ঢাকা ১৭ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
English
বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২

ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৪৩ পিএম
ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ
আদালতের আদেশ অমান্য করে একাধিক অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত করার কারণে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ দায়ের হতে পারে বলে সতর্ক করেন ওয়াশিংটন ডিসি জেলা বিচারক জেমস বোয়াসবার্গ। ছবি: সংগৃহীত

দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সরকারি বিভিন্ন অঙ্গ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের দ্বন্দ্ব কেবলই ঘনীভূত হচ্ছে। 

আদালতের আদেশ অমান্য করে একাধিক অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত করার কারণে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ দায়ের হতে পারে বলে বুধবার (১৬ এপ্রিল) সতর্ক করেছেন ওয়াশিংটন ডিসি জেলা বিচারক জেমস বোয়াসবার্গ। 

এই প্রথমবার ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন কোনও বিচারক।

বৃহস্পতিবার ( ১৭ এপ্রিল) ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এই খবর জানায়।

বোয়াসবার্গ এক লিখিত রায়ে জানান, বিদেশি শত্রু আইন, ১৭৯৮ ব্যবহার করে অভিবাসীদের বিতাড়ন স্থগিত রাখতে আদেশ দেয় আদালত। কিন্তু সরকারি কর্মকর্তারা ইচ্ছাকৃতভাবে তা অগ্রাহ্য করেছ, যা ফৌজদারি অপরাধের তালিকাভুক্ত।

ইচ্ছাকৃতভাবে আদালতের আদেশ অগ্রাহ্য করার প্রমাণস্বরূপ এক্স হ্যান্ডেলের একটু টুইট সংযুক্ত করেন তিনি। অভিবাসীদের বিতাড়নের পর এল সালভাদরের প্রেসিডেন্ট নায়িব বুকেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটা পোস্ট দেন, যেটাতে বোয়াসবার্গের স্থগিতাদেশটি সংযুক্ত ছিল। বুকেলে সেখানে কটাক্ষ করে লিখেন, আহ! দেরি হয়ে গেল ।

এমনকি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও নিজের প্রোফাইল থেকে এই স্ট্যাটাস শেয়ার করেন। এই পোস্টের কথা উল্লেখ করে বোয়াসবার্গ লিখেন, আদালতের রায় অগ্রাহ্য করে সেটা আবার উল্লাসের সঙ্গে প্রচার করেন তারা।

১৭৯৮ সালের বিদেশি শত্রু আইন ব্যবহার করে গত মাসে একাধিক ব্যক্তিকে এল সাল্ভাদরের কারাগারে পাঠিয়ে দেয় ট্রাম্প প্রশাসন। তাদের বিরুদ্ধে অপরাধচক্রে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়। বিতাড়িতরা মার্কিন আইন অনুযায়ী আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনও সুযোগই পায়নি। 

এদিকে, অনেক বিতাড়িত ব্যক্তির স্বজনদের দাবি, তারা কেউই অপরাধচক্রে জড়িত নন।

এদিকে ট্রাম্প প্রশাসনের সম্মান বাঁচানোর পথও বাতলে দিয়েছেন বোয়াসবার্গ নিজেই। তিনি বলেন, আদেশ মান্য করলে এখনও অবমাননার অভিযোগ এড়াতে পারে ট্রাম্প প্রশাসন। আর এজন্য বিতাড়িত অভিবাসীদের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য আদালতে দাঁড়ানোর সুযোগ দিতে হবে। প্রশাসনকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন বোয়াসবার্গ। 

ট্রাম্প প্রশাসনের বিভিন্ন নীতিকে চ্যালেঞ্জ করে এখন পর্যন্ত দেড় শতাধিক মামলা ঠোকা হয়েছে। ডেমোক্র্যাট ও অনেক আইন বিশেষজ্ঞের অভিযোগ, আদালতের রায় নিজেদের পক্ষে না গেলেই বিভিন্ন ছুতায় কালক্ষেপণ করছেন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। এভাবে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার প্রতি তারা অবজ্ঞা প্রকাশ করছেন। সূত্র: রয়টার্স 

দিনা/

 

কাশ্মীরে হামলার পাল্টা জবাব দিতে সেনাবাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা মোদির

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৩৫ পিএম
কাশ্মীরে হামলার পাল্টা জবাব দিতে সেনাবাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা মোদির

সম্প্রতি ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পাহালগামে সন্ত্রাসী হামলার পর পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় কখন, কোথায় হামলা চালাতে হবে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে তার সিদ্ধান্ত নিতে পুরোপুরি স্বাধীনতা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ সিদ্ধান্তের ফলে সেনাবাহিনী এখন নিজেদের পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নিতে পারবে।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

জম্মু ও কাশ্মীরে বন্দুকধারীদের হামলা ও এর সম্ভাব্য জবাব নিয়ে দেশটির তিন বাহিনীর প্রধান, চিফ অব ডিফেন্স অনীল চৌহান, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং জাতীয় নিরাপত্তা পরামর্শক অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার মোদির নয়াদিল্লির বাসভবনে বৈঠকটি হয়। আগামীকাল বুধবার (৩০ এপ্রিল) তিনি মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির (সিসিএস) সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। এর আগে শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা পরামর্শকের সঙ্গে বৈঠক করলেন তিনি।

সূত্রের বরাতে এনডিটিভি লিখেছে, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ‘সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করার জাতীয় সংকল্প’ পুনর্ব্যক্ত করেছেন এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর ওপর তার ‘পূর্ণ আস্থা’ রয়েছে। বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে পৌঁছান।

২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর এটাই সবচেয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী ঘটনা, যাতে ২৬ জন নিহত হয়েছেন। সূত্রমতে, নরেন্দ্র মোদির এই বার্তা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের পথ প্রশস্ত করেছে। ২০১৯ সালে বালাকোটে ভারত বিমান হামলা চালিয়েছিল। এবারও নিষিদ্ধ পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার নাম উঠে এসেছে।

ভারত ইতোমধ্যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক পদক্ষেপ শুরু করেছে। পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিল করা হয়েছে (হিন্দু ও দীর্ঘমেয়াদি ভিসাধারী বাদে)। সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত, যা পাকিস্তানের ৮৫ শতাংশ পানির যোগান দেয়। পাকিস্তান এই সিদ্ধান্তকে ‘যুদ্ধের শামিল কাজ’ বলে আখ্যা দিয়েছে।

কাশ্মীরের পাহালগামে ওই হামলার পর পাকিস্তানকে দোষারোপ করে আসছে ভারত। যদিও পাকিস্তান এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। সূত্র: এনডিটিভি

এমএ/

চীনে রেস্টুরেন্টে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ২২

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:০৯ পিএম
আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৫৬ পিএম
চীনে রেস্টুরেন্টে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ২২
ছবি: সংগৃহীত

চীনের রিয়াওনিং প্রদেশের উত্তরপূর্বাঞ্চলের লিয়াওয়াংয়ে একটি রেস্টুরেন্টে আগুন লেগে ২২জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও তিনজন।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে।

চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিসিটিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং রেস্টুরেন্টের অগ্নিকাণ্ডকে ‘গভীর উদ্বেগজনক বলে’ মন্তব্য করে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে এ ঘটনার কারণ খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন। এর পেছনে দায়ীদেরকে শাস্তির আওতায় আনতে বলা হয়েছে।

এর আগে গত মার্চে চীনের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশে একটি রেস্টুরেন্টে বিস্ফোরণের ঘটনায় দুজন নিহত এবং ২৬জন আহত হয়েছিলেন। এর পর সেপ্টেম্বরে শেনজেনের দক্ষিণাঞ্চলে একটি উচু ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় একজন নিহত হন। সূত্র: রয়টার্স 

মেহেদী/

ভারতে বন্ধ খাজা পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এক্স অ্যাকাউন্ট

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৪১ পিএম
ভারতে বন্ধ খাজা পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এক্স অ্যাকাউন্ট
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স অ্যাকাউন্ট ভারতে বন্ধ করা হয়েছে। এর ফলে ভারত থেকে ব্যবহারকারীরা তার অ্যাকাউন্টের পোস্ট দেখতে পাবেন না।

পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার জেরে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) এ পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত সরকার।

খাজা আসিফের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় তিনি সন্ত্রাসবাদকে লালন করছেন। এর আগে পাকিস্তান সরকারের অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার অনুরোধ জানানো হয় প্লাটফর্মটির কর্তৃপক্ষের কাছে। তবে মত প্রকাশের স্বাধীনতায় তারা হস্তক্ষেপ করতে পারবে না বলে এ অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে।

এর আগে জনপ্রিয় ১৬টি পাকিস্তানি ইউটিউব চ্যানেল বন্ধ করে ভারত সরকার। এসব ইউটিউব চ্যানেলে প্রায় ৬ কোটি ৩০ লাখ সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। ‘উস্কানিমূলক ও সাম্প্রদায়িকভাবে সংবেদনশীল’ তথ্য প্রচারের অভিযোগ এনে এমন সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

জম্মু-কাশ্মিরে বন্ধ করা হলো অর্ধশত ট্যুরিস্ট স্পট

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৩৫ পিএম
আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৪৩ পিএম
জম্মু-কাশ্মিরে বন্ধ করা হলো অর্ধশত ট্যুরিস্ট স্পট
ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরের পাহালগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায়। নিরাপত্তাজনিত কারণে জম্মু-কাশ্মিরের মোট ৮৭টি ট্যুরিস্ট স্পটের মধ্যে (দর্শনীয় স্থান) ৪৮টি বন্ধ করে দিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। এসব স্থানের পার্ক ও কাশ্মিরের নয়নাভিরাম দৃশ্য উপভোগ করার স্থানে এখন দর্শণার্থীরা যেতে পারবেন না।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) থেকে এ আদেশ কার্যকর করা হয়।

বন্ধ ঘোষণা করা এসব স্থানের মধ্যে রয়েছে বিখ্যাত ও পর্যটকদের পছন্দের দুদপাঠরী, কোকেরনাগ, দুকসুম, সিনথান টপ, আচাবল, বাঙ্গুস ভেলি, মারগান টপ ও তোসাময়দান। পাশাপাশি দক্ষিণ কাশ্মিরের মোঘল গার্ডেনও বন্ধ করে দিয়েছে। কেন্দ্রীয়ভাবে ভারত সরকার ঘোষণা না দিলেও এসব দর্শনীয় স্থান মাঠ পর্যায়ে বন্ধ রাখা হয়েছে। পাহালগামের বাইসারান উপত্যকায় সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ পর্যটক নিহত হওয়ার ঘটনায় নিরাপত্তা জোরদার করতে এমন শতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

পর্যটন জম্মু-কাশ্মিরের প্রধান অর্থনৈতিক খাত। ওখানকার সরকার ও নাগরিকদের অর্থ উপার্জনের প্রধান উৎস পর্যটন। এসব দর্শনীয় স্থান বন্ধ হওয়ার ফলে ওখানকার সরকার ও নাগরিকদের উপর অর্থনৈতিক চাপ পড়বে। প্রতীকী ও আর্থিক উভয় দিক থেকেই এই চাপ গুরুত্বপূর্ণ। তবে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বলছে নাগরিক ও পর্যটকদের জীবনের গুরুত্ব তারা আগে বিবেচনা করছেন।

এদিকে পরমাণু শক্তিধর দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তান সীমান্তে গোলাগুলি অব্যাহত রেখেছে। ভারত দাবি করেছে, পাকিস্তানি সেনারা ভারতীয় সীমানার অভ্যন্তরে গুলি চালিয়ে যাচ্ছে। এর শক্ত জবাবও দিচ্ছে ভারত। হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে ভারত সিন্ধু নদীর পানি চুক্তি বাতিল ঘোষণা করে পানি প্রবাহ বন্ধ করে দেয়। জবাবে পাকিস্তান তার আকাশসীমা নিষিদ্ধ করে ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলোর জন্য। দুই প্রতিবেশির মধ্য এখন যুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

কানাডার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি, লিবারেল পার্টির নিরঙ্কুশ জয়

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৪১ পিএম
আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০১:০৪ পিএম
কানাডার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি, লিবারেল পার্টির নিরঙ্কুশ জয়
লিবারেল পার্টির নেতা মার্ক কার্নি। ছবি: সংগৃহীত

কানাডার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন লিবারেল পার্টির নেতা মার্ক কার্নি। দেশটির নির্বাচনে তার দল লিবারেল পার্টি ৬৪ শতাংশ ভোট পেয়ে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করেছে।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

কার্নির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন কনজারভেটিভ নেতা পিয়েরে পইলিয়েভ্রে। তিনি নির্বাচনে পরাজয় মেনে নিয়েছেন। কানাডার পার্লামেন্টে সরকার গঠনে প্রয়োজন ১৭২টি আসন। নির্বাচনে লিবারেল পার্টি ৩৪৩টি আসনের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে।

বিজয়ের পর দেওয়া ভাষণে কার্নি সরাসরি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে বলেন, ‘ট্রাম্প কানাডার মালিকানা নিতে এবং কানাডার মানুষকে বিভক্ত করার চেষ্টা করছেন, কিন্তু তা কখনোই সফল হবে না।’

এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে কানাডার রাজনীতি বড় ধরনের পরিবর্তনের মুখে পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় থাকা জাস্টিন ট্রুডো প্রধানমন্ত্রী ও লিবারেল পার্টির নেতৃত্ব ছাড়েন। তার স্থলাভিষিক্ত হন ব্যাংক অব কানাডা ও ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সাবেক গভর্নর মার্ক কার্নি। ট্রুডোর বিদায়ের পর দলকে সংগঠিত করে নতুন নেতৃত্ব তুলে আনেন কার্নি।

নির্বাচনের আগে কানাডা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি কানাডার পণ্যে শুল্ক আরোপের হুমকি দেন এবং কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য বানানোর প্রস্তাব দেন। এসব মন্তব্য কানাডায় দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবোধে প্রবল সাড়া তোলে এবং নির্বাচনি প্রচারে বড় প্রভাব ফেলে। এই প্রেক্ষাপটেই লিবারেল পার্টির প্রতি জনসমর্থন বৃদ্ধি পায় এবং মার্ক কার্নি জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠে আসেন। সূত্র: আল-জাজিরা 

তাওফিক/