ঢাকা ১৬ বৈশাখ ১৪৩২, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
English
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২

হার্ভার্ডে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ?

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৪২ পিএম
আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৫৪ পিএম
হার্ভার্ডে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ?
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিষিদ্ধ করার হুমকি দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। ট্রাম্পের প্রশাসনের দাবি মানতে অস্বীকৃতি জানানোর পর প্রতিষ্ঠানটিকে এই হুমকি দেয়া হয়। ছবি: সংগৃহীত

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিষিদ্ধ করার হুমকি দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। ট্রাম্পের প্রশাসনের দাবি মানতে অস্বীকৃতি জানানোর পর প্রতিষ্ঠানটিকে এই হুমকি দেয়া হয়। 

বুধবার (১৬ এপ্রিল) হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোম হার্ভার্ডকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, ‘তারা ইহুদি-বিদ্বেষের কাছে মাথা নত করছে।’

বুধবার (১৭ এপ্রিল) নিউ ইয়র্ক পোস্ট এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানায়।
 
ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে প্রাচীন এই বিশ্ববিদ্যালয়টিকে তাদের নিয়োগ, ভর্তি এবং শিক্ষাদান নীতিমালায় পরিবর্তন আনতে হবে। প্রশাসনের মতে, এসব পদক্ষেপ ক্যাম্পাসে ইহুদিবিদ্বেষ মোকাবেলায় সহায়ক হবে।

এদিকে ক্রিস্টি নোম তাদের কাছে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা সংক্রান্ত নথিপত্র ও তাদের তথাকথিত ‘অবৈধ ও সহিংস কার্যক্রমের’ তথ্য থাকার দাবি করেন। 

চলতি শিক্ষাবর্ষে হার্ভার্ডে বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ২৭  শতাংশের বেশি। তবে ক্রিস্টি নোমের সর্বশেষ দাবির বিষয়ে হার্ভার্ড এখনও প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেনি।

সোমবার ( ১৪ এপ্রিল) হার্ভার্ড প্রেসিডেন্ট অ্যালান গারবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে পাঠানো এক বার্তায় বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় তার স্বাধীনতা ত্যাগ করবে না কিংবা তার সাংবিধানিক অধিকার ছাড়বে না।'

এরপর বিশ্ববিদ্যালয়টির জন্য বরাদ্দ ২.২ বিলিয়ন ডলারের ফেডারেল তহবিল বন্ধ করে দেয় ট্রাম্প প্রশাসন। এছাড়া ট্রাম্প আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্যাক্স ছাড় বাতিলের হুমকি দেন যার ফলে হার্ভার্ড প্রতি বছর কোটি কোটি ডলারের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।

এদিকে ট্রাম্প বুধবার তার নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে বলেন, ‘হার্ভার্ডকে আর সম্মানজনক কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে ধরা উচিত নয়। একে বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া উচিত। হার্ভার্ড এখন একটি তামাশা, যেখানে ঘৃণা ও মূর্খতা শেখানো হয়। এটি আর কোনও ফেডারেল ফান্ড পাওয়ার যোগ্য নয়।‘

দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ট্রাম্প প্রশাসন ফিলিস্তিনপন্থি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে লক্ষ্যবস্তু করে।তার সরকারের ‘অ্যান্টিসেমিটিজম টাস্ক ফোর্স’ ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে অন্তত ৬০টি বিশ্ববিদ্যালয়কে পর্যালোচনার জন্য চিহ্নিত করেছে। সূত্র: নিউইয়র্ক পোস্ট

দিনা/

 

কানাডার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি, লিবারেল পার্টির নিরঙ্কুশ জয়

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৪১ পিএম
আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০১:০৪ পিএম
কানাডার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি, লিবারেল পার্টির নিরঙ্কুশ জয়
লিবারেল পার্টির নেতা মার্ক কার্নি। ছবি: সংগৃহীত

কানাডার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন লিবারেল পার্টির নেতা মার্ক কার্নি। দেশটির নির্বাচনে তার দল লিবারেল পার্টি ৬৪ শতাংশ ভোট পেয়ে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করেছে।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

কার্নির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন কনজারভেটিভ নেতা পিয়েরে পইলিয়েভ্রে। তিনি নির্বাচনে পরাজয় মেনে নিয়েছেন। কানাডার পার্লামেন্টে সরকার গঠনে প্রয়োজন ১৭২টি আসন। নির্বাচনে লিবারেল পার্টি ৩৪৩টি আসনের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে।

বিজয়ের পর দেওয়া ভাষণে কার্নি সরাসরি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে বলেন, ‘ট্রাম্প কানাডার মালিকানা নিতে এবং কানাডার মানুষকে বিভক্ত করার চেষ্টা করছেন, কিন্তু তা কখনোই সফল হবে না।’

এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে কানাডার রাজনীতি বড় ধরনের পরিবর্তনের মুখে পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় থাকা জাস্টিন ট্রুডো প্রধানমন্ত্রী ও লিবারেল পার্টির নেতৃত্ব ছাড়েন। তার স্থলাভিষিক্ত হন ব্যাংক অব কানাডা ও ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সাবেক গভর্নর মার্ক কার্নি। ট্রুডোর বিদায়ের পর দলকে সংগঠিত করে নতুন নেতৃত্ব তুলে আনেন কার্নি।

নির্বাচনের আগে কানাডা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি কানাডার পণ্যে শুল্ক আরোপের হুমকি দেন এবং কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য বানানোর প্রস্তাব দেন। এসব মন্তব্য কানাডায় দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবোধে প্রবল সাড়া তোলে এবং নির্বাচনি প্রচারে বড় প্রভাব ফেলে। এই প্রেক্ষাপটেই লিবারেল পার্টির প্রতি জনসমর্থন বৃদ্ধি পায় এবং মার্ক কার্নি জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠে আসেন। সূত্র: আল-জাজিরা 

তাওফিক/ 

স্কুলের বই থেকে মোগল সাম্রাজ্য তুলে দিলেন মোদি

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১১:১২ এএম
স্কুলের বই থেকে মোগল সাম্রাজ্য তুলে দিলেন মোদি

পাহালগামে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে নিরীহ পর্যটকদের নৃশংস হত্যার পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের মধ্যেই স্কুলের ইতিহাস বই থেকে গোটা মোগল সাম্রাজ্যটাই তুলে নিল নরেন্দ্র মোদির সরকার। 

ন্যাশনাল কাউন্সিল অব এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং বা এনসিইআরটির পাঠ্যবইয়ে এই পরিবর্তন করা হয়েছে। মোগল, সুলতানদের অধ্যায় তুলে দিয়ে যুক্ত করা হয়েছে ২০২৫ সালের কুম্ভমেলা। শুধু তা-ই নয়, এর পাশাপাশি পাঠ্যবইয়ে স্থান পেয়েছে মগধ, মৌর্য, শুঙ্গ এবং সাতবাহন সাম্রাজ্যের কথা।

নয়া শিক্ষানীতি অনুযায়ী চলতি বছর সপ্তম শ্রেণির জন্য নতুন সমাজবিজ্ঞানের বই প্রকাশ করেছে এনসিইআরটি। আর তাতেই দেখা গেছে এই বদল। পুরোনো বইয়ের মতো নতুন বইয়ে স্থান পায়নি দিল্লির মোগল এবং সুলতানি সাম্রাজ্যের কথা। সেই অধ্যায় সম্পূর্ণ বাতিল করে দিয়ে প্রাচীন ভারতীয় সাম্রাজ্যের ওপর লেখা নতুন অধ্যায় যুক্ত করা হয়েছে। 

এনসিইআরটির পাঠ্যবই ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের কেন্দ্রীয় বোর্ডের স্কুলগুলোতে পড়ানো হয়ে থাকে। তারাই প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বিভিন্ন বইয়ের সংস্কারের কাজ করে। অতীতে তাদের একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কখনো তারা ডারউইনের অধ্যায় বাদ দিয়েছে, আবার কখনো ভারতের সামাজিক বৈষম্যের ইতিহাসের অধ্যায় বাদ দেওয়া হয়েছে। নানা মহল থেকে অভিযোগ করা হয়, আদতে বিজেপি সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি শিক্ষার্থীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

যদিও এই অভিযোগ যুক্তিহীন বলেই দাবি করছে এনসিইআরটি কর্তৃপক্ষ।

তাদের বক্তব্য, শিক্ষার্থীদের ওপর অকারণ চাপ হয়ে যায়- এমন কিছু বিষয়ে তাদের পড়তে হয় যা হয়তো ততটাও গুরুত্বপূর্ণ নয়। সেই কারণে চাপ কমাতেই এসব রদবদল করা হয়। বিভিন্ন শ্রেণির ক্ষেত্রেই সেই বদল চলে। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। তাই যেসব অভিযোগ তোলা হয় তা ভিত্তিহীন।

দ. কোরিয়ায় দাবানল: সরিয়ে নেওয়া হলো ১২০০ মানুষ

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:০৯ এএম
দ. কোরিয়ায় দাবানল: সরিয়ে নেওয়া হলো ১২০০ মানুষ
দক্ষিণ কোরিয়ায় দাবানলে জ্বলছে দায়েগু শহরের বিপুল এলাকা। গতকাল সেখানে আগুন নেভাতে কাজ করতে দেখা যায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের। ছবি: সংগৃহীত

তীব্র বাতাসে দাবানল ছড়িয়ে পড়তে শুরু করায় দক্ষিণ কোরিয়ার দায়েগু শহর থেকে সোমবার (২৮ এপ্রিল) ১ হাজার ২০০-এরও বেশি বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দাবানল ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় সেখানে এক মহাসড়কও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, দাবানল গতকাল দক্ষিণ কোরিয়ার স্থানীয় সময় বেলা ২টা নাগাদ শুরু হয় এবং দুই ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে আনুমানিক ৫০ হেক্টর এলাকা পুড়ে যায়। কোরিয়া ফরেস্ট সার্ভিস এক বিবৃতিতে জানায়, শুষ্ক আবহাওয়া ও ক্রমাগত বাতাসের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়েছে। 

দায়েগুর দাবানলে এখনো কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। কোরিয়া ফরেস্ট সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে ২৬টি হেলিকপ্টার ও ২০২ জন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীকে মোতায়েন করা হয়েছে। গায়েঙবু মহাসড়কের একটি অংশ বন্ধ রাখা হয়েছে। 

গত মার্চে দক্ষিণ কোরিয়ায় দাবানলে ৩০ জনের প্রাণহানি হয়। সে সময় অনেক ঐতিহাসিক মন্দিরও পুড়ে যায়। ওই দাবানলকে সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানলগুলোর একটি ধরা হয়। সূত্র: রয়টার্স।

রাশিয়ায় সেনা পাঠানোর কথা স্বীকার করল উ. কোরিয়া

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:০১ এএম
রাশিয়ায় সেনা পাঠানোর কথা স্বীকার করল উ. কোরিয়া
রাশিয়ায় সেনা পাঠানোর কথা স্বীকার করল উ. কোরিয়া। ছবি: সংগৃহীত

উত্তর কোরিয়া প্রথমবারের মতো রাশিয়ায় সেনা পাঠানোর কথা স্বীকার করেছে। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে মস্কোর যুদ্ধে ভূমিকা রাখার বিষয়টি পিয়ংইয়ং এতদিন চেপে রাখার চেষ্টাই করেছিল। যদিও দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র শুরু থেকেই বিষয়গুলো তুলে ধরে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে উত্তর কোরিয়ার কেন্দ্রীয় সামরিক সংস্থা জানায়, দেশটির নেতা কিম জং উন রাশিয়ায় সেনা পাঠিয়েছেন, যাতে তারা রুশ সেনাদের পাশাপাশি লড়াই করতে পারে। এটি করা হয়েছে মস্কো ও পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে পারস্পরিক প্রতিরক্ষা সমঝোতার ভিত্তিতে। বিবৃতিটি উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম ‘কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সিতে (কেসিএনএ) প্রচারিত হয়েছে। 

কেসিএনএর খবরে কিম জং উনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, সেনাদের সেখানে পাঠানো হয়েছে ইউক্রেনীয় নিও নাৎসী দখলদারদের পরাজিত ও নির্মূল করতে এবং কারস্ক অঞ্চলকে মুক্ত করতে রুশ সশস্ত্র বাহিনীকে সহায়তা করার লক্ষ্যে।

কিম আরও বলেছেন, ‘যারা ন্যায়ের জন্য লড়াই করে তারা সবাই বীর এবং মাতৃভূমির সম্মানের প্রতিনিধি।’ কেসিএনএ বলেছে, উত্তর কোরিয়া রাশিয়ার মতো শক্তিশালী দেশের সঙ্গে জোট করতে পারা বিষয়টিকে সম্মান বলে মনে করছে। 

পিয়ংইয়ংয়ের নিশ্চিতকরণের পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কিমের প্রতি তার ব্যক্তিগত কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘তার দেশের কোরিয়ান মিত্ররা সংহতি, ন্যায্যতা ও নিখাদ কমরেডশিপের ভিত্তিতে ভূমিকা রেখেছে।’

পুতিন ও কিম গত বছরের জুনে কৌশলগত অংশীদারত্ব সমঝোতায় স্বাক্ষর করেন। দুই দেশ সে সময় যুদ্ধের সময় একে অপরের সহায়তায় এগিয়ে আসার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেয়। দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়োনহাপ সংবাদ সংস্থার খবর বলছে, কিম শিগগিরই পিয়ংইয়ংয়ে একটি স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করবেন।

ইউক্রেনের কর্মকর্তারা চলতি বছরের শুরুতে বলেছেন, প্রায় ১৪ হাজার উত্তর কোরীয় সেনাকে তাদের বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য মোতায়েন করা হয়েছে। শুরুতে যুদ্ধক্ষেত্রে উত্তর কোরীয়দের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে নেওয়ার জন্যও তিন হাজার নতুন সেনা পাঠিয়েছিল পিয়ংইয়ং। এই ১৪ হাজার সেনার মধ্যে ওই তিন হাজারও অন্তর্ভুক্ত।    

সাঁজোয়া যান না থাকা ও ড্রোন যুদ্ধের কলাকৌশল সম্পর্কে অবগত না থাকার কারণে উত্তর কোরীয় সেনাদের যুদ্ধের প্রথমভাগে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। তবে তারা দ্রুতই ভুল শুধরে নেয় এবং পরে ইউক্রেনীয় বাহিনীর দখল থেকে রাশিয়ার কারস্ক অঞ্চল পুনর্দখলে সহায়তা করে। সূত্র: আল-জাজিরা

কানাডায় নির্বাচন, শুরুতে দৌড়ে এগিয়ে লিবারেল পার্টি

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৫১ এএম
আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১০:০৩ এএম
কানাডায় নির্বাচন, শুরুতে দৌড়ে এগিয়ে লিবারেল পার্টি
কানাডার নির্বাচনে হেভিওয়েট দুই প্রার্থী হলেন লিবারেল পার্টির মার্ক কার্নি এবং কনজারভেটিভ পার্টির পিয়েরে পইলিয়েভ্রে। ছবি: সংগৃহীত

কানাডার নির্বাচনে সোমবার (২৮ এপ্রিল) ভোট দিয়েছেন দেশটির জনসাধারণ। দেশটির এবারের নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ও জীবনযাত্রার উচ্চ খরচ দুটিই বেশ প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

নির্বাচনের হেভিওয়েট দুই প্রার্থী হলেন লিবারেল পার্টির মার্ক কার্নি এবং কনজারভেটিভ পার্টির পিয়েরে পইলিয়েভ্রে। মার্ক কার্নে গত মাসে জাস্টিন ট্রুডো সরে দাঁড়ানোর পর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। তিনি সে সময় দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আরোপিত শুল্কের মোকাবিলা করার জন্য তিনিই সবচেয়ে ভালো বিকল্প। কারণ অর্থনৈতিক টানাপোড়েনের সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।

অন্যদিকে কনজারভেটিভ পার্টির নেতা পিয়েরে পইলিয়েভ্রেও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি দাবি করেছেন, ট্রুডো নেতৃত্বাধীন লিবারেলদের অধীনে এক দশক ধরে দুর্বল হয়ে পড়েছে অর্থনীতি। আর এ কারণেই যুক্তরাষ্ট্রের আক্রমণাত্মক বাণিজ্যনীতির সামনে তা আরও নাজুক হয়ে পড়েছে।

সোমবার ভোট শুরু হয় দেশটির নিউফাউন্ডল্যান্ড অ্যান্ড ল্যাব্রাডর প্রদেশ থেকে। ভোটের প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার কথা রয়েছে ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশে। কানাডায় টাইম জোন ছয়টি। সে হিসাবে আজ মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকালে ভোট শেষ হবে দেশটিতে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে লিবারেলরা প্রায় ৪৩ শতাংশ ভোট নিয়ে এগিয়ে ছিলেন। অন্যদিকে কনজারভেটিভরা পেয়েছেন ৩৯ শতাংশের কিছুটা বেশি ভোট। এ ছাড়া নিউ ডেমোক্র্যাটিক পার্টি প্রায় ৯ শতাংশ ভোট নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে ছিল। 

নির্বাচনে কানাডার নাগরিকদের ভোটে দেশটির পার্লামেন্টের ৩৪৩ জন সদস্য নির্বাচিত হবেন। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য ১৭২টি আসনের প্রয়োজন পড়বে। কানাডার আনুমানিক ৪ কোটি ১০ লাখ নাগরিকের মধ্যে ভোটার রয়েছেন ২ কোটি ৯০ লাখ। এরই মধ্যে অগ্রিম ভোট প্রক্রিয়ায় ভোট দিয়েছেন ৭৩ লাখ কানাডীয়।

এদিকে ধারণা করা হচ্ছে, নির্বাচনের আগে কানাডার ভ্যানকুভারে ফিলিপিনো কমিউনিটির উৎসবে গাড়ি উঠিয়ে দেওয়ার ঘটনাটি প্রভাব ফেলেছে সার্বিক পরিস্থিতিতে। ওই ঘটনায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

অনেক রাজনীতিবিদ এরই মধ্যে ঘটনাটির নিন্দা জানিয়েছেন। শেষ মুহূর্তের প্রচারও অনেকে বাতিল করেছেন। এ ঘটনায় ভ্যানকুভারের ৩০ বছর বয়সী বাসিন্দা কাই-জি অ্যাডাম লো’কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সূত্র: আল-জাজিরা