ঢাকা ১৬ বৈশাখ ১৪৩২, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
English
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধ চায় না ভারত

প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪৮ এএম
বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধ চায় না ভারত
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো ধরনের বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করতে চায় না ভারত। দেশটির সরকারি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

এতে বলা হয়, ২০২০ সালে বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা সম্প্রতি ভারত প্রত্যাহার করলেও, এটি বাংলাদেশের বাণিজ্যে কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না। 

এ সিদ্ধান্তের ফলে নেপাল ও ভুটানে বাংলাদেশের রপ্তানিতে কোনো বাধা সৃষ্টি হয়নি। বরং ভারতের স্থল ও বিমানবন্দরে জট কমাতে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর পেছনে  বাংলাদেশের ক্ষতির কোনো উদ্দেশ্য ছিল না।

কিন্তু সম্প্রতি বাংলাদেশের কিছু পদক্ষেপ নিয়ে ভারতের কর্তৃপক্ষ প্রশ্ন তুলেছে। এর মধ্যে গত মার্চ মাসে বাংলাদেশ তিনটি স্থলবন্দর বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি ভারত থেকে সুতা আমদানিও বন্ধ করে দেয়। জানুয়ারি মাসে বেনাপোল কাস্টম হাউসে নজরদারি বাড়ানোর সিদ্ধান্তকেও ভারত বাণিজ্য সীমাবদ্ধ করার অংশ হিসেবে দেখছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশি পোশাক প্রস্তুতকারকরা সরকারকে সতর্ক করে বলেছেন, সুতা আমদানি বন্ধের সিদ্ধান্ত পোশাক রপ্তানিকারকদের জন্য আত্মঘাতী হতে পারে। অপরদিকে, ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য সম্পর্ক হুমকির মুখে পড়লেও, ঢাকা সরাসরি পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য পুনরায় শুরু করেছে। গত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে ৫০ হাজার টন চাল কিনতে সম্মত হয়।

পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক পুনরুজ্জীবনের বিষয়টি ভারতীয় কর্তৃপক্ষের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে যখন প্রতিবেশী দেশে চরমপন্থা বাড়ার আশঙ্কা বাড়ছে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালোচের ঢাকা সফর এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের পরবর্তী সফরের খবরে দুই দেশের সম্পর্কের নতুন অধ্যায় শুরু হতে যাচ্ছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

দ. কোরিয়ায় দাবানল: সরিয়ে নেওয়া হলো ১২০০ মানুষ

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:০৯ এএম
দ. কোরিয়ায় দাবানল: সরিয়ে নেওয়া হলো ১২০০ মানুষ
দক্ষিণ কোরিয়ায় দাবানলে জ্বলছে দায়েগু শহরের বিপুল এলাকা। গতকাল সেখানে আগুন নেভাতে কাজ করতে দেখা যায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের। ছবি: সংগৃহীত

তীব্র বাতাসে দাবানল ছড়িয়ে পড়তে শুরু করায় দক্ষিণ কোরিয়ার দায়েগু শহর থেকে সোমবার (২৮ এপ্রিল) ১ হাজার ২০০-এরও বেশি বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দাবানল ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় সেখানে এক মহাসড়কও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, দাবানল গতকাল দক্ষিণ কোরিয়ার স্থানীয় সময় বেলা ২টা নাগাদ শুরু হয় এবং দুই ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে আনুমানিক ৫০ হেক্টর এলাকা পুড়ে যায়। কোরিয়া ফরেস্ট সার্ভিস এক বিবৃতিতে জানায়, শুষ্ক আবহাওয়া ও ক্রমাগত বাতাসের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়েছে। 

দায়েগুর দাবানলে এখনো কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। কোরিয়া ফরেস্ট সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে ২৬টি হেলিকপ্টার ও ২০২ জন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীকে মোতায়েন করা হয়েছে। গায়েঙবু মহাসড়কের একটি অংশ বন্ধ রাখা হয়েছে। 

গত মার্চে দক্ষিণ কোরিয়ায় দাবানলে ৩০ জনের প্রাণহানি হয়। সে সময় অনেক ঐতিহাসিক মন্দিরও পুড়ে যায়। ওই দাবানলকে সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানলগুলোর একটি ধরা হয়। সূত্র: রয়টার্স।

রাশিয়ায় সেনা পাঠানোর কথা স্বীকার করল উ. কোরিয়া

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:০১ এএম
রাশিয়ায় সেনা পাঠানোর কথা স্বীকার করল উ. কোরিয়া
রাশিয়ায় সেনা পাঠানোর কথা স্বীকার করল উ. কোরিয়া। ছবি: সংগৃহীত

উত্তর কোরিয়া প্রথমবারের মতো রাশিয়ায় সেনা পাঠানোর কথা স্বীকার করেছে। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে মস্কোর যুদ্ধে ভূমিকা রাখার বিষয়টি পিয়ংইয়ং এতদিন চেপে রাখার চেষ্টাই করেছিল। যদিও দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র শুরু থেকেই বিষয়গুলো তুলে ধরে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে উত্তর কোরিয়ার কেন্দ্রীয় সামরিক সংস্থা জানায়, দেশটির নেতা কিম জং উন রাশিয়ায় সেনা পাঠিয়েছেন, যাতে তারা রুশ সেনাদের পাশাপাশি লড়াই করতে পারে। এটি করা হয়েছে মস্কো ও পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে পারস্পরিক প্রতিরক্ষা সমঝোতার ভিত্তিতে। বিবৃতিটি উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম ‘কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সিতে (কেসিএনএ) প্রচারিত হয়েছে। 

কেসিএনএর খবরে কিম জং উনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, সেনাদের সেখানে পাঠানো হয়েছে ইউক্রেনীয় নিও নাৎসী দখলদারদের পরাজিত ও নির্মূল করতে এবং কারস্ক অঞ্চলকে মুক্ত করতে রুশ সশস্ত্র বাহিনীকে সহায়তা করার লক্ষ্যে।

কিম আরও বলেছেন, ‘যারা ন্যায়ের জন্য লড়াই করে তারা সবাই বীর এবং মাতৃভূমির সম্মানের প্রতিনিধি।’ কেসিএনএ বলেছে, উত্তর কোরিয়া রাশিয়ার মতো শক্তিশালী দেশের সঙ্গে জোট করতে পারা বিষয়টিকে সম্মান বলে মনে করছে। 

পিয়ংইয়ংয়ের নিশ্চিতকরণের পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কিমের প্রতি তার ব্যক্তিগত কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘তার দেশের কোরিয়ান মিত্ররা সংহতি, ন্যায্যতা ও নিখাদ কমরেডশিপের ভিত্তিতে ভূমিকা রেখেছে।’

পুতিন ও কিম গত বছরের জুনে কৌশলগত অংশীদারত্ব সমঝোতায় স্বাক্ষর করেন। দুই দেশ সে সময় যুদ্ধের সময় একে অপরের সহায়তায় এগিয়ে আসার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেয়। দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়োনহাপ সংবাদ সংস্থার খবর বলছে, কিম শিগগিরই পিয়ংইয়ংয়ে একটি স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করবেন।

ইউক্রেনের কর্মকর্তারা চলতি বছরের শুরুতে বলেছেন, প্রায় ১৪ হাজার উত্তর কোরীয় সেনাকে তাদের বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য মোতায়েন করা হয়েছে। শুরুতে যুদ্ধক্ষেত্রে উত্তর কোরীয়দের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে নেওয়ার জন্যও তিন হাজার নতুন সেনা পাঠিয়েছিল পিয়ংইয়ং। এই ১৪ হাজার সেনার মধ্যে ওই তিন হাজারও অন্তর্ভুক্ত।    

সাঁজোয়া যান না থাকা ও ড্রোন যুদ্ধের কলাকৌশল সম্পর্কে অবগত না থাকার কারণে উত্তর কোরীয় সেনাদের যুদ্ধের প্রথমভাগে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। তবে তারা দ্রুতই ভুল শুধরে নেয় এবং পরে ইউক্রেনীয় বাহিনীর দখল থেকে রাশিয়ার কারস্ক অঞ্চল পুনর্দখলে সহায়তা করে। সূত্র: আল-জাজিরা

কানাডায় নির্বাচন, শুরুতে দৌড়ে এগিয়ে লিবারেল পার্টি

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৫১ এএম
কানাডায় নির্বাচন, শুরুতে দৌড়ে এগিয়ে লিবারেল পার্টি
কানাডার নির্বাচনে হেভিওয়েট দুই প্রার্থী হলেন লিবারেল পার্টির মার্ক কার্নি এবং কনজারভেটিভ পার্টির পিয়েরে পইলিয়েভ্রে। ছবি: সংগৃহীত

কানাডার নির্বাচনে সোমবার (২৮ এপ্রিল) ভোট দিয়েছেন দেশটির জনসাধারণ। দেশটির এবারের নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ও জীবনযাত্রার উচ্চ খরচ দুটিই বেশ প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

নির্বাচনের হেভিওয়েট দুই প্রার্থী হলেন লিবারেল পার্টির মার্ক কার্নি এবং কনজারভেটিভ পার্টির পিয়েরে পইলিয়েভ্রে। মার্ক কার্নে গত মাসে জাস্টিন ট্রুডো সরে দাঁড়ানোর পর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। তিনি সে সময় দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আরোপিত শুল্কের মোকাবিলা করার জন্য তিনিই সবচেয়ে ভালো বিকল্প। কারণ অর্থনৈতিক টানাপোড়েনের সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।

অন্যদিকে কনজারভেটিভ পার্টির নেতা পিয়েরে পইলিয়েভ্রেও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি দাবি করেছেন, ট্রুডো নেতৃত্বাধীন লিবারেলদের অধীনে এক দশক ধরে দুর্বল হয়ে পড়েছে অর্থনীতি। আর এ কারণেই যুক্তরাষ্ট্রের আক্রমণাত্মক বাণিজ্যনীতির সামনে তা আরও নাজুক হয়ে পড়েছে।

সোমবার ভোট শুরু হয় দেশটির নিউফাউন্ডল্যান্ড অ্যান্ড ল্যাব্রাডর প্রদেশ থেকে। ভোটের প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার কথা রয়েছে ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশে। কানাডায় টাইম জোন ছয়টি। সে হিসাবে আজ মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকালে ভোট শেষ হবে দেশটিতে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে লিবারেলরা প্রায় ৪৩ শতাংশ ভোট নিয়ে এগিয়ে ছিলেন। অন্যদিকে কনজারভেটিভরা পেয়েছেন ৩৯ শতাংশের কিছুটা বেশি ভোট। এ ছাড়া নিউ ডেমোক্র্যাটিক পার্টি প্রায় ৯ শতাংশ ভোট নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে ছিল। 

নির্বাচনে কানাডার নাগরিকদের ভোটে দেশটির পার্লামেন্টের ৩৪৩ জন সদস্য নির্বাচিত হবেন। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য ১৭২টি আসনের প্রয়োজন পড়বে। কানাডার আনুমানিক ৪ কোটি ১০ লাখ নাগরিকের মধ্যে ভোটার রয়েছেন ২ কোটি ৯০ লাখ। এরই মধ্যে অগ্রিম ভোট প্রক্রিয়ায় ভোট দিয়েছেন ৭৩ লাখ কানাডীয়।

এদিকে ধারণা করা হচ্ছে, নির্বাচনের আগে কানাডার ভ্যানকুভারে ফিলিপিনো কমিউনিটির উৎসবে গাড়ি উঠিয়ে দেওয়ার ঘটনাটি প্রভাব ফেলেছে সার্বিক পরিস্থিতিতে। ওই ঘটনায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

অনেক রাজনীতিবিদ এরই মধ্যে ঘটনাটির নিন্দা জানিয়েছেন। শেষ মুহূর্তের প্রচারও অনেকে বাতিল করেছেন। এ ঘটনায় ভ্যানকুভারের ৩০ বছর বয়সী বাসিন্দা কাই-জি অ্যাডাম লো’কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সূত্র: আল-জাজিরা

ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় নিহত ৬৮

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৪১ এএম
আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৫৪ এএম
ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় নিহত ৬৮
ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা। ছবি: সংগৃহীত

ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের চালানো বিমান হামলায় ৬৮ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ৪৭ জন। মৃতদের বেশির ভাগই অভিবাসী। যুক্তরাষ্ট্র মূলত আফ্রিকার অভিবাসীদের একটি আটক কেন্দ্রে আঘাত হানে।

ইয়েমেনের হুতি পরিচালিত আল মাসিরাহ টিভি সোমবার (২৮ এপ্রিল) এসব তথ্য জানায়। 

রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, ইয়েমেনের সাদা অঞ্চলে আক্রমণ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী। ওই এলাকাটি হুতিদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এবং এর আগেও ওই অঞ্চলে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ইয়েমেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের খবর বলছে, ওই কেন্দ্রে ১১৫ জন আফ্রিকান অভিবাসীকে রাখা হয়েছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরান-সমর্থিত হুতি বাহিনীকে লক্ষ্য করে সাম্প্রতিক সময়ে হামলা মাত্রা বৃদ্ধি করেছে। মূলত লোহিত সাগরের নিরাপত্তা ইস্যুকে কেন্দ্র করেই এসব হামলার ঘটনা ঘটছে। গাজার যুদ্ধের শুরু থেকেই হামাস ও গাজাবাসীর প্রতি সংহতি প্রকাশ করে লোহিত সাগরের জাহাজ চলাচলের পথে হামলা চালাচ্ছে হুতিরা। আর তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

দেশটি জানিয়েছে, লোহিত সাগরের জাহাজ চলাচল পথ নিরাপদ হওয়ার আগ পর্যন্ত তারা হামলা চালানো অব্যাহত রাখবে।

প্রসঙ্গত, হুতিরা গত দশক থেকেই ইয়েমেনের বড় একটি অংশ দখলে রেখেছে। এদিকে, ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের আক্রমণকে ‘নৃশংস অপরাধ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন এক হুতি মুখপাত্র। 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে হুতি মুখপাত্র মোহাম্মেদ আবদুল সালাম লিখেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক নৃশংসতা ইয়েমেন প্রশ্নে তাদের সামরিক ব্যর্থতা ঢাকতে পারবে না এবং আগ্রাসন চালিয়ে তারা কিছু অর্জন করতে পারবে না।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘বিমান হামলার বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের নীরবতা ওয়াশিংটনকে আবাসিক এলাকায় আরও আক্রমণ চালাতে উৎসাহিত করছে। তারা বিশ্বকেও ভুল তথ্য দিচ্ছে যে এগুলো সামরিক লক্ষ্যবস্তু।’

আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে শুনানি

ইসরায়েলের মানবিক দায়-দায়িত্ব প্রশ্নে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে (আইসিজে) পাঁচ দিনের শুনানি শুরু হয়েছে। এমন একটি সময়ে এটির কর্মকাণ্ড শুরু হলো, যখন ফিলিস্তিনিরা গাজায় দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছেন। 

ইসরায়েল আইসিজের শুনানিতে মৌখিকভাবে অংশ নেবে না। ফলে তাদের জবাব শুনানির শুরুর দিকেই বিস্তারিতভাবে জানার সুযোগ নেই। ইসরায়েল লিখিত পরামর্শ ও আপত্তি জমা দিয়েছে।

এমনিতে যুক্তরাজ্যে গত সপ্তাহে ইসরায়েলের পক্ষের আইনজীবীরা জানান, ইসরায়েলের ইউএনআরডব্লিউএর সঙ্গে সমঝোতা স্থগিতের অধিকার রয়েছে এবং তারা নিজেদের সার্বভৌম ভূখণ্ডে সংস্থাটির কাজ নিষিদ্ধি করতে পারবে, বিশেষ করে যুদ্ধকালীন সময়ে।

গাজার চিকিৎসাকর্মীরা জানান, ইসরায়েলি বাহিনীর সোমবার ভোর রাতের আক্রমণে ২৩ ফিলিস্তিনি মারা গেছেন। এর এক দিন আগেই তাদের চালানো হামলায় অন্তত ৫৩ জন মারা গেছেন।  

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৫২ হাজার ২৪৩ জন ফিলিস্তিনি মারা গেছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন ১ লাখ ১৭ হাজার ৬৩৯ জন। তবে গাজার গণমাধ্যম দপ্তর বলছে, মৃতের সংখ্যা ৬১ হাজার সাতশ’রও বেশি। হাজার হাজার মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে। সূত্র: আল-জাজিরা 

স্পেন, পর্তুগাল এবং ফ্রান্সে ব্যাপক বিদ্যুৎ বিভ্রাটে অচলাবস্থা

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৫৪ পিএম
আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৫৬ পিএম
স্পেন, পর্তুগাল এবং ফ্রান্সে ব্যাপক বিদ্যুৎ বিভ্রাটে অচলাবস্থা
ছবি: সংগৃহীত

স্পেন, পর্তুগাল এবং ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলে বিশাল বিদ্যুৎ গোলযোগ ঘটেছে, যার ফলে দেশগুলোর প্রায় সকল শহরগুলো বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগবিহীন হয়ে পড়েছে।  

সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুর থেকে এ অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়।

স্পেনের মাদ্রিদ, সেভিলা, বার্সেলোনা এবং ভ্যালেন্সিয়ার বিমানবন্দরগুলোতে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে, সমগ্র ইউরোপজুড়ে ভ্রমণে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলের কিছু অংশেও একই অবস্থা হয়েছে। 

মাদ্রিদের পাতালরেল খালি করা হয়েছে এবং কোনো শহরের ট্রাফিক লাইটও কাজ করছে না। ভ্যালেন্সিয়ার মেট্রো সেবা বন্ধ করা হয়েছে, পাশাপাশি মাদ্রিদ ওপেন টেনিস টুর্নামেন্টের খেলা বন্ধ রাখা হয়েছে। 

স্পেনের বিদ্যুৎ গ্রিডের তথ্য অনুযায়ী, দুপুরের দিকে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে বিদ্যুতের সরবরাহে ব্যাপক পতন ঘটেছে। এই বিভ্রাটের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।

স্পেনের সাইবার-সুরক্ষা সংস্থা ইনসিবে জানিয়েছে, তারা এই বিভ্রাটের পেছনে সাইবার হামলার সম্ভাবনা তদন্ত করছে।  

স্পেনের রাষ্ট্রপতি দেশটিতে প্রয়োজনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছেন। জানা গেছে বেলজিয়াম ও এনডোরাও একই অবস্থার সম্মুখীন হয়েছে। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস