
পশ্চিম ইয়েমেনের রাস ইসা জ্বালানি বন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় কমপক্ষে ৩৮ জন নিহত হয়েছেন। পাশাপাশি আহত হন ১০২ জন।
শুক্রবার ( ১৮ এপ্রিল) হুথি পরিচালিত সংবাদমাধ্যম আল মাসিরাহর সূত্র দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
ইরান-সমর্থিত হুথি বনাম যুক্তরাষ্ট্র দ্বন্দ্ব-সংঘাত শুরু হওয়ার পর এটিকে সবচেয়ে বড় হামলা বলে মনে করা হচ্ছে।
আল মাসিরাহ টিভি জানায়, মার্কিন সেনাবাহিনীর এই হামলার লক্ষ্য হুথি গোষ্ঠীর জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করা। তবে হুথিরা হতাহতের যে সংখ্যা জানায় এ নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পেন্টাগনের তরফ থেকে কোনো কিছু জানানো হয়নি।
তবে ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড এক্সে দেওয়া একটি পোস্টে জানায়, এই হামলার উদ্দেশ্য ছিল হুথিদের ক্ষমতার অর্থনৈতিক উৎসকে ভেঙে দেওয়া।
গত মাসে হুথিদের বিরুদ্ধে বড় আকারের হামলা শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি বলছে,লোহিত সাগরের জাহাজে হুথিদের আক্রমণ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তারা থামবে না।
২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে হুথিরা লোহিত সাগরে চলাচলকারী বেশ কিছু জাহাজে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। পক্ষান্তরে হুথিরা বলছে, তারা গাজা যুদ্ধের প্রতিবাদে ইসরায়েলের সাথে সংযুক্ত জাহাজগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়।
গাজায় দুই মাসের যুদ্ধবিরতি চলাকালীন সময় তারা জাহাজে হামলা বন্ধ রাখে। যদিও গত মাসে গাজায় আইডিএফ আবারও হামলা শুরু হলে হুথিরাও হুঙ্কার দেয় যে— তারা আবারও লোহিত সাগরে জাহাজে হামলা চালাবে। যদিও হুথিরা এখনও কোনো হামলার দাবি করেনি। সুত্র: রয়টার্স
দিনা