
বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো ধরনের বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করতে চায় না ভারত। দেশটির সরকারি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, ২০২০ সালে বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা সম্প্রতি ভারত প্রত্যাহার করলেও, এটি বাংলাদেশের বাণিজ্যে কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না।
এ সিদ্ধান্তের ফলে নেপাল ও ভুটানে বাংলাদেশের রপ্তানিতে কোনো বাধা সৃষ্টি হয়নি। বরং ভারতের স্থল ও বিমানবন্দরে জট কমাতে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর পেছনে বাংলাদেশের ক্ষতির কোনো উদ্দেশ্য ছিল না।
কিন্তু সম্প্রতি বাংলাদেশের কিছু পদক্ষেপ নিয়ে ভারতের কর্তৃপক্ষ প্রশ্ন তুলেছে। এর মধ্যে গত মার্চ মাসে বাংলাদেশ তিনটি স্থলবন্দর বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি ভারত থেকে সুতা আমদানিও বন্ধ করে দেয়। জানুয়ারি মাসে বেনাপোল কাস্টম হাউসে নজরদারি বাড়ানোর সিদ্ধান্তকেও ভারত বাণিজ্য সীমাবদ্ধ করার অংশ হিসেবে দেখছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশি পোশাক প্রস্তুতকারকরা সরকারকে সতর্ক করে বলেছেন, সুতা আমদানি বন্ধের সিদ্ধান্ত পোশাক রপ্তানিকারকদের জন্য আত্মঘাতী হতে পারে। অপরদিকে, ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য সম্পর্ক হুমকির মুখে পড়লেও, ঢাকা সরাসরি পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য পুনরায় শুরু করেছে। গত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে ৫০ হাজার টন চাল কিনতে সম্মত হয়।
পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক পুনরুজ্জীবনের বিষয়টি ভারতীয় কর্তৃপক্ষের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে যখন প্রতিবেশী দেশে চরমপন্থা বাড়ার আশঙ্কা বাড়ছে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালোচের ঢাকা সফর এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের পরবর্তী সফরের খবরে দুই দেশের সম্পর্কের নতুন অধ্যায় শুরু হতে যাচ্ছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।