ঢাকা ১৬ বৈশাখ ১৪৩২, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
English
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২

হামলা বেড়েছে ইউক্রেনে

প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:০৫ এএম
আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:০৬ এএম
হামলা বেড়েছে ইউক্রেনে
রুশ হামলায় ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেনে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে হামলার মাত্রা বাড়িয়েছে রাশিয়া। গত বুধবার শেষ ভাগে ইউক্রেনের দক্ষিণপূর্বের শহর দিনিপ্রোতে রাশিয়ার চালানো হামলায় তিন জন মারা গেছেন। ওই হামলায় নিহতদের একজন শিশু। 

ফ্রান্সের প্যারিসে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের ঠিক আগ দিয়ে এ হামলাটি হলো ইউক্রেনে। ওই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ও মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ এবং অন্য ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন।

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির চিফ অব স্টাফও যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার জন্য প্যারিসে রয়েছেন। তবে ঠিক কার কার সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে, সে বিষয়টি স্পষ্ট করে জানায়নি কিয়েভের প্রতিনিধিদল। 

আল-জাজিরার প্রতিবেদন বলছে, মস্কো জ্বালানি অবকাঠামোর জন্য ৩০ দিনের যে সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছিল, সেটির মেয়াদ প্রায় শেষের দিকে। আরও বড় যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে চলমান আলোচনায় অগ্রগতি তেমন হয়নি। ফলে এটি না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

রাশিয়া একাধিকবার ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে। তবে কিয়েভ সে দায় কখনো স্বীকার করেনি। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ গত মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, এই সাময়িক বন্দোবস্ত ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনী মেনে চলেনি এবং মানছে না।

আল-জাজিরার প্রতিবেদন বলছে, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে বিদ্যুৎচালিত সাবস্টেশনে ও গুরুত্বপূর্ণ বিদ্যুৎ লাইনে ড্রোন হামলার অভিযোগ তুলেছে রাশিয়া। তারা বলছে, ইউক্রেন খেরসনের রুশ অধিকৃত অঞ্চলের বৈদ্যুতিক সাবস্টেশনে ও কারস্কে দুটি নিম্নচাপের গ্যাস পাইপলাইনে হামলা চালিয়েছে। 

মস্কোর বাহিনীর দাবি, তারা গত বুধবার আইভানোভো অঞ্চলের শুয়া এলাকার কাছে সাতটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। এলাকাটি মস্কো থেকে ২৬০ কিলোমিটার দূরে এবং ইউক্রেন সীমান্ত থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। রাশিয়ার বিভিন্ন অংশ থেকে মোট ২৬টি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেছে রুশ বাহিনী।

রাশিয়া আজ শুক্রবার থেকে ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালানো শুরু করবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে পেসকভ বলেন, সব কিছু নির্ভর করবে সুপ্রিম কমান্ডার ইন চিফের নির্দেশনার ওপর। মূলত এ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দিকে ইঙ্গিত করেছেন তিনি। 

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ১০ মার্চ পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব রাখেন। তার সে প্রস্তাবের জবাবে পুতিন ১৮ মার্চ জ্বালানি অবকাঠামো সংক্রান্ত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেন। এতে বলা হয়, ৩০ দিনের জন্য কোনো দেশই একে অপরের জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালাবে না। ইউক্রেন সে প্রস্তাবে রাজি হয়। অন্যদিকে ট্রাম্প জানান, শুধু জ্বালানি নয়, অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোও যুদ্ধবিরতির আওতায় থাকবে। তবে রাশিয়া বিষয়টি কখনো নিশ্চিত করেনি। সে সময়ই বিশ্লেষকরা চুক্তিটির অস্পষ্টতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র তা আমলে নেয়নি। তারা মস্কো ও কিয়েভ- দুই পক্ষের সঙ্গেই পৃথক চুক্তি করে। 

তবে এ সময়ের মধ্যে রাশিয়া ও ইউক্রেনকে একে অপরকে লক্ষ্য করে হামলা চালাতে দেখা গেছে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সব দিক থেকেই ইউক্রেনকে চাপে ফেলেছে রাশিয়া। গত মঙ্গলবারও জাপোরিঝিয়াতে রুশ ব্যাটালিয়ন ইউক্রেনীয় বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছিল। 

এসবের মধ্যেই ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র কেনার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। তারা দশটি প্যাট্রিয়ট আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চেয়েছে। গত রবিবার রাশিয়া ইউক্রেনের সুমি শহরে ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানোর পর ওই ইচ্ছা প্রকাশ করেন জেলেনস্কি। ওই হামলায় ইউক্রেনে ৩৫ জন মারা যান। আহত হন এক শরও বেশি। সূত্র: আল-জাজিরা 

চীনে রেস্টুরেন্টে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ২২

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:০৯ পিএম
আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৫৬ পিএম
চীনে রেস্টুরেন্টে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ২২
ছবি: সংগৃহীত

চীনের রিয়াওনিং প্রদেশের উত্তরপূর্বাঞ্চলের লিয়াওয়াংয়ে একটি রেস্টুরেন্টে আগুন লেগে ২২জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও তিনজন।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে।

চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিসিটিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং রেস্টুরেন্টের অগ্নিকাণ্ডকে ‘গভীর উদ্বেগজনক বলে’ মন্তব্য করে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে এ ঘটনার কারণ খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন। এর পেছনে দায়ীদেরকে শাস্তির আওতায় আনতে বলা হয়েছে।

এর আগে গত মার্চে চীনের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশে একটি রেস্টুরেন্টে বিস্ফোরণের ঘটনায় দুজন নিহত এবং ২৬জন আহত হয়েছিলেন। এর পর সেপ্টেম্বরে শেনজেনের দক্ষিণাঞ্চলে একটি উচু ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় একজন নিহত হন। সূত্র: রয়টার্স 

মেহেদী/

ভারতে বন্ধ খাজা পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এক্স অ্যাকাউন্ট

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৪১ পিএম
ভারতে বন্ধ খাজা পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এক্স অ্যাকাউন্ট
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স অ্যাকাউন্ট ভারতে বন্ধ করা হয়েছে। এর ফলে ভারত থেকে ব্যবহারকারীরা তার অ্যাকাউন্টের পোস্ট দেখতে পাবেন না।

পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার জেরে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) এ পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত সরকার।

খাজা আসিফের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় তিনি সন্ত্রাসবাদকে লালন করছেন। এর আগে পাকিস্তান সরকারের অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার অনুরোধ জানানো হয় প্লাটফর্মটির কর্তৃপক্ষের কাছে। তবে মত প্রকাশের স্বাধীনতায় তারা হস্তক্ষেপ করতে পারবে না বলে এ অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে।

এর আগে জনপ্রিয় ১৬টি পাকিস্তানি ইউটিউব চ্যানেল বন্ধ করে ভারত সরকার। এসব ইউটিউব চ্যানেলে প্রায় ৬ কোটি ৩০ লাখ সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। ‘উস্কানিমূলক ও সাম্প্রদায়িকভাবে সংবেদনশীল’ তথ্য প্রচারের অভিযোগ এনে এমন সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

জম্মু-কাশ্মিরে বন্ধ করা হলো অর্ধশত ট্যুরিস্ট স্পট

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৩৫ পিএম
আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৪৩ পিএম
জম্মু-কাশ্মিরে বন্ধ করা হলো অর্ধশত ট্যুরিস্ট স্পট
ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরের পাহালগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায়। নিরাপত্তাজনিত কারণে জম্মু-কাশ্মিরের মোট ৮৭টি ট্যুরিস্ট স্পটের মধ্যে (দর্শনীয় স্থান) ৪৮টি বন্ধ করে দিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। এসব স্থানের পার্ক ও কাশ্মিরের নয়নাভিরাম দৃশ্য উপভোগ করার স্থানে এখন দর্শণার্থীরা যেতে পারবেন না।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) থেকে এ আদেশ কার্যকর করা হয়।

বন্ধ ঘোষণা করা এসব স্থানের মধ্যে রয়েছে বিখ্যাত ও পর্যটকদের পছন্দের দুদপাঠরী, কোকেরনাগ, দুকসুম, সিনথান টপ, আচাবল, বাঙ্গুস ভেলি, মারগান টপ ও তোসাময়দান। পাশাপাশি দক্ষিণ কাশ্মিরের মোঘল গার্ডেনও বন্ধ করে দিয়েছে। কেন্দ্রীয়ভাবে ভারত সরকার ঘোষণা না দিলেও এসব দর্শনীয় স্থান মাঠ পর্যায়ে বন্ধ রাখা হয়েছে। পাহালগামের বাইসারান উপত্যকায় সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ পর্যটক নিহত হওয়ার ঘটনায় নিরাপত্তা জোরদার করতে এমন শতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

পর্যটন জম্মু-কাশ্মিরের প্রধান অর্থনৈতিক খাত। ওখানকার সরকার ও নাগরিকদের অর্থ উপার্জনের প্রধান উৎস পর্যটন। এসব দর্শনীয় স্থান বন্ধ হওয়ার ফলে ওখানকার সরকার ও নাগরিকদের উপর অর্থনৈতিক চাপ পড়বে। প্রতীকী ও আর্থিক উভয় দিক থেকেই এই চাপ গুরুত্বপূর্ণ। তবে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বলছে নাগরিক ও পর্যটকদের জীবনের গুরুত্ব তারা আগে বিবেচনা করছেন।

এদিকে পরমাণু শক্তিধর দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তান সীমান্তে গোলাগুলি অব্যাহত রেখেছে। ভারত দাবি করেছে, পাকিস্তানি সেনারা ভারতীয় সীমানার অভ্যন্তরে গুলি চালিয়ে যাচ্ছে। এর শক্ত জবাবও দিচ্ছে ভারত। হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে ভারত সিন্ধু নদীর পানি চুক্তি বাতিল ঘোষণা করে পানি প্রবাহ বন্ধ করে দেয়। জবাবে পাকিস্তান তার আকাশসীমা নিষিদ্ধ করে ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলোর জন্য। দুই প্রতিবেশির মধ্য এখন যুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

কানাডার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি, লিবারেল পার্টির নিরঙ্কুশ জয়

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৪১ পিএম
আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০১:০৪ পিএম
কানাডার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি, লিবারেল পার্টির নিরঙ্কুশ জয়
লিবারেল পার্টির নেতা মার্ক কার্নি। ছবি: সংগৃহীত

কানাডার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন লিবারেল পার্টির নেতা মার্ক কার্নি। দেশটির নির্বাচনে তার দল লিবারেল পার্টি ৬৪ শতাংশ ভোট পেয়ে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করেছে।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

কার্নির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন কনজারভেটিভ নেতা পিয়েরে পইলিয়েভ্রে। তিনি নির্বাচনে পরাজয় মেনে নিয়েছেন। কানাডার পার্লামেন্টে সরকার গঠনে প্রয়োজন ১৭২টি আসন। নির্বাচনে লিবারেল পার্টি ৩৪৩টি আসনের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে।

বিজয়ের পর দেওয়া ভাষণে কার্নি সরাসরি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে বলেন, ‘ট্রাম্প কানাডার মালিকানা নিতে এবং কানাডার মানুষকে বিভক্ত করার চেষ্টা করছেন, কিন্তু তা কখনোই সফল হবে না।’

এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে কানাডার রাজনীতি বড় ধরনের পরিবর্তনের মুখে পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় থাকা জাস্টিন ট্রুডো প্রধানমন্ত্রী ও লিবারেল পার্টির নেতৃত্ব ছাড়েন। তার স্থলাভিষিক্ত হন ব্যাংক অব কানাডা ও ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সাবেক গভর্নর মার্ক কার্নি। ট্রুডোর বিদায়ের পর দলকে সংগঠিত করে নতুন নেতৃত্ব তুলে আনেন কার্নি।

নির্বাচনের আগে কানাডা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি কানাডার পণ্যে শুল্ক আরোপের হুমকি দেন এবং কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য বানানোর প্রস্তাব দেন। এসব মন্তব্য কানাডায় দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবোধে প্রবল সাড়া তোলে এবং নির্বাচনি প্রচারে বড় প্রভাব ফেলে। এই প্রেক্ষাপটেই লিবারেল পার্টির প্রতি জনসমর্থন বৃদ্ধি পায় এবং মার্ক কার্নি জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠে আসেন। সূত্র: আল-জাজিরা 

তাওফিক/ 

স্কুলের বই থেকে মোগল সাম্রাজ্য তুলে দিলেন মোদি

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১১:১২ এএম
স্কুলের বই থেকে মোগল সাম্রাজ্য তুলে দিলেন মোদি

পাহালগামে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে নিরীহ পর্যটকদের নৃশংস হত্যার পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের মধ্যেই স্কুলের ইতিহাস বই থেকে গোটা মোগল সাম্রাজ্যটাই তুলে নিল নরেন্দ্র মোদির সরকার। 

ন্যাশনাল কাউন্সিল অব এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং বা এনসিইআরটির পাঠ্যবইয়ে এই পরিবর্তন করা হয়েছে। মোগল, সুলতানদের অধ্যায় তুলে দিয়ে যুক্ত করা হয়েছে ২০২৫ সালের কুম্ভমেলা। শুধু তা-ই নয়, এর পাশাপাশি পাঠ্যবইয়ে স্থান পেয়েছে মগধ, মৌর্য, শুঙ্গ এবং সাতবাহন সাম্রাজ্যের কথা।

নয়া শিক্ষানীতি অনুযায়ী চলতি বছর সপ্তম শ্রেণির জন্য নতুন সমাজবিজ্ঞানের বই প্রকাশ করেছে এনসিইআরটি। আর তাতেই দেখা গেছে এই বদল। পুরোনো বইয়ের মতো নতুন বইয়ে স্থান পায়নি দিল্লির মোগল এবং সুলতানি সাম্রাজ্যের কথা। সেই অধ্যায় সম্পূর্ণ বাতিল করে দিয়ে প্রাচীন ভারতীয় সাম্রাজ্যের ওপর লেখা নতুন অধ্যায় যুক্ত করা হয়েছে। 

এনসিইআরটির পাঠ্যবই ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের কেন্দ্রীয় বোর্ডের স্কুলগুলোতে পড়ানো হয়ে থাকে। তারাই প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বিভিন্ন বইয়ের সংস্কারের কাজ করে। অতীতে তাদের একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কখনো তারা ডারউইনের অধ্যায় বাদ দিয়েছে, আবার কখনো ভারতের সামাজিক বৈষম্যের ইতিহাসের অধ্যায় বাদ দেওয়া হয়েছে। নানা মহল থেকে অভিযোগ করা হয়, আদতে বিজেপি সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি শিক্ষার্থীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

যদিও এই অভিযোগ যুক্তিহীন বলেই দাবি করছে এনসিইআরটি কর্তৃপক্ষ।

তাদের বক্তব্য, শিক্ষার্থীদের ওপর অকারণ চাপ হয়ে যায়- এমন কিছু বিষয়ে তাদের পড়তে হয় যা হয়তো ততটাও গুরুত্বপূর্ণ নয়। সেই কারণে চাপ কমাতেই এসব রদবদল করা হয়। বিভিন্ন শ্রেণির ক্ষেত্রেই সেই বদল চলে। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। তাই যেসব অভিযোগ তোলা হয় তা ভিত্তিহীন।