে। পাহালগামের বাইসারান উপত্যকায় সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ পর্যটক নিহত হওয়ার ঘটনায় নিরাপত্তা জোরদার করতে এমন শতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

পর্যটন জম্মু-কাশ্মিরের প্রধান অর্থনৈতিক খাত। ওখানকার সরকার ও নাগরিকদের অর্থ উপার্জনের প্রধান উৎস পর্যটন। এসব দর্শনীয় স্থান বন্ধ হওয়ার ফলে ওখানকার সরকার ও নাগরিকদের উপর অর্থনৈতিক চাপ পড়বে। প্রতীকী ও আর্থিক উভয় দিক থেকেই এই চাপ গুরুত্বপূর্ণ। তবে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বলছে নাগরিক ও পর্যটকদের জীবনের গুরুত্ব তারা আগে বিবেচনা করছেন।

এদিকে পরমাণু শক্তিধর দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তান সীমান্তে গোলাগুলি অব্যাহত রেখেছে। ভারত দাবি করেছে, পাকিস্তানি সেনারা ভারতীয় সীমানার অভ্যন্তরে গুলি চালিয়ে যাচ্ছে। এর শক্ত জবাবও দিচ্ছে ভারত। হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে ভারত সিন্ধু নদীর পানি চুক্তি বাতিল ঘোষণা করে পানি প্রবাহ বন্ধ করে দেয়। জবাবে পাকিস্তান তার আকাশসীমা নিষিদ্ধ করে ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলোর জন্য। দুই প্রতিবেশির মধ্য এখন যুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

কানাডার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি, লিবারেল পার্টির নিরঙ্কুশ জয়

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৪১ পিএম
আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০১:০৪ পিএম
কানাডার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি, লিবারেল পার্টির নিরঙ্কুশ জয়
লিবারেল পার্টির নেতা মার্ক কার্নি। ছবি: সংগৃহীত

কানাডার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন লিবারেল পার্টির নেতা মার্ক কার্নি। দেশটির নির্বাচনে তার দল লিবারেল পার্টি ৬৪ শতাংশ ভোট পেয়ে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করেছে।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

কার্নির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন কনজারভেটিভ নেতা পিয়েরে পইলিয়েভ্রে। তিনি নির্বাচনে পরাজয় মেনে নিয়েছেন। কানাডার পার্লামেন্টে সরকার গঠনে প্রয়োজন ১৭২টি আসন। নির্বাচনে লিবারেল পার্টি ৩৪৩টি আসনের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে।

বিজয়ের পর দেওয়া ভাষণে কার্নি সরাসরি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে বলেন, ‘ট্রাম্প কানাডার মালিকানা নিতে এবং কানাডার মানুষকে বিভক্ত করার চেষ্টা করছেন, কিন্তু তা কখনোই সফল হবে না।’

এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে কানাডার রাজনীতি বড় ধরনের পরিবর্তনের মুখে পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় থাকা জাস্টিন ট্রুডো প্রধানমন্ত্রী ও লিবারেল পার্টির নেতৃত্ব ছাড়েন। তার স্থলাভিষিক্ত হন ব্যাংক অব কানাডা ও ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সাবেক গভর্নর মার্ক কার্নি। ট্রুডোর বিদায়ের পর দলকে সংগঠিত করে নতুন নেতৃত্ব তুলে আনেন কার্নি।

নির্বাচনের আগে কানাডা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি কানাডার পণ্যে শুল্ক আরোপের হুমকি দেন এবং কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য বানানোর প্রস্তাব দেন। এসব মন্তব্য কানাডায় দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবোধে প্রবল সাড়া তোলে এবং নির্বাচনি প্রচারে বড় প্রভাব ফেলে। এই প্রেক্ষাপটেই লিবারেল পার্টির প্রতি জনসমর্থন বৃদ্ধি পায় এবং মার্ক কার্নি জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠে আসেন। সূত্র: আল-জাজিরা 

তাওফিক/