
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিষিদ্ধ করার হুমকি দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। ট্রাম্পের প্রশাসনের দাবি মানতে অস্বীকৃতি জানানোর পর প্রতিষ্ঠানটিকে এই হুমকি দেয়া হয়।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোম হার্ভার্ডকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, ‘তারা ইহুদি-বিদ্বেষের কাছে মাথা নত করছে।’
বুধবার (১৭ এপ্রিল) নিউ ইয়র্ক পোস্ট এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানায়।
ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে প্রাচীন এই বিশ্ববিদ্যালয়টিকে তাদের নিয়োগ, ভর্তি এবং শিক্ষাদান নীতিমালায় পরিবর্তন আনতে হবে। প্রশাসনের মতে, এসব পদক্ষেপ ক্যাম্পাসে ইহুদিবিদ্বেষ মোকাবেলায় সহায়ক হবে।
এদিকে ক্রিস্টি নোম তাদের কাছে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা সংক্রান্ত নথিপত্র ও তাদের তথাকথিত ‘অবৈধ ও সহিংস কার্যক্রমের’ তথ্য থাকার দাবি করেন।
চলতি শিক্ষাবর্ষে হার্ভার্ডে বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ২৭ শতাংশের বেশি। তবে ক্রিস্টি নোমের সর্বশেষ দাবির বিষয়ে হার্ভার্ড এখনও প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেনি।
সোমবার ( ১৪ এপ্রিল) হার্ভার্ড প্রেসিডেন্ট অ্যালান গারবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে পাঠানো এক বার্তায় বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় তার স্বাধীনতা ত্যাগ করবে না কিংবা তার সাংবিধানিক অধিকার ছাড়বে না।'
এরপর বিশ্ববিদ্যালয়টির জন্য বরাদ্দ ২.২ বিলিয়ন ডলারের ফেডারেল তহবিল বন্ধ করে দেয় ট্রাম্প প্রশাসন। এছাড়া ট্রাম্প আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্যাক্স ছাড় বাতিলের হুমকি দেন যার ফলে হার্ভার্ড প্রতি বছর কোটি কোটি ডলারের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।
এদিকে ট্রাম্প বুধবার তার নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে বলেন, ‘হার্ভার্ডকে আর সম্মানজনক কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে ধরা উচিত নয়। একে বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া উচিত। হার্ভার্ড এখন একটি তামাশা, যেখানে ঘৃণা ও মূর্খতা শেখানো হয়। এটি আর কোনও ফেডারেল ফান্ড পাওয়ার যোগ্য নয়।‘
দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ট্রাম্প প্রশাসন ফিলিস্তিনপন্থি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে লক্ষ্যবস্তু করে।তার সরকারের ‘অ্যান্টিসেমিটিজম টাস্ক ফোর্স’ ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে অন্তত ৬০টি বিশ্ববিদ্যালয়কে পর্যালোচনার জন্য চিহ্নিত করেছে। সূত্র: নিউইয়র্ক পোস্ট
দিনা/